Tag Archives: Sadak Suraksha Abhiyan

Sadak Suraksha Abhiyan: ফাইনের বদলে লাড্ডু আর গোলাপ! শান্তিপুরে পথনিরাপত্তায় চলছে পুলিশের সচেতনতা

নদিয়া: রানাঘাট পুলিশ ডিস্ট্রিক্ট শান্তিপুর সাব ট্রাফিক গার্ড এর উদ্যোগে সচেতনতামূলক পদযাত্রায় হেলমেট বিহীন চালক আরোহীদের গোলাপের শুভেচ্ছা এবং লাড্ডুর অভিনন্দন। আইনের শাসন জারি রয়েছে কিন্তু তারই মধ্যে বেঁচে রয়েছে মানবিকতার আবেদনও । এদিন নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ ডিস্ট্রিক্ট শান্তিপুর সাব ট্রাফিক গার্ড এর উদ্যোগে স্টেশন সংলগ্ন গোডাউন মাঠ থেকে বাইগাছি মোড় পর্যন্ত সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি পালিত হয় এক সুবিশাল পদযাত্রার মাধ্যমে। যেখানে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পুলিশকর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারা অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: বই নিয়ে মজা নয়! সময়ে ফেরত না দিলে পাঠকের পায়ে পড়বে বেড়ি

পথচারীদের নিরাপদ ফুটপাত দিয়ে হাঁটার পরামর্শ সহ হেলমেট বিহীন বাইক চালক কিংবা আরোহীকে লাড্ডু দিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে হাতে গোলাপ ফুল তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মনে করিয়ে দেন পরিবারে তার গুরুত্বের কথা। অভিভাবকের পেছনে বসা স্কুল ফেরত ছাত্র-ছাত্রীদেরও এই গুরুদায়িত্বের অংশীদার করা হয় তাদের প্রিয়জনদের  হেলমেট নিয়ে বেরোনোর কথা মনেকরিয়ে দেওয়ার গুরু দায়িত্ব তাদেরকেও দেওয়া হয়। যদিও হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল চালক কিংবা আরোহী বিষয়টিকে ভাল ভাবেই দেখেছেন তারা জানাচ্ছেন এটা শুধুমাত্র গাফিলতি ছাড়া আর কিছু নয় অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেউ কেউ কিছুটা অনুশোচনার সঙ্গেই জানান, এবার থেকে এ ভুল আর হবে না।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কর্তব্যরত পুলিশ অফিসাররা জানান , আইনের শাসন জারি রয়েছে, কিন্তু মানবিকতা তার থেকেও উর্ধ্বে। তার ভালোর জন্যই এ ধরনের উদ্যোগ এর আগেও নেওয়া হয়েছিল তাতেও একটা বড় অংশের মানুষজন নিজেকে শুধরে নিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আজকের এই উদ্যোগ । তবে এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার নির্দেশে এসেছে জেলা পুলিশ সুপারের কাছ থেকে।

Mainak Debnath

অভিনব উদ্যোগ! পথ নিরাপত্তায় জেলা ট্রাফিক পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক কাজ

রাত জেগে গাড়ি চালকদের পুলিশ দিচ্ছে চা জল! পথ সচেতনতা বা পথ নিরাপত্তায় অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

Sadak Suraksha Abhiyan: রুখবে দুর্ঘটনা, বাঁচবে ওরাও, পথ কুকুরদের গলায় পরল রিফ্লেক্টিং কলার

হুগলি: পথ কুকুর দের দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে অভিনব পদক্ষেপ মগড়ার চন্দ্রহাটি ফাঁড়ির পুলিশ। কুকুরদের গলায় পড়ানো হল রিফ্লেক্টিং কলার। যার ফলে শীতের রাতে কুয়াশার মধ্যেও বাইকারোহী ও গাড়িচালকদের চোখে পড়ে পথ কুকুর। এর ফলে একদিকে যেমন দুর্ঘটনার হাত থেকে কুকুরদের রক্ষা করা যাবে অন্যদিকে বাইক চালকরাও বাঁচবেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ার হাত থেকে।

