Shola Garland Artists: পুজো আসতেই ব্যস্ততা তুঙ্গে, এখন থেকেই দিনরাত এই কাজ করছেন শিল্পীরা

কোচবিহার: দুর্গাপুজোর আর মাত্র কিছুটা সময় বাকি। ইতিমধ্যেই বাঙালিদের মধ্যে পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কর্মব্যস্ততা বেড়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পীদের। এই শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম হল শোলা দিয়ে মালা তৈরির শিল্পীরা। এই শিল্পীদের সারা বছর খুব একটা বেশি চাপ চোখে পড়ে না। তবে দুর্গাপুজোর আগে তাঁদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় অনেকটাই।

বর্তমানে যতই প্লাস্টিক সহ বিভিন্ন ধরনের মালার প্রচলন বাড়ুক না কেন দুর্গাপুজোয় শোলার তৈরি সাবেকি মালার চাহিদা আজও যথেষ্ট। কোচবিহারের ভেটাগুড়ি এলাকায় এমনই বেশ কিছু শোলা শিল্পী আছেন। তাঁদেরই অন্যতম সোনামনি রায় জানান, দীর্ঘ সময় ধরে পারিবারিকভাবে এই কাজ করে আসছেন। আগে সারা বছর এই মালার চাহিদা থাকলেও বর্তমানে তা থাকে না। বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর সময় এই মালার চাহিদা বাড়ে। একেবারে পরিবেশবান্ধব এই শোলা দিয়ে তৈরি মালা বহু মানুষ আজ‌ও কিনতে পছন্দ করেন। তাইতো দুর্গা পুজোর আগে তাঁদের সকলের কর্মব্যস্ততা অনেকটা বেড়ে যায়। বেশি করে মালা তৈরি করে মজুদ করে রাখতে হয় তাদের দুর্গা পুজোর জন্য। বাড়ির মহিলারাই এই কাজের সঙ্গে বেশি যুক্ত থাকেন।

আর‌ও পড়ুন: এই মারাত্মক ভাইরাসের থাবা বাংলায়! বাদুড়িয়ার গোটা গ্রাম প্রবল জ্বরে আক্রান্ত

এলাকার আরও দুই শিল্পী বুলবুলি বর্মন ও যুথিকা মালাকার জানান, বিভিন্ন রঙের রকমারি মালা তৈরি করতে হয় এই সময়। শুকনো রঙ দিয়ে মালা তৈরি করতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। তবে যেগুলি ভেজা রঙ দিয়ে তৈরি করতে হয়, সেই মালা গুলিতে সময়ের প্রয়োজন পড়ে অনেকটাই বেশি। তাইতো পুজোর সময় তৈরি করতে বসলে মালা তৈরি করা সম্ভব নয়। মূলত এই কারণেই পুজোর আগে থেকেই এই মালা তৈরির কাজ শুরু করেন তাঁরা। প্রচুর পরিমাণ মালা তৈরি করে মজুত করে রাখেন।

সার্থক পণ্ডিত