পুকুরেই সুইমিং পুল গ্রামের শিশুদের সাঁতারের প্রশিক্ষণ

Swimming Training: সুন্দরবনে পুকুর‌ই সুইমিং পুল! জলে ডুবে মৃত্যু ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভারতবর্ষে প্রথম পুকুরভিত্তিক সুইমিং পুলে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ শিবির চালু হল। সুন্দরবনের গ্রামাঞ্চলে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার সারা বিশ্বের মধ্যে প্রথম। সেই পরিস্থিতি বদলাতেই এবার এগিয়ে এল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদেরই উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত কুলতলি বিধানসভার মৈপীঠ কোস্টাল থানার বৈকন্ঠপুরে পুকুর ভিত্তিক সুইমিং পুলে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করা হল।

শহরে সাঁতার শেখার জন্য সুইমিং পুলের ব্যবস্থা থাকলেও গ্রামে সেই সুযোগ তেমন একটা নেই। আর তাই এবার পুকুরকেই সুইমিংপুল হিসেবে সুন্দরবন এলাকায় ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে অল্পবয়সেই শিশুদের সাঁতারে দক্ষ করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ সুন্দরবনে শিশুদের জলে ডুবে মৃত্যুর হার ভয়াবহভাবে বেশি। কুলতলির মৈপীঠ কোস্টাল থানার বৈকুন্ঠপুর শিশু সেবা কেন্দ্রে ও ভুবনেশ্বরীতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ব্যবস্থাপনায় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে দুটি পুকুর ভিওিক সুইমিং পুল চালু করা হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য বি মহম্মদ আসিল। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষে চিকিৎসক মানস প্রতীম রায়, সিনির মৈপীঠ শাখার প্রতিষ্ঠাতা সমীর নারায়ণ চৌধুরী, দ্য জর্জ ইনস্টিটিউট গ্লোবাল হেলথের সদস্য জগনুর, বারুইপুর মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারীক ইন্দ্রনীল মিত্র, কুলতলি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অবন্তিকা মণ্ডল সহ আরও অনেকে হাজির ছিলেন।

আর‌ও পড়ুন: গাভী বাছুরের জন্ম দিলেই শুরু হত হাচো গীত জারির গান! বিলুপ্তির মুখে আরেক লোকগান

আগামী দিনে সুন্দরবনের প্রতিটা ব্লকেই এমনই উদ্যোগ চালু হবে বলে জানা গিয়েছে। সুন্দরবনের পুকুরে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি পুকুরে সুইমিং পুলের মধ্যে দিয়ে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এরই পাশাপাশি মৈপীঠের এই কেন্দ্র থেকে কবচ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে শিশুদের পড়াশোনাও শেখানো হচ্ছে। এই সাঁতার প্রশিক্ষণে ২১ দিনের ক্লাসের মধ্যে দিয়ে এক একটি গ্রুপে ৬-৮ জন শিশুকে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

সুমন সাহা