Tag Archives: Lady

Why women get fat after marriage: ‘বিয়ের জল’ গায়ে পড়লেই কেন ওজন বাড়ে মেয়েদের? আসল কারণ জানুন

ভালবাসার মানুষ কাছে থাকলে মন খুশি থাকে। তাতে আগের চেয়ে স্বাস্থ্যবান হয়ে পড়েন অনেক যুগল। তবে কথায় বলে, বিয়ের পর নাকি বাঙালি মেয়েরা মোটা হয়ে যান, এর পেছনে রয়েছে কি কোনও গভীর কারণ?
ভালবাসার মানুষ কাছে থাকলে মন খুশি থাকে। তাতে আগের চেয়ে স্বাস্থ্যবান হয়ে পড়েন অনেক যুগল। তবে কথায় বলে, বিয়ের পর নাকি বাঙালি মেয়েরা মোটা হয়ে যান, এর পেছনে রয়েছে কি কোনও গভীর কারণ?
বিয়ের পর নারী-পুরুষ উভয়েরই ওজন বাড়তে দেখা যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মহিলাদের ওজন বাড়ে বেশি। সমীক্ষা বলছে, পুরুষদের থেকে প্রায় আড়াই গুণ বেশি বাড়ে! একেই বলে বিয়ের জল গায়ে লাগা, বা ইংরেজিতে 'লাভ ওয়েট'।
বিয়ের পর নারী-পুরুষ উভয়েরই ওজন বাড়তে দেখা যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মহিলাদের ওজন বাড়ে বেশি। সমীক্ষা বলছে, পুরুষদের থেকে প্রায় আড়াই গুণ বেশি বাড়ে! একেই বলে বিয়ের জল গায়ে লাগা, বা ইংরেজিতে ‘লাভ ওয়েট’।
অনেকের ধারণা, বিয়ের পর নিয়মিত শারীরিক মিলনই এই ওজন বৃদ্ধির কারণ। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। চিকিৎসক শ্যাম মিথিয়া জানান, বিয়ের পর হ্যাপি হরমোন বা সেরোটোনিন বেশি নিঃসৃত হয়। এই হরমোনের ক্ষরণে জেল্লা আসতে পারে। তবে ওজন বাড়ার জন্য অন্য কিছু দায়ী।
অনেকের ধারণা, বিয়ের পর নিয়মিত শারীরিক মিলনই এই ওজন বৃদ্ধির কারণ। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। চিকিৎসক শ্যাম মিথিয়া জানান, বিয়ের পর হ্যাপি হরমোন বা সেরোটোনিন বেশি নিঃসৃত হয়। এই হরমোনের ক্ষরণে জেল্লা আসতে পারে। তবে ওজন বাড়ার জন্য অন্য কিছু দায়ী।
মানুষ ভালবাসা পেলে নিরাপদ বোধ করে। সুখী হয়। তখন তার খাবারের প্রতিও আকর্ষণ বাড়ে। বিশেষ করে মিষ্টি ও ভাজাভুজি এবং জাঙ্কফুড বেশি খাওয়া হয়। সিঙ্গল থাকার সময় মেয়েরা যতটা সতর্ক থাকেন, বিয়ের পর আর থাকেন না, তাই এমন হয় বলে জানান চিকিৎসক।
মানুষ ভালবাসা পেলে নিরাপদ বোধ করে। সুখী হয়। তখন তার খাবারের প্রতিও আকর্ষণ বাড়ে। বিশেষ করে মিষ্টি ও ভাজাভুজি এবং জাঙ্কফুড বেশি খাওয়া হয়। সিঙ্গল থাকার সময় মেয়েরা যতটা সতর্ক থাকেন, বিয়ের পর আর থাকেন না, তাই এমন হয় বলে জানান চিকিৎসক।
স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বেশি রেস্তোরাঁয় যান বিয়ের পর, তাতেও নিয়মিত বাইরের খাবার খেয়ে ওজন বাড়ে। বিয়ের পর ঘন ঘন পার্টি হলে বাড়িতেও কোল্ড ড্রিঙ্কস, মদ, মিষ্টি এবং স্ন্যাকস খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে।
স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বেশি রেস্তোরাঁয় যান বিয়ের পর, তাতেও নিয়মিত বাইরের খাবার খেয়ে ওজন বাড়ে। বিয়ের পর ঘন ঘন পার্টি হলে বাড়িতেও কোল্ড ড্রিঙ্কস, মদ, মিষ্টি এবং স্ন্যাকস খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে।
বিয়ের পর সংসারের দায়িত্ব বাড়লে কিছু ক্ষেত্রে মানসিক চাপ বাড়ে এবং ঘুম কমে। অভ্যাস বদলে সামগ্রিক ভাবে ওজন বাড়ে। বাকিটা পারিবারিক ধাত। মায়ের ওজন বিয়ের পর বেড়ে থাকলে মেয়েরও বাড়ে এমনটাই দেখা গিয়েছে।
বিয়ের পর সংসারের দায়িত্ব বাড়লে কিছু ক্ষেত্রে মানসিক চাপ বাড়ে এবং ঘুম কমে। অভ্যাস বদলে সামগ্রিক ভাবে ওজন বাড়ে। বাকিটা পারিবারিক ধাত। মায়ের ওজন বিয়ের পর বেড়ে থাকলে মেয়েরও বাড়ে এমনটাই দেখা গিয়েছে।

Bankura News: ‘স্বর্গের রথে’র সারথি পূজা, শববহন করে দিন বদলাচ্ছেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী

বাঁকুড়া: সাহসিকতার পরিচয় দিলেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। ভয় না পেয়ে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন গুরুদায়িত্ব। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি গাড়িচালক হিসেবেও কাজ করছেন। তবে যে সে গাড়ি নয়। বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির একটি শবদেহ বহনকারী গাড়ি চালাচ্ছেন পূজা মণ্ডল।

মানুষের অন্তিম যাত্রার সহায়ক হলেও ‘স্বর্গের রথ’ বা শববাহী গাড়িকে অবহেলার চোখেই দেখে সমাজ। বাঁকুড়াতেও রয়েছে নেতিবাচক উদাহরণ। সম্প্রতি বড়জোড়ার শব বহন করা গাড়িকে পেট্রোল দিতে চাননি পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা। টুকটাক কাজ যেমন,টায়ার সারানো কিংবা সার্ভিসিং করাতে গেলেও অনেক সময় এই গাড়িগুলির চালকদের বেগ পেতে হয়। সাধারণ মানুষের একাংশের চোখে এই গাড়িগুলি অপবিত্র এবং অস্পৃশ্য।

তা সত্ত্বেও হাসিমুখে এই কাজ করে চলেছেন ছাত্রী পূজা। কিন্তু কেন? জানা যায়, নেপথ্যে রয়েছে চমকপ্রদ একটি গল্প। ২০১৪ সালে গাড়িটি কেনা হয় সংগঠনের তরফে। তখন থেকে গাড়িটি চালাতে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল চালককে। পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে গিয়েও হয়েছে ঝামেলা। এছাড়াও সিট কভার লাগিয়ে দিতেও চাননি কোনও ব্যবসায়ী। বড়জোড়া ট্যাক্সি স্ট্যান্ডেই থাকত এই ‘স্বর্গের রথ’,কিন্তু কোনও ড্রাইভারই চালাতে চাইতেন না গাড়িটিকে। এর পর পূজা মণ্ডল বড়জোড়া ব্লাড ডোনার সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত হন এবং ২০১৮ সালে প্রথম রক্তদান করেন তিনি। তার পর ২০২১ সালে দুর্গাপুরে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করতে করতেই শবদেহ বহনকারী এই গাড়ির দায়িত্ব নেন পূজা। মূলত মানুষকে সচেতন করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত পূজার। তাঁর দাবি, আর পাঁচটা যানবাহনের মতই এটিও একটি স্বাভাবিক যান, কোনও অপবিত্র বস্তু নয়। এই চিন্তা থেকেই গাড়িটি চালানো শুরু করেন পূজা। এর পর ধীরে ধীরে চড়াই উতরাই পার করে,মানুষের মনের পরিবর্তন দেখেছেন তিনি। আগের মত আর গাড়িটি নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।

