কলকাতা RG Kar Case-Sandip Ghosh: খুন কি সেমিনার রুমেই হয়নি? তাহলে কোথায়! হাসপাতালের ‘সেই’ জায়গা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে Gallery September 27, 2024 Bangla Digital Desk আরজি কর মামলায় নতুন মোড়। আরজি করে তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে শুরুতেই সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যেতেই তাকে তুলে দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে সঞ্জয়। এদিকে, সিবিআই এই মামলায় গ্রেফতার করেছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। বর্তমানে তাঁরাও রয়েছেন জেল হেফাজতেই। এরই মধ্যে সিবিআই সূত্রে সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার দিন, অর্থাৎ ৯ অগাস্ট, আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে উদ্ধার করা হয় তরুণী চিকিত্সকের মৃতদেহ। কিন্তু সেমিনার রুমেই কি আদৌ খুন করা হয়েছিল নির্যাতিতাকে? নাকি অন্যত্র খুন করে দেহ সেমিনার রুমে এনে রাখা হয়? এই প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই সূত্রে এক চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণে ভর করেই এবার মূল ঘটনাস্থলের খোঁজ শুরু করেছে সিবিআই। সেমিনার রুম নাকি অন্যত্র, কোথায় খুন হয়েছিলেন পড়ুয়া চিকিৎসক? তদন্তের শুরু থেকেই বারবার উঠে এসেছে এই প্রশ্ন। আর সেই তদন্ত সূত্রেই এবার হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ব্লকের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় নজর পড়েছে সিবিআইয়ের। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ ও ডিজিটাল এভিডেন্স থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। ক্যাজুয়ালটি ব্লকের ‘সেই’ জায়গাতেই কি তাহলে খুন করা হয়েছিল নির্যাতিতাকে? এ বিষয়ে যদিও সুনিশ্চিতভাবে এখনও কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সুনির্দিষ্টভাবে মূল ঘটনাস্থলের সন্ধান পেতে বেশ কিছু ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে সিবিআই। কয়েকজন সন্দেহভাজনের মোবাইল টাওয়ার ডাম্পিং রিপোর্টের অপেক্ষাতেও রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সমস্ত রিপোর্ট এলেই এই ধারণার জট খুলবে বলে আশা করছেন তদন্তকারীরা। এদিকে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে বুধবার হাজির করানো হয়েছিল শিয়ালদহ আদালতে। আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তাঁদের হাজির করানো হয় আদালতে। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা ও এফআইআর দেরিতে রুজু করার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। বুধবার আদালতে সিবিআই অবশ্য দাবি করেছে, টালা থানায় এই মামলা সংক্রান্ত কিছু ভুয়ো নথি বানিয়ে সেগুলি অদল-বদল করা হয়েছিল। দুই অভিযুক্তকে (সন্দীপ ও অভিজিৎ) হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই তথ্য তাঁদের হাতে উঠে এসেছে বলে আদালতে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। টালা থানার সিসি ফুটেজ-সহ ডিভিআর ও হার্ড ডিস্কও ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই তথ্যও শীঘ্রই চলে আসবে বলে জানিয়েছে সিবিআই।