শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতার ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ইতিমধ্যেই আঞ্চলিক সংঘর্ষের আশঙ্কার উদ্রেক হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এর জেরে গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শান্তি আলোচনা হওয়ার পথও বন্ধ হতে চলেছে। আসলে ইসমাইল হানিয়ের মৃত্যুতে এলাকায় অশান্তি বেড়েছে। সেই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জটিলতার অভিযোগ এনেছে ইরান। এমনকী ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেছে তারা। Photo:(Shay_Cormac__/X)

Israel’s Mossad: হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে প্রথম নন; এর আগেও শুধুমাত্র ‘টুথপেস্ট’ ব্যবহার করে শত্রু নির্মূল করেছে ইজরায়েল

শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতার ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ইতিমধ্যেই আঞ্চলিক সংঘর্ষের আশঙ্কার উদ্রেক হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এর জেরে গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শান্তি আলোচনা হওয়ার পথও বন্ধ হতে চলেছে। আসলে ইসমাইল হানিয়ের মৃত্যুতে এলাকায় অশান্তি বেড়েছে। সেই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জটিলতার অভিযোগ এনেছে ইরান। এমনকী ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেছে তারা। Photo:(Shay_Cormac__/X)
শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতার ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ইতিমধ্যেই আঞ্চলিক সংঘর্ষের আশঙ্কার উদ্রেক হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এর জেরে গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শান্তি আলোচনা হওয়ার পথও বন্ধ হতে চলেছে। আসলে ইসমাইল হানিয়ের মৃত্যুতে এলাকায় অশান্তি বেড়েছে। সেই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জটিলতার অভিযোগ এনেছে ইরান। এমনকী ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেছে তারা। Photo:(Shay_Cormac__/X)
ব্রিটেনের এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ তেহরানের এক অতিথিশালায় বিস্ফোরক রাখার জন্য ইরানি নিরাপত্তা এজেন্টদের নিয়োগ করেছিল। আর ওই অতিথিশালাতেই ছিলেন হানিয়ে। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আসলে ইজরায়েলের এই গোপন অপারেশনের তালিকা কিন্তু দীর্ঘ। এর মধ্যে অন্যতম হল - বিস্ফোরণ, সাইবার হানা এমনকী শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের বিষ প্রয়োগ। Photo: AP
ব্রিটেনের এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ তেহরানের এক অতিথিশালায় বিস্ফোরক রাখার জন্য ইরানি নিরাপত্তা এজেন্টদের নিয়োগ করেছিল। আর ওই অতিথিশালাতেই ছিলেন হানিয়ে। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আসলে ইজরায়েলের এই গোপন অপারেশনের তালিকা কিন্তু দীর্ঘ। এর মধ্যে অন্যতম হল – বিস্ফোরণ, সাইবার হানা এমনকী শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের বিষ প্রয়োগ। Photo: AP
ইজরায়েলের ছায়াযুদ্ধ: অতীতের ঘটনার মতোই ছিল হানিয়ের হত্যাকাণ্ড। ঠিক যেভাবে ১৯৭৮ সালে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্তাইনের নেতা ওয়াদি হাদ্দাদকে হত্যা করা হয়েছিল। আসলে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন হাদ্দাদ। কুখ্যাত এন্টেবে অপারেশন চলাকালীন ১৯৭৬ সালে এয়ার ফ্রান্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন তিনি। আর এর বদলা নিতে মাঠে নামে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। ফলে তাঁদের নিশানার মূলে ছিলেন ওয়াদি হাদ্দাদ। Photo: AP
ইজরায়েলের ছায়াযুদ্ধ: অতীতের ঘটনার মতোই ছিল হানিয়ের হত্যাকাণ্ড। ঠিক যেভাবে ১৯৭৮ সালে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্তাইনের নেতা ওয়াদি হাদ্দাদকে হত্যা করা হয়েছিল। আসলে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন হাদ্দাদ। কুখ্যাত এন্টেবে অপারেশন চলাকালীন ১৯৭৬ সালে এয়ার ফ্রান্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন তিনি। আর এর বদলা নিতে মাঠে নামে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। ফলে তাঁদের নিশানার মূলে ছিলেন ওয়াদি হাদ্দাদ। Photo: AP
