Tag Archives: Police Officer

Security Advice: রানিগঞ্জের ডাকাতি থেকে বিরাট শিক্ষা, বদলে গেল একগুচ্ছ নিয়ম

পশ্চিম বর্ধমান: রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা রীতিমত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্যকে। এই ঘটনার পর রীতিমত নড়ে চড়ে বসেছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। এরপর তারা একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে এখানকার প্রতিটি ব্যাঙ্ক, গয়নার দোকান এবং আর্থিক সংস্থাগুলিকে।

এদিন দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে পুলিশের তরফে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের আধিকারিক, বিভিন্ন গয়নার দোকানের মালিক, গোল্ড লোন দেওয়া সংস্থার আধিকারিক সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানেই নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে একটি আলোচনা হয়। এই বইটাকে দু’পক্ষ‌ই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নিজেদের মতামত বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: বৃষ্টি শুরু হতেই টালমাটাল অস্থায়ী সেতু, অজয় পার হওয়া নিয়ে বাস মালিকদের চিন্তা

এই বৈঠকে ব্যাঙ্ক, গয়নার দোকানগুলির নিরাপত্তার দিকে বিশেষভাবে জোর দিতে বলা হয়েছে। তার জন্য পুলিশের তরফ থেকে বিশেষ টিপস‌ও দেওয়া হয়। যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্য সংস্থাগুলিকে নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে সেই বিষয়ে মুখ খোলেননি পুলিশকর্তারা। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থেই এই বিষয়গুলি গোপন রাখা হয়েছে। তবে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে সিসিটিভির দিকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ধরনের দুষ্কৃতী কার্যকলাপ রুখতে পুলিশ আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে চাইছে। যে কারণে শহরজুড়ে আরও বেশি সিসিটিভি লাগানো হবে। সিসিটিভিগুলি যাতে সর্বক্ষণ কাজ করে তার জন্য লাগাতার নজরদারি চলবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আর্থিক সংস্থাগুলিকেও সিসিটিভির দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাঙ্কগুলিকে এমারজেন্সি অ্যালার্ম সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্ক হতে বলা হয়েছে। সোনার দোকানগুলিকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নয়ন ঘোষ

Prevent Gang Beating: গণপিটুনি ঠেকাতে আসরে পুলিশ, চলছে মাইকিং

হুগলি: সোমবারই চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তারকেশ্বরের এক যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। তবে এটা কোন‌ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গত কিছুদিন ধরেই গোটা রাজ্যজুড়ে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে একশ্রেণির নাগরিকের মধ্যে। স্রেফ গুজবের উপর ভিত্তি করে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। এই বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

আইন হাতে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় আইনত কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করার কাজেও শুরু হয়েছে। পুরসভা, পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গণপিটুনি ঠেকাতে প্রচার চলছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকেও সরাসরি মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে হুগলি জেলার বিভিন্ন ব্লকে। তারকেশ্বর থানার রানাবাঁধ গ্রামে চোর সন্দেহে মারধরের ঘটনায় মৃত্যুর পর সেখানে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: গেরস্থের ঘর ভেঙে ধান খেয়ে গেল হাতি!

টোটো-তে মাইক লাগিয়ে পুলিশ সরাসরি জনসাধারণের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে। এদিন গোটা তারকেশ্বর শহর জুড়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে গণপিটুনি প্রতিরোধের বিষয়ে প্রচার করা হয়। সেখানে জানানো হয়, আপনার এলাকায় কোন‌ও অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখতে পেলে তৎক্ষণাৎ তারকেশ্বর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তবে কেউ যাতে আইন হাতে তুলে না নেয় সেই বিষয়টিও বলা হয়েছে।

রাহী হালদার

Helmet Ban: বেড়ে চলা ডাকাতি ঠেকাতে সোনার দোকানে হেলমেট পরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে গয়নার দোকানে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাওয়া অথবা টাকা জমা দেওয়ার সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ পদক্ষেপ পুলিশের।

এদিন বারুইপুরের সোনার তরী কমপ্লেক্সে বারুইপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেন পুলিশ কর্তারা। সেখানে সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা নিয়ে আলোচনা হয়। বিভিন্ন রকম সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মতের আদান-প্রদান হয়। এই বৈঠকে বারুইপুর পুরসভার আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

