Tag Archives: bael fruit

North 24 Parganas News: অভিনব এই কৌশলেই পাকানো হয় কাঁচা বেল! জানুন পদ্ধতি

রুদ্রনারায়ণ রায়,  উত্তর ২৪ পরগনা: চাঁদিফাটা রোদ্দুরে শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেকেই বেলের শরবত খেয়ে থাকেন এই সময়ে। ফলে সারা বছরের তুলনায় গরমে বাড়ে বেলের চাহিদা। গাছপাকা এত বেল তো আর বাজারে পাওয়া সম্ভব নয়। তবে জানেন কি, অভিনব এই পদ্ধতিতেই কাঁচা বেল পাকানো হয়! উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর বিধানসভার রন্ধনগাছা এলাকার অধিকাংশ পরিবারের ব্যবসা কাঁচা বেল পাকানোর ৷ এখানে সারাবছরই বেলের চাহিদা থাকে৷ তবে গ্রীষ্মকালে বেলের সরবতের জন্য বহু অংশে বেড়ে যায় চাহিদা।

এইখানকার পাকানো বেল পৌঁছে যায়, জেলা, রাজ্য তথা ভিন রাজ্যের বিভিন্ন বাজারেও। কাঁচা বেল পাকানোর পদ্ধতি অন্যান্য ফলের মতো নয়। এর পদ্ধতি অনেকটাই আলাদা৷ বাড়ির সামনে বড় উঠোনে মাটির তলায় গুহার মত বড় গর্ত করা হয়। ওই গুহায় সারি সারি বেল রাখা হয়৷ এক একটা গুহায় প্রায় তিন হাজার বেল ধরে। গুহার উপর ছোট ছোট গর্ত করা হয়৷ গোবরের ঘুঁটে ভেঙে তুষ মিশিয়ে গুহার ভিতরে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ভাবেই জ্বলতে থাকে সাত দিন। তারপর বেল বের করা হয়।

আরও পড়ুন : বিশ্বমঞ্চে তুলি-কালি-কলমে বাজিমাত বঙ্গসন্তানের! ব্রাজিলের জাদুঘরে সম্মানিত হবেন বাঁকুড়ার ‘বঙ্কু ডাক্তার

এই সাতদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে মাটির গুহার উপরের ঢাকনা খুলে দেখে নেওয়া হয়, যে বেলগুলিতে রঙ ধরেছে কিনা৷ শুধু যে আগুনের তাপে বেল পাকছে তেমনটা নয়, ঘুটে ও তুষের সঙ্গে কার্বাইডও ব্যবহার করা হয়। এতে বেলের পাকা রঙ আসে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। বেল পাকানোর ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের কাছে প্রথমে কাঁচা বেল আসে৷ সেই বেলগুলি ভাল করে ধুয়ে নিয়ে পাকানোর পদ্ধতি চলে।

জানা গিয়েছে, বেল আসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। রাজ্যের বাইরে থেকেও আসে, কিন্তু পাকানোর পর বেল বেশির ভাগ চলে যায় কলকাতার বাজারে। উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর বিধানসভার রন্ধনগাছা এলাকার প্রায় ৩০০ পরিবার এই ব্যবসায় যুক্ত৷ এক একটি বাড়িতে প্রচুর কর্মচারীও কাজ করেন। এভাবেই কাঁচা বেল পাকিয়ে সংসার চলে রন্ধনগাছা গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের।

Bael Fruit in Blood Sugar: বেলের শরবত কি ব্লাড সুগারে খাওয়া ক্ষতিকর? বেল খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে? জানুন বিশদে

পুজো পার্বণে উপবাসের দিন তো বটেই। গরমকালে আরাম পেতে বেলপানার জুড়ি নেই।
পুজো পার্বণে উপবাসের দিন তো বটেই। গরমকালে আরাম পেতে বেলপানার জুড়ি নেই।

 