আরও পড়ুন: মিড ডে মিলে ড্রাগন ফল! স্কুলের ছাদবাগানের ফলনেই পুষ্টির জোগান ছাত্রদের

সমাজসেবা নিয়ে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছেন পূজা। পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন সচেতনতার প্রচার এবং সমাজ কল্যাণমূলক কাজ। বর্তমানে পূজার নাম অনেকেই জানেন। তাঁকে উদাহরণ হিসাবে মনে রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর থেকে শুরু করে ভাইস চ্যান্সেলর কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পর্যন্ত সকলেই এক ডাকে চেনেন পূজাকে। বড়জোড়ার বাড়িতে তাঁর বাবা-মাও তাঁকে নিয়ে গর্বিত। পূজার মা টুম্পা মণ্ডল বলেন,”আমার তো বেশ ভালই লাগে। প্রথম যখন আমার মেয়ে ঠিক করে যে গাড়িটা চালাবে,তখন খুব ভয় লাগত। এত বড় গাড়ি কি ও আদৌ চালাতে পারবে? তার পর ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়। এখন আমি খুব খুশি।”

বাঁকুড়ার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শুরু করে বড়জোড়ার রাস্তাঘাটে শবদেহ বহনকারী গাড়ি চালিয়ে যান পূজা। গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে শবদেহর স্ট্রেচার টেনে বাইরে আনা পর্যন্ত একা হাতেই সামলান সব কিছু। এতে ক্লান্তি নেই, দায়িত্ব নিতে পারায় জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করেন পূজা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Bengali News: বেলপাড়া নিয়ে দুই ভাইয়ের ঝামেলা, থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল পাশের বাড়ির মহিলার

মালদহ: গাছের বেল পাড়া নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে চরম ঝামেলা। আর তারই বলি হলেন প্রতিবেশী মহিলা। দীর্ঘক্ষণ ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ চলছিল। সেই সময় প্রতিবেশী এক মহিলা ঝামেলা থামাতে এগিয়ে আসেন। তিনি এক ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলায় অপরজন ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই মহিলাকে বেধড়ক বাঁশপেটা করেন বলে অভিযোগ। আর তাতেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার ঘটনাটি কালিয়াচকের।

আর‌ও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ মরে ভাসছে, দুর্গন্ধে নাজেহাল বহরমপুরবাসী

মৃত মহিলার নাম আনজারা বিবি (৪৫)। মঙ্গলবার সন্ধেয় মালদহের কালিয়াচক থানার বালিয়াডাঙা আনসারি পাড়ায় গাছ থেকে বেল পাড়াকে কেন্দ্র করে আনিকুল শেখ ও সানিকুল শেখ নামে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। রমজান মাস চলায় ঝামেলা করতে নিষেধ করেন তাঁদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় আনজারা বিবি। এতে আর‌ও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আনিকুল শেখ ও তাঁর পরিবার, এমনটাই দাবি প্রতিবেশীদের। তাঁরা ফোন মারফত আরও কয়েকজনকে ডেকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।

মৃত মহিলার বোন শাহনাজ বিবি বলেন, আমার দিদি রান্না করছিল। সেই সময় প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের বিবাদ শুরু হয় বেল পাড়া নিয়ে। আমার দিদি প্রতিবাদ করায় তার উপর চড়াও হয়ে বাঁশ দিয়ে মারধর করে। আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।‌ সেখানেই ওর মৃত্যু হয়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

জানা গিয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবার ও প্রতিবেশীরা মিলে আনজারা বিবিকে উদ্ধার করে সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কালিয়াচক থানার পুলিশ। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমেছে পুলিশ।

হরষিত সিংহ