Tag Archives: Bankura University

University Job News: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষতার সুযোগ! সামনেই ইন্টারভিউয়ের দিন! কবে, কোথায়? জানুন বিশদে

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: এবার চাকরির সুযোগ বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে! তাও আবার শিক্ষকতার সুযোগ। সম্প্রতি এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নিয়োগ-বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করা হবে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে এবং এই জন্য আগে থেকে কোনও আবেদনপত্র পাঠানোর প্রয়োজন নেই।

বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের জন্য এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।এই বিভাগে নিয়োগ হবে “স্পেশ্যাল লেকচারার” পদে।যদিও বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শূন্যপদ এবং আবেদনকারীদের বয়ঃসীমা এই দুই বিষয়ে বিশেষ কিছু জানানো হয়নি। তবে বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা রয়েছে ,পদার্থবিদ্যা বিভাগে স্পেশ্যাল লেকচারাররা যে ক’টি ক্লাস নেবেন, সেই ক্লাস অনুযায়ী এবং প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে তাঁদের পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।

উল্লিখিত পদে আবেদন জানাতে প্রার্থীদের পদার্থবিদ্যা নিয়ে এমএসসিতে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে সঙ্গে, তাঁদের পদার্থবিদ্যায় নেট ও সেট উত্তীর্ণ হওয়া দরকার। ইন্টারভিউয়ের সময় উল্লেখ করে দেওয়া আছে বিজ্ঞপ্তিতে।আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে স্পেশাল লেকচারার নিয়োগের ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করা হবে।

আরও পড়ুন : ২ সবুজ সবজি, ২ সবুজ ফলের রসেই ধুয়েমুছে সাফ ইউরিক অ্যাসিড! নিংড়ে বার করবে ব্যথার শিকড়ও! কীভাবে খাবেন, জেনে নিন

ওই দিন প্রার্থীদের জীবনপঞ্জি সহ আবেদনপত্র এবং অন্যান্য নথি নিয়ে সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে যথাস্থানে উপস্থিত হতে হবে। এই বিষয়ে বিশদ জানতে আগ্রহীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (https://www.bankurauniv.ac.in/view-all-notifications/11) দেখে নিতে হবে অতি অবশ্যই।

Bankura University: বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে স্নাতকোত্তরের আবেদন, কোন কোন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ? জানুন বিস্তারিত

বাঁকুড়া: বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার অধীনস্থ কলেজগুলিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে খুব শীঘ্র। এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইটে একটি বিস্তারিত তথ্য পুস্তিকা অর্থাৎ ‘ইনফরমেশন বুকলেট’ প্রকাশ করা হয়েছে। ইনফরমেশন বুকলেট অনুযায়ী (২০২৪-’২৬) শিক্ষাবর্ষের ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। যেকোনও প্রচলিত মাধ্যম ছাড়াও সাঁওতালি মাধ্যমের জন্য রয়েছে বিভিন্ন কোর্সে স্নাতকোত্তর করবার সুযোগ। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে অনলাইন পদ্ধতিতে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ৩ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা এবং বিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করতে পারবেন পড়ুয়ারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অতি প্রচলিত মাধ্যম, সাঁওতালি মাধ্যমের পাশাপাশি যে সেলফ-ফিন্যান্সিং কোর্সগুলি রয়েছে সেগুলিতেও পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে জানানো হয়েছে। এমএ(MA) এমএসসি(MSC) এমএসডব্লিউ, এলএমএম, সুযোগ রয়েছে। বিষয়গুলি হল বাংলা, ইংরেজি, এডুকেশন, ইতিহাস, দর্শন, পদার্থবিদ্যা, সাঁওতালি, গণিত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রসায়ন, জিও-ইনফরমেটিক্স, উদ্ভিদবিদ্যা, ভূগোল, সোশ্যাল ওয়ার্ক, মিউজ়িক এবং আইন। এছাড়াও রয়েছে এমএ (জার্নালিজ়ম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন), ইন্টিগ্রেটেড ব্যাচেলর অফ লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স-মাস্টার অফ লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স। মাত্র ১০২টি সর্বাধিক আসন রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা,ইংরেজি এবং সাঁওতালি বিভাগে।

প্রথমেই শুরু করা যাক বাংলা দিয়ে। বাংলা বিভাগে ভর্তি হতে গেলে পড়ুয়াদের বাংলায় বিএ (অনার্স)- এ সর্বনিন্ম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতেই হবে। সংরক্ষিতদের জন্য ছাড় থাকবে কিছুটা। এইভাবে প্রতিটি প্রচলিত বিষয়ে রয়েছে নির্দিষ্ট মাপকাঠি। যা বুকলেট অনুসারে দেখে নিতে পারবেন। নীচে লিংক দেওয়া রইল।

অবশ্যই শিক্ষার্থীদের যেতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এবং সেখানে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি-সহ আবেদন জানাতে হবে। আবেদনের জন্য প্রয়োজন নেই অর্থের। ১৭ সেপ্টেম্বর আবেদনের শেষ দিন। বুকলেট অনুসারে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত বিভাগেই মেধার ভিত্তিতে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে।

এই লিংক ক্লিক করে জানুন বিস্তারিত- https://www.bankurauniv.ac.in/

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Bankura News: ‘স্বর্গের রথে’র সারথি পূজা, শববহন করে দিন বদলাচ্ছেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী

বাঁকুড়া: সাহসিকতার পরিচয় দিলেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। ভয় না পেয়ে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন গুরুদায়িত্ব। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি গাড়িচালক হিসেবেও কাজ করছেন। তবে যে সে গাড়ি নয়। বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির একটি শবদেহ বহনকারী গাড়ি চালাচ্ছেন পূজা মণ্ডল।

মানুষের অন্তিম যাত্রার সহায়ক হলেও ‘স্বর্গের রথ’ বা শববাহী গাড়িকে অবহেলার চোখেই দেখে সমাজ। বাঁকুড়াতেও রয়েছে নেতিবাচক উদাহরণ। সম্প্রতি বড়জোড়ার শব বহন করা গাড়িকে পেট্রোল দিতে চাননি পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা। টুকটাক কাজ যেমন,টায়ার সারানো কিংবা সার্ভিসিং করাতে গেলেও অনেক সময় এই গাড়িগুলির চালকদের বেগ পেতে হয়। সাধারণ মানুষের একাংশের চোখে এই গাড়িগুলি অপবিত্র এবং অস্পৃশ্য।

তা সত্ত্বেও হাসিমুখে এই কাজ করে চলেছেন ছাত্রী পূজা। কিন্তু কেন? জানা যায়, নেপথ্যে রয়েছে চমকপ্রদ একটি গল্প। ২০১৪ সালে গাড়িটি কেনা হয় সংগঠনের তরফে। তখন থেকে গাড়িটি চালাতে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল চালককে। পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে গিয়েও হয়েছে ঝামেলা। এছাড়াও সিট কভার লাগিয়ে দিতেও চাননি কোনও ব্যবসায়ী। বড়জোড়া ট্যাক্সি স্ট্যান্ডেই থাকত এই ‘স্বর্গের রথ’,কিন্তু কোনও ড্রাইভারই চালাতে চাইতেন না গাড়িটিকে। এর পর পূজা মণ্ডল বড়জোড়া ব্লাড ডোনার সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত হন এবং ২০১৮ সালে প্রথম রক্তদান করেন তিনি। তার পর ২০২১ সালে দুর্গাপুরে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করতে করতেই শবদেহ বহনকারী এই গাড়ির দায়িত্ব নেন পূজা। মূলত মানুষকে সচেতন করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত পূজার। তাঁর দাবি, আর পাঁচটা যানবাহনের মতই এটিও একটি স্বাভাবিক যান, কোনও অপবিত্র বস্তু নয়। এই চিন্তা থেকেই গাড়িটি চালানো শুরু করেন পূজা। এর পর ধীরে ধীরে চড়াই উতরাই পার করে,মানুষের মনের পরিবর্তন দেখেছেন তিনি। আগের মত আর গাড়িটি নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।

আরও পড়ুন: মিড ডে মিলে ড্রাগন ফল! স্কুলের ছাদবাগানের ফলনেই পুষ্টির জোগান ছাত্রদের

সমাজসেবা নিয়ে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছেন পূজা। পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন সচেতনতার প্রচার এবং সমাজ কল্যাণমূলক কাজ। বর্তমানে পূজার নাম অনেকেই জানেন। তাঁকে উদাহরণ হিসাবে মনে রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর থেকে শুরু করে ভাইস চ্যান্সেলর কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পর্যন্ত সকলেই এক ডাকে চেনেন পূজাকে। বড়জোড়ার বাড়িতে তাঁর বাবা-মাও তাঁকে নিয়ে গর্বিত। পূজার মা টুম্পা মণ্ডল বলেন,”আমার তো বেশ ভালই লাগে। প্রথম যখন আমার মেয়ে ঠিক করে যে গাড়িটা চালাবে,তখন খুব ভয় লাগত। এত বড় গাড়ি কি ও আদৌ চালাতে পারবে? তার পর ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়। এখন আমি খুব খুশি।”

বাঁকুড়ার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শুরু করে বড়জোড়ার রাস্তাঘাটে শবদেহ বহনকারী গাড়ি চালিয়ে যান পূজা। গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে শবদেহর স্ট্রেচার টেনে বাইরে আনা পর্যন্ত একা হাতেই সামলান সব কিছু। এতে ক্লান্তি নেই, দায়িত্ব নিতে পারায় জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করেন পূজা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী