শীতলপাটি 

Shital Pati: শুধু মেঝেতে নয়, এবার কলেজের ড্রেসিংরুমেও শীতলপাটির ব্যবহার

উত্তর দিনাজপুর: গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির এক বিশেষ উপাদান শীতলপাটি। এই শীতলপাটি মুর্তাগাছের বেত দিয়ে তৈরি করা হয়। এই মাদুরকেই গ্রামবাংলায় শীতলপাটি নামে ডাকা হয়। প্রচন্ড গরমে এই পাটির শীতল স্পর্শ দেহ ও মনে আরামদায়ক অনুভূতি এনে দেয়। গ্রামের বহু মাটির বাড়িতে একটা সময় এটি মাদুর ও চাদরের পরিবর্তে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত।

এছাড়াও মানিব্যাগ, হাতব্যাগ, কাঁধে ঝোলানোর ব্যাগ, টেলিম্যাট প্রভৃতি কাজে ব্যবহৃত হয় এই শীতলপাটি। তবে বর্তমানে এইসবের বাইরেও এখন শীতলপাটি দিয়েই তৈরি হচ্ছে আরও অনেক রকমারি সামগ্রী। বর্তমানে স্কুল-কলেজেও শীতলপাটির ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে এলে দেখতে পাবেন কলেজের ড্রেসিং রুম হোক কিংবা বারান্দা, সব জায়গায় শীতল পাটির ছোঁয়া। শীতলপাটি দিয়ে যে নতুনত্ব কিছু তৈরি করা যায় তা এখানে না এলে জানতে পাবেন না।

আর‌ও পড়ুন: সাপ নিয়ে ভ্রান্তি সর্বত্র, প্রকৃত তথ্য জানাতে প্রশিক্ষণের আয়োজন

সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ চন্দন রায় জানান, শীতলপাটি দিয়ে এই ধরনের ড্রেসিংরুম তৈরি করার একমাত্র উদ্যেশ্য হল গ্রাম বাংলার পুরনো সংস্কৃতির সঙ্গে এখনকার ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। দিনে দিনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। আধুনিকতার যুগে গ্রাম বাংলার পুরনো সংস্কৃতি আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। কিন্তু এই সংস্কৃতিকে যাতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ধরে রাখা যায়, পুরনো জিনিসগুলোকে নতুনভাবে ব্যবহার করা যায় তার জন্যই এই অভিনব প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে গ্রাম বাংলাতেও এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না মাটির বাড়ি। তাই শীতলপাটিরও তেমন দরকার পড়ে না। এই অবস্থায় শীতলপাটিকে অন্যভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে শহরের বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠানে। কেউ খাবার টেবিলে কেউবা যে কোনও ক্যাবিনেটের পাল্লায় একটু আলাদাভাবে ভিন্নতা আনতে বসিয়ে নিচ্ছেন শীতলপাটি। সব মিলিয়ে বাড়ির অন্দরসজ্জায় নতুন করে জায়গা করে নিচ্ছে শীতলপাটি।

পিয়া গুপ্তা