বেশ কিছুদিন গরমের দাপট চলেছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে অস্বস্তিতে কেটেছে বঙ্গবাসীর। তবে বিগত কয়েকদিনের ঝড়বৃষ্টিতে মিলেছে খানিক স্বস্তি। কমেছে তাপের পারদও।
বিগত বেশ কিছু দিন বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে দেখা গিয়েছে জেলায়। এর ফলে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে জেলার মানুষেরা। তাপমাত্রার পারদ কমেছে জেলা পুরুলিয়াতেও।
সোমবার পুরুলিয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সূত্রে। ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়ার।
দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। পাশাপাশি ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে।
বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া থাকলেও কালবৈশাখীর সম্ভাবনা নেই। হালকা বৃষ্টি হবে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে। এছাড়া অন্যান্য জেলাগুলির আবহাওয়া মোটের উপর ভাল থাকবে।
অপরদিকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এইদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া চলবে।
বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী দুই দিনে তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে ধীরে ধীরে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে, দক্ষিণের জেলাগুলি থেকে। পুনরায় গরমের দাপট বাড়তে পারে।
দীর্ঘ দাবদাহের পরে গত সপ্তাহজুড়েই প্রায় বিরাজ করেছে স্বস্তির বৃষ্টি৷ কিন্তু, আর কতদিন বজায় থাকছে এই সুখের দিন? পরবর্তী সপ্তাহের আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানাল আলিপুর৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, রবিবারও রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কমবে ঝড়বৃষ্টির তীব্রতা। আগামী মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। সোমবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি উত্তর এবং দক্ষিণ দুই বঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকবে।
আজ, উত্তরবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশি।
তাপমাত্রা বাড়লেও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাপপ্রবাহের কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী তিনদিন স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের নীচে থাকবে। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কমবে; তাপমাত্রা বাড়তে পারে। পরবর্তী তিন দিনে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মৎস্যজীবীদের জন্য কোনও সতর্কবার্তা নেই।
পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অক্ষরেখা মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। আরও একটি অক্ষরেখা বিহার থেকে ওড়িশা পর্যন্ত বিস্তৃত। যা ঝাড়খণ্ড ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে সকাল থেকেই মনোরম আবহাওয়া। আংশিক মেঘলা আকাশ। বেলা বাড়লে গরম ও অস্বস্তি বাড়বে। সন্ধে বা রাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। সঙ্গে দমকা ঝড়। মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ কমবে ; তাপমাত্রা বাড়বে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস বৃষ্টির সম্ভাবনা দুই জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা একটু বেশি।
সোমবার বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও কমবে। বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। এর সঙ্গে হালকা বাতাস। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে একটু বেশি। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাসের সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি।
মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমবে। ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রা। জেলায় জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটা কমে যাবে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি দু’এক জায়গায়। শুক্রবারের মধ্যে তিন থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে জেলায় জেলায়।
উত্তরবঙ্গে রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ একটু বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গের আট জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ কয়েক পশলা বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। দমকা ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে দু এক জায়গায়। পার্বত্য এলাকা ও সংলগ্ন এলাকায় বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে সোমবার থেকে। সোমবার দার্জিলিং, কালিম্পং সহ পার্বত্য এলাকায় হালকা ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলাতে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমতে পারে বলে ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির ক্ষেত্রে। তবে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-সহ পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে।
কলকাতায় সকালে মনোরম আবহাওয়া। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে। বেলা বাড়লে সূর্যের তাপে গরম অনুভূত হবে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও হবে। বিকেল বা রাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। তবে বৃষ্টির তীব্রতা কমবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে সোমবার পর্যন্ত।
