ধান লাগাচ্ছেন সভাধিপতি

Rare Footage: ধান চাষ করছেন সভাধিপতি! প্রটোকল সরিয়ে বিস্ময় চিত্র

পুরুলিয়া: তাঁকে ঘিরে থাকেন দেহরক্ষীরা। রয়েছে এসকর্ট। প্রটোকলের ভিত্তিতে তাঁর পদমর্যাদা রাজ্যের রাষ্ট্রমন্ত্রীর সমতুল।‌ কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা না করেই একেবারে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারেন এক নিমেষে। শুনতে গল্প কথা মনে হলেও বাস্তবে এই চিত্রই দেখা গিয়েছে পুরুলিয়ায়। ‌মাঠে নেমে নিজের জমিতে ধান রোপণ করেছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাত। ‌

খোদ সভাধিপতির চাষ করার এই ছবি ইতিমধ্যেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। ‌সম্প্রতি পুরুলিয়া-১ ব্লকের চাকলতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পদুডি গ্রামে দিনভর চাষের কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতকে।

আর‌ও পড়ুন: মাত্র এক সপ্তাহের অনুশীলনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বর্ণপদক জয়! চমকে দিল সাত বছরের খুদে

শুধু জমিতে ধান লাগানো নয়, চাষের কাজের পাশাপাশি নিজের হাতে ফ্যান ভাত, শাক ভাজা, আলু চোখা রেঁধে কৃষি শ্রমিকদের খাইয়েছেনও তিনি। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, আমি পরিবারের বড় বধূ। আমাদের পরিবারে নিয়ম রয়েছে, চাষ শুরুর প্রথম দিন ঘরের বড় বৌ জমিতে ধান রোপত করবেন। বিয়ের পর থেকে আমি এই প্রথা মেনে আসছি, এবারেও সেটাই হয়েছে।

তবে শুধু চাষের প্রথম দিন নয়, আমি ফি বছর ঘরের চাষের কাজে যুক্ত থাকি। এই বছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী থেকে সভাধিপতির কুর্সিতে বসেছেন নিবেদিতা মাহাত। তাই মাটির সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়নি তাঁর। জেলার প্রশাসনিক প্রধান হলেও তিনি আজও মাটির সঙ্গে মিশে রয়েছে । এদিন সাত সকালেই স্নান সেরে হেঁশেলে চলে যান। কৃষি শ্রমিকদের জন্য রান্না করে সেই খাবার নিয়ে হেঁটে সোজা চলে গিয়েছিলেন চাষের জমিতে।

তারপর পরিবারের ছোট বধূ সুবর্ণাকে নিয়ে চাষের কাজে নেমে পড়েন। তবে তার আগে নিয়ম মাফিক গ্রাম্য দেবতা হীর পুজো হয়। হয় মোরগ বলি। জীবনের পরিবর্তন হলেও আজও তিনি সাদামাটাই রয়ে গিয়েছেন এই ছবি যেন তারই প্রমাণ দেয়। ‌ আর তাইত মানুষের মনের বড় কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন সভাধিপতি।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি