Tag Archives: rescue

Rescue Mock Drill: হঠাৎ গ্যাসলিক করলে কী করবেন? দেখুন উদ্ধারকাজের মক ড্রিলের ছবি

অগ্নিসংযোগ বা ক্লোরিন গ্যাস লিকে প্রাথমিক পর্যায়ে কী করনীয় তা হাতে-কলমে শেখাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির হাওড়ায়। দুর্ঘটনা এড়াতে এনডিআরএফ ও রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে কেমিক্যাল মক এক্সারসাইজ অনুষ্ঠিত হল সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে।
অগ্নিসংযোগ বা ক্লোরিন গ্যাস লিকে প্রাথমিক পর্যায়ে কী করনীয় তা হাতে-কলমে শেখাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির হাওড়ায়। দুর্ঘটনা এড়াতে এনডিআরএফ ও রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে কেমিক্যাল মক এক্সারসাইজ অনুষ্ঠিত হল সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে।
গ্যাস ট্যাঙ্ক লিক করলে কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় তা মক ড্রিল করে দেখালেন এনডিআর‌এফ কর্মীরা। একইসঙ্গে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কীভাবে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করতে হয় সেটাও দেখানো হয়।
গ্যাস ট্যাঙ্ক লিক করলে কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় তা মক ড্রিল করে দেখালেন এনডিআর‌এফ কর্মীরা। একইসঙ্গে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কীভাবে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করতে হয় সেটাও দেখানো হয়।
কয়েকশো কারখানা এবং ওয়্যারহাউস রয়েছে সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে। বহু রাসায়নিক কারখানা, গোডাউন রয়েছে। অতীতে এখানে অগ্নিকাণ্ডের মত দুর্ঘটনা ঘটেছে। তা যাতে আর না ঘটে সেই কারণেই এমন শিবিরের ব্যবস্থা।
কয়েকশো কারখানা এবং ওয়্যারহাউস রয়েছে সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে। বহু রাসায়নিক কারখানা, গোডাউন রয়েছে। অতীতে এখানে অগ্নিকাণ্ডের মত দুর্ঘটনা ঘটেছে। তা যাতে আর না ঘটে সেই কারণেই এমন শিবিরের ব্যবস্থা।
এনডিআরএফ কেমিক্যাল মক এক্সেসাইজ শিবিরে হাজির হিলেন জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের মালিক, কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
এনডিআরএফ কেমিক্যাল মক এক্সেসাইজ শিবিরে হাজির হিলেন জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের মালিক, কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
এই প্রসঙ্গে এনডিআরএফ কমান্ডার শশী দিও এবং সন্তোষ ঠাকুর এই জরুরি অবস্থায় সাধারন মানুষের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত তা জানান। মূলত যাতে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সেই এদিকে লক্ষ্য রেখে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে এনডিআরএফ কমান্ডার শশী দিও এবং সন্তোষ ঠাকুর এই জরুরি অবস্থায় সাধারন মানুষের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত তা জানান। মূলত যাতে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সেই এদিকে লক্ষ্য রেখে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।

First Aid: পুকুরের ৭-৮ ফুট তলায় পড়ে থাকা কিশোরের দেহে প্রাণ ফিরিয়ে দিলেন সুকুমার! সুন্দরবনে ম্যাজিক

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রাথমিক চিকিৎসার স্বেচ্ছাসেবকের প্রশিক্ষণ যে এভাবে কাজে লেগে যাবে তা আর কে জানত। সেই বিদ্যে কাজে লাগিয়ে জলে ডুবে যাওয়া কলকাতার বছর তেরোর কিশোরের প্রাণ বাঁচালেন সুন্দরবনের সুকুমার হালদার। মৈপিঠ কোস্টাল থানা এলাকার ঘটনা।

যে কিশোরের মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে তার নাম অরিত্র দে। বাড়ি কলকাতা টালিগঞ্জে। ঘটনাটি ঘটেছে মৈপিঠ কোস্টাল থানার বিনোদপুর গ্রামে। অরিত্র বিনোদপুর গ্রামে কাকার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। এদিন সকালে কাছের একটি পুকুরে স্নান সে করতে নামে। কিন্তু ভাল করে সাঁতার না জানায় তলিয়ে যায়। পাড়ে দাঁড়িয়েছিল অরিত্রর বছর চারেকের বোন। বেশ কিছুক্ষণ দাদাকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার করে বাড়ির লোকজনকে ডাকে। ছুটে আসেন অরিত্রর মা-কাকিমারা। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচি ও কান্নায় চেঁচামেচিতে জড়ো হয়ে যান পাড়ার কয়েকজন। জলে নেমে খোঁজা শুরু হয়।

আর‌ও পড়ুন: ভুটানে টানা বৃষ্টিতে বিপন্ন কালচিনি, ক্রমশ ভয় বাড়ছে

সুকুমার হালদার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা কাছেই নিজের বাড়িতে কাজ করছিলেন। তিনি মাসকয়েক আগে জলে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। হইচই শুনে ছুটে এসে দ্রুত পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনিও। কিছুক্ষণের মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সাহায্যে জল থেকে উদ্ধার করে আনেন অরিত্র’র অচৈতন্য দেহ। এরপর প্রশিক্ষণ শিবিরে শেখা পদ্ধতি মেনে কিশোরের শ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেন সুকুমারবাবু। কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্বাস নিতে শুরু করে ওই কিশোর। পরে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে অক্সিজেন দেওয়া হয় তাকে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠে কলকাতার অরিত্র। কার্যত সুকুমার হালদারের জন্যই নতুন জীবন ফিরে পায় সে।

এই প্রসঙ্গে সুকুমার’বাবু বলেন, পুকুরের প্রায় সাত-আট ফুট নীচে পড়েছিল দেহটি। তুলে এনে যেভাবে শেখানো হয়েছিল, সে ভাবেই শ্বাস ফেরানোর চেষ্টা করি। ততক্ষণে কান্নাকাটি শুরু হয়ে গিয়েছিল আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে। ছেলে দম নিতে আমরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

সুমন সাহা

Deer Rescue: দলছুট হরিণকে ধরতে কালঘাম ছুটল বনকর্মীদের

আলিপুরদুয়ার: দলছুট হরিণ উদ্ধার করতে গিয়ে কালঘাম ছুটল বনকর্মীদের। অবশ্য শেষ পর্যন্ত দলছুট হরিণটিকে হল ভাতখাওয়া চা বাগান থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে। এদিন দুপুরে এই নিয়ে রীতিমত তোলপাড় পড়ে যায় চা বাগানে।

বুধবার দুপুরে রাজাভাতখাওয়া চা বাগানে লাঞ্চ ব্রেকের পর যখন শ্রমিকরা কাজে ফিরে আসেন তখন এই দল ছুট হরিণটিকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে দেখেন তাঁরা। এরপর খবর দেওয়া হয় বন দফতরে।জানা যায় হরিণটি চিতল প্রজাতির। তবে পূর্ণ বয়স্ক নয়।

আরও পড়ুন: পুনর্বাসনের জায়গা নিয়ে আপত্তি, প্রতিবাদে মেদিনীপুরে পথ অবরোধ হকারদের

হরিণটিকে উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীদের। সেটি পুরো বাগান দৌড়ে বেরোচ্ছিল। এরপর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা পুরো এলাকা নেট দিয়ে ঘিরে ফেলেন। পরে হরিণটি নেটে আটকে গেলে সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বনকর্মীরা। অনুমান করা হচ্ছে, বক্সার জঙ্গলে বাঘের খাবারের জন্য যে হরিনগুলিকে ছাড়া হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে এটি একটি হবে। হরিণগুলির বংশবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাই মাঝে মধ্যেই জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে প্রবেশ করছে তারা।