আর‌ও পড়ুন: বাজারে সবজির দামে আগুন, চাষিদের ভাগ্যে জুটছে না কিছুই

যেভাবে একের পর এক সোনার দোকানে চুরি ও ডাকাতি হচ্ছে তাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই সমস্ত ঘটনায় যাতে হ্রাস টানা যায় সেই বিষয়ে বারুইপুরের এসডিপিও অতীত বিশ্বাস বেশকিছু মূল্যবান পরামর্শ দেন এই বৈঠকে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি আবার খতিয়ে দেখা হবে। প্রত্যেকটা দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো বাধ্যতামূল। সিসিটিভি ক্যামেরায় ঠিকমতো রেকর্ডিং হচ্ছে কিনা সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে, রেকর্ডিং স্টোরেজের জায়গা সেই দোকান ছেড়ে অন্য জায়গায় রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

সেইসঙ্গে প্রতিটি দোকানে ও ব্যাঙ্কে অ্যালার্ম সিস্টেম রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ফোনের ইমার্জেন্সি ডায়ালে নিকটতম পুলিশ আধিকারিকদের ফোন নম্বর সেভ করে রাখতে হবে। হেলমেট এবং মুখে মাস্ক পরে দোকানে ঢোকা নিষিদ্ধ করার কথা বলেন তিনি। দোকানের সামনে যে কাঁচের দরজা থাকে তাতে কোন‌ওরকম পর্দা বা ব্ল্যাক ফ্লিম না লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে বাইরে থেকে সবটা পরিষ্কার দেখা যায়। সেই সঙ্গে পুরানো সোনা কেনার ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে দোকানদারদের। সন্দেহজনক কিছু মনে হলেই সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেন তিনি।

সুমন সাহা

International Anti Drug Day: মাদক বিরোধী দিবসে নেশা মুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার

হুগলি: বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবসে নেশা মুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার পুলিশের। যুব সমাজ যাতে নেশার কবল থেকে মুক্ত হতে পারে তার জন্য একাধিক সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। নেশা মুক্তির বার্তা নিয়ে অভিনব ট্যাবলোর উদ্বোধন হয়, যা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বার্তা দেবে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে।

বুধবার বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস পালন করল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের হেড কোয়ার্টার চুঁচুড়া পুলিশ লাইনে স্কুল পড়ুয়া, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, নেশা মুক্তির কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভলগি, ডিসি চন্দননগর ঈশানী পাল সহ পুলিশ আধিকারীকরা।

আর‌ও পড়ুন: জাতীয় স্তরের জুডোয় জোড়া সাফল্য, সোনা জয় দুই পড়ুয়ার

পুলিশ কমিশনার বলেন, মাদকের নেশার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে মোবাইলে আশক্তি, রিল তৈরির নেশা যুব সমাজকে পেয়ে বসেছে। নেশা যদি করতেই হয় তবে পড়াশোনা, গান, খেলাধুলো, শরীর চর্চার নেশা করুন। এমনও দেখা গেছে নেশায় আশক্ত হয়ে নাসার বিজ্ঞানীও শেষ হয়ে গেছেন। তার মানে নেশা বিষয়টা শিক্ষা-অশিক্ষা, নিম্নবিত্ত-উচ্চবিত্ত সবার ক্ষতি করে। এই মাদক যাতে সহজে না পাওয়া যায় পুলিশ তার ব্যবস্থা করতে পারে। তবে মানুষকে নিজেকেই সচেতন হতে হবে।

রাহী হালদার

Police Super: ভোট মিটতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি পদে কমিশনের সরিয়ে দেওয়া ধৃতিমান

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোট পর্ব শেষ হয়ে ফল ঘোষণার পর ১৫ দিন পেরোতে না পেরোতেই আবারও পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি পদে ফিরি আনা হল ধৃতিমান সরকারকে। নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

লোকসভা নির্বাচনের পর্ব শেষ হওয়ার পর নবান্ন বদলি হওয়া পুলিশ আধিকারিকদের পুরনো পদে ফেরানোর কাজ শুরু করেছে। সেই ধারা অনুসরণ করেই পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি পদে ফিরি আনা হল ধৃতিমান সরকারকে। যদিও এ নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।

আর‌ও পড়ুন: প্রভু জগন্নাথের স্নানযাত্রায় ইসকনে উপচে পড়ল ভিড়

লোকসভা নির্বাচনের চার দিন আগে নির্বাচন কমিশন একটি নির্দেশিকা জারি করে ধৃতিমান সরকারকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত নয় এমন পদে বদলি করে দেয়। পরিবর্তে পশ্চিম মেদিনীপুরের নতুন এসপি করা হয় কুলদীপ সুরেশকে। নির্বাচন কমিশনের তরফে চাওয়া তিন আইপিএস পুলিশ কর্তার মধ্যে থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ সুপার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার কুলদীপ সুরেশ-কে।

