জলে ডুবেছে রাস্তা, আটকে গিয়েছে গাড়ি।

Bangla Video: চোখে দেখা যায় না দুর্ভোগ, মুক্তির উপায় খুঁজছে এনএইচএআই

পশ্চিম বর্ধমান : জাতীয় সড়কের এমন দুরাবস্থা আর চোখে দেখা যায় না। নিত্যদিনের এমন সংকট মন ভেঙে দিয়েছে এলাকাবাসীর। রোগী থেকে পড়ুয়া, গাড়িচালক রেহাই নেই কারোর। ছোট বড় দুর্ঘটনা নিত্য দিন লেগে আছে। আবেদন জানিয়েছেন। আন্দোলন করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত লাভ হয়নি কিছুই। শেষমেষ হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রীকে।

কাঁকসার রাজবাঁধে জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোড রয়েছে। কিন্তু রাস্তা নাকি পুকুর তা বোঝার উপায় নেই। অল্প বৃষ্টিতেই জল থৈথৈ অবস্থা। আর যদি ভারী বৃষ্টি হয়, তাহলে তো কোনও কথায় নেই। রাস্তা পার হতে গিয়ে কখনও আটকে যাচ্ছে মালবোঝাই গাড়ি। কখনও আবার রাস্তার খানাখন্দ বুঝতে না পেরে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। শুধু রাস্তায় জল জমে থাকা নয়, জলমগ্ন হয়ে উঠছে সংলগ্ন বাড়িগুলিও।

আরও পড়ুন: জমিদারি আর নেই, জৌলুসও ফিকে…৩০০ বছরের পুরনো ‘মিত্র বাড়ির পুজো’ বাঁচিয়ে রেখেছে প্রাচীন প্রথা

রাস্তা মেরামতের জন্য এলাকার মানুষজন একাধিকবার আবেদন জানিয়েছেন। চোখের সামনে বারবার দুর্ঘটনা দেখে আন্দোলনে নেমেছিলেন তারা। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিল রাস্তাটির মেরামতি করা হবে। সাময়িকভাবে মেরামতি করা হয়েছিল। কিন্তু তা টেকেনি। অথচ এই রাস্তার পাশেই রয়েছে একটি বেসরকারি নামি হাসপাতাল। রয়েছে একাধিক স্কুল কলেজ। ফলে রাস্তা পার হতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় সবাইকে।

সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বিষয়টি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেন। কিন্তু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকরা বলছেন, মূলত ওই জায়গায় জল নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকার কারণেই বারবার এই সমস্যা। পরিকল্পনা রয়েছে, রাস্তার জল সামনেই থাকা সেচ খালে কিভাবে নিয়ে যাওয়া যায়। তাই নিয়ে চলছে পরিকল্পনা। সব মিলিয়ে জল যন্ত্রণার শাপমুক্তির উপায় খুঁজছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

নয়ন ঘোষ