Tag Archives: Australian Open

Rohan Bopanna: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নতুন নজির গড়লেন রোহন বোপান্না, সবচেয়ে ‘বুড়ো’ চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় টেনিস তারকারা

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জিতে ওপেন যুগে বয়স্কতম খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের নজির গড়লেন রোহন বোপান্না। Photo Courtesy- Australian Open/ X Account
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জিতে ওপেন যুগে বয়স্কতম খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের নজির গড়লেন রোহন বোপান্না। ৪৩ বছর ১১ মাস বয়সে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন তিনি। Photo Courtesy- Australian Open/ X Account
কেরিয়ারের শেষলগ্নে এসে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন রোহন বোপান্না। ম্যাথু এবডেনকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলেন ভারতের টেনিস তারকা। Photo Courtesy- Australian Open/ X Account
কেরিয়ারের শেষলগ্নে এসে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন রোহন বোপান্না। ম্যাথু এবডেনকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলেন ভারতের টেনিস তারকা। Photo Courtesy- Australian Open/ X Account
২০১৩ এবং ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু ট্রফি জিততে পারেননি। এদিন ফাইনালে বোপন্না-এবডেন ৭-৬, ৭-৫ ব্যবধানে ইতালিয়ান জুটি Photo Courtesy- Australian Open/ X Account
২০১৩ এবং ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু ট্রফি জিততে পারেননি। এদিন ফাইনালে বোপন্না-এবডেন ৭-৬, ৭-৫ ব্যবধানে ইতালিয়ান জুটি Photo Courtesy- Australian Open/ X Account
সিমোনে বোলেল্লি এবং আন্দ্রেয়া ভাভাসোরিকে হারিয়ে খেতাব জিতলো। চলতি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ইতিমধ্যেই ইতিহাস গড়েছেন রোহন বোপান্না। পুরুষদের ডাবলসে বয়স্কতম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় হয়েছেন ৪৩ বছরের তারকা। Photo Courtesy- Australian Open/ X Account
সিমোনে বোলেল্লি এবং আন্দ্রেয়া ভাভাসোরিকে হারিয়ে খেতাব জিতলো। চলতি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ইতিমধ্যেই ইতিহাস গড়েছেন রোহন বোপান্না। পুরুষদের ডাবলসে বয়স্কতম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় হয়েছেন ৪৩ বছরের তারকা। Photo Courtesy- Australian Open/ X Account

Australian Open 2024: বিশ্বের ২৭ নম্বরকে উড়িয়ে দিলেন সুমিত নাগাল, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ইতিহাস ভারতীয় টেনিস তারকার

৩ বছর পর বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মূল পর্বে জায়গা পাকা করে চমক দিয়েছিলেন ভারতের পয়লা নম্বর টেনিস তারকা সুমিত নাগাল। তবে সেটা ছিল সবে শুরু। অস্ট্রেলিয়ন ওপেনের প্রথম ম্যাচে বিশ্বের ২৭ নম্বর অ্যালেক্সান্ডার বুবলিককে হারিয়ে নয়া নজির তৈরি করলেন ভারতীয় টেনিস তারকা। স্ট্রেট সেটে ম্যাচ জেতেন সুমিত নাগাল।

১৯৮৯ সালের পরে এই প্রথমবার কোনও গ্র্যান্ডস্ল্যামে কোনও বাছাই খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল ভারত। তারপর কেটে গিয়েছেন সাড়ে তিন দশক। ৩৫ বছর পর কাজাখস্তানের অ্যালেক্সজান্ডার বুবলিককে হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন সুমিত নাগাল। প্রথম দুই সেটে নাগাল এক তরফা জয়ে পায়। তৃতীয় সেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও টাইব্রেকারে জেতে নাগাল। খেলার ফল ৬-৪, ৬-২, ৭-৬ (৭-৫)।

প্রসঙ্গত, এই ম্যাচ জিতে নিজের খেলার মাধ্যমে ভারতীয় টেনিস সংস্থাকেও যোগ্য উত্তর দিলেন সুমিত নাগাল। কারণ ডেভিস কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে না খেলায় নাগালের জন্য ভারতীয় টেনিস সংস্থা ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রিরআবেদন করেনি। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমতালিকার বিচারে ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার দাবিদার ছিল নাগাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে কোয়ালিফাই রাউন্ড খেলে অস্ট্রেলিয়ান অপেনের মূব পর্বে আসতে হয়।

আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: নাক ও ঠোঁটের মাঝের জায়গাকে কী বলা হয়? উত্তর দিতে পারলে আপনি জিনিয়াস

তবে মূল পর্বে যেভাবে শুরু করলেন সুমিত নাগাল তা অবাক করেছে সকলকেই। কারণ বিশ্বের ২৭ নন্বর র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকা প্লেয়ারকে দাঁড়াতেই দেননি ভারতীয় টেনিস তারকা। এটিপির ক্রমপর্যায়ে ১৩৯ নম্বরে রয়েছেন নাগাল। কেরিয়ারের সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিং ছিল ১২২। ফলে এই জয় পরবর্তী রাউন্ডের জন্য নাগালের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়াবে।

একটা পাউরুটি আর দুধের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হত জোকোভিচকে! আকাশ ছুঁয়ে অতীতের দিনগুলো মনে পড়ছে চ্যাম্পিয়নের

#মেলবোর্ন: মেলবোর্ন পার্কে গ্রিক তারকা সিৎসীপাসকে হারিয়ে সোজা গ্যালারিতে উঠে গিয়েছিলেন নোভাক জোকোভিচ। সেখানে নিজের টিম এবং বাড়ির লোককে জড়িয়ে ধরে সেলিব্রেট করার পর ফিরে এলেন কোর্টে। তারপর প্রায় দু মিনিট মুখ চেপে কান্না। টিভিতে যারা খেলাটা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন ২২ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের পর সার্বিয়ান তারকার আবেগ।

ম্যাচ শেষে জোকোভিচ জানিয়েছেন ইতিহাস তৈরি করে তার মনে পড়ে যাচ্ছিল ছোটবেলার কষ্টের দিনগুলো। একটা পাউরুটি এবং দুধের জন্য কয়েক ঘন্টা লাইনে দাঁড়াতে হত। সঙ্গে থাকতেন দাদু। সেই দুধ এবং পাউরুটি না পেলে খাওয়াই হত না। তখন ভাবতেও পারেননি এই জায়গায় পৌঁছতে পারবেন। কিন্তু স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি বড় টেনিস খেলোয়াড় হওয়ার।

প্রথমদিকে তার খেলায় ফিনিশিং ছিল না। নিজেকে তৈরি করেছেন ধাপে ধাপে। এখন টেনিস ইতিহাসের অন্যতম কমপ্লিট তারকা জোকার। ভারতের সোমদেব বর্মনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নোভাক জানিয়েছেন হয়তো ছোটবেলার ওই কষ্টের দিনগুলো দেখার কারণেই মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই চরিত্র তৈরি হয়ে গিয়েছিল।

তবে শুধু কোর্টের চ্যাম্পিয়ন নন তিনি। তার ফাউন্ডেশন সারা পৃথিবী জুড়ে বহু মানুষকে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে তার স্ত্রী ইয়েলেনা একটা ভূমিকা পালন করে থাকেন। নোভাক মনে করেন সার্বিয়ার মত যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ থেকে উঠে এসে এই জায়গায় পৌঁছানো হয়তো কঠিন ছিল। কিন্তু পরিবারের মোটিভেশন এবং দেশের মানুষের অফুরন্ত ভালোবাসার জন্য সেটা সম্ভব হয়েছে তার।

তাই যখন তার নিজের দেশে বন্যা হয় অথবা অস্ট্রেলিয়ার জঙ্গলে আগুন লাগে, যখন গরিব বাচ্চা টেনিস খেলোয়াড় টাকার অভাবে সরঞ্জাম কিনতে পারেন না তখন তিনি এগিয়ে আসেন। ঈশ্বর তাকে প্রচুর টাকা দিয়েছেন। কিন্তু সবাই তার মত ভাগ্য নিয়ে আসে না। নোভাক জোকোভিচ মনে করেন পরিস্থিতি যে রকমই হোক লড়াই ছাড়া উচিত নয়।

তার দেশ সার্বিয়ায় টেনিসের ইতিহাস খুব একটা গর্ব করার মতো নয়। তাই তরুণ খেলোয়াড়দের প্রতি তার উপদেশ কোথা থেকে আসছ, কিছু আসে যায় না। শুধু নিজের লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। আর নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি শিখেছেন সাফল্যে সবাই পাশে থাকে। তাই সফল হতেই হবে।

তার জন্য রাত, দিন, ঝড়, জল কোনও বাধা হতে পারে না। এটাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মূল মন্ত্র। একটা দুটো সাফল্য পেয়ে মাথা ঘুরে গেলে হবে না। এমন কিছু করে যেতে হবে যেটা পৃথিবীতে আগে কেউ করেনি। এটাই চ্যাম্পিয়ন নোভাক জোকোভিচের সাফল্যের রেসিপি।

Novak Djokovic: নাদালের সঙ্গে সমান-সমান, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে ২২ গ্র্যান্ডস্ল্যামের মালিক জোকোভিচ

#মেলবোর্ন: টেনিস জগতে দুই জায়ান্টের মধ্যে লড়াই শেষে হাসি এল জোকোভিচের মুখেই৷ স্পেনের রাফায়েল নাদাল ও সার্বিয়ার নোভাক জোকোভিচের মধ্যে কে কাকে টেক্কা দেবে তার লড়াই চলছে। ২০২৩ সালের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়া ওপেন জিতে জোকোভিচ, নাদালের ২২ টি  গ্র্যান্ডস্ল্যাম শিরোপার সঙ্গে সমান করে ফেললেন। ফাইনালে সিটসিপাসের বিরুদ্ধে ৬-৩, ৭-৬, ৭-৬ অর্থাৎ স্ট্রেট সেটে জিতে নিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ফাইনাল৷ এই নিয়ে তিনি ১০ তম বার  অস্ট্রেলিয়ান ওপেন  খেতাব জিতলেন।

জোকোভিচের দশম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন

২০০৮ সালে, জোকোভিচ তার প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন। তারপর থেকে, তিনি ১০ বার এই শিরোপা দখল করেছেন। ২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ এবং এবার ২০২৩ সালেও তিনি ফের একবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে নিলেন৷

 

 

২২ তম গ্র্যান্ড  স্ল্যাম

১০ টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ছাড়াও, জোকোভিচ ২০১৬ এবং ২০২১ সালে ফরাসি ওপেন জিতেছেন। এই সার্বিয়ান অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ২০১১, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৮, ২০১৯, ২০২১, ২০২২-এ  মোট ৭ বার উইম্বলডন জিতেছেন৷ ২০১১, ২০১৫,  ২০১৮ সালে ইউএস ওপেন  জিতেছেন।

রেকর্ড ১০ নম্বর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের সামনে জকোভিচ, বাধা গ্রিক তারকা সিসিপাস

#মেলবোর্ন: গ্রিক দেবতা নয়, এক লড়াকু গ্রিক যোদ্ধার সামনে দাঁড়িয়ে নোভাক জকোভিচ। রবিবার মেলবোর্ন পার্কের ফাইনালে জোকারের সামনে জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত তরুন গ্রিক তারকা। রবিবার পুরুষদের সিঙ্গলসের ফাইনালে নোভাক জকোভিচের মুখোমুখি স্তেফানো সিসিপাস। এই মহারণ জিতে সর্বাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের নজির স্পর্শের হাতছানি জোকারের সামনে।

এই মুহূর্তে তালিকায় শীর্ষে রাফায়েল নাদাল (২২)। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে ছুঁতে চতুর্থ বাছাই নোভাক যে মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের অঘোষিত রাজা সার্বিয়ান মহাতারকাই। রেকর্ড ৯ বার এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। রবিবার সংখ্যাটা ১০ করার হাতছানি তাঁর সামনে।

খেতাবি লড়াইয়ে জকোভিচকে কড়া চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি গ্রিসের সিসিপাসও। ২০২১ ফরাসি ওপেনের ফাইনালে জোকারের বিরুদ্ধে দুরন্ত লড়েও হেরেছিলেন তিনি। রবিবার তৃতীয় বাছাই সিসিপাসের কাছে বদলার নেওয়ার সুযোগ। এখনও পর্যন্ত দু’বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে খেলেও খেতাবের স্বাদ পাননি। সেই অপূর্ণ স্বপ্নও এবার পূর্ণ করার আশায় সিসিপাস।

অভিজ্ঞতায় জোকার এগিয়ে থাকলেও সিসিপাস যে বিনা লড়াইয়ে ১ ইঞ্চি জমি ছাড়বেন না সেটা পরিষ্কার। শক্তিতে তিনি এগিয়ে। তবে এক মহাকাব্যিক ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় টেনিস প্রেমীরা।

নাদালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শেষ! আমেরিকার ম্যাকেঞ্জির কাছে হেরে বিদায় রাফার

#মেলবোর্ন: যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকডোনাল্ড ম্যাকেঞ্জির বিপক্ষে ২০২০ ফ্রেঞ্চ ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হয়ে সহজেই জয় পেয়েছিলেন নাদাল। এবার অবশ্য প্রায় উল্টোটা ঘটল। সরাসরি সেটেই হারলেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন প্রথম দিকেই ঘটে গেল অঘটন। কোমরে চোটের কারণে দ্বিতীয় সেটের পর ‘মেডিকেল টাইমআউট’ নিয়েছিলেন স্প্যানিশ তারকা।

পরে খেলা চালিয়ে যান। ২০১৬ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর এবারই এত দ্রুত বিদায় নিলেন নাদাল। সেবার প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ছেলেদের মধ্যে রেকর্ড ২২ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী এই তারকা। ছেলেদের র‌্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় নাদালের বিদায়ে তাঁর রেকর্ডে ভাগ বসানোর দ্বার খুলে গেল নোভাক জোকোভিচের। ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী এই সার্বিয়ান তারকা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের গত সংস্করণে খেলতে পারেননি।

আরও পড়ুন – আরবের অসহ্য গরমে অবস্থা কাহিল রোনাল্ডোর! মেসির বিপক্ষে নামার আগে নতুন শপথ

মেলবোর্ন পার্কে কাল স্পেনের রবার্তো কারবায়েসকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছেন জোকোভিচ। এবারের মৌসুমে এককে মাত্র দুটি ম্যাচ হেরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এলেও রড লেভার অ্যারেনায় নাদাল স্বস্তি অনুভব করেননি। ম্যাকেঞ্জির বিপক্ষে কোর্টে যখন ধুঁকছিলেন, গ্যালারিতে নাদালের স্ত্রী কেঁদে ফেলেন, তাঁর সাপোর্ট-স্টাফও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।

জিতলেও নাদালের লড়াইকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ম্যাকেঞ্জি ম্যাকডোনাল্ড, ‘সে এক অবিশ্বাস্য চ্যাম্পিয়ন। পরিস্থিতি যা–ই হোক, কখনো হাল ছাড়ে না। আমি শুধু নিজের কাজটা মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করেছি। সে এর মধ্যেও আমার ছন্দ নষ্ট করেছে। মানসিকভাবে শক্ত থেকে স্রেফ কোনো একভাবে ম্যাচটা বের (জয়) করেছি।

তবে হেরে গেলেও অজুহাত দিতে রাজি হননি নাদাল। কিংবদন্তি স্প্যানিশ তারকা মেনে নিয়েছেন ফিটনেস থেকে শুরু করে বেস লাইন এবং সার্ভিস সব জায়গাতেই এগিয়েছিলেন মেকেনজি। তবে কবে অবসর নেবেন পেশাদার টেনিস থেকে সেটা বলেননি রাফা।

Nadal Australian Open champion: মেডভেডেভকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে রেকর্ড গ্র্যান্ড স্লামের মালিক নাদাল

#মেলবোর্ন: কেরিয়ারের ২১ তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের জন্য রবিবার মেলবোর্নে নেমেছিলেন রাফায়েল নাদাল। প্রতিপক্ষ গতবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালিস্ট তরুণ রাশিয়ান টেনিস তারকা ড্যানিল মেডভেডেভ, যিনি ঠিক একবছর আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে জকোভিচের কাছে স্ট্রেট সেটে হেরে গেলেও ইউএস ওপেনের ফাইনালে নোভাক জকোভিচের ক্যালেন্ডার স্ল্যামের স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছিলেন। তাই লড়াইটা সহজ হবে না স্প্যানিশ তারকার পক্ষে সেটা জানাই ছিল।

আরও পড়ুন – Virat Kohli you vs you : আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কার সঙ্গে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেন বিরাট কোহলি ?

