টোটো চালকের তৎপরতার জেরে প্রাণে বাঁচল জলে তলিয়ে যাওয়া দুই যুবতী

Super Hero Toto Driver: ঠিক যেন সিনেমা! স্নান করতে নেমে নদীতে ডুবতে বসেছিল ২ যুবতী, ছুটে এসে বাঁচালেন টোটো চালক

দক্ষিণ দিনাজপুর: যেন ঠিক সিনেমার দৃশ্য। নদীতে ডুবে যাচ্ছে দুই যুবতী, তখনই পাড় দিয়ে টোটো নিয়ে যেতে যেতে সেটা দেখে সটান জলে ঝাঁপ দিলেন চালক। গাছের শুকনো ডাল বাড়িয়ে দিয়ে শেষে প্রাণে বাঁচালেন ওই দুই যুবতীকে! বাস্তবে এমনই সিনেম্যাটিক দৃশ্য দেখা গেল বালুরঘাটে।

এদিন স্নান করতে নেমে আত্রেয়ী নদীর জলে তলিয়ে যাচ্ছিলেন দুই যুবতী। তবে তাঁদের রক্ষাকর্তা হয়ে দেখা দেন টোটো চালক শ্যামল রায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট শহরের কংগ্রেস পাড়ার বাঁধ সংলগ্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই দুই যুবতী মনিমেলা স্কুল পাড়ার বাসিন্দা। এদিন দুপুরে কংগ্রেস পাড়া এলাকায় নদীর ঘাটে নামে স্নান করার উদ্দেশ্যে এসেছিলেন। কিন্তু জলে নামার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজনেই তলিয়ে যেতে থাকেন। সেই সময় বাঁধের উপর দিয়ে টোটো নিয়ে যাচ্ছিলেন শ্যামল রায় ও তাঁর দাদা সম্বল রায়। ডুবতে থাকা যুবতীরা তাঁদের নজরে পড়তেই তড়িঘড়ি বাঁধ থেকে ছুটে নদীতে নেমে আসেন শ্যামল। পিছন পিছন আসেন তাঁর দাদা সম্বল’ও।

আরও পড়ুন: জলকষ্ট থেকে মুক্তি দিতে যা কেউ পারল না সেটাই করে দেখাল পুলিশ!

এরপর নদীর পাশে পড়ে থাকা একটা গাছের শুকনো ডাল ওই যুবতীদের দিকে এগিয়ে দেন শ্যামল। ততক্ষণে তাঁদেরকে সাহায্য করার জন্য ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত হালদার সহ আরও কয়েকজন। এঁদের প্রচেষ্টায় অবশেষে প্রাণে বাঁচেন ওই দুই যুবতী। এই বিষয়ে পরে টোটো চালক শ্যামল রায় বলেন, হঠাৎই নজরে আসে মেয়ে দুটি ডুবে যাচ্ছে। ছুটে এসে আমি একজনকে উদ্ধার করি। বাকি আরেকজনকে আমার দাদা ও জয়ন্তবাবু মিলে উদ্ধার করেন।

সুস্মিতা গোস্বামী