আরও পড়ুনঃ ফল হাতেনাতে! নিমেষেই গায়েব ‘ব্যথা’! বাড়ির পাশের ‘এই’ গাছের পাতাই গাঁটের ‘প্রতিরোধী’

নেতাজী জয়ন্তী উপলক্ষে এই দিন উদ্যোগ নেওয়া হয় পথ কুকুর দের গলায় বেল্ট পোড়ানোর। কারণ শীতের রাতে বিশেষত ভোর বেলায় বাইক আরোহীরা ও গাড়ি চালকরা সামনে বেশি দূরের জিনিস দেখতে পান না। তার কারণে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে কুকুর এর সঙ্গে বাইকের সংঘর্ষে আহত হচ্ছে উভয় পক্ষই। সেক্ষেত্রে এই রিফ্লেক্টিং কলার এর উপরে যখন গাড়ির আলো এসে পড়বে তখন অন্ধকারের মধ্যেও কলার গুলি জ্বলে উঠবে যার ফলে দূর থেকে গাড়ি চালকরা বুঝতে পারবেন সেখানে কোন একটি সারমেয়রয়েছে। যার ফলে আগে থেকেই গাড়ির গতি কমিয়ে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবেন গাড়িচালক ও পথ কুকুর দুজনেই।

এই বিষয়ে চন্দ্রহাটি ফাঁড়ির অফিসার রোলান্ড লিপাট বলেন, কুয়াশায় রাস্তা ভালকরে দেখা যায়না। এসটিকেকে রোডে এত যান চলাচল করে কুকুর রাস্তা পেরোতে গিয়ে দূর্ঘটনা ঘটছে। কুকুর মারা যাচ্ছে আবার বাইক আরোহীদের দূর্ঘটনায় হাত পা ভাঙছেন। তাই রিফ্লেক্টিং কলার পরানো হচ্ছে কুকুরদের। দূর থেকে গাড়ির আলোয় রিফ্লেক্ট করবে তখন চালকরা নিয়ন্ত্রিত গাড়ি বাইক চালাতে পারবেন। জীবন বাঁচবে উভয়েরই। কুন্তিঘাট থেকে বিটিপিএস টাউনশিপ পর্যন্ত যত কুকুর ছিল সবার গলার রিফ্লেক্টিং কলার পড়ানো হয়।

পথচারি থেকে স্থানীয় বাসিন্দারাও সাধুবাদ জানান পুলিশের এই উদ্যোগকে। প্রসঙ্গত চন্দ্রহাটি ফাঁড়ির এ এস আই রোলান্ড লিপাট এর আগে পান্ডুয়া থানায় পোস্টিং ছিলেন। সেখানে সাধারন মানুষের জন্য একাধিক ভালো কাজ করেছিলেন। যে কারনে তার বদলির সময় এলাকাবাসী স্থানীয় ব্যবসায়ীরা থানায় গিয়ে তাকে থেকে যেতে অনুরোধ করেন। নিয়মানুযায়ী বদলি হওয়ায় তাকে চলে যেতেই হবে বলার পর তারা বাড়ি ফেরেন। মগড়ায় বদলির পরও একই ভাবে সামাজিক কাজ করছেন এই পুলিশ অফিসার।

রাহী হালদার

Sadak Suraksha Abhiyan: পিকনিকের মরশুমে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সর্তকতা! ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ

কোচবিহার: শীতকালের এই সময়ে পিকনিকের মরশুমে মেতে ওঠেন সকলে। তবে এই সময়ে বেশি পথ দুর্ঘটনাও দেখতে পাওয়া যায় সর্বত্র। মূলত মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো এবং ট্রাফিক আইন না মানা। এই সমস্ত কারণেই এই সকল দুর্ঘটনা বেশি ঘটতে দেখা যায়। তবে এই দুর্ঘটনা রুখতে সবসময় তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা। যার ফলে বর্তমানে কিছুটা কমানো সম্ভব হয়েছে জেলার সড়ক দুর্ঘটনার পরিস্থিতি। তবে সাধারণ মানুষেরও অনেকটাই বেশি সচেতন থাকা প্রয়োজন। নাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবেনা। প্রত্যেকটি মৃত্যুই বেদনাদায়ক। তবে রাস্তায় ট্রাফিক আইন মেনে চললে খুব সহজেই পথ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন ভাইকে! অন্যদের প্রাণ রক্ষা করতে অভিনব উদ্যোগ দাদার

জেলা সদর ট্রাফিক পুলিশের এক অফিসার দধিরাম বর্মন জানান, “প্রতিনিয়ত পথ দুর্ঘটনা রুখতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে সকলে। প্রতিনিয়ত নাকা চেকিং এবং বিভিন্ন ধরনের রোড সেফটি ক্যাম্পেইনিং এর মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে মানুষকে। তবে তবুও বেশ কিছু মানুষ একেবারেই সচেতন ভাবে গাড়ি চালান না। তাঁদের রোড সেফটি বিষয়গুলি বারংবার মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জেলা সদর ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে। মূলত এই সময়ে পিকনিকের কারণে অনেককেই মাদক সেবন করে গাড়ি চালিয়ে থাকেন। তবে এভাবে তিনি নিজের যেমন বিপদ ডেকে আনেন। তেমনি অন্যের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ান। এছাড়া হেলমেট পড়ে ও সিট বেল্ট লাগিয়ে গাড়ি চালানো উচিত।”

কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, “জেলা পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সব সময় তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে প্রতি নিয়ত। তবুও কিছু জ্ঞানহীন মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। মূলত সেই কারণেই জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে নাকা চেকিং করা হয়। এবং পাশাপশি বিভিন্ন রোড সেফটি ক্যাম্পেইনিং এরও আয়োজন করা হয়ে থাকে। রাস্তার পথবাতি ও রোড সেফটি রুলস সকলে জানিয়ে দেওয়া হয়।\” ট্রাফিক নিয়ম মেনে চললে বাঁচানো সম্ভব বহু মানুষের প্রাণকে। তাই সকলের ট্রাফিক নিয়ম মেনে গাড়ি কিংবা বাইক চালানো উচিত। যারা নিয়মের তোয়াক্কা করেন না তাঁদের নিয়ম মেনে চলতে বলা সকলের কর্তব্য।

Sarthak Pandit

Sadak Suraksha Abhiyan: দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন ভাইকে! অন্যদের প্রাণ রক্ষা করতে অভিনব উদ্যোগ দাদার

বীরভূম: একটা ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছিল দাদার একমাত্র ছোট ভাইের জীবন। থমকে গিয়েছিল সমগ্র পরিবারের জীবনের গতিবিধি। বাড়ির ছোট ছেলের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে জীবন যে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে সেটাই যেন অকল্পনীয় ছিল। কিন্তু জীবন তো আর থেমে ‘থাকে’ না। ছোট ভাইের শোক ভুলতেই, সেই সঙ্গে এই দুর্ঘটনা যেন আরও কারুর জীবন কেড়ে না নেয় তাই রাজ্য পুলিশের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের প্রচার নিজ উদ্যোগে করে যাচ্ছেন দুর্ঘটনায় প্রাণ কেড়ে নেওয়া ছেলের দাদা।

আরও পড়ুনঃ দু’দিন দেরিতে চলবে দার্জিলিং মেল! পথবদল একাধিক উত্তরবঙ্গের ট্রেনের! দেখুন তালিকা