বর্তমানে নাদালের রাঙ্কিং যেখানে ৫, সেখানে মেডভেডেভ বর্তমানে বিশ্বের ২ নম্বর খেলোয়াড়। শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে পাওয়া গেল রুশ তারকাকে। প্রথম সেটে দাঁড়াতে দেননি নাদালকে। জিতলেন ৬-২। দ্বিতীয় সেটে নাদাল ৪-১ এগিয়েছিলেন। সেখান থেকে স্বপ্নের কামব্যাক মেডভেডেভের। টাইব্রেকারে জিতে নিলেন দ্বিতীয় সেট। তৃতীয় সেটে নাদালকে ঘুরে দাড়াতেই হত। ৬-৪ জিতে আশা বাচিয়ে রাখলেন রাফা।

কিন্তু এদিন নাদালের খেলায় প্রচুর আনফোর্সড এরর এবং ডবল ফল্ট লক্ষ্য করা গেল। নেট প্লের ক্ষেত্রেও ভুলভ্রান্তি করছিলেন নাদাল। তুলনায় রুশ তারকা অনেক বেশি ধারাবাহিক খেলছিলেন। সার্ভিস, কোর্ট কভারেজ, ফোর হ্যান্ড সবদিক থেকেই মেডভেডেভকে যেন অপরাজেয় মনে হচ্ছিল। এস মরার ক্ষেত্রেও তিনি এগিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের নাম যখন রাফাল নাদাল, তখন বিনা লড়াইয়ে মেডভেডেভ ট্রফি নিয়ে যাবেন সেটা সম্ভব ছিল না।

অসাধারণ লড়াই হল চতুর্থ সেটেও। শেষ পর্যন্ত নাদাল জিতলেন ৬-৪ ব্যবধানে। দুটি সেট পিছিয়ে থেকে কামব্যাক করা সহজ ছিল না। বিশেষ করে যেখানে নাদালের বয়স ৩৫ বছর, প্রতিপক্ষ মেডভেডেভ ২৬ বছর, সেখানে বয়সের দিক থেকে অ্যাডভান্টেজ ছিল রুশ তারকার পক্ষে। আজকের আগে পর্যন্ত দুটি সেট পিছিয়ে থেকে ক্যারিয়ারে মাত্র তিনবার কামব্যাক করেছিলেন নাদাল। আজ আবার করলেন।

ক্রস কোর্ট, ডাউন দ্যা লাইন, উইনার মারার ক্ষেত্রে ছন্দ ফিরে পেলেন নাদাল। এরপর যেন রক্তের স্বাদ পেয়ে গেলেন স্প্যানিশ তারকা। হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস ফিরে এল। পঞ্চম সেটে ড্যানিলকে ব্রেক করে এগিয়ে গেলেন। মনে হচ্ছিল বুল ফাইটের শক্তি নিয়ে নড়াচড়া শুরু করেছেন রাফা। কিন্তু রাশিয়ান মেডভেদেভ এতো সহজে হার মানার বান্দা নন। প্রতিটা পয়েন্টের জন্য নাদালের কড়া পরীক্ষা নিলেন।

কিছু ড্রপ শট ফিরিয়ে দিলেন অনবদ্য কোর্ট কভারেজ করে। ব্রেক পয়েন্ট আদায় করলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত নাদাল এগিয়ে গেলেন ৪-২ ব্যবধানে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রশ্ন ছিল ১৩ বছর পর দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিততে পারবেন নাদাল? এতটাই লড়াই করলেন মেডভেদেভ। জল পানের বিরতির সময় ফিজিওকে ডেকে মাসাজ করালেন পায়ে। ব্রেক করলেন নাদালকে। যেন মৃত্যুর মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়ালেন।

কিন্তু চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত ৬-৫ এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য সার্ভিস ধরে রাখলেন নাদাল। শেষ পর্যন্ত আর হাত থেকে ম্যাচ বের হতে দেননি। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ ঘন্টার লড়াই শেষে টেনিসের এভারেস্টে পা রাখলেন রাফায়েল নাদাল।

পেছনে ফেলে দিলেন রজার ফেডেরার এবং নোভাক জোকোভিচকে।চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মুখে হাত চাপা দিয়ে কিছুক্ষণ যেন অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে ছিলেন নাদাল। আনন্দাশ্রু বেরিয়ে এল চোখ দিয়ে। ইতিহাসের রাতে তারা হয়ে জ্বলে উঠলেন রাফায়েল নাদাল।

Nadal vs Medvedev : অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে নাদালের রেকর্ড থামানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার মেদভেদেভ