অনন্যা দে

Chameleon Rescue: বাংলায় বিরল প্রজাতির গিরগিটি উদ্ধার

৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। তার আগে বিরল প্রজাতির গিরগিটি উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দিলেন এক ব্যক্তি।
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। তার আগে বিরল প্রজাতির গিরগিটি উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দিলেন এক ব্যক্তি।
বালি বোঝাই ডাম্পরে কোনওভাবে চলে আসে একটি বিরল প্রজাতির গিরগিটি। যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলে ক্যামেলিয়ন। সেটিকে উদ্ধার করেএদিন বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বালি বোঝাই ডাম্পরে কোনওভাবে চলে আসে একটি বিরল প্রজাতির গিরগিটি। যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলে ক্যামেলিয়ন। সেটিকে উদ্ধার করেএদিন বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের খালীনা বাজার এলাকা থেকে প্রাণীটি উদ্ধার করেন সুশান্ত ধল নামে এক ব্যক্তি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের খালীনা বাজার এলাকা থেকে প্রাণীটি উদ্ধার করেন সুশান্ত ধল নামে এক ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, মূলত এই বিরল প্রজাতির ক্যামেলিয়ন দেখা যায় জঙ্গল এলাকায়। গাছে থেকে পোকামাকড় খায় বলে জানিয়েছে বনকর্মীরা। তবে পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই প্রাণী।
জানা গিয়েছে, মূলত এই বিরল প্রজাতির ক্যামেলিয়ন দেখা যায় জঙ্গল এলাকায়। গাছে থেকে পোকামাকড় খায় বলে জানিয়েছে বনকর্মীরা। তবে পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই প্রাণী।
এই বিরল প্রজাতির প্রাণী উদ্ধারকারী সুশান্ত ধল বলেন, এদিন সকালে বালি আনলোডের সময় এই বিশেষ প্রজাতির গিরগিটিকে দেখতে পাই।অসাবধানতাবশত এটির ক্ষতি হতে পারত। তাই কৌটো বন্দি করে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে বেলদা নিয়ে এসে বনকর্মীদের হাতে তুলে দিই।
এই বিরল প্রজাতির প্রাণী উদ্ধারকারী সুশান্ত ধল বলেন, এদিন সকালে বালি আনলোডের সময় এই বিশেষ প্রজাতির গিরগিটিকে দেখতে পাই।অসাবধানতাবশত এটির ক্ষতি হতে পারত। তাই কৌটো বন্দি করে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে বেলদা নিয়ে এসে বনকর্মীদের হাতে তুলে দিই।
উদ্ধারকারী বনকর্মী কিঙ্কর চন্দ বলেন, পরিবেশের অত্যন্ত উপকারী এই ক্যামেলিয়ন। প্রাণীদের ক্ষতি করে না, বরং অনেক উপকার করে। পোকামাকড় খায়। তাই এই ধরনের প্রাণী দেখতে পেলে দ্রুত বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া উচিত। সুশান্তবাবুর এই মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।-রঞ্জন চন্দ
উদ্ধারকারী বনকর্মী কিঙ্কর চন্দ বলেন, পরিবেশের অত্যন্ত উপকারী এই ক্যামেলিয়ন। প্রাণীদের ক্ষতি করে না, বরং অনেক উপকার করে। পোকামাকড় খায়। তাই এই ধরনের প্রাণী দেখতে পেলে দ্রুত বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া উচিত। সুশান্তবাবুর এই মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।
-রঞ্জন চন্দ

Super Hero Toto Driver: ঠিক যেন সিনেমা! স্নান করতে নেমে নদীতে ডুবতে বসেছিল ২ যুবতী, ছুটে এসে বাঁচালেন টোটো চালক

দক্ষিণ দিনাজপুর: যেন ঠিক সিনেমার দৃশ্য। নদীতে ডুবে যাচ্ছে দুই যুবতী, তখনই পাড় দিয়ে টোটো নিয়ে যেতে যেতে সেটা দেখে সটান জলে ঝাঁপ দিলেন চালক। গাছের শুকনো ডাল বাড়িয়ে দিয়ে শেষে প্রাণে বাঁচালেন ওই দুই যুবতীকে! বাস্তবে এমনই সিনেম্যাটিক দৃশ্য দেখা গেল বালুরঘাটে।

এদিন স্নান করতে নেমে আত্রেয়ী নদীর জলে তলিয়ে যাচ্ছিলেন দুই যুবতী। তবে তাঁদের রক্ষাকর্তা হয়ে দেখা দেন টোটো চালক শ্যামল রায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট শহরের কংগ্রেস পাড়ার বাঁধ সংলগ্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই দুই যুবতী মনিমেলা স্কুল পাড়ার বাসিন্দা। এদিন দুপুরে কংগ্রেস পাড়া এলাকায় নদীর ঘাটে নামে স্নান করার উদ্দেশ্যে এসেছিলেন। কিন্তু জলে নামার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজনেই তলিয়ে যেতে থাকেন। সেই সময় বাঁধের উপর দিয়ে টোটো নিয়ে যাচ্ছিলেন শ্যামল রায় ও তাঁর দাদা সম্বল রায়। ডুবতে থাকা যুবতীরা তাঁদের নজরে পড়তেই তড়িঘড়ি বাঁধ থেকে ছুটে নদীতে নেমে আসেন শ্যামল। পিছন পিছন আসেন তাঁর দাদা সম্বল’ও।