কলকাতায় আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬০ থেকে ৯৩ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৩ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। বৃষ্টি হয়েছে সামান্য ২.১ মিলিমিটার।
তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকবে রাজস্থান ও গুজরাতে। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া।
ওড়িশায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি সঙ্গে শিলাবৃষ্টির দাপট মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, বিদর্ভ ও সংলগ্ন এলাকায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি সঙ্গে ঝেড়ো হাওয়া পাঞ্জাব, হরিয়াণা, চণ্ডীগড়, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে। রাজস্থানে ধুলিঝড়ের আশঙ্কা।
দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কেরল, মাহে পুদুচেরি সর্বত্র আগামী কয়েক দিন ভারীবৃষ্টির সম্ভাবনা।
উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা; অসম মেঘালয় মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরা রাজ্যে। অরুণাচল প্রদেশেও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা।
অবশেষে স্বস্তি মিলেছে গরমের দাপট থেকে। এবার ঝড় বৃষ্টির দাপটে কাঁপছে বাংলা। ফের আগামী দু’ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সর্তকতা একাধিক জেলায়।
শেষ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে৷ দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে ঝড় ও বৃষ্টি চলছে৷ তাপপ্রবাহের দাপট কমেছে অনেকটা৷ শনিবারও বৃষ্টি চলবে দাপটের সঙ্গে।
আগামী দু’ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সর্তকতা। কলকাতা ঝাড়গ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ঝড় বৃষ্টির সর্তকতা।
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা। বৃষ্টির সঙ্গে ৫০ কিলোমিটার দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সতর্কতা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
আগামী দু’ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সর্তকতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায় ঝড়বৃষ্টির সর্তকতা।
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সতর্কতা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
দক্ষিণের জেলাগুলিতেও রয়েছে বজবিদ্যুৎসহ ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা। আগামী দু’ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সর্তকতা ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।
ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বাজের সতর্কতা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ কিলোমিটার দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সতর্কতা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
শুক্রবারের উত্তরের আবহাওয়া উত্তরবঙ্গের আকাশ পরিষ্কার, পাহাড়ের একাংশ কুয়াশাচ্ছন্ন, হালকা ঠান্ডা, বৃষ্টির পূর্বাভাস।
শিলিগুড়ি — মেঘ আবার রোদের মিশেল। তাপমাত্রা ২২-২৪ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ পৌঁছতে পারে ৩০-এ। দার্জিলিং :: মেঘলা আকাশ। কোথাও কুয়াশায় মোড়া পাহাড়। আজও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে পাহাড়। তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ১৩-১৪ ডিগ্রি।
কালিম্পং — রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া। একাংশে হালকা মেঘ। তারই আড়ালে কাঞ্চনজঙ্ঘা। তাপমাত্রা ১৮-১৯ ডিগ্রি। জলপাইগুড়ি :: জলপাইগুড়িতে রোদ ঝলমলে পরিস্কার আকাশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ডুয়ার্স — মেঘলা আকাশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯° সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুরদুয়ার :: পরিষ্কার আকাশ। ঠান্ডা বাতাস। সর্বনিম্ন ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কোচবিহার — পরিষ্কার রৌদ্রজ্বল আকাশ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর দিনাজপুর :: রোদ ঝলমলে। হালকা মেঘের আনাগোনা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪-২৫ ডিগ্রি।
ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী। আগামী দু’ঘণ্টায় ফের বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সর্তকতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। কালবৈশাখীর সতর্কতা রয়েছে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী দু’ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্তকতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বিক্ষিপ্তভাবে কালবৈশাখীর সতর্কতা কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। প্রবল ঝড়বৃষ্টির সর্তকতাও রয়েছে।
স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে বাংলাজুড়ে। তবে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বাজ পড়া। বাজের শব্দ ভয় ধরায়। এমনকী বাজের জন্য বিপদেরও অন্ত থাকে না।
বজ্রপাতের সময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। বিশেষ করে বাড়ির ইলেকট্রনিক গেজেটস বাঁচানোই আসল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
আজ আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। বাজ পড়ার সময় কীভাবে বাড়ির টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান-সহ অন্য ইলেকট্রনিক গেজেটস বাঁচাতে হয়!