ওষধি ও ভেষজ গুণের জন্য বেলের উপকারিতার শেষ নেই। নানা খাদ্যগুণের জন্য বেল ডায়েটে রাখা যায়।
ওষধি ও ভেষজ গুণের জন্য বেলের উপকারিতার শেষ নেই। নানা খাদ্যগুণের জন্য বেল ডায়েটে রাখা যায়।

 

শরবত, মোরব্বা-সহ নানা স্বাদে খাওয়া যায় এই উপকারী শ্রীফলকে। গরমে বেলপানা খেলে ভাল থাকে শরীর ও মন দুই-ই। বলছেন পুষ্টিবিদ নিকিতা কোহলি।
শরবত, মোরব্বা-সহ নানা স্বাদে খাওয়া যায় এই উপকারী শ্রীফলকে। গরমে বেলপানা খেলে ভাল থাকে শরীর ও মন দুই-ই। বলছেন পুষ্টিবিদ নিকিতা কোহলি।

 

বেলে ভিটামিন এ আছে৷ ফলে চোখের নানা সমস্যায় কার্যকর হয় এই ফল৷ উপশম হয় চোখের বিভিন্ন রোগের৷ বেলের প্রধান গুণ হল এটা পেট ঠান্ডা রাখে৷ গরমের সময় বেলের শরবত বা বেলের পানা খেলে শরীরে ক্লান্তিভাব দূর হয়৷
বেলে ভিটামিন এ আছে৷ ফলে চোখের নানা সমস্যায় কার্যকর হয় এই ফল৷ উপশম হয় চোখের বিভিন্ন রোগের৷ বেলের প্রধান গুণ হল এটা পেট ঠান্ডা রাখে৷ গরমের সময় বেলের শরবত বা বেলের পানা খেলে শরীরে ক্লান্তিভাব দূর হয়৷

 

কাঁচা বেলের গুণে উপশম হয় পুরনো আমাশয় এবং ডায়রিয়া অসুখে। কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ অন্যান্য পেটের অসুখ রোধ করে বেলের পুষ্টিগুণ।
কাঁচা বেলের গুণে উপশম হয় পুরনো আমাশয় এবং ডায়রিয়া অসুখে। কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ অন্যান্য পেটের অসুখ রোধ করে বেলের পুষ্টিগুণ।

 

পাইলস বা অর্শের সমস্যা থাকলেও নিয়মিত বেল খান। পাবেন উপকার ও উপশম।
পাইলস বা অর্শের সমস্যা থাকলেও নিয়মিত বেল খান। পাবেন উপকার ও উপশম।

 

জন্ডিস, আলসার, আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাতের সমস্যাতেও কার্যকর বেলের রস। রক্ত পরিষ্কার রাখে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।
জন্ডিস, আলসার, আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাতের সমস্যাতেও কার্যকর বেলের রস। রক্ত পরিষ্কার রাখে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।

 

 ব্লাড সুগারেও বেল খেতে পারবেন। তবে তাঁদের বেলপানায় চিনির বিকল্প কিছু ব্যবহার করতে হবে। নয়তো চিনি ছাড়া খেতে পারলে খুবই ভাল।
ব্লাড সুগারেও বেল খেতে পারবেন। তবে তাঁদের বেলপানায় চিনির বিকল্প কিছু ব্যবহার করতে হবে। নয়তো চিনি ছাড়া খেতে পারলে খুবই ভাল।

 

বেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায় না। টাইপ টু ডায়াবেটিসে বেল নিয়মিত খান। এই ফলের ফাইবার ও খনিজ বেশ উপকারী।
বেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায় না। টাইপ টু ডায়াবেটিসে বেল নিয়মিত খান। এই ফলের ফাইবার ও খনিজ বেশ উপকারী।

 

ডায়াবেটিসে বেল উপশমকারী। ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা বশে রাখে।
ডায়াবেটিসে বেল উপশমকারী। ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা বশে রাখে।