কলকাতা: মাস খানেকের ওপর সরিষার তেলের দাম কেজি প্রতি ১৬০ টাকা কাছাকাছি। সেই দাম কমছে না। কারণ হিসাবে ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীরা কাঁচা আমের দিকেই আঙুল তুলছেন। তাঁদের দাবি, তেল খাচ্ছে কাঁচা আম। যার ফলে চাহিদা বেড়েছে সরিষার তেলের। আম পাকা শুরু হয়েছে, তেলের দাম নাকি এবার কমা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রাজনীতি থেকে সাময়িক ছুটি নিচ্ছেন অভিষেক, সমাজমাধ্যমে কারণও জানালেন তৃণমূলের সেনাপতি
প্রতি বছরই সরিষার তেলের দাম চৈত্র মাস কাটার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায়।অত্যধিক গরমে বাঙালী,মাছ মাংস খাওয়া কমিয়ে দেয়।যার ফলে,এই সময়টা মানুষ ডাল -সব্জির দিকে মন দেয়।ফলে সরষের তেল খরচের পরিমাণ বাড়ে।তার সঙ্গে কাঁচা আম ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমের একটি রান্নার পদ শুরু হয়ে যায়। তবে আম চাষী কিংবা বিশেষজ্ঞদের দাবী,কাঁচা আম বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে সরষের তেলের চাহিদাও বেড়ে যায়। যেমন বাংলার প্রায় পরিবারেই কাঁচা আম দিয়ে নানা ধরনের আচার থেকে আরম্ভ করে কাসুন্দি বানানোর প্রবণতা বাড়ে। এছাড়াও বাংলার আম তেল বিখ্যাত।আর সেই কারণেই নাকি সরষের তেলের দাম অনেকটা বেড়ে যায়।
বড় বাজারে ভোজ্য তেল বিক্রেতা সুশান্ত চীনের কথায়, “পাকা আম বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে সরষের তেলের দাম কমতে শুরু করে।কারণ অনেকেই আম এবং কাঁঠাল খান। যার ফলে তখন তেলের চাহিদাটা কিছুটা কমে যায়।আগামী ৭দিন পর থেকে সরিষার তেলের দাম কমা শুরু করবে”। তবে এই যুক্তিকে সমান ভাবে সমর্থন করেছে,পশ্চিমবঙ্গ টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “অত্যধিক গরমের ফলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে পারছে না। যার ফলে তেলের উৎপাদন কমেছে। স্বাভাবিকভাবেই দামটাও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে”। তবে বাজারে সাদা তেল থেকে শুরু করে পাম তেলের দাম স্বাভাবিকের সামান্য এদিক ওদিক রয়েছে। এগুলোর দাম তেমন বাড়েনি। তবে সরষের তেলের দাম যে ১২০- ১২৫ টাকা কেজির নীচে যে নামবে না তাও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।