সবার আগে প্রতিটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র থেকে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। বাজ পড়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না। আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখলেই এই কাজটি সবার আগে করে ফেলতে হবে।
‘আর্থিং’ থাকলেও কিন্তু বাড়ির বৈদ্যুতিক যন্ত্র বাজ পড়ার সময় ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে সবার আগে।
বাজ পড়ার সময় কোনওভাবেই মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়া যাবে না। ফোনে একেবারে চার্জ না থাকলেও নয়।
যদি একান্তই ল্যাপটপে কাজ করতে হয় তা হলে আগে প্লাগ থেকে খুলে নিতে হবে। ব্যাটারিতে চালাতে হবে ল্যাপটপ।
বজ্রপাতের সময় ওয়াই ফাই ব্যবহার করবেন না। তাতে রাউটার খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
বাড়িতে ‘লাইটনিং অ্যারেস্টার’-এর ব্যবস্থা করা ভাল। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বাজ পড়ার প্রবণতা বেড়েছে।
*ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী। আগামী দু’ঘণ্টায় ফের বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সর্তকতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। কালবৈশাখীর সতর্কতা রয়েছে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনায়।
*আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী দু’ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্তকতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
*বিক্ষিপ্তভাবে কালবৈশাখীর সতর্কতা কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। প্রবল ঝড়বৃষ্টির সর্তকতাও রয়েছে।
*আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়।
*বৃষ্টির সঙ্গে ৫০/৭০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সতর্কতা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
*পূর্ব বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত। পূর্ব অসম থেকে উত্তর ওড়িশা পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে অপর একটি অক্ষরেখা। তার টানেই প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বৃষ্টিপাতের ও ঝড়ের আশঙ্কা। (বিশ্বজিৎ সাহা)
*রবিবার পর্যন্ত চলবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি। বৃহস্পতি ও শুক্রবার কালবৈশাখীর সম্ভাবনা। বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে। তারপর বৃষ্টি পরিমাণ কমবে বাড়বে তাপমাত্রা।
সোমবার থেকেই বদলেছে বাংলার আবহাওয়া। ঝড়বৃষ্টির পর কমেছে তাপমাত্রা। বুধবার আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রাজ্যজুড়েই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বেশিরভাগ জেলাতে দিনভর মেঘলা আকাশ থাকবে। দু-এক জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশ।
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া থাকবে। শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। শুক্রবার ফের কালবৈশাখীর সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে।
হাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা, সমুদ্রতট ও তীরবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায়। দু-এক জায়গায় দু-মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের। মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা থাকছে বুধবারও। আগামী ১২ ঘণ্টায় মৎস্যজীবীদের বাংলার উপকূলে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি লঞ্চ বা নৌকো একসঙ্গে না রাখার পরামর্শ।
ওড়িশা থেকে রাজস্থান পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে যেটি মধ্যপ্রদেশের উপর দিয়ে গিয়েছে। আরও একটি অক্ষরেখা যেটি বিদর্ভ থেকে তামিলনাড়ু পর্যন্ত বিস্তৃত। যা তেলেঙ্গানার উপর দিয়ে বিসতৃত। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে ৯ মে, বৃহস্পতিবার। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বাংলাদেশ, অসম ও মধ্যপ্রদেশে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। শুক্রবার ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া এই পাঁচ জেলাতে।
৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে এই জেলাগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও ঝড়ের সম্ভাবনা। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে। রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে।
উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দমকা ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে বলে ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের।
কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। সকালে মনোরম আবহাওয়া থাকলেও বেলা বাড়লে গরম অনুভূত হবে। বিকেল বা সন্ধেয় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল।
Heavy Rain Alert: একুশে ফেব্রুয়ারির দিন, অর্থাৎ বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হবে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া জেলাতে।
কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.২ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৭ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৬ থেকে ৯৫ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে অসম, মেঘালয়ে। অরুণাচল প্রদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা আগামী কয়েক দিন রয়েছে। অসম, মেঘালয় ছাড়াও উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আগামী কয়েকদিন। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কেরল, মাহে, পন্ডীচেরি সর্বত্র আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। (বিশ্বজিৎ সাহা)
সাধারণত আষাঢ় মাসের প্রথম দিক থেকে দিঘা সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়। তবে এবার বৈশাখ মাসেও সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে গার্ড ওয়ালের ওপর দিয়ে সৈকত সরণীতে। এমনিতেই গত কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে প্রবল দাবদাহ চলছিল। তারই মধ্যে সোমবার রাজ্যের বহু জায়গায় স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আবহাওয়া কিছুটা মনোরম হয়েছে। তারই মধ্যে দিঘায় জলোচ্ছ্বাস।
মঙ্গলবার কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রাজ্যের ১১ জেলায়। তিন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কালবৈশাখীর ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কয়েক জেলা ! রাজ্য জুড়েই আজ, মঙ্গলবার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
Posts navigation
Just another WordPress site