#মেলবোর্ন: তার প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রজার ফেডেরার এবং নোভাক জোকোভিচ নেই এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। তাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে অন্যতম ফেভারিট রাফায়েল নাদাল। ঝড়ের গতিতে এগিয়ে চলেছেন স্প্যানিশ তারকা। ৩৫ বছরের রাফায়াল নাদালের সামনে স্রেফ উড়ে গেলেন ২৫ বছরের মাত্তেয়ো বেরেত্তিনি। সেমিফাইনালে স্প্যানিশ তারকা জিতলেন ৬-৩, ৬-২, ৩-৬, ৬-৩ সেটে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে ২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী নাদাল।

আরও পড়ুন – Karthik on Ravindra Jadeja : জাদেজা দলে ফিরলেই ভারসাম্য ফিরে পাবে ভারত, বলছেন দীনেশ কার্তিক

লম্বা র‍্যালি আর তার পর বেরেত্তিনির শট এসে থমকে গেল নেটে। নাদালের মুখে চওড়া হাসি। কয়েক মুহূর্ত স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন দর্শকের দিকে তাকিয়ে। তার পর হাওয়ায় ঘুষি মারতে শুরু করলেন। তিনি যে পেরেছেন। ৩৫ বছর বয়সে ২৫-এর এক তরুণকে হেলায় হারিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে। যে গতিতে তিনি এগচ্ছেন তাতে ফাইনালে ২১ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম যে সহজে হাতছাড়া হতে দেবেন না তা বলাই যায়।

শুক্রবার প্রথম সেট জিততে সময় নিয়েছিলেন মাত্র ৪৩ মিনিট। আরও কম সময় নিয়েছিলেন দ্বিতীয় সেট জিততে। তৃতীয় সেটে হারলেও শেষ সেটে প্রায় দাঁড়াতে দেননি বেরেত্তিনিকে। এবার অপেক্ষা ফাইনালের। শুক্রবার রাতে অন্য সেমিফাইনালে খেলতে নেমেছিলেন স্টিফানোস সিৎসিপাস এবং দানিল মেদভেদেভ। আড়াই ঘন্টার লড়াইয়ে জিতলেন মেদভেদেভ।

গ্রিক সিৎসিপাসকে হারিয়ে দিলেন ৭-৬(৫), ৪-৬, ৬-৪, ৬-১ ব্যবধানে। প্রথম থেকেই দুর্দান্ত সার্ভিস, ফরহ্যান্ড এবং নেট প্লে দেখা গেল রুশ টেনিস তারকার খেলায়। একটা সময় আম্পায়ারকে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করতে দেখা যায় তাকে। আসলে তিনি সার্ভিস করার সময় সিৎসিপাসের কোচিং স্টাফদের থেকে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য উড়ে আসছিল। কিন্তু দ্রুত নিজের আবেগ সামলে নেন। এক বছর আগেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠে নোভাক জোকোভিচের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিলেন মেদভেদেভ।

চতুর্থ সেটে এদিন সিৎসিপাসকে দুবার ব্রেক করেন রাশিয়ান টেনিস তারকা। বেশ কিছু লম্বা রালি চলে। বুদ্ধি করে কিছু ড্রপ শট খেলতে দেখা যায় মেদভেদেভকে। বিশ্বের দুই নম্বর মেদভেদেভকে এত সহজে জিততে দেবেন গ্রিসের সিৎসিপাস বোঝা যায়নি। শেষদিকে যেন তিনি হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন।

ম্যাচ শেষে মেদভেদেভ জানালেন মাঝে একটা দিন বিশ্রাম নিয়ে রবিবার নিজের সেরা টেনিস তুলে ধরতে চান নাদালের বিরুদ্ধে। পারবেন কি স্প্যানিশ তারকার রেকর্ড ২১ তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন হওয়া আটকাতে? রুশ তারকা বলছেন ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে তিনি এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী। রবিবার আধুনিক যুগের অন্যতম সেরার বিরুদ্ধে কোর্টে নামবেন। এটাই তার মোটিভেশন।

Rafael Nadal Australian Open: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে সহজেই পৌঁছলেন নাদাল, বার্টি এবং ওসাকা

 

#মেলবোর্ন: বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে হাঁটুর চোট থেকে সেরে ওঠার জন্য অংশগ্রহণ করেননি রজার ফেডেরার। ভিসা বিতর্কে ছিটকে গিয়েছেন নোভাক জোকোভিচ। তাই অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতার বিচারে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেরা দাবিদার রাফায়েল নাদাল এটা বোঝার জন্য টেনিস পন্ডিত হওয়ার দরকার নেই। প্রথম ম্যাচ স্ট্রেট সেটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও হেসে খেলে জিতলেন তিনি।