সুরজিৎ চন্দ্র ,বীরভূমের তারাপীঠ এলাকার বাসিন্দা। পরিবারে ছিল মা,বাবা,দাদা,বৌদি,দিদা। আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতই কাটছিল তাঁদের দৈনন্দিন জীবন। সুরজিৎ চন্দ্র ছিল রামপুরহাট কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবা এবং দাদার হাতে তৈরি খাবারের হোটেলে এসেও কাজ করতেন কখনও কখনও। তবে ২০২০ সালের দুর্গাপুজোর অষ্টমী কেড়ে নিল একটি তাজা প্রাণ। এক চোখের পলকেই অন্ধকার নেমে এল গোটা পরিবারে।

সময়টা ছিল ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর দুর্গাপুজোর অষ্টমী। পায়জামা পাঞ্জাবি পরে বন্ধুকে নিয়ে বেরিয়ে ছিলেন ঘুরতে। তবে, ভাগ্য তাঁর আর সঙ্গ দিল না। পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে বেরোনোর পথেই বাসের ধাক্কায় রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান সুরজিৎ চন্দ্র আর তাঁর বন্ধু। মাথায় আঘাত লাগার ফলেই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। নিমিষের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সবকিছু। বাড়িতে খবর এসে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে মা-বাবা, দাদা এবং পরিবারের সকলে। সেই দুঃখ আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরিবার।

acci

তবে কথায় রয়েছে সময় এগোবে সময়ের মত। আর ভাইয়ের মৃত্যুর পরেই দাদা দীপক চন্দ্র প্রায় নিয়মিত রাস্তায় কোনও হেলমেট বিহীন বাইক আরোহীকে দেখলে দু-হাত জোড় করে অনুরোধ করেন হেলমেট পরে রাস্তায় বেরোনোর জন্য। ২০২০ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি ২২ জন বাইক আরোহীকে নিজের টাকায় হেলমেট কিনে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য ‘আমার মায়ের কোল অন্ধকার হয়ে গিয়েছে অষ্টমীর দিন তবে আর যেন কোনও মা তাঁর ছেলেকে না হারায়, কোনও বাবা যেন পুত্রহারা না হয় সেই কারণেই তাঁর নিয়মিত এই কর্মসূচি।’

সৌভিক রায়

Sadak Suraksha Abhiyan: রায়দিঘিতে মিষ্টি খেয়ে ভুল স্বীকার হেলমেট বিহীন বাইক আরোহীদের!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ‘জীবন খুব মূল্যবান’ হেলমেট বিহীন বাইক আরোহীদের হাতে গোলাপ ও মিষ্টি দিয়ে সেই কথা বোঝাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে এই গোলাপ ও মিষ্টি পেয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছেন অনেক বাইক আরোহী। এই ঘটনা ঘটেছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার রায়দিঘি থানায়। পথ নিরাপত্তা নিয়ে সারা বছর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে পুলিশ, প্রশাসন। তারপরও কিছু বাইক আরোহী হেলমেট ছাড়াই চলাচল করেন। তাঁদের ভুল ভাঙাতে পুলিশ গান্ধীবাদের নীতি নিয়েছে এবার।

আরও পড়ুনঃ বলুন তো কোন ‘দেশে’ সবচেয়ে বেশি নিরামিষভোজী মানুষ বাস করেন? উত্তর শুনলে চমকে যাবেন!

রায়দিঘি থানার পুলিশ কর্মী-সহ আইসি অমিও কুমার ঘোষ, বিডিও নাজির হোসেন সকলেই পথচারীদের বোঝাতে পথে নেমেছিলেন। হেলমেটহীন বাইক আরোহীদের গাড়ি থামাতেই অনেকেই ভয়ে ভয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। তবে পরে যখন তাঁরা বুঝতে পারেন যে তাঁদের বোঝাতে এবার পুলিশ গান্ধীবাদের নীতি নিয়েছে, তখন অনেকেই লজ্জায় পড়েন। পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি পথচারীরা।