আরও পড়ুন: জলকষ্ট থেকে মুক্তি দিতে যা কেউ পারল না সেটাই করে দেখাল পুলিশ!

এরপর নদীর পাশে পড়ে থাকা একটা গাছের শুকনো ডাল ওই যুবতীদের দিকে এগিয়ে দেন শ্যামল। ততক্ষণে তাঁদেরকে সাহায্য করার জন্য ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত হালদার সহ আরও কয়েকজন। এঁদের প্রচেষ্টায় অবশেষে প্রাণে বাঁচেন ওই দুই যুবতী। এই বিষয়ে পরে টোটো চালক শ্যামল রায় বলেন, হঠাৎই নজরে আসে মেয়ে দুটি ডুবে যাচ্ছে। ছুটে এসে আমি একজনকে উদ্ধার করি। বাকি আরেকজনকে আমার দাদা ও জয়ন্তবাবু মিলে উদ্ধার করেন।

সুস্মিতা গোস্বামী

Deer Rescue: কুকুরের তাড়া খেয়ে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে হরিণ তারপর যা হল

আলিপুরদুয়ার: সাত সকালে লোকালয়ে চলে আসে দুটি চিতল হরিণ। ‌ কুকুরের তাড়া খেয়ে তারা জঙ্গল ছেড়ে লোকালয় প্রবেশ করে। এদিকে গ্রামের মধ্যে হরিণ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ভিড় করতে শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে চিঞ্চুলা চা বাগান এলাকায়। এদিন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে দুটি চিতল হরিণ চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে পড়ে। হরিণটি বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। পরবর্তীতে এলাকার বাসিন্দারা মিলে হরিণ দুটিকে ধরে ফেলে। সেগুলিকে রাখা হয় একটি ঘরে বন্ধ করে।

আরও পড়ুন: রোদে পুড়ে যাচ্ছে নদিয়ার লিচু, অসহায় চাষিরা

এরপর এলাকাবাসীরা খবর দেয় বন দফতরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হরিণ দুটিকে উদ্ধার করে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পানা মোবাইল রেঞ্জের বনকর্মী ও আধিকারিরা।‌ প্রাথমিক চিকিৎসার পর দুটি হরিণকে আবার‌ও গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রের খবর।‌ হরিণ দুটি কুকুরের তাড়া খেয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও হরিনগুলির শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বনকর্মীরা।

অনন্যা দে

Boat Accident: বান্ধবীকে নিয়ে নৌকায় তুমুল মদ্যপান, হঠাৎ বার্জে ধাক্কা! তারপর ৬ জনের যা হল

হুগলি: গরমের পড়ন্ত বিকেলে গঙ্গায় নৌকা বিহারে বেরিয়ে ছিলেন ছয় বন্ধু। সঙ্গে চলছিল মদ্য পান। কিন্তু সেই দিলখুশ মেজাজ বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। হঠাৎই বার্জে ধাক্কা মেরে বসল ডিঙি নৌকা! সঙ্গে সঙ্গে উল্টে যায় নৌকাটি। ঝপাত করে নদীতে গিয়ে পড়েন ছয় বন্ধুই। কোন‌ওরকমে সাঁতরে পাড়ে উঠে প্রাণ বাঁচান তাঁরা। দু’দিনের পুরনো এই ঘটনার রেশ এখনও থেকে গিয়েছে।

উত্তরপাড়া ও আডিয়াদহ ঘটের মাঝখানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। সেই সময় নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি বিষয়টি দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি স্টিমার নিয়ে উদ্ধার করতে ছুটে যান। তাঁদের প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ওই ৬ যুবক প্রাণে বাঁচেন।

