চায়ের সঙ্গে নিত্যনতুন 'টা' জোগাতে আট থেকে আশি সকলেই ভিড় করেন মশলা সামোসা কিনতে

Street Food: সুশান্তর মশলা সামোসার সঙ্গে চাটনি’টা, উফ্ এ স্বাদ ভোলার নয়! আজীবন মুখে লেগে থাকবে

দক্ষিণ দিনাজপুর: বাড়িতে অতিথি এলে তাঁকে চায়ের সঙ্গে কী খাওয়ানো যায় এই চিন্তায় পড়া অস্বাভাবিক নয়। শুধু চা-তে তো আর মন ভরে না, সঙ্গে মুখরোচক টা’ টা না হলে ঠিক জমে না। তবে সুশান্তবাবুর হাতে তৈরি মশলা সামোসায় অতিথি আপ্যায়নটা বেশ জম্পেশ হবে। তার উপর যদি বৃষ্টি ভেজা সন্ধে হয় তো কথাই নেই, পুরো জমে যাবে!

আরও পড়ুন: শুধু এই জেলাতেই ১৬০০ বুথের সব দায়িত্ব সামলাবেন মহিলা ভোট কর্মীরা

বালুরঘাট শহরের আর্যসমিতি এলাকায় গত ১০ বছর ধরে এই ছোট্ট দোকানটিতে মশলা সামোসা বিক্রি হচ্ছে দেদার। শহরের প্রাচীনতম সামোসা বা সিঙাড়া’র দোকান হিসেবে পরিচিত এটি। তবে দাম কত জানেন? শুরুতে ৫ টাকা দিয়ে শুরু হলেও এখন সেই দাম বেড়ে হয়েছে ৮ টাকা। দাম বাড়লেও চাহিদায় ঘাটতি নেই, দেদার বিক্রি হচ্ছে এই সিঙাড়া। প্রতিদিন দুপুর ৩ টে থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে দোকানটি। রোজ ৩০০ পিস সিঙাড়া চোখের নিমেষে বিক্রি হয়ে যায়। সঙ্গে দেওয়া পেঁপের চাটনির স্বাদ জিভে লেগে থাকবে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

দোকানের মালিক সুশান্তবাবু জানান, যে মশলা সামোসা আমি তৈরি করি তার প্রত্যেকটা উপকরণ গুণগতমানের দিকে সব সময় লক্ষ্য রাখি। তাই মানুষ যুগের পর যুগ এটা পছন্দ করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরেই সুশান্তবাবু বালুরঘাট শহরের স্টেট বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এই সিঙাড়া দোকান চালাচ্ছেন। আট থেকে আশি সমস্ত বয়সের মানুষ‌ই দোকান খুলতে না খুলতেই ভিড় করেন। এই মশলা সামোসা আকারে বড় এবং স্বাদে অতুলনীয়, একটা খেলেই পেট ভরে যায়। টিমটিমে আলোর নিচে ঠেলাগাড়িতে বালুরঘাট শহরের এই বিখ্যাত সিঙাড়া বিক্রি করেন সুশান্তবাবু। কিন্তু তাতে তাঁর বিক্রি বা সিঙাড়ার চাহিদার উপর এতটুকু প্রভাব পড়েনি। মানুষ সেখানেই সেই ভিড় করছে বছরের পর বছর ধরে।

সুস্মিতা গোস্বামী