পুরুলিয়া : পর্যটন মানচিত্রে এখন অন্যতম লাল মাটির জেলা পুরুলিয়া। সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে এই জেলায়। ছোট বড় নানান ধরনের হোমস্টে, রেসর্ট, হোটেল গড়ে উঠেছে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়কে কেন্দ্র করে। কিন্তু তার মধ্যেই চোখে পড়ার মতো আকর্ষণীয় জায়গা নিয়েছে এই বেসরকারি বিলাসবহুল চার তারা রেসর্ট।
অন্দরমহল থেকে পরিষেবা এতখানি চোখ ধাঁধানো সুন্দর আর ঝাঁ চকচকে যা দেখলে বোঝা দায় পুরুলিয়া নাকি কলকাতা শহরের কোনও বিলাসবহুল রেসর্ট। সেখানে রয়েছে ১০৬টি রুম, ১oটি প্রাইভেট পুল ভিলা, কমন সুইমিং পুল, মিনি গলফ, বোটিং, আর্টিফিসিয়াল বিচ সাইড।
এছাড়াও মিলবেইন ডোর গেমস, কিডস সেকশন, প্লে গ্রাউন্ড, ফিসিং ডেক, মন্দির, মাল্টিপল কোর্ট, মর্নিং নেচার ওয়াক, ইভিনিং ফান গেমস। রেস্টুরেন্ট, কনফারেন্স হল, স্যালো, জিম, ওয়েডিং অ্যান্ড কর্পোরেট ইভেন্টস, ইলেকট্রনিক ভেহিকেল চারজিং ব্যবস্থা-সহ একাধিক আয়োজন রয়েছে এখানে।
পাশাপাশি রয়েছে চাইনিজ, নর্থ ইন্ডিয়ান, সাউথ ইন্ডিয়ান, কন্টিনেন্টাল, লেবানিজ, জাপানি সুসি, বেঙ্গলি ডিস, মানভূম এন্ড ট্রাইবাল ডিস, তন্দুর খানার এলাহী আয়োজন। এক কথায় বলা যায় অতিথিদের জন্য রাজকীয় আয়োজন রয়েছে এই রেসর্টে। বিরাট গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকলেই যেন এক সব পেয়েছির আসরে পৌঁছে গেলেন আপনি। একদিকে প্রকৃতি অন্যদিকে উন্নত মানের পরিষেবা সব নিয়ে যেন আপনার মন জয় করতে বদ্ধ পরিকর এখানে।
এ বিষয়ে ওই বেসরকারি সংস্থার ডাইরেক্টর কুশল আগারওয়াল বলেন, পুরুলিয়া হল দক্ষিণবঙ্গের এমন একটি জায়গা যেখানে শিল্প সংস্কৃতিকে মানুষ নতুন করে আবিষ্কার করতে চায়। মাওবাদী দমনের পর পুরুলিয়া পর্যটনের অন্যতম ভূমিকা পালন করছে এই বাংলায়। মানভূমির মাটির সঙ্গে এখানের ঐতিহ্য শিল্প সংস্কৃতি সবটাই জড়িয়ে রয়েছে তাই আমরা এখানে এই বিলাসবহুল আয়োজনের করেছি। যাতে পুরুলিয়াকে কেউ আর পিছিয়ে পড়া জেলা না বলতে পারে এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
অযোধ্যা পাহাড়ে প্রতিনিয়তই গড়ে উঠছে একের পর এক হোটেল, রেসর্ট হোমস্টে। কিন্তু এই বেসরকারি রেসর্টের মত এত বড় জায়গা অযোধ্যা পাহাড়তলীতে এখনও পর্যন্ত আর হয়নি। এখানে বড়, বড় বিজনেস ইভেন্ট থেকে শুরু করে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং সবই চলে নিয়মিত। এক কথায় প্রত্যন্ত জেলার চিত্রটাই অনেকখানি পাল্টে যাচ্ছে এই রেসর্টের কল্যাণে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানও হচ্ছে। শুধু বাংলা নয় পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকেও মানুষ উইকেন্ড ট্যুরে ছুটে আসছেন কুশলপল্লির টানে। আসছেন বিদেশী পর্যটকরাও।
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়