Tag Archives: CBI

CBI On RG Kar Case: কে প্রথম দেখেছিল…? সকাল ৯:৩০ থেকে ১০:১০! কী হয়েছিল ‘সেই’ ৪০ মিনিট? সিবিআই তদন্তে নতুন ‘ধোঁয়াশা’

কলকাতা: একের পর এক সিবিআই তদন্তে ক্রমশ উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। আর তারই উত্তর খুঁজতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। এবার নতুন প্রশ্ন দানা বেঁধেছে এক ৪০ মিনিটের ধোঁয়াশা ঘিরে। সেই বিশেষ সময় যার ঘটনাক্রমের বিবরণ কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে না বলে সূত্রের খবর। ধোয়াশায় এই ৪০ মিনিট ঘিরেই তাই নতুন করে বাড়ছে সন্দেহ।

আরজি করের পড়ুয়া চিকিৎসকের নৃশংস খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ৪০ মিনিটের ধোয়াশা এখনও কাটেনি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেমিনার হলে দেহ প্রথম দেখেন পিজিট প্রথম বর্ষের ছাত্র। তখন সময় সকাল সাড়ে ন’টা। অথচ সূত্রের খবর বলছে, আর জি কর আউট পোস্টে দেহ পড়ে থাকার খবর আসে বেলা ১০ঃ১০ -এ। তাহলে প্রশ্ন উঠছে মাঝের এই লম্বা ৪০ মিনিট ধরে ঠিক কী ঘটেছিল সেমিনার হলে? সেইসময় কারা ছিলেন উপস্থিত সেখানে? কেনই বা তাঁরা আউট পোস্টে দেহ পরে থাকার খবর জানাননি? তা পিছনে কি কোনও বিশেষ অভিসন্ধি ছিল?

আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই আবহাওয়ার ব্যাপক ভোলবদল…! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি সতর্কতা কোন কোন জেলায়? কী হবে কলকাতায়? জানিয়ে দিল আলিপুর

রহস্য এখনও কাটেনি দাবি সিবিআইয়ের। প্রসঙ্গত, যিনি প্রথম নির্যাতিতার দেহ দেখেন সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর দাবি, দেহ দেখার পর চেস্ট মেডিসিন বিভাগে সেই সময় যাঁরা aডিউটিতে ছিলেন তাঁদের জানিয়েছিলেন তিনি। কলকাতা পুলিশের কাছেও তিনি একই বয়ান দিয়েছিলেন। এই উত্তর যদি সত্যি হয়, তাহলে কেন ৪০ মিনিট পর আউট পোস্টে খবর গেল? কী ঘটল এই ৪০ মিনিটে? তা জানতে মরিয়া সিবিআই।

RG Kar Protest: আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাতভর ধরনায় সোহিনী-স্বস্তিকারা! দেখুন

আরজি করে তরুণী চিকিত্‍সককে ধর্ষণ এবং খুনের বিচারের দাবিতে মহামিছিল কলকাতায়। সোহিনী সরকার, স্বস্তিকা মুখোপাধ‍্যায় থেকে অপর্ণা সেনের মতো একাধিক টলি তারকারা ছিলেন এই মিছিলে। রবিরার দুপুর ৩ টে নাগাদ কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হয় এই মিছিল। ধর্মতলায় পৌঁছে কথামতোই করা হয় সভা। প্রসঙ্গত, এই মিছিলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এক নাগরিক। ধর্মতলার এই সভা থেকে উদ‍্যোক্তারা ঘোষণা করেন আজ সারারাত জাগার পরিকল্পনা। ভোর ৪ টে পর্যন্ত ধরণা অবস্থান চলবে। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে ধর্না অবস্থানে বসেছেন মিছিলের উদ্যোক্তাদের একাংশ। সোহিনী সরকার, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, উষসী রায়, পরিচালক বীরসা দাশগুপ্ত, দেবলীনা দত্ত, দামিনী বসুর মতো একাধিক ভোর চারটে পর্যন্ত এই অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে।

CBI on RG Kar Case: চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের রাতে পার্টি! বয়েজ হস্টেলে তল্লাশিতে কী পেল CBI? দেখুন

৯ অগাস্ট মধ্য রাতে খুন হন আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক। সেই রাতে ঘটনার রাতে বয়েস হোস্টেলে পার্টি হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই পার্টির তদন্তে এবার সিবিআইয়ের বিশেষ দল ঢুকল আরজি করের বয়েস হোস্টেলে। ঘটনার রাতে কারা ছিল বয়েজ হস্টেলের পার্টিতে? কেন ঘটনার কথা কিছু শুনতে পেল না তারা? সঞ্জয়কে কেউ দেখেছে কিনা? এমনই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে বয়েজ হস্টেলে গিয়েছে সিবিআই। বয়েস হস্টেলে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন আরজি কর হাসপাতালের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। আগে ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে গিয়েছিল সিবিআই, সেখান থেকে সিবিআই বেরিয়ে বয়েস হোস্টেলে গিয়েছিল।

CBI at RG Kar Hospital: সেমিনার রুমে রাতে আর কে কে এসেছিল? আরজি করে ডাক পড়ল ২ ওসির, ‘চিরুণি তল্লাশি’ সিবিআই-এর

কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের কিনারা করতে তৎপর সিবিআই। রবিবার হাসপাতালে যায় গোয়েন্দাদের একটি দল। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে তদন্তের ‘মিসিং লিঙ্ক’ মেলানোর চেষ্টা চালান অফিসারেরা। এদিন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে ডেকে পাঠানো হয় হাসপাতালে।

তিনি যান প্ল্যাটিনাম জুবলি বিল্ডিংয়ে। ঘটনা জানাজানির পর কী হয়েছিল, জানতে সিবিআই আধিকারিকেরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান ওসি টালাকে। এদিন হাসপাতালের কিছু রেকর্ড ও ডেটা সংগ্রহ করে সিবিআই। ফোর্থ ফ্লোরে অর্থো বিভাগেও যান তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন হাসপাতালের নতুন সুপার msvp সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। তাঁর উপস্থিতিতে আউট পোস্টের ওসি সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়কেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আরও পড়ুন: একাদশ-দ্বাদশের পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১০০০০ টাকা, কবে? ‘তরুনের স্বপ্ন’ প্রকল্পে বড় ঘোষণা রাজ্যের

ওসি আউট পোস্ট সঞ্জীবকে জিজ্ঞাসা করেন ঘটনার রাতে উনি ছিলেন কি না ডিউটিতে? কোথায় ছিলেন? ঘটনার পর দিন একসঙ্গে এত লোক যখন ঢুকল তখন উনি কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন? যেহেতু ঘটনাস্থলের উপরে অর্থো বিভাগ, ফলে উপর থেকে কেউ নেমে এসেছিল কিনা রাতে? সেখানে কারা ওই রাতে ছিলেন ডিউটিতে? কোন কোন চিকিৎসক অর্থো বিভাগে ছিলেন তার তথ্য সংগ্রহ করেছে সিবিআই।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই কলকাতা পুলিশের ‘মুখ’ ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, MNC-র চাকরি ছাড়া এই IPS-এর পরিচয় জানেন?

ঘটনার রাতে বেশ কিছু মিসিং লিঙ্ক রয়েছে। সেগুলি জানার জন্য ঘটনার রাতের কিছু তথ্য রেকর্ড সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা। ঘটনার রাতে কারা ছিল বয়েজ হস্টেলের পার্টিতে? কেন ঘটনার কথা কিছু শুনতে পেল না তারা? সঞ্জয়কে কেউ দেখেছে কিনা? এমনই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে বয়েজ হস্টেলে গিয়েছে সিবিআই। বয়েজ হস্টেলে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন আরজি কর হাসপাতালের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। আগে ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে গিয়েছিল সিবিআই, সেখান থেকে সিবিআই বেরিয়ে বয়েজ হোস্টেলে গিয়েছিল।

অর্পিতা হাজরা

CBI In RG Kar Hospital: আরজি করে একদিনে পর পর দু’বার Cbi-এর টিম! হঠাৎ কী হল আজ…কেন হঠাৎ হানা?

কলকাতা: আরজি কাণ্ডের তদন্তে ফের আরজি করে এল সিবিআই। তদন্তকারী অফিসার-সহ ৩ জন সিবিআই আধিকারিক রবিবার তদন্তের কারণে এলেন আরজি কর হাসপাতালে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবার বিকেলে সিবিআইয়ের আইনি আধিকারিক পরিদর্শন করