কিউআরটি টিম 

Siliguri News: মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংঘাত এড়াতে বিশেষ উদ্য়োগ, নিয়ম মেনে পশুদের জঙ্গলে ফেরানোর প্রশিক্ষণ শুরু

দার্জিলিং: বন্যপ্রাণীদের নিরাপদে জঙ্গলে ফেরাতে বড় উদ্যোগ নিল ভারতীয় সেনা। বিশেষ কিউআরটি বা কুইক রেসপন্স টিম গঠন করল ভারতীয় সেনা। রাজ্যের বন দফতর, ভারতীয় সেনা ও স্ন্যাপ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ওই কিউআরটিগুলি তৈরি করা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বাছাই করা জওয়ানদের সেনা ছাউনিতে বন্যপ্রাণী ঢুকে পড়লে তাকে নিরাপদে কীভাবে জঙ্গলে ফেরানো যায় বা সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে করা যায় সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে।

ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলবেষ্টিত বিন্নাগুড়ি ও সুকনা সেনা ছাউনিতে ওই কিউআরটি তৈরি করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামীতে জঙ্গলবেষ্টিত অন্যান্য ভারতীয় সেনা ছাউনিতেও একইভাবে কিউআরটি তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

এই বিষয়ে ভারতীয় সেনার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক উইঙ্গ কমান্ডার হিমাঙ্গশু তিওয়ারি বলেন, “সুকনা ও বিন্নাগুড়িতে রাজ্যের বন দফতরের উদ্যোগে কিউআরটি তৈরি করা হয়েছে। মূলত সেনা ছাউনিতে ঢুকে পড়া বন্যপ্রাণীকে নিরাপদে জঙ্গলে ফেরানো এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যই ওই কুইআরটি তৈরির সিদ্ধান্ত।”

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টির কারণে হুহু করে জল ছাড়ছে ফারাক্কা ব্যারেজ, প্লাবনের আশঙ্কা জেলায় জেলায়

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, “সেনা ছাউনিগুলি মূলত জঙ্গলে থাকে। যে কারণে মাঝেমধ্যে হাতি, চিতাবাঘের মতো প্রাণী ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটে থাকে। সেজন্য বন দফতরের সহযোগিতায় ভারতীয় সেনার জওয়ানদের নিয়ে মূলত ওই কিউআরটি তৈরি করা হচ্ছে।” সলিটারি নেচার অ্যান্ড অ্যানিমল প্রোটেকশনের সম্পাদক কৌস্তভ চৌধুরী বলেন, “সেনা ছাউনিতে মাঝেমধ্যে হাতি ঢুকে পড়ার ঘটনা সব থেকে বেশি ঘটে থাকে। আগে জওয়ানরা খুব নিরাপদে তাদের জঙ্গলে ফেরানোর কাজ করেছে। প্রয়োজনে বন দফতরের সাহায্য নিয়েছে। তবে এবার পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, অত্যাধুনিক সামগ্রীর মাধ্যমে ওই কিউআরটি টিম নিরাপদে ও নিয়ম মেনে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবে।”

রাজ্য বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে হাতির ১৪টা করিডোর রয়েছে। যা সঙ্কোশ নদী থেকে মেচি নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। এরই মাঝে তিনটে মূল ভারতীয় সেনা ছাউনি রয়েছে, বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনি। সেবক সেনা ছাউনি, সুকনা সেনা ছাউনি, আইটিবিপি ছাউনি, ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনি। এই সেনা ছাউনিগুলি হাতি ও মানুষ সংঘাতের অন্যতম হটস্পট। যদিও হাতি সেনা ছাউনিতে ঢুকে পড়লেও শান্তিমতো থাকে। সেনারাও তাদের বিব্রত করে না। মূলত সেনা ছাউনিতে খাবার, রেশন, সবজি খাদ্য সামগ্রী মজুত থাকায় হাতি হানা দেয়। হাতি ও সেনা সংঘাত এড়াতে মূলত সেনা ছাউনিগুলিতে কিউআরটি করা হয়। হাতি বা বন্যপ্রাণী ঢুকে পড়া নিয়ে জওয়ানদের আরও বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অবগত করা হচ্ছে সেনার পরিবারের সদস্যদেরও।

অনির্বাণ রায়