Civic Volunteer: ভলিবল খেলে সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি পান, অনাথ সাগরের লক্ষ্য পুলিশ অফিসার হ‌ওয়া

নদিয়া: বাবা-মা হারা ছেলের জীবন যুদ্ধ। ছোট থেকেই ভলিবল খেলেন সাগর দে। এই ভলিবল খেলার দৌলতেই তাঁর বেশ নাম-ডাক। তারই সূত্র ধরে পেয়েছেন সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি। এবার তিনি চান মস্ত বড় পুলিশ অফিসার হতে। আর সেই লক্ষ্য পূরণের তাগিদেই ভলিবল খেলার পাশাপাশি সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন পড়াশোনা।

নদিয়া শান্তিপুরের সাগরের পুলিশ অফিসার হওয়ার লক্ষ্যে পড়াশোনায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় সব পুলিশ কর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররা। সাগর তাঁর জীবন সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে জানান, বহুদিন আগে তাঁরা গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে মায়ের মৃত্যু হয়, তারপর বাবার হাত ধরে শান্তিপুরে পিসির বাড়িতে চলে আসেন। তবে জীবনে অন্ধকার নামল ১৭ বছর বয়সে বাবার মৃত্যুর পর। পিসির বাড়িতে থাকলেও তাঁর উপর অবহেলা শুরু হয়। পরবর্তীতে পিসির বাড়ি ছেড়ে শান্তিপুর নতুন পাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। তারপর এলাকার একটি পাওয়ারলুমে শাড়ি তৈরির কাজ করে জীবনযাপন শুরু হয়।

আর‌ও পড়ুন: ভর সন্ধেতে জনবহুল এলাকায় অধ্যাপিকার বাড়িতে ভয়াবহ চুরি

পরবর্তীতে নতুনপাড়ার অভিযাত্রী সংঘের মাঠে ভলিবল খেলতে শুরু করেন। রাজ্য সরকারের জলতরঙ্গ উৎসবে ভলিবলে নতুনপাড়া চ্যাম্পিয়য়ন হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মত বিজয়ী দলের সকল খেলোয়াড় সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি পান। সেই মত টিমের ১০ জনের যারা চাকরি পেয়েছিল তাঁদের মধ্যে অন্যতম সাগর।

চাকরি পাওয়ার পর সাগরের পাশে দাঁড়িয়েছে রানাঘাট জেলা পুলিশ। যেহুতু তাঁর থাকার কোনও ঠিকানা নেই, তাই তাঁকে শান্তিপুর নতুনহাট পুলিশ ফাঁড়়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। বর্তমানে রানাঘাট পুলিশ জেলার ট্রাফির বিভাগে কর্মরত সে। টানা ডিউটির ফাঁকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে সাগর। তাঁর লক্ষ্য ভবিষ্যতে রাজ্য পুলিশের স্থায়ী পদে চাকরি করে একজন বড় অফিসার হওয়া।

মৈনাক দেবনাথ