ঋতুভিত্তিক চাষপ্রথা ছেড়ে বাদুড়িয়ায় বাড়ছে কাঁকরোল চাষ 

Spine Gourd Cultivation: মোটা আয়ের হাতছানি! ধান, পাট ছেড়ে কাঁকরোল চাষে মজেছেন কৃষকরা

উত্তর ২৪ পরগনা: ধান বা অন্যান্য সবজি চাষ ছেড়ে এখন কাঁকরোল চাষের ঢেউ নেমেছে বাদুড়িয়ায়। তাতে কৃষকদের লাভের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে ঋতুভিত্তিক চাষের প্রথা ক্রমশই কমছে এই এলাকায়।

গ্রীষ্মকালীন পুষ্টিকর সবজির মধ্যে অন্যতম কাঁকরোল। যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই ফসল। এই সবজিটি গ্রীষ্মকালে বাজারে বহুল প্রচলিত। তবে বসিরহাটের বাদুড়িয়ার চাষিরা চিরাচরিত ঋতুভিত্তিক চাষ প্রথা ছেড়ে এখন কাঁকরোল চাষে জোর দিচ্ছেন। সবজি ক্ষেতে গেলে দেখা যাবে বাগান ভর্তি সবুজ কাঁকরোল গাছের সমাহার। মাচার উপর শতাংশে গাছের নিচে শোভা পাচ্ছে পরের পর কাঁকরোল।

আরও পড়ুন: এই গ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোট দিতে যেতে হয়

ধান, পাটের ঋতুভিত্তিক চাষে খরচ ও পরিশ্রম অনেকটাই বেশি থাকে। সেখানে কাঁকরোল চাষে একবার চারা গাছ রোপন করলে বহুদিন ধরে ফল পাওয়া যায়। হাইব্রিড প্রজাতির কাঁকরোলের ফলন ভাল হওয়ায় আয়‌ও ভাল হচ্ছে কৃষকদের। হাইব্রিড জাতের কাঁকরোল চাষে কৃষিতে ভাল ফলন ধরেছে। কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন সবজি কাঁকরোল চাষ করে ভাল দাম পাচ্ছেন। অধিকাংশ জমিতেই মাচায় চাষ করা হয়েছে।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, সব ধরনের মাটিতেই কাঁকরোল চাষ করা যায়। তবে দো-আঁশ, এঁটেল-দো-আঁশ মাটি চাষের জন্য বেশি উপযুক্ত। জল জমে না, উঁচু বা মাঝারি উঁচু জমি এই চাষের জন্য দরকার। চাষের আগে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এরপর চাষের জমিতে প্রয়োজনীয় মাপের মাচা তৈরি করতে হবে। এরাম কতগুলো সহজ বিষয়ে মাথায় রাখলে কাঁকরোল চাষ করে আপনার ভাল আয় হতে পারে।

জুলফিকার মোল্যা