আর‌ও পড়ুন: এই ৩ টি যোগার মাধ্যমে সহজেই ওবেসিটি থেকে মুক্তি পান

পুলিশ সূত্রে খবর, রিষড়া থেকে শনিবার বিকালে চার যুবক ও এক মহিলা একটি ডিঙি নৌকা করে গঙ্গা ভ্রমণে বের হয়েছিলেন। মাঝিকে নিয়ে মোট ছয় জন ছিলেন ওই নৌকায়। যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই দেদার মদ্যপান শুরু হয়। সন্ধে সাতটা নাগাদ উত্তরপাড়া খেয়া ঘাট ও আড়িয়াদহ ফেরি ঘাটের মাঝখানে গঙ্গায় একটি বার্জে ধাক্কা মারে নৌকাটি। তারপরই উল্টে যায়। নৌকায় থাকা ছয়জনই গঙ্গায় পড়ে যান। সাঁতার কেটে পারের দিকে আসার চেষ্টাও করেন। খেয়া ঘাট থেকে লঞ্চে করে মাঝিরা এসে সবাইকেই উদ্ধার করেন।

আর‌ও পড়ুন: হাতির মাথায় কী বুদ্ধি! গাছ ফেলে ফেন্সিং উপড়ে ঢুকছে গ্রামে

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে খেয়া ঘাটে আসে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ওই ছয়জনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নৌকা ডুবির পর উদ্ধার হওয়া এক যাত্রী বলেন, আমরা ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। নৌকায় মদ্যপান করছিলাম। হঠাৎ নৌকাটা উল্টে যায়। তবে উদ্ধার হওয়ার সকল যাত্রী সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে।

রাহী হালদার

Dog Rescue: মুখে আটকে প্লাস্টিকের কৌটো, এক সপ্তাহ না খেয়ে সারমেয়! তারপর যা হল…

হুগলি: খাবার খুঁজতে গিয়ে প্লাস্টিকের জারে মুখ ঢু্কিয়ে বিপত্তি। প্লাস্টিকের কৌটোয় মুখ আটকে গিয়ে এক সপ্তাহ না খেতে পেয়ে প্রায় মরতে বসেছিল একটি পথ কুকুর। অবশেষে তাকে নতুন জীবন দিলেন জিরাটের দুই পশুপ্রেমী।

হুগলির বলাগড়ের জিরাট পোস্ট অফিস পাড়ায় একটি পথ সারমেয় খাবারের সন্ধানে প্লাস্টিকের জারের মধ্যে মুখ ঢুকিয়েছিল গত ৮ এপ্রিল। বিপদ ঘটতে সময় নেয়নি। গলা পর্যন্ত মুখটি জারে আটকে যায়। ওই অবস্থায় এক সপ্তাহ ধরে না খেয়ে পথে পথে ঘুরতে থাকে সারমেয়টি। অনেকেই বিষয়টি দেখেও এগিয়ে আসেননি। রবিবার সন্ধেয় এই বেদনাদায়ক ঘটনাটি চোখে পড়ে জিরাট হাটতলার বাসিন্দা টোটো চালক ও পশুপ্রেমী প্রমথ বিশ্বাসের। তিনি খবর দেন পার্শ্ববর্তী গ্রাম মিলনগডের বাসিন্দা পশুপ্রেমী ও বলাগড় নির্বাক নির্ভর সমিতির সম্পাদক বনমালী তপাদারকে।

আর‌ও পড়ুন: একসঙ্গে ২০০০ কুমারীর পুজো! চাইলে আপনিও করতে পারবেন আরাধনা

খবর পেয়ে বনমালী তাপাদার দ্রুত পৌঁছে যান জিরাট হাটতলায়। এরপর দুই পশুপ্রেমী মিলে বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় প্লাস্টিকের জারটি কাঁচি দিয়ে কেটে সারমেয়টিকে নতুন জীবন দেন। এরপর খাবার ও জল দেওয়া হয় কুকুরটিকে। এইভাবে উদ্ধার পাওয়ার পর সারমেয়টিও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে।

এদিকে এই ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরে ওই পশুপ্রেমীরা প্লাস্টিকের জার বা কৌটো যেখানে সেখানে ফেলতে নিষেধ করেছেন। কারণ তাতে এভাবেই অবলা জীবদের বিপদ ঘটতে পারে।

রাহী হালদার