বছরের শুরুতেই জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) তকমা পেল সুন্দরবনের মধু। কিন্তু এই জিআই ট্যাগে আদৌ কি সুন্দরবনের মৌলেদের জীবন জীবিকার মাধ্যমে পরিবারে স্বাচ্ছন্দ আসবে তা কিন্তু প্রশ্ন চিহ্নের মুখে।উল্লেখ্য, পুণের একটি সংস্থাকে হারিয়ে সুন্দরবনের মধু গত বুধবার এই তকমা পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের তত্ত্বাবধানে সুন্দরনবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও ২৪ পরগনা বন বিভাগের মৌলেরা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করতে যান।মাসখানেক ধরে জঙ্গলে মৌচাক খুঁজে সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করেন। বন দফতর নির্দিষ্ট দামে তা মৌলেদের থেকে কিনে নেয়। সেই মধুই বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশ ও বিদেশে বিক্রি হয়।কোভিড পরবর্তী সময়ে সুন্দরবনের মধুর চাহিদা যথেষ্ট বেড়েছে। পাশাপাশি বছরের শুরুতেই সুন্দরবনের মধু জিআই ট্যাগ পাওয়ায় মধুর চাহিদা বাড়লেও আদতে যারা সুন্দরবনে জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘের সঙ্গে লড়াই করে সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করে তাদের আদতে জীবন সুরক্ষা ও আর্থিক সংগতি কতটা উন্নয়ন হবে তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুললেন সুন্দরবন বিষয়ক গবেষক অধ্যাপক অনিমেষ মন্ডল।যদিও এবার জিআই তকমা মেলায় সুন্দরবনের মধুর চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সকলেই। খুশির হাওয়া মৌলেদের মধ্যে।সারা বছর ধরে মধুর মরশুমের দিকে বাড়তি রোজগারের আশায় তাকিয়ে থাকেন তাঁরা। গত বার মধুর দামে কিছুটা বাড়তি আয় হয়েছে, এবারে কতটা দাম বাড়বে তা কিন্তু সময়ই বলবে। (জুলফিকার মোল্যা)