লাইফস্টাইল Curd Benefits: হাতের মুঠোয় থাকবে ডায়বেটিস-রক্তচাপ! দইয়ের সঙ্গে মেশান এক চামচ ‘এই’ গুঁড়ো! ডায়েটিশিয়ানের ‘স্পেশ্যাল’ টিপস জেনে নিন Gallery June 17, 2024 Bangla Digital Desk গরমে ওষ্ঠাগত মানুষজন। এই সময় মানুষের এমন অনেক জিনিসকে তাঁদের খাদ্যের অংশ করা উচিত যা পেট ঠান্ডা করতে পারে। দই এমন একটি জিনিস। হ্যাঁ, দইয়ের একটি শীতল প্রভাব রয়েছে, যা পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতে পারে। এই কারণেই মানুষ লস্যি, রাইতা-সহ নানাভাবে দই খায়। কিন্তু, দইয়ের সঙ্গে ভাজা জিরে মিশিয়ে খেয়েছেন কখনও? যদি না হয় তবে অবশ্যই এই মিশ্রণটি খাওয়া উচিত। এটি করলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার হতে পারে। এখন প্রশ্ন হল, ভাজা জিরে মিশিয়ে দই খেলে কি হয়? লখনউ রিজেন্সি হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান রিতু ত্রিবেদী এই বিষয়ে নিউজ 18 কে বলছেন- দইয়ে ভাজা জিরে খাওয়ার ৫টি আশ্চর্যজনক উপকারিতা আছে-পেটের জন্য উপকারী: ডায়েটিশিয়ান রিতু ত্রিবেদী বলেন, দই ও ভাজা জিরের মিশ্রণ পেটের জন্য খুবই উপকারী। তাই পেটে ব্যথা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম বা ক্ষুধামন্দার সমস্যা থাকলে দইয়ের সঙ্গে ভাজা জিরে মিশিয়ে খান। এতে করে পেট অবশ্যই শীতলতা পাবে। উপরন্তু, খিদে বাড়বে এবং খাবার দ্রুত হজম হবে। চোখের জন্য কার্যকরী: আপনার চোখের আলো বা ঝাপসা দেখা গেলেও দইয়ের সঙ্গে ভাজা জিরে মিশিয়ে খেতে পারেন। ভিটামিন এ দই এবং জিরে উভয়েই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে এই দুটি জিনিস আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। অম্বল থেকে মুক্তি: বিশেষজ্ঞদের মতে, দই এবং ভাজা জিরে অম্বল প্রশমিত করতে উপকারী। আসলে, দইয়ের একটি শীতল প্রভাব রয়েছে, যা দ্রুত জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষমতা রাখে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: দই ও ভাজা জিরের বিশেষত্ব হল ডায়াবেটিস রোগীরাও এটি খেতে পারেন। এই মিশ্রণ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। আসলে, দই এবং জিরে উভয়েরই অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন: ডায়েটিশিয়ানদের মতে, রক্তচাপের রোগীরাও দই ও ভাজা জিরে খেতে পারেন। দই এবং জিরেতে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় যা রক্তচাপকে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লাইফস্টাইল Weight Loss Tips: শরীরে মেদ ঝরবে ছুমন্তরে! ডায়েটে যোগ করুন এই ৪ ‘কালো’ খাবার! হুড়মুড়িয়ে কমবে ওজন Gallery June 1, 2024 Bangla Digital Desk ওজন কমানো খুবই কঠিন কাজ, এর জন্য ভারী ওয়ার্কআউট এবং কঠোর ডায়েট অনুসরণ করতে হবে। এখন প্রতিদিনের কাজ থেকে সময় বের করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে ঘাম ঝরানো সবার পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়াও ডায়েট চার্ট অনুসরণ করা এত সহজ নয়, তবে কিছু বিশেষ জিনিস খেয়ে আপনি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ভারতের বিখ্যাত পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নিখিল ভাতস বলেন, আমরা যদি কিছু কাল খাবার খাওয়া শুরু করি তাহলে আমাদের ওজন দ্রুত কমে যাবে। কালো চালআপনি সাদা এবং বাদামী চাল বহুবার খেয়েছেন, কিন্তু আপনি কি কখনও কালো চাল খেয়েছেন? এগুলি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী কারণ এতে অ্যান্থোসায়ানিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কালো চালে উপস্থিত ফাইবারের সাহায্যে শুধু ওজনই