স্পঞ্জ আয়রন কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া।

West Bardhaman News : দূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থাকলেও ব্যবহার করে না কারখানা ! বিষাক্ত ধোঁয়ায় বাড়ছে রোগ

রানীগঞ্জ, পশ্চিম বর্ধমান : কারখানায় দিনরাত চলছে উৎপাদন। অথচ দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদাসীন কারখানা কর্তৃপক্ষগুলি। এমনকি কারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র থাকলেও, সেগুলি ব্যবহারে অনীহা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। এমন অবস্থায় দূষণে জর্জরিত হয়ে উঠেছে রানীগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্পতালুক সংলগ্ন গ্রামগুলি। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে যে, দূষণের জেরে গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এখানে।

স্থানীয়রা বলছেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য একাধিকবার কারখানা কর্তৃপক্ষগুলির কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি তারা। দূষণ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র ব্যবহার করতে বারবার অনুরোধ করা হলেও সেখানেও রয়েছে বিরূপ মনোভাব। আর যার ফল সরাসরি ভুগতে হচ্ছে মঙ্গলপুর, বক্তারনগর সহ সংলগ্ন গ্রামগুলির মানুষজনকে। তারা বলছেন, যদি এইভাবে দূষণ ছড়াতে থাকে, তাহলে খুব শীঘ্র তাদের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে।

আরও পড়ুন : আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, অসময়ে বৃষ্টিতে দফারফা পদ্ম চাষের! পুজোর বাজারে টান পড়বে?

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, যেভাবে এলাকায় দূষণের পরিমাণ বাড়ছে, তার ফলে সেখানে বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে চর্ম রোগ এবং ক্যান্সারের মতরোগের প্রকোপ বাড়ছে এলাকায়। এলাকার শিশু, বয়স্কদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে। পাশাপাশি উড়ে আসছে বিষাক্ত ছাই। যে কারণেস্থানীয়রা বলছেন, যদি অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা না হয়, তাহলে গ্রামগুলি ফাঁকা করে তাদের চলে যেতে হবে।

আরও পড়ুন : রুপনগরের মুখ্য রাস্তার রূপ বদলে উদ্যোগী মেয়র, দেখুন

ইতিমধ্যেই স্থানীয়রা দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি গ্রাম রক্ষা কমিটি তৈরি করেছেন। জেলা প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, বিষয়টি সম্পর্কে আবেদন করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক আশ্বাস দিয়েছেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। খতিয়ে দেখা হবেকিভাবে সমস্যার সমাধান হয়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। চাইছেন দ্রুত সমস্যার নিবারণ হোক। দূষণ নিয়ন্ত্রণ হোক।

নয়ন ঘোষ