অনেকেরই সকালে উঠে শৌচালয়ের কাজ সারতে বেশ অনেকটাই সময় লাগে। তবে দীর্ঘ দিন এই ভাবে চলতে থাকলে শরীরে বাসা বাঁধে পাইলসের মতো জটিল সমস্যা। শুধু বেশি বয়সীদের মধ্যেই নয়, বর্তমান সময়ে কমবয়সিদের মধ্যেও বাড়তে শুরু করেছে এই সমস্যা। অথচ বেশির ভাগ মানুষে এই জিনিসটিকে অবহেলা করে থাকেন। ফলে রোগ আরও জটিল আকার ধারণ করে! photo source collected দীর্ঘ দিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা, ক্রনিক ডায়রিয়া, মলত্যাগে দীর্ঘ ক্ষণ শৌচাগারে বসে থাকা পাইলসের সমস্যার কিছু মূল কারণ। এছাড়া পারিবারিক ইতিহাস, ফাইবার যুক্ত খাবার কম খাওয়া, গর্ভাবস্থা ও ভারি জিনিস তোলার কারণেও পাইলস দেখা দিতে পারে। তবে এই বিষয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসক সৌরভ সরকার কী জানাচ্ছেন জেনে নেওয়া যাক। photo source collectedঅভিজ্ঞ চিকিৎসক সৌরভ সরকার জানান, পাইলসের মুল উপসর্গ হল মলত্যাগের সঙ্গে রক্তপাত। সমস্যা বাড়লে মলত্যাগের সময় যন্ত্রণাও দেখা দিতে পারে। মলদ্বারে ব্যথা বা মলত্যাগের সময় রক্ত পড়লে চিকিৎসকের কাছে অবশ্যই যাওয়া উচিত। photo source collectedপ্রাথমিক রোগে জীবনযাত্রার বদল ও ওষুধ এবং বা ফোর্থ ডিগ্রি পাইলসে অস্ত্রোপচারই হল মূলত পাইলসের চিকিৎসা। অনেকেই মনে করেন, পাইলসে অস্ত্রোপচার করলেও সমস্যা ফিরে আসে। তবে প্রত্যেক মানুষের মলদ্বারের উপরে তিনটি পাইলস থাকে। যাঁরা দীর্ঘ ক্ষণ মলত্যাগের জন্য চাপ দেন, তাঁদের পাইলস নীচে নেমে রোগের সৃষ্টি করে। সেক্ষেত্রে পাইলস নিচে নেমে এসে রক্তক্ষরণ করায়। চিকিৎসক সেটিকেই কেটে বাদ দেন। photo source collectedতিনি আরও জানান, কিছু নিয়ম সঠিক ভাবে মেনে চললে এই রোগ প্রতিরোধ হতে পারে। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, প্রতি দিন প্রচুর ফাইবারযুক্ত সবজি, ফলমূল ও খাবার খাওয়া, বেশি করে জল খাওয়া। রেড মিট, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার, কড়া মশলা, ফাস্টফুড খাবার এড়িয়ে চলা। photo source collectedএছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে দ্রুত সেটার চিকিৎসা করা। মলত্যাগে কখনও বেশি চাপ প্রয়োগ না করা, শৌচাগারে বেশি ক্ষণ না বসে থাকা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া, নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। photo source collectedতাই রোজের জীবনে শরীরচর্চা করাও সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।” চিকিৎসকের বলাই বিষয়গুলি মেনে চললে খুব সহজেই পাইলসের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। (Reported By: Sarthak Pandit)
