রেশম 

Rapid Detection Kit: রেশম চাষে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে ক্ষতির ভয় আর নেই, সনাক্তকরণ কিট আবিষ্কার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের

উত্তর দিনাজপুর: রেশম চাষের ক্ষেত্রে বি রাট সাফল্য নিয়ে এলো রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। রেশম চাষের ব্যাকটেরিয়া শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় সফল হল রাজ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।

এই আবিষ্কারের ফলে রেশম চাষে মিলল বড়সড় সাফল্য। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরিকালচার বিভাগ দীর্ঘদিন এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছিল। অবশেষে তারা রেশমের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া শনাক্তকারী কিট তৈরিতে সাফল্য অর্জন করেছে। আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে এই কিট সমস্ত রেশম চাষিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিশেষ কিটের নাম- র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট।

আর‌ও পড়ুন: আর স্কুলে পৌঁছনো হল না, সরকারি বাসের ধাক্কায় রাস্তাতেই মৃত্যু শিক্ষকের

রেশম চাষ করতে গেলে সিউরোমোনাস ও স্টাফাইলককাস এই দুই মারাত্মক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দেখা যায়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলোর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেশম পোকা। কিছু কিছু রেশম পোকার মধ্যে এই ব্যাকটেরিয়া দেখা দেয় যা চিহ্নিত করতে না পারায় পরবর্তীতে বাকি রেশম গুটিগুলো ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে অনেক গবেষণার পর অবশেষে এই ব্যাকটেরিয়া দমনে র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট ডেভলপমেন্টে সাফল্য পেল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরিকালচার বিভাগ।

এই প্রকল্পের গবেষক ঋত্বিক মণ্ডল জানান, এই কিটের সাহায্যে রোগগ্রস্থ রেশম গুটি-গুলিকে সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন চাষিরা। ফলে সেগুলো বাইরে বের করে শুধু সুস্থ রেশম গুটি চাষ করা যাবে। এতে উৎপন্ন রেশমে মান ভাল হবে। এক্ষেত্রে গোল্ড ন্যানো পার্টিকেলে সনাক্ত করা যাবে ব্যাকটেরিয়া।

অ্যামেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি অ্যাপ্লায়েড বায়োমেট্রিয়ালস জার্নালে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার কাজ। প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা এই গবেষণা আগামী দিনে আরও বড় জায়গায় আনতে চান গবেষকেরা। জানা গিয়েছে, এই কিট ব্যবহারে চাষিদের খরচ হবে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আর এই সামান্য খরচের সাহায্যে বড়সড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবেন রেশম চাষিরা। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় সেরিকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেব নির্মাল্য গঙ্গোপাধ্যায় জানান, রেশম চাষে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের দরুন ৪০ শতাংশ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এই নতুন কিট ব্যবহারের ফলে সেসব আর হবে না।

পিয়া গুপ্তা