আরও পড়ুন – IPL Mega Auction 2022: মেগা নিলামের আগেই কেএল রাহুল, রবি বিষ্ণোই, স্টোয়েনিসদের তুলে নিল লখনউ

স্কোরলাইন স্ট্রেট সেট বললেও লড়াই অবশ্য হয়েছে। জার্মান প্রতিপক্ষ ইয়ানিক হ্যানাফম্যান’কে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছলেন রাফায়েল নাদাল। ২০২১-এর অগস্টের পর নাদালের এটা দ্বিতীয় টুর্নামেন্ট। বছরের প্রথম গ্ল্যান্ডস্ল্যামের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছনোর জন্য নিজের ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছতে হয়নি তাঁকে।

আরও পড়ুন – Viral Video: চোখের সামনে লেওয়ানডস্কি নিয়ে গেলেন বর্ষসেরার পুরস্কার, মেসি যা করলেন, দেখুন

বিশ্ব ক্রমতালিকায় ১২৬-এ জার্মান প্রতিপক্ষকে রড লেভার এরিনায় ৬-২, ৬-৩ এবং ৬-৪ ব্যবধানে হারান তিনি। হেরে গেলেও নাদালের বিরুদ্ধে সীমিত ক্ষমতায় ভালই লড়াই করেছেন জার্মানির এই প্রতিপক্ষ। বুধবারে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে দু’টি ব্রেক পয়েন্ট বাঁচিয়েছেন নাদাল। এই দুই ক্ষেত্রে মোট চারবার হ্যানাফম্যানের সার্ভিস ব্রেক করান তিনি।

দুই ঘণ্টা ৪২ মিনিটের লড়াই শেষে নাদাল বলেন, রোলা গারোঁয় খেলার ফলে আমি জানতাম কতটা ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ ও। থানাসির বিরুদ্ধে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ওর রেজাল্টাই বলে দেয় সেরা ছন্দে রয়েছে হ্যানাফম্যান। দুর্দান্ত খেলেছে ও। ওর সার্ভিস যথেষ্ট ভাল এবং যোগ্যতা রয়েছে ভাল খেলোয়াড় হওয়ার। ওর যা র্যাঙ্কিং তার থেকে অনেক উন্নতিমানে টেনিস খেলেছে।

তৃতীয় রাউন্ডে অলিম্পিকে রূপো জয়ী কারেন খাচেনোভ বা বেঞ্জামিন বোঞ্জির বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবেন নাদাল। সেই ম্যাচে নামার আগে ফোরহ্যান্ডের আনফোর্স এরেরগুলি শুধরে নিতে চান এই স্প্যানিয়ার্ড। গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন নাদাল। শেষ আটের লড়াইয়ে প্রথম দুই সেট জিতেও পাঁচ সেটের থ্রিলারে স্টিফানোস স্টিথিপাসের বিরুদ্ধে হেরে যান নাদাল।

এর আগে দুই সেটে এগিয়ে গিয়ে ম্যাচ হারার নজির আর এক বারই রয়েছে নাদালের। অপর দিকে, মহিলাদের সিঙ্গলসে বিশ্ব ক্রমতালিকায় শীর্ষে থাকা অ্যাশলিগ বার্টি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ইতালির প্রতিপক্ষ লুসিয়া ব্রোঞ্জেতি’কে ৬-১, ৬-১ ব্যবধানে পরাজিত করেন। ম্যাচটি শেষ করতে মাত্র ৫৪ সময় লাগে অস্ট্রেলীয় ওপেনের শীর্ষ বাছাইয়ের।

তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে শুক্রবার কামিলা জিওর্জির মুখোমুখি হবেন বার্টি। কামিলা টুর্নামেন্টে ৩০ নম্বর বাছাই হলেও এই মুহূর্তে স্বপ্নের ছন্দে রয়েছেন তিনি। চে্ক প্রজাতন্ত্রের প্রতিপক্ষ তেরেজা মারিতিনকোভা’কে ৬-২, ৭-৬ (৭-২) ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছেছেন তিনি। মহিলাদের অন্য ম্যাচে নাওমি ওসাকা ৬-০, ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়েছেন আমেরিকার ম্যাডিসন ব্রেঙ্গেলকে।