এ নিয়ে মথুরাপুর ২ নং ব্লকের বিডিও নাজির হোসেন জানান, অনেকেই গাড়ি খুব জোরে চালান, বিশেষ করে যুবক-যুবতীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সম্ভবনা বাড়ে। এই সময় যদি মাথায় হেলমেট না থাকে তখন দুর্ঘটনা থেকে অনেক সময় মৃত্যুও ঘটে। সেই জিনিস নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যা মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন তিনি।

নবাব মল্লিক

Sadak Suraksha Abhiyan: বাইক নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্বয়ং যমরাজ! একী কাণ্ড! জানুন

দুর্গাপুরের ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে স্বয়ং যমরাজ। সঙ্গী যমদূতও। হটাৎ দেখা এই ছবি মনে ভয় ধরবে অসাবধানী চালকদের।
দুর্গাপুরের ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে স্বয়ং যমরাজ। সঙ্গী যমদূতও। হটাৎ দেখা এই ছবি মনে ভয় ধরবে অসাবধানী চালকদের।
দুর্গাপুরের গান্ধী মোড়ে বসানো হয়েছে যমরাজের ধাতব মূর্তি। ট্রাফিক সচেতনতার উদ্দেশ্যে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এই উদ্যোগ নিয়েছে।
দুর্গাপুরের গান্ধী মোড়ে বসানো হয়েছে যমরাজের ধাতব মূর্তি। ট্রাফিক সচেতনতার উদ্দেশ্যে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এই উদ্যোগ নিয়েছে।
সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসূচির মধ্যে গাড়িচালকদের এই ধাতব মূর্তির মাধ্যমে রাস্তায়। সাবধানী হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কারণ অসাবধান হলেই হাজির হবেন যমরাজ।
সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসূচির মধ্যে গাড়িচালকদের এই ধাতব মূর্তির মাধ্যমে রাস্তায়। সাবধানী হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কারণ অসাবধান হলেই হাজির হবেন যমরাজ।
গান্ধী মোড়ের ফ্লাইওভারের পিলারগুলি সাজানো হয়েছে রঙিন ছবিতে। সেই ছবিগুলির মধ্যে দিয়েও দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক সচেতনতার বার্তা।
গান্ধী মোড়ের ফ্লাইওভারের পিলারগুলি সাজানো হয়েছে রঙিন ছবিতে। সেই ছবিগুলির মধ্যে দিয়েও দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক সচেতনতার বার্তা।
একই সঙ্গে পুলিশের তরফ থেকে একটি অনুষ্ঠান করে দুর্ঘটনাগ্রস্থদের সাহায্যের জন্য রক্তদানের আবেদন জানানো হয়েছে। আয়োজন করা হয়েছিল একটি রক্তদান শিবিরেরও।
একই সঙ্গে পুলিশের তরফ থেকে একটি অনুষ্ঠান করে দুর্ঘটনাগ্রস্থদের সাহায্যের জন্য রক্তদানের আবেদন জানানো হয়েছে। আয়োজন করা হয়েছিল একটি রক্তদান শিবিরেরও।

Sadak Suraksha Abhiyan: পথ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে জাতীয় সড়কে এক অভিনব উদ্যোগ

মুর্শিদাবাদ: আমাদের দেশে প্রতি বছর পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কমপক্ষে দেড় লক্ষ মানুষের। সংখ্যাটা কিন্তু নেহাত কম নয়। রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময়ে যদি নিজের সুরক্ষা নিজের হাতে রাখতে পাড়ি তাহলে হয়ত ওই সংখ্যাটা অনেকটা কমে আসতে পারে। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো কিংবা মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ি চালানো অনায়াসে প্রাণ কাড়তে পারে যে কারুর। তাই মাথায় রাখা দরকার নিজের সুরক্ষা নিজের হাতে।

পথ দুর্ঘটনায় বেঘোরে প্রাণনাশ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতি বছর ভারত সরকার ‘রোড সেফটি উইক’ অর্থাৎ ‘সড়ক সুরক্ষা সপ্তাহ’ পালন করে। প্রতিবছর জানুয়ারিতে এই ‘জাতীয় সড়ক সুরক্ষা সপ্তাহ’ পালিত হয়। যা জনমানসের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা বিধি এবং নিয়মাবলী গুলো আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেবে। জাতীয় সড়ক সুরক্ষা সপ্তাহ’এর বিধি নিষেধ গুলো আবারও স্মরণ করিয়ে দিলেন সুতি থানার অন্তর্গত আহিরণ ফাঁড়ি ইনচার্জ প্রিয়তোষ সিং ও চাঁদেরমোড় হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ।মটর বাইক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতেই হেলমেট পড়ার নিদান ও দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:  শীতে গ্যাস অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন? কলা-তুলসি পাতাতে হবে জাদু! জানুন চিকিৎসকের মত

চলুন দেখে নেওয়া এক সেই নিয়ম গুলো কী কী? প্রথমত, বাইক চালানোর সময় সর্বদা মাথায় হেলমেট ব্যবহার করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। চার চাকার গাড়ি চালানোর সময়ে সিট বেল্ট লাগাতে কখনোই ভুলবেন না।গাড়ি চালানোর সময়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার একেবারেই নয়। এছাড়াও অতি দ্রুত গতিতে গড়ি চালাবেন না। কোনরকম মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ি কখনওই চালাবেন না। এই ছোট ছোট কিছু সড়ক সুরক্ষা নিয়য়াবলি অবলম্বন করে চললে পথ দুর্ঘটনায় বেঘোরে মানুষের প্রাণ হারানো হয়ত অনেকটাই আটকানো যেতে পারে। নিজের এবং নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করুন। সুরক্ষিতভাবে, সতর্ক হয়ে গাড়ি চালান।

কৌশিক অধিকারী

Sadak Suraksha Abhiyan: পথ নিরাপত্তায় নিয়মিত চালকদের ক্লাস!  ট্র্যাফিক আইনের কোচিং চলছে বারুইপুরে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা : রাস্তাঘাটে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে দূর্ঘটনা আর এই দুর্ঘটনাকে এড়াতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে প্রশাসনের। ‌‌ কখনো রাস্তায় দাঁড় করিয়ে বাইক আরোহীদের গোলাপ দিয়ে সচেতন করতে যাতে হেলমেট ব্যবহার করে এবং গাড়ি যাতে সব ধরনের নিয়মকানুন মেনে চলে। আবার কখনও বাইক আরোহীদের চালান না কেটে তাদেরকে সেই টাকা দিয়ে হেলমেট পরিয়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশরা। ‌

তবে এইসব সচেতনার প্রচারকে পিছনে ফেলে, বারুইপুর পুলিশ জেলার ট্রাফিক গার্ডের সহযোগিতায় এক নয়া উদ্যোগ দেখা গেল। গাড়ি চালকদের কোচিং এর মাধ্যমে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ এর শিক্ষা। ‌প্রতিমাসে দুদিন করে কোচিংয়ের মাধ্যমে ট্র্যাফিক আইন শিখছে গাড়ি চালকরা। এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক গার্ডের এক আধিকারিক বলেন জীবনের থেকে মূল্যবান তো কিছুই নয়। মূলত এই সমস্ত এলাকায় গাড়ি চালকরা সবাই ঠিকঠাক ভাবে ট্রাফিক আইন জানে না।

আরও পড়ুন: শীতে গ্যাস অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন? কলা-তুলসি পাতাতে হবে জাদু! জানুন চিকিৎসকের মত

