রামনবমীর মেলা

Ram Navami: জোড়া ডাব বা সুপুরি দিয়েই হয় পুজো! রামনবমীতে এই মন্দিরের কাহিনি অবাক করবে!

দক্ষিণ দিনাজপুর: পূর্ণতোয়া আত্রেয়ী নদীতে স্নান করে ডাব কিম্বা সুপুরি প্রভু রা কে সমর্পনের রীতি দীর্ঘ বছর ধরেই চলে আসছে। আত্রেয়ী নদীর গা ঘেঁষে অবস্থিত রঘুনাথের মন্দির। রাম, সীতা, লক্ষণ আর পবন পুত্রের মূর্তির মন্দির এটি। রামনবমী উপলক্ষে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম বৃহৎ রামনবমী মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বালুরঘাট শহরের রঘুনাথপুর এলাকায়। আনুমানিক ১৫০ বছর আগে এই মেলার শুভ সূচনা হয় বাংলাদেশে।

বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে প্রায় ৭৫ বছর ধরে চলে আসছে এই মেলায় দূরদূরান্ত থেকে ভক্ত সমাগম হয়। শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরে নিত্য দিনের পুজোর আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি রামনবমীর দিন খুব নিষ্ঠার সঙ্গে বাৎসরিক পুজোও হয়। মূলত এই মেলা রঘুনাথের মেলা হিসেবেই পরিচিত জেলা জুড়ে।

আরও পড়ুন: কলার গায়ে লেগে থাকা সুতোর মতো অংশটি খেলে কী হয়? আপনি খেয়ে ফেলছেন না তো?

এবিষয়ে মেলা কমিটির সদস্য জানান, “রঘুনাথের নামে কেউ কোন মানত করলে তাঁর মনোস্কামনা পূর্ণ হয়। এই পুজোয় খাজা বাতাসা বা সন্দেশ ভোগ ছাড়াও ডাব দিয়ে পুজো দেওয়ার একটা চল রয়েছে। তবে, এই পুজোয় রীতি রয়েছে এই পুজো ও মেলার প্রধান ভোগই হল জোড়া ডাব। অনেকে আবার সুপারি ও মটর ডালও মানত করেন। তাই মানত পূর্ণ হলেই ভক্তবৃন্দরা জোড়া ডাব বা সুপারি, মটর ডাল নিয়ে রামের চরণে অর্পণ করেন।” রামনবমীর দিন ভোর হতে না হতেই দুরদুরান্ত থেকে ভক্তরা রঘুনাথ জিউয়ের পুজো দিতে রঘুনাথ মন্দিরে ভিড় জমান। রঘুনাথের পুজোয় মন্দির প্রাঙ্গণে বসে মেলা। মেলার প্রথম দিনেই প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। ভিড় সামাল দিতে একরকম হিমশিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসনকে।

সুস্মিতা গোস্বামী