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের পরে মোসাদের হত্যার তালিকায় উঠে আসে হাদ্দাদ। ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের বদলে ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা গোপনেই হাদ্দাদকে মারতে অন্য এক পন্থা অবলম্বন করে। এর জন্য নিয়োগ করা হয় ‘এজেন্ট স্যাডনেস’-কে। এই এজেন্টের আসলে হাদ্দাদের বাড়ি এবং অফিসে ঢোকার অনুমতি ছিল। Photo: AP
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের পরে মোসাদের হত্যার তালিকায় উঠে আসে হাদ্দাদ। ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের বদলে ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা গোপনেই হাদ্দাদকে মারতে অন্য এক পন্থা অবলম্বন করে। এর জন্য নিয়োগ করা হয় ‘এজেন্ট স্যাডনেস’-কে। এই এজেন্টের আসলে হাদ্দাদের বাড়ি এবং অফিসে ঢোকার অনুমতি ছিল। Photo: AP
‘এজেন্ট স্যাডনেস’: ১৯৭৮ সালের ১০ জানুয়ারি ‘এজেন্ট স্যাডনেস’ হাদ্দাদের রোজকার ব্যবহারের টুথপেস্ট বা মাজন বদলে দিয়েছিল। তার বদলে রেখে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ ভাবে প্রস্তুত এক বিষাক্ত টুথপেস্ট। আর সেই টুথপেস্টে ব্যবহৃত বিষ বানানো হয়েছিল ইজরায়েল ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল রিসার্চে। যা হাদ্দাদের মিউকাস মেমব্রেন ভেদ করে এবং ধীরে ধীরে মারাত্মক পরিণতির দিকে এগোয়। Photo: AP
‘এজেন্ট স্যাডনেস’: ১৯৭৮ সালের ১০ জানুয়ারি ‘এজেন্ট স্যাডনেস’ হাদ্দাদের রোজকার ব্যবহারের টুথপেস্ট বা মাজন বদলে দিয়েছিল। তার বদলে রেখে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ ভাবে প্রস্তুত এক বিষাক্ত টুথপেস্ট। আর সেই টুথপেস্টে ব্যবহৃত বিষ বানানো হয়েছিল ইজরায়েল ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল রিসার্চে। যা হাদ্দাদের মিউকাস মেমব্রেন ভেদ করে এবং ধীরে ধীরে মারাত্মক পরিণতির দিকে এগোয়। Photo: AP
জেরুজালেম পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, Yedioth Ahronoth-এর সিনিয়র মিলিটারি করেসপন্ডেন্ট রোনেন বার্গম্যান লিখেছিলেন যে, প্রত্যেক সময় যখন হাদ্দাদ দাঁত মাজতেন, তখনই এক মিনিট পরিমাণের সমান ওই বিষ তাঁর মুখের মিউকাস মেমব্রেনে প্রবেশ করতো। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হাদ্দাদ বাগদাদেই ভয়ঙ্কর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর মধ্যে গুরুতর উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। শুরু হয় পেটের ক্র্যাম্প। খিদে কমে যেতে থাকে। সেই সঙ্গে তরতরিয়ে কমতে থাকে ওজনও। Photo: AP
জেরুজালেম পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, Yedioth Ahronoth-এর সিনিয়র মিলিটারি করেসপন্ডেন্ট রোনেন বার্গম্যান লিখেছিলেন যে, প্রত্যেক সময় যখন হাদ্দাদ দাঁত মাজতেন, তখনই এক মিনিট পরিমাণের সমান ওই বিষ তাঁর মুখের মিউকাস মেমব্রেনে প্রবেশ করতো।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হাদ্দাদ বাগদাদেই ভয়ঙ্কর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর মধ্যে গুরুতর উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। শুরু হয় পেটের ক্র্যাম্প। খিদে কমে যেতে থাকে। সেই সঙ্গে তরতরিয়ে কমতে থাকে ওজনও। Photo: AP
এভাবে প্রায় ২৫ পাউন্ড ওজন কমে গিয়েছিল তাঁর। সেরা ইরাকি চিকিৎসকরাও কিছু করতে পারেননি। তাঁদের চিকিৎসা সত্ত্বেও ক্রমাগত হাদ্দাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। এরপর তাঁর হেপাটাইটিস ধরা পড়ে। এরপর প্রবল ঠান্ডা লেগে যায় তাঁর। অথচ কোনও শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকও কাজ করছিল না। এবার হাদ্দাদের চুল ঝরে যেতে থাকল। সেই সময়ই তাঁর শরীরে বিষক্রিয়ার সন্দেহটা দানা বাঁধে। Photo: AP