তাই তারা গাড়ি চালানোর সময় এই সমস্ত ড্রাইভাররা ট্রাফিকের নিয়ম কানুন মেনে চলার অভ্যাসে পরিণত করে তারই প্রচেষ্টা চলছে বারুইপুর পুলিশ জেলার জয়নগর সাব ট্রাফিক গার্ডের উদ্যোগে। শুধু শিক্ষা নয় লাঠি হাতে সমস্ত ড্রাইভার দের ট্রাফিকের যে সমস্ত লোগো গুলি আছে । যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং নয় কোথায় গাড়ি পার্কিং করতে হবে কিভাবে গাড়ি চালাতে হবে সিট বেল লাগাতে হবে এই ধরনের বার্তাগুলি তাদেরকে বোঝানো হয়। তবে এই কোচিং এর মাধ্যমে অনেক ড্রাইভাররা সচেতন হয়েছে আগামী দিনে আরও সচেতন হবে বলে আমি মনে করি। এখন দেখার এই সচেতনতার বার্তা আদৌ কতটা কাজে লাগবে এবং ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়াতে পারে কিনা তা সময় বলবে।

সুমন সাহা

Sadak Suraksha Abhiyan: বাবার দুর্ঘটনায় শপথ! বাইক আরোহীদের নিরাপত্তায় স্মার্ট হেলমেট তৈরি স্কুল পড়ুয়ার

হুগলি: এমন এক হেলমেট যা মাথায় পড়লে তা থেকে দেওয়া যাবে মোবাইলে চার্জ। এমনকি বাইক চালাতে চালাতে ইমার্জেন্সি ফোন কলও রিসিভ করা যাবে। সঙ্গে রয়েছে সেফটি লাইট যা মূলত অন্ধকার রাস্তায় বাইক রাইডারদের পাইলট ল্যাম্প হিসেবে কাজে লাগবে। এমনই ফিউচারিস্টিক হেলমেট বানিয়ে নজির গড়েছে চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দিরের দশম শ্রেণির ছাত্র সৌভিক শেঠ।

কিভাবে এল, এই স্মার্ট হেলমেট বানানো চিন্তা সে বিষয়ে সৌভিক বলে, এক শীতের রাত্তিরে তার বাবার বাইক দুর্ঘটনা ঘটে। তারপরেই সৌভিকের মা সৌভিককে অনুরোধ করে এমন কিছু জিনিস বানানোর জন্য যাতে বাইক চালানোর সময় চালককে একটু অতিরিক্ত সুরক্ষা দেবে। সেই থেকেই স্মার্ট হেলমেট বানানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে সৌভিক।

সৌভিকের স্মার্ট হেলমেটে লাগানো সোলার প্যানেল থেকে খুব সহজেই চার্জ করে নেওয়া যায় মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ব্লুটুথ নেভিগেশন ডিভাইস সবকিছুই। হেলমেটের মধ্যে লাগানো রয়েছে ব্লুটুথ কলিং ডিভাইস। যার সাহায্যে গাড়ি চালাতে চালাতে অনায়াসে যে কোন ফোন রিসিভ করে নেওয়া যাবে মোবাইল ফোন ছাড়াই। একই সঙ্গে রয়েছে বেশিক্ষণ বাইক চালালে যাতে ঘুম না আসে তার জন্য আল্ট্রাসনিক সাউন্ডের ব্যবস্থা যা গাড়ির চালককে সজাগ রাখতে সব সময় সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন: শীতে গ্যাস অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন? কলা-তুলসি পাতাতে হবে জাদু! জানুন চিকিৎসকের মত

কুয়াশার দিনে দূর থেকে গাড়ির চালক কে চেনার জন্য হেলমেটের পেছনে রয়েছে অ্যাক্সিডেন্ট সেফটি লাইট এর ব্যবস্থা। এই বিষয়ে কানাইলাল বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক তিনি বলেন, সৌভিক তাদের স্কুলের কৃতি ছাত্রদের মধ্যে একজন। স্কুলের পক্ষ থেকে সর্বদাই সৌভিক কে সাহায্য করার জন্য তার পাশে থাকা হয় সৌভিকের এই ধরনের আবিষ্কার আগামী দিনে নতুন দিশা দেখা হবে বলে আশাবাদী তিনি।

রাহী হালদার