আইপিএস দীনেশ কুমারের পর ২০২৩ সালের ৯ মার্চ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ধৃতিমান। লোকসভা নির্বাচনের পূর্ব মিটিয়ে সেই তাঁকে আবারও গুরু দায়িত্বে ফেরাল রাজ্য-প্রশাসন।

রঞ্জন চন্দ

Child Theft Rumors: শিশু চুরির গুজবে ফের গণপিটুনি, বারাসতের পর অশোকনগর

উত্তর ২৪ পরগনা: পুলিশের সতর্কবার্তা ও লাগাতার প্রচারেও কাজ হল না। ফের শিশু চুরির গুজবে চলল মারধর। এবারের ঘটনাস্থল অশোকনগর। বাচ্চা চুরির গুজবের জেরে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক যুবতী।

বারাসতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল একই জেলার অশোকনগরে। শিশু পাচারকারী সন্দেহে এক যুবতীকে ধরে মারধর করে স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর থানার ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতের পুমলিয়া এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ খবর পেয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের উপরও চড়াও হয় মারমুখী জনতা। এক পুলিশ কর্মীকেও মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। পরবর্তীতে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে মৃদু লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধার করা হয় গণপিটুনির শিকার হওয়া ২৮ বছরের ওই যুবতীকেও।

আর‌ও পড়ুন: মালাবদল করে শুরু ফুটবল ম্যাচ!

পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া যুবতীর কাছে থাকা আধার কার্ড থেকে জানা গিয়েছে তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা। তবে কী করতে অশোকনগরে এসেছিলেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৫ জনকে আটক করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। দিন কয়েক আগেই বারাসতে শিশু পাচারকারী সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গণধোলাইয়ের মত ঘটনা ঘটে। এরপরই বারাসত জেলা পুলিশের তরফ থেকে পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা রাস্তায় নেমে সচেতনতা মূলক প্রচার, মাইকিং ও লিফলেট বিলি শুরু করেন।

শুধু তাই নয় পুলিশের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, বাচ্চা চুরির গুজব ছড়ালে আইনত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি বারাসতের গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার‌ও করে পুলিশ। তারপরেও অশোকনগরে একই ঘটনা ঘটায় প্রশাসনের দুশ্চিন্তা আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Malda News: ‌যে হাতে বন্দুক ধরেন সে হাতেই মাইক্রোফোন! গান গেয়ে ভাইরাল এই পুলিশ অফিসার

মালদহ: সোশ্যাল মাধ্যমে এখন ভাইরাল তিনি। অনুষ্ঠান মঞ্চে হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে গাইছেন ‘ক্যাভি আলবিদা না ক্যাহেনা’। এই গান গেয়ে রীতিমতো এখন সোশ্যাল মাধ্যমে ঝড় তুলেছেন থানার আইসি। সোশ্যাল মাধ্যমে ব্যাপক শেয়ার হচ্ছে সেই গানের ভিডিও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি একজন আইসির এমন প্রতিভায় মুগ্ধ সকলে। এলাকায় অপরাধ দমনে যেমন তিনি পারদর্শী তেমন অপরদিকে গান গেয়ে সকলের মন জয় করেছেন।

শুধুমাত্র একটি গান নয়, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকারের একাধিক গান সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অবসর সময়ে আনন্দ উপভোগের জন্য তিনি গান গেয়ে থাকেন। এই গানের মাধ্যমেই তিনি খুঁজে পান মানসিক শান্তি। তাইতো ব্যস্ততার মাঝেও নিজের শিল্পী সত্তাকে বিসর্জন দেননি থানার আইসি মনোজিৎ সরকার। গান থেকে লেখা লেখি কাজের ফাঁকে সবটাই সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আর তাঁর কন্ঠের জাদুতে মজেছে সামাজিক মাধ্যম। আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন,”গানের মাধ্যমে আমরা রিফ্রেস হতে পারি। তাই আনন্দ উপভোগ করার জন্য এই গান করি। সংগীত শিক্ষা আমার নেই মজা করার জন্যই গান করি।”

মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি মনোজিৎ সরকার।লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই থানায় বদলি হয়ে এসে ছিলেন তিনি। নির্বাচনী মরশুমে বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী স্পর্শকাতর এই এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেছেন কঠোর হাতে। কিন্তু এসবের মাঝেও নিজের মধ্যে থাকা শিল্পীস্বত্তাকে বিসর্জন দেননি। একদিকে যেমন গানের গলা। তেমন লেখালেখির হাত। সংগীত থেকে সাহিত্য চর্চা। সবেতেই পারদর্শি তিনি।

আরও পড়ুনঃ India vs Bangladesh: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফের বদল হবে ভারতীয় দলে! ইঙ্গিত দিলেন রোহিত শর্মা

সম্প্রতি আইসি মনোজিৎ বাবুর গাওয়া একটি গান সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।সেই গান শুনে হরিশ্চন্দ্রপুরবাসী প্রশংসা করছেন আইসির।তার এই বহুমুখী প্রতিভাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন এলাকার মানুষ। সময় পেলেই কখনও গুনগুন করে নিজের খেয়ালে গান করেন। আবার সুযোগ হলেন মাইক্রোফোন হাতে মঞ্চে গান গাইতে উঠে পরেন আইসি। এমনি এক মঞ্চে গাওয়া গান এখন সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল।

হরষিত সিংহ

SDPO Arambag: চেনা পোশাকে অচেনা ভূমিকায় এসডিপিও

হুগলি: আরামবাগ হাই স্কুলের ধরা পড়ল এক অন্য রকম ছবি। স্কুল শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা গেল পুলিশকে! তাও যে সে পুলিশ নয়, খোদ এসডিপিও পড়ুয়াদের ক্লাস নিলেন। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি অনুপ্রাণিত করতে এমন উদ্যোগ আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তীর।

আরামবাগ হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পদার্থ বিজ্ঞান, অঙ্ক প্রভৃতি বিষয় পড়ালেন আরামবাগের এসডিপিও সহ আরামবাগ থানার আইসি ও মহিলা থানার ওসি। এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষক থেকে অভিভাবক সকলেই। এই দিন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু করে নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি, অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা সহ বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস নেন পুলিশ কর্তারা। যেখানে প্রতিদিন চোর-ডাকাত ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মাঠে ময়দানে পুলিশদের দেখা যায়, তাঁদের এদিন শিক্ষকের ভূমিকায় দেখে খুশি পড়ুয়ারাও। একজন অভিজ্ঞ শিক্ষকের মতনই ক্লাসে বাচ্চাদেরকে ফিজিক্সের ফান্ডা বোঝান এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী।

আর‌ও পড়ুন: ছাগল-মানুষে একাকার, গাড়ি উল্টে পাঁচজনের মৃত্যু! কার ঘাড়ে দায় চাপালেন সাংসদ?

এই বিষয়ে আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, তাঁরা যখন পড়াশোনা করতেন সেই সময় পুলিশ আধিকারিকরা স্কুলে এলে অনুপ্রাণিত হতেন। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এইভাবে এগিয়ে আসা। এছাড়াও তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য তিনি নিজেও পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় ক্লাস করান। আজ একেবারে স্কুল পড়ুয়াদের কাছে এসে পড়ানোর সুযোগ এসেছিল, তাই তিনি এসেছেন বুনিয়াদি পড়াশোনা ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝাতে। তিনি আশাবাদী ছাত্র-ছাত্রীরা এই ধরনের ক্লাসের পরে অনেকটাআ অনুপ্রাণিত হবে।

রাহী হালদার

Civic Volunteer: ভলিবল খেলে সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি পান, অনাথ সাগরের লক্ষ্য পুলিশ অফিসার হ‌ওয়া

নদিয়া: বাবা-মা হারা ছেলের জীবন যুদ্ধ। ছোট থেকেই ভলিবল খেলেন সাগর দে। এই ভলিবল খেলার দৌলতেই তাঁর বেশ নাম-ডাক। তারই সূত্র ধরে পেয়েছেন সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি। এবার তিনি চান মস্ত বড় পুলিশ অফিসার হতে। আর সেই লক্ষ্য পূরণের তাগিদেই ভলিবল খেলার পাশাপাশি সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন পড়াশোনা।

নদিয়া শান্তিপুরের সাগরের পুলিশ অফিসার হওয়ার লক্ষ্যে পড়াশোনায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় সব পুলিশ কর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররা। সাগর তাঁর জীবন সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে জানান, বহুদিন আগে তাঁরা গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে মায়ের মৃত্যু হয়, তারপর বাবার হাত ধরে শান্তিপুরে পিসির বাড়িতে চলে আসেন। তবে জীবনে অন্ধকার নামল ১৭ বছর বয়সে বাবার মৃত্যুর পর। পিসির বাড়িতে থাকলেও তাঁর উপর অবহেলা শুরু হয়। পরবর্তীতে পিসির বাড়ি ছেড়ে শান্তিপুর নতুন পাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। তারপর এলাকার একটি পাওয়ারলুমে শাড়ি তৈরির কাজ করে জীবনযাপন শুরু হয়।

আর‌ও পড়ুন: ভর সন্ধেতে জনবহুল এলাকায় অধ্যাপিকার বাড়িতে ভয়াবহ চুরি

পরবর্তীতে নতুনপাড়ার অভিযাত্রী সংঘের মাঠে ভলিবল খেলতে শুরু করেন। রাজ্য সরকারের জলতরঙ্গ উৎসবে ভলিবলে নতুনপাড়া চ্যাম্পিয়য়ন হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মত বিজয়ী দলের সকল খেলোয়াড় সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি পান। সেই মত টিমের ১০ জনের যারা চাকরি পেয়েছিল তাঁদের মধ্যে অন্যতম সাগর।

চাকরি পাওয়ার পর সাগরের পাশে দাঁড়িয়েছে রানাঘাট জেলা পুলিশ। যেহুতু তাঁর থাকার কোনও ঠিকানা নেই, তাই তাঁকে শান্তিপুর নতুনহাট পুলিশ ফাঁড়়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। বর্তমানে রানাঘাট পুলিশ জেলার ট্রাফির বিভাগে কর্মরত সে। টানা ডিউটির ফাঁকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে সাগর। তাঁর লক্ষ্য ভবিষ্যতে রাজ্য পুলিশের স্থায়ী পদে চাকরি করে একজন বড় অফিসার হওয়া।

মৈনাক দেবনাথ

Local News: পুলিশ অফিসারের অভিনব উদ্যোগ, জানলে আপনারও ভাল লাগবে

পূর্ব বর্ধমান: জঙ্গল রক্ষার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিলেন পুলিশ অফিসার ত্রিদিব রাজ এবং বন বিভাগের আধিকারিক তাপস মাহাত। ত্রিদিব রাজ বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের ছোঁড়া ফাঁড়ির বড়বাবু। তাপস মাহাত আউশগ্রাম জঙ্গলের আদুরিয়া বিটের বিট অফিসার। যৌথভাবে এই দু’জন সরকারি অধিকারিককে জঙ্গল রক্ষার জন্য বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে দেখা গেল।

আরও পড়ুন: বাঁচতে শেষে নদী পুজো, যোগ দিলেন বনকর্মীরাও

আউশগ্রাম পূর্ব বর্ধমান জেলার ‘জঙ্গলমহল’ নামে পরিচিত। শাল-পেয়াল সহ বিভিন্ন গাছ দিয়ে ঘেরা এই আউশগ্রাম। পূর্ব বর্ধমান জেলার এই আউশগ্রাম জুড়ে বসবাস করেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ। এটি পর্যটকদের জন্যও একটি বিশেষ ক্ষেত্র।

এখানে জঙ্গলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু রিসর্ট। বছরের প্রায় সব সময়ই বহু মানুষের যাতায়াত রয়েছে আউশগ্রামে। এছাড়াও আউশগ্রামেরই একটি অন্যতম জায়গা হল কালিকাপুর রাজবাড়ি। এই রাজবাড়িও অবস্থিত একদম জঙ্গলের মধ্যে। এটি একটি জনপ্রিয় শুটিং স্পট হয়ে উঠেছে। এই জঙ্গলে রয়েছে বহু বন্যপ্রাণী। যার মধ্যে আছে ময়ূর, খরগোশ, নেকড়ে সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। ময়ূর দেখার জন্য ভিড় করে বহু পর্যটক। বিভিন্ন মানুষ জ্বালানির জন্য পাতা সংগ্রহ করতে জঙ্গলে যায়। আবার ভ্রমণের জন্যও বহু মানুষ জঙ্গলের মধ্যে প্রবেশ করেন। কিন্তু অনেক সময় তাঁরা ইচ্ছকৃতভাবে জঙ্গলের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দেন। স্বভাবতই আগুন লাগার কারণে পুড়ে যায় বহু গাছ। পাশাপাশি বিভিন্ন বন্যপ্রাণীও মারা যায়। এই বিষয়টি জানতে পারেন ছোঁড়া ফাঁড়ির বড়বাবু ত্রিদিব রাজ।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পরবর্তীতে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আদুরিয়া বিটের বিট অফিসার তাপস মাহাতর সঙ্গে আলোচনা করেন। ঠিক হয় কেউ যাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে আগুন না লাগায় তার জন্য এলাকার গ্রামগুলিতে ঘুরে ঘুরে বিষয়টি নিয়ে প্রচার করা হবে। এরপরও কেউ জঙ্গলের আগুন লাগালে তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তারা জানিয়েছেন। জঙ্গল ও বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করতে এই দুই সরকারি আধিকারিক যে ভূমিকা নিয়েছেন তার প্রশংসা করছেন সকলে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী