Tag Archives: Buddhadeb Bhattacharjee

Buddhadeb Bhattacharjee Death: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনাবসান… ৮০ বছর বয়সে প্রয়াত বাম জমানার শেষ মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা: বামশাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনাবসান। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ৮.২০ নাগাদ তিনি প্রয়াত হন।

গত ২৯ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। গত ৯ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এরপর ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে মারাত্মক রকমের সংক্রমণও ধরা পড়ে তাঁর। ফের আচমকা আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন।

২০২১-এর মে মাসের মাঝামাঝি কোভিডে আক্রান্ত হন। একই সময় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও। পরে অবশ্য দু’জনেই কোভিড নেগেটিভ হয়ে ফেরেন কিছু দিনের মধ্যে। ক’দিন ধরে জ্বর ছিল। গতকাল রক্তপরীক্ষাও করা হয়, রিপোর্টে সেরকরম কিছু পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে স্যাচুরেশন খুব দ্রুত কমে যাওয়ায় মীরাদেবী তাঁর পারিবারিক চিকিৎসক সোমনাথ মাইতিকে জানান।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সক্রিয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি খাদ্য আন্দোলন দিয়ে। তার আগে প্রেসিডেন্সি থেকে সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা। না, ছাত্র রাজনীতির ময়দানে লড়াই তিনি করেননি। ১৯৬৬ সালে সিপিএমে যোগ। বলা ভাল, তাঁকে একপ্রকার খুঁজেই নিয়ে আসা হয়েছিল। তার ঠিক দু-বছর পরেই পশ্চিমবঙ্গের দ্য ডেমোক্রেটিক ইউথ ফেডারেশনের সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচন। এরপর তিনি হলেন সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য। তাঁর রাজনৈতিক উত্তরণে কালিমা খুঁজে পাননি বিরোধীরাও।

এরপর পশ্চিমবঙ্গ প্রবেশ করল নতুন এক পর্বে। ১৯৭৭। রাজ্যে বামফ্রন্টের দায়িত্বগ্রহণ। সাধারণ মানুষ আঁকড়ে ধরল এক লাল পতাকাটা। ৭৭-এর নির্বাচনে উত্তর কলকাতার বিধায়ক নির্বাচিত হলেন বুদ্ধবাবু। দায়িত্ব মিলল তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের, যা পরে তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগ হয়। তারপর ১৯৮৭-তে পেলেন পুরো ও নগরোন্নয়নের দায়িত্ব। সিপিএমের পতন- অভ্যুদয়- বন্ধুর পথে তিনিই ছিলেন কান্ডারী, চিরসারথী। দীর্ঘ ২৪ বছর যাদবপুরে বিধায়ক হিসাবে রাজ করেছেন বুদ্ধদেব।

তখন ১৯৯৯। জ্যোতি বসুর মুখ্যমন্ত্রিত্বকালের শেষ লগ্ন। জ্যোতিবাবু অসুস্থ। উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন বুদ্ধদেব। ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে প্রথম অধিষ্ঠান। সেই চেয়ারেই থেকে গেলেন তিনি। ২০০১-এর ১৮ মে ১৩তম পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন। ২০০৬ সালেও এল প্রবল জয়। সেই জয়ের ইতিহাস আজও গায়ে কাঁটা দেয়। ভোটের কিছুদিন আগে অনীল বিশ্বাস মারা যান। তিনি বুঝেছিলেন তাঁর দল জিতবে। কিন্তু ২৩৫! ১৪ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের ধারেকাছে কেউ আসেনি। ফলঘোষণা হয়েছিল ১১মে। রাজ্য জুড়ে সেদিন শুধু লাল-রং আর লাল আবির। রেকর্ড আসন জিতে সপ্তমবার সরকার গঠন। জয়গাথা এখানেই শেষ।

প্রযুক্তিকে হাতিয়ার বামেদের, ভোট প্রচারে এবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সমস্ত রাজনৈতিক দলের থেকে এক ধাপ এগিয়ে বামেরা। এবার ভোটের ময়দানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে তারা নিয়ে এসেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।

West Bengal Chief Minister: ৯০% বাঙালিই ভুল জানেন, বলুন তো পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে? সঠিক উত্তর হল…

পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক গতিশীলতায় মোড়া একটি রাজ্য। সেই পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নানা নেতাদের সাক্ষী হয়েছে এ রাজ্য। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জানেন কি, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক গতিশীলতায় মোড়া একটি রাজ্য। সেই পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নানা নেতাদের সাক্ষী হয়েছে এ রাজ্য। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জানেন কি, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ ছিলেন বাংলার অন্যতম বিশিষ্ট ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পশ্চিমবঙ্গের তিনটি পৃথক সরকারে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ ছিলেন বাংলার অন্যতম বিশিষ্ট ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পশ্চিমবঙ্গের তিনটি পৃথক সরকারে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রথম ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সরকারের, দ্বিতীয়ত ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট ফ্রন্ট সরকারে এবং শেষে ১৯৭১ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে।
প্রথম ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সরকারের, দ্বিতীয়ত ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট ফ্রন্ট সরকারে এবং শেষে ১৯৭১ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে।
ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ ২৪ ডিসেম্বর, ১৮৯১-তে বর্তমান বাংলাদেশের রাজধানী, তৎকালীন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হিন্দু-যাদব পরিবারের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন পূর্ণ চন্দ্র ঘোষ এবং মা ছিলেন বিনোদিনী দেবী। বিনোদিনী দেবী ছিলেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। প্রদুল্ল চন্দ্রের গ্রামীণ লালন-পালন হয় প্রত্যন্ত মালিকান্দা গ্রামে।
ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ ২৪ ডিসেম্বর, ১৮৯১-তে বর্তমান বাংলাদেশের রাজধানী, তৎকালীন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হিন্দু-যাদব পরিবারের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন পূর্ণ চন্দ্র ঘোষ এবং মা ছিলেন বিনোদিনী দেবী। বিনোদিনী দেবী ছিলেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। প্রদুল্ল চন্দ্রের গ্রামীণ লালন-পালন হয় প্রত্যন্ত মালিকান্দা গ্রামে।
প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ জগন্নাথ কলেজ থেকে শিক্ষা লাভ করেন এবং মেধার মাধ্যমে উচ্চ বৃত্তিও অর্জন করেন। তিনি সফলভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯১৩ সালে, প্রফুল্ল শিল্পকলায় স্নাতক এবং রসায়নে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯১৬ সাল নাগাদ, তিনি রসায়নে তার M.A এবং M. Sc ডিগ্রি অর্জন করেন।
প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ জগন্নাথ কলেজ থেকে শিক্ষা লাভ করেন এবং মেধার মাধ্যমে উচ্চ বৃত্তিও অর্জন করেন। তিনি সফলভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯১৩ সালে, প্রফুল্ল শিল্পকলায় স্নাতক এবং রসায়নে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯১৬ সাল নাগাদ, তিনি রসায়নে তার M.A এবং M. Sc ডিগ্রি অর্জন করেন।
উচ্চ শিক্ষা সমাপ্ত করার পর, প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ ঢাকা কলেজে রসায়নে গবেষণা স্কলার হিসেবে নিযুক্ত হন, যেখানে তিনি প্রায় ২ বছর কাজ করেন। পরে, তিনি প্রাদেশিক শিক্ষা পরিষেবায় নিযুক্ত হন। ১৯১৯ সালে, প্রফুল্ল ঘোষ অল্প সময়ের জন্য কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতায় অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
উচ্চ শিক্ষা সমাপ্ত করার পর, প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ ঢাকা কলেজে রসায়নে গবেষণা স্কলার হিসেবে নিযুক্ত হন, যেখানে তিনি প্রায় ২ বছর কাজ করেন। পরে, তিনি প্রাদেশিক শিক্ষা পরিষেবায় নিযুক্ত হন। ১৯১৯ সালে, প্রফুল্ল ঘোষ অল্প সময়ের জন্য কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতায় অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
অবশেষে তিনি ব্রিটিশ ইম্পেরিয়াল সার্ভিসে নিয়োগ পান এবং ১৯২০ সালের জানুয়ারিতে তিনি কলকাতা মিন্টের ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট মাস্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ সেই পদে নিযুক্ত হওয়া প্রথম ভারতীয় ছিলেন। কৃত্রিম এবং প্রাকৃতিক রং নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি ১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
অবশেষে তিনি ব্রিটিশ ইম্পেরিয়াল সার্ভিসে নিয়োগ পান এবং ১৯২০ সালের জানুয়ারিতে তিনি কলকাতা মিন্টের ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট মাস্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ সেই পদে নিযুক্ত হওয়া প্রথম ভারতীয় ছিলেন। কৃত্রিম এবং প্রাকৃতিক রং নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি ১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
প্রফুল্ল ঘোষ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ডক্টর সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এই সংগঠনের সদস্যরা স্বীকৃত কর্মী ছিলেন, যারা ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের উদ্দেশ্যে নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধির পরামর্শে সদস্যরা অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হয়ে ওঠে।
প্রফুল্ল ঘোষ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ডক্টর সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এই সংগঠনের সদস্যরা স্বীকৃত কর্মী ছিলেন, যারা ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের উদ্দেশ্যে নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধির পরামর্শে সদস্যরা অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হয়ে ওঠে।
ডাঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ কলকাতা টাকশালের ডেপুটি অ্যাসে মাস্টারের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে ‘অভয় আশ্রম’ শুরু করেন। ১৯২১ সালে, প্রফুল্ল ঘোষ একটি স্বেচ্ছাসেবক দল পরিচালনা করেন এবং ফলস্বরূপ ব্রিটিশ পুলিশ তাকে আটক করে। তিনি প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
ডাঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ কলকাতা টাকশালের ডেপুটি অ্যাসে মাস্টারের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে ‘অভয় আশ্রম’ শুরু করেন। ১৯২১ সালে, প্রফুল্ল ঘোষ একটি স্বেচ্ছাসেবক দল পরিচালনা করেন এবং ফলস্বরূপ ব্রিটিশ পুলিশ তাকে আটক করে। তিনি প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
পরে প্রফুল্ল চন্দ্র কলকাতায় পরিচালিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কংগ্রেস পার্টির অধিবেশন আইনের বিরুদ্ধে ঘোষণা করায় তাকে আবার আটক করা হয়। কিন্তু মুক্তির পর আবারও ৬ মাসের জন্য জেলে বন্দি করা হয়। ১৯৩৪ সাল থেকে প্রফুল্ল ঘোষ গ্রামীণ শিল্পকে সমর্থন ও উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। তাঁর নেতৃত্বে অভয় আশ্রম পূর্ববঙ্গের বন্যা বিপর্যস্তদের সেবা প্রদান করে। প্রফুল্ল চন্দ্র ১৯৩৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ ত্রাণ কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন।
পরে প্রফুল্ল চন্দ্র কলকাতায় পরিচালিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কংগ্রেস পার্টির অধিবেশন আইনের বিরুদ্ধে ঘোষণা করায় তাকে আবার আটক করা হয়। কিন্তু মুক্তির পর আবারও ৬ মাসের জন্য জেলে বন্দি করা হয়। ১৯৩৪ সাল থেকে প্রফুল্ল ঘোষ গ্রামীণ শিল্পকে সমর্থন ও উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। তাঁর নেতৃত্বে অভয় আশ্রম পূর্ববঙ্গের বন্যা বিপর্যস্তদের সেবা প্রদান করে। প্রফুল্ল চন্দ্র ১৯৩৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ ত্রাণ কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন।
ব্রিটিশ শাসন প্রত্যাহার এবং জাতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম নিয়োগ হয় ১৫ অগাস্ট, ১৯৪৭ সালে এবং তিনি ১৪ জানুয়ারি, ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। তার স্থলাভিষিক্ত হন ড. বিধান চন্দ্র রায়।
ব্রিটিশ শাসন প্রত্যাহার এবং জাতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম নিয়োগ হয় ১৫ অগাস্ট, ১৯৪৭ সালে এবং তিনি ১৪ জানুয়ারি, ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। তার স্থলাভিষিক্ত হন ড. বিধান চন্দ্র রায়।
অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি, প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন এবং ২ নভেম্বর, ১৯৬৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ের পরে, বাংলা রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে ছিল। ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ তৃতীয় এবং চূড়ান্ত বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং ২ এপ্রিল, ১৯৭১ থেকে ২৮ জুন, ১৯৭১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি, প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন এবং ২ নভেম্বর, ১৯৬৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ের পরে, বাংলা রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে ছিল। ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ তৃতীয় এবং চূড়ান্ত বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং ২ এপ্রিল, ১৯৭১ থেকে ২৮ জুন, ১৯৭১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।