কমায় না, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমাতে পারে। কালো চাদুধ এবং চিনি দিয়ে তৈরি সাধারণ চায়ের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, পরিবর্তে আপনার কালো চা খাওয়া উচিত যাতে এতে উপস্থিত পলিফেনল কোষের ক্ষতি কমায়, খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করে। ব্ল্যাকবেরিব্ল্যাকবেরিতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর কালো রঙের ফল দিয়ে শুধু বেশি ওজনই কমানও যায় না। এ ছাড়া শরীরের ফোলাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি ত্বককেও সুন্দর করে। কালো জিরেশ্বাসকষ্টের সমস্যার কমাতেও হেঁসেলের এই মশলাটির জুড়ি মেলা ভার। এর পাশাপাশি কালো জিরে রক্তচাপ, খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শুধু বীজ নয়, কালো জিরের তেলও শরীরের জন্য সমান উপকারী। অতিরিক্ত ওজন রয়েছে যাদের, তাদের জন্য বেশ উপকারী এই কালো জিরে। ( (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
ব্যবসা-বাণিজ্য Cumin Seeds Price Hike: বেড়ে চলেছে জিরার দাম! গত ১০ দিনেই আকাশছোঁয়া, মশলার মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত Gallery May 9, 2024 Bangla Digital Desk মশলার বাজার এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত নয়। যার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় মশলার দাম সাধারণ মানুষের নাগালের প্রায় বাইরেই চলে যাচ্ছে। ভারতীয়রা খাবারের সঙ্গে মশলা ব্যবহার করে। কারণ মশলার খাদ্যগুণ অপরিসীম। গত বছর খুচরো বাজারে জিরের দাম প্রতি কেজি ৬০০-৭০০ টাকার বেশি হয়ে গিয়েছিল। সেই জিরের দাম পাইকারি দর হিসেবে ২৪০ টাকা পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। কিন্তু গত ১০ দিনে ধীরে ধীরে জিরের দাম পাইকারি বাজারে ৩০০ টাকা কেজিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হিসাবে খুচরো বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। জিরে আমদানি কারকদের বক্তব্য অনুযায়ী, জিরের চাহিদা দিনের পর দিন বাড়ছে। জিরে মূলত চাষ হয় রাজস্থান এবং গুজরাতে। তার সঙ্গে উত্তর প্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশেও কিছুটা চাষ হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছরে জিরে চাষের জমি বেড়েছে। যদিও যে পরিমাণে জোগানের প্রয়োজন, সেই পরিমাণে উৎপাদন নেই। অন্যদিকে জিরে মার্চেন্টদের বক্তব্য, জিরে চিনে রফতানি হচ্ছে। জিরে এমন একটি মশলা যা প্রতিটি মানুষ রান্নায় ব্যবহার করে। এছাড়াও ভেষজ ওষুধ তৈরি করতে প্রচুর পরিমাণে জিরে ব্যবহার হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বাজারে গোটা জিরের অভাব তৈরি হয়েছে। জিরে ইদানিং কালে মানবদেহে ওজন হ্রাসের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। জিরের আরও বেশ কিছু গুণ রয়েছে। যেমন ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। তবে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্স, স্পাইস বোর্ড’ এখনও পর্যন্ত জিরের দাম বাড়ার সম্পর্কে সেরকম কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। তবে গত বছর জিরের দাম সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সংশ্লিষ্ট দফতরটি উৎপাদন কম এবং বিদেশে রপ্তানির বিষয়টি জানিয়েছিল। তবে এবার আবার জিরের দাম প্রতিদিনই ১৫-২০ টাকা কেজিতে বাড়ার ফলে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে জিরে ব্যবসায়ীরা। জিরের দাম বাড়লে জিরেতে ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যার ফলে সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্য মুল্য থেকে বঞ্চিত থাকবে।