আগুন পুড়ে যাওয়া নগদ অর্থ 

Rupee: আগুন পুড়ছে লক্ষ-লক্ষ টাকা! মুর্শিদাবাদে ভয়ঙ্কর দৃশ্য! কী ঘটল, শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন

মুর্শিদাবাদ: শিশুর জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলেন্ডারের বিস্ফোরণ। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হল তিনটি বাড়ি। জলের অভাবে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেন না বাসিন্দারা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই প্রায় দু’লক্ষের বেশি নগদ অর্থ। তিনটি বাড়ির আসবাবপত্র চোখের সামনেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন এক বৃদ্ধাও। তাঁকে ভরতপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের ওই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামের। অন্যদিকে বাড়িতে ধান বিক্রির টাকা নগদ অর্থ দু’লক্ষ টাকা মজুত করে রাখা ছিল তাও আগুনে পুড়ে যায়। যার কারণে মাথায় হাত এখন কৃষক পরিবারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ওই গ্রামে গ্যাস ওভেন জ্বালিয়ে তাঁর শিশুর জন্য দুধ গরম করছিলেন তপতি বিশ্বাস। কিন্তু হঠাৎ করেই গ্যাস ওভেনে আগুন ধরে যায়। অবস্থা বেহাল দেখে কোলের শিশু তুলে নিয়ে ঘর ছেড়ে ছুটে যান তিনি। চিৎকার করে আগুন ধরার কথা প্রতিবেশিদের জানান। এর পরক্ষনেই গোটা বাড়িতে আগুন ধরে যায়। সেই আগুন ছড়িয়ে পরে পাশের দুটি বাড়িতেও। তিনটি বাড়িতে দাও দাও করে আগুন জ্বলছে। সেই সময় বাসিন্দারা বালতি হাতে জল নিয়ে ছুটে আসেন। কিন্তু কয়েক বালতি জলে আগুন নেভানোর মত পরিস্থিতি ছিল না। সব বাড়ি গুলি ছিল মাটির দেওয়াল দেওয়া ছিটে বেড়া জাতীয়। আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়েন শাস্তিবালা বিশ্বাস নামে এক সত্তরোর্ধ মহিলা। অন্যদিকে আগুনে পুড়ে যায় নগদ অর্থ।

আরও পড়ুন: কাঁচরাপাড়া থেকে সোজা হাসপাতাল, ভোটের মুখেই মুকুল রায়কে ঘিরে বড় শোরগোল! কী ঘটল?

প্রতিবেশী পিন্টু বিশ্বাস বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এলাকায় কোথাও জল নেই। বর্তমানে তীব্র দাবদাহের জন্য পুকুর খাল সবই ফাঁকা। তাই চোখের সামনেই তিনটি বাড়ি পুড়ে ছাই পুড়ে যায়। আমরা খালি বালতি হাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম। কারও কিছু করার ছিল না।
ক্ষতিগ্রস্থ জীতেন বিশ্বাস বলেন, বাড়ির আসবাবপত্র থেকে নগদ গহনা সব কিছু পড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এমনকি ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার সবুজ সাথীর সাইকেল থেকে বইপত্রও পুড়ে ছাড় হয়ে গেল।

অন্যদিকে ওপর বাসিন্দা পূর্ণিমা বিশ্বাস বলেন, প্রায় একঘণ্টা ধরে চোখের সামনে সব কিছু পুড়ে যাচ্ছে। গ্রামের সকলেই আগুন নেভাতে এসেছেন। কিন্তু জল পাওয়া যাচ্ছে না। আগুনের তাপে ধারে কাছেও ঘেষা যাচ্ছে না। সংকির্ণ রাস্তার কারণে দমকল বিভাগের গাড়িও গ্রামে ঢোকে না। তাই আগুনে পুড়ে শুধু বাড়ি পুড়ল তা নয়। আমরাও একেবারে পথে বসে গেলাম।

—- কৌশিক অধিকারী