মুর্শিদাবাদ: জেলার ২৬টি ব্লকের মধ্যে ২৫ টি ব্লকই আর্সেনিক যুক্ত এলাকা। তবে এখন আর্সেনিকে গোটা গ্রাম আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠল। মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানার খয়রামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের হরেকৃষ্ণপুর সহ বিভিন্ন এলাকায়।
এখানকার গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই আর্সেনিকের সমস্যায় ভুগছেন। টিউবওয়েল জলে আর্সেনিক মিশে আছে। সজলধারা জলের প্রকল্প থাকলেও তা থেকে মিলছে না পানীয় জল। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে আর্সেনিকযুক্ত জল খেতে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষজনকে।
আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য সরকারের বিকল্প ব্যবস্থা আছে। তার মধ্যে অন্যতম হল গভীর নলকূপ খনন, সজল ধারা প্রকল্প। তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে এইসব বিকল্প ব্যবস্থাতেও আর্সেনিকমুক্তির কোনও গল্প নেই। পানীয় জলের মধ্যে দিয়ে প্রচুর পরিমাণ আর্সেনিক প্রতিদিন এলাকার মানুষদের শরীরে প্রবেশ করছে। দীর্ঘদিন ধরে এই আর্সেনিক শরীরের প্রবেশ করলে মারণ রোগ ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিশেষভাবে সক্ষমদের ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশের বাজিমাত
বাড়ির কাজে ব্যবহার করা জলের ক্ষেত্রে মাটির নিচ থেকে দু’তিন পাইপ দিয়ে তোলা হলেও চাষের কাজে ব্যবহৃত জল এক পাইপেই তোলেন কৃষকরা। আর তাতে বিপদের মাত্রা থাকছে আরও বেশি। শাক-সবজির মাধ্যমে এই আর্সেনিক মানুষের দেহে প্রবেশ করছে। এরফলে শুধু মুর্শিদাবাদের মানুষ নয়, বিপদের আশঙ্কা থাকছে শহরের বাসিন্দাদের’ও।
বর্তমানে মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়ায় আর্সেনিকে গোটা গ্রাম আক্রান্ত। সাগরপাড়া থানার খয়রামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের হরেকৃষ্ণপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় এখন আর্সেনিক যুক্ত জলই খেতে হচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা। এই আর্সেনিকের কারণে ওই গ্রাম থেকে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলেও গ্রামবাসীরা দাবি করেন। স্থানীয় প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, তিনি পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার পরেই গ্রামে সজল ধারা প্রকল্প করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কেন। সেটি আর কার্যকারী নেই কেন সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
কৌশিক অধিকারী