এভাবে প্রায় ২৫ পাউন্ড ওজন কমে গিয়েছিল তাঁর। সেরা ইরাকি চিকিৎসকরাও কিছু করতে পারেননি। তাঁদের চিকিৎসা সত্ত্বেও ক্রমাগত হাদ্দাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। এরপর তাঁর হেপাটাইটিস ধরা পড়ে। এরপর প্রবল ঠান্ডা লেগে যায় তাঁর। অথচ কোনও শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকও কাজ করছিল না। এবার হাদ্দাদের চুল ঝরে যেতে থাকল। সেই সময়ই তাঁর শরীরে বিষক্রিয়ার সন্দেহটা দানা বাঁধে। Photo: AP
প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নেতা ইয়াসের আরাফত ইস্ট জার্মান সিক্রেট সার্ভিস স্ট্যাসি-র সাহায্য প্রার্থনা করেন। ইঁদুর মারার বিষ না কি থ্যালিয়াম বিষক্রিয়া? সাড়া দেয় স্ট্যাসি। তাদের তরফে পূর্ব বার্লিনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওয়াদি হাদ্দাদকে। তাঁকে গোপনে একটি হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। সেই সঙ্গে হাদ্দাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে ‘আহমেদ ডুকলি’ নামে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা বহু চেষ্টা করেছিলেন। নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করিয়েছিলেন। কিন্তু সবই বিফলে যায়। কারণ কোনও চিকিৎসকই হাদ্দাদের অসুস্থতা ধরতে পারেননি। তাঁদের সন্দেহ ছিল, হাদ্দাদের শরীরে ইঁদুর মারার বিষ অথবা থ্যালিয়াম বিষ রয়েছে। যদিও এর কোনও জোরালো প্রমাণ চিকিৎসকদের হাতে ছিল না। Photo: AP
প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নেতা ইয়াসের আরাফত ইস্ট জার্মান সিক্রেট সার্ভিস স্ট্যাসি-র সাহায্য প্রার্থনা করেন। ইঁদুর মারার বিষ না কি থ্যালিয়াম বিষক্রিয়া? সাড়া দেয় স্ট্যাসি। তাদের তরফে পূর্ব বার্লিনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওয়াদি হাদ্দাদকে। তাঁকে গোপনে একটি হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। সেই সঙ্গে হাদ্দাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে ‘আহমেদ ডুকলি’ নামে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা বহু চেষ্টা করেছিলেন। নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করিয়েছিলেন। কিন্তু সবই বিফলে যায়। কারণ কোনও চিকিৎসকই হাদ্দাদের অসুস্থতা ধরতে পারেননি। তাঁদের সন্দেহ ছিল, হাদ্দাদের শরীরে ইঁদুর মারার বিষ অথবা থ্যালিয়াম বিষ রয়েছে। যদিও এর কোনও জোরালো প্রমাণ চিকিৎসকদের হাতে ছিল না। Photo: AP
এদিকে ওয়াদি হাদ্দাদের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। গুরুতর হেমারেজ হতে থাকে এবং তাঁর প্লেটলেট কাউন্টও ভয়াবহ ভাবে পড়তে শুরু করে। চিকিৎসকেরা বেশিরভাগ সময় তাঁকে সিডেটিভ দিয়ে রাখতেন। প্রায় দিন দশেক এভাবে কষ্টে কেটে যায়। কিন্তু সমস্ত কিছু সত্ত্বেও চিকিৎসকরা হাদ্দাদের প্রাণ বাঁচাতে পারেননি। অবশেষে ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ মৃত্যু হয় ওয়াদি হাদ্দাদের। এরপর অধ্যাপক ওট্টো প্রোকপ একটি অটোপ্সি করেন। তাতে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে, প্যান মায়েলোপ্যাথির কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে ওয়াদি হাদ্দাদের। যদিও বিষক্রিয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ অজানাই থেকে গিয়েছে। এমনকী বছরের পর বছর ধরে তা রহস্যও তৈরি করেছে। হাদ্দাদের হত্যাকাণ্ডের সত্য উন্মোচনে কেটে গিয়েছে প্রায় তিন দশক। Photo: AP
এদিকে ওয়াদি হাদ্দাদের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। গুরুতর হেমারেজ হতে থাকে এবং তাঁর প্লেটলেট কাউন্টও ভয়াবহ ভাবে পড়তে শুরু করে। চিকিৎসকেরা বেশিরভাগ সময় তাঁকে সিডেটিভ দিয়ে রাখতেন। প্রায় দিন দশেক এভাবে কষ্টে কেটে যায়। কিন্তু সমস্ত কিছু সত্ত্বেও চিকিৎসকরা হাদ্দাদের প্রাণ বাঁচাতে পারেননি। অবশেষে ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ মৃত্যু হয় ওয়াদি হাদ্দাদের। এরপর অধ্যাপক ওট্টো প্রোকপ একটি অটোপ্সি করেন। তাতে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে, প্যান মায়েলোপ্যাথির কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে ওয়াদি হাদ্দাদের। যদিও বিষক্রিয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ অজানাই থেকে গিয়েছে। এমনকী বছরের পর বছর ধরে তা রহস্যও তৈরি করেছে। হাদ্দাদের হত্যাকাণ্ডের সত্য উন্মোচনে কেটে গিয়েছে প্রায় তিন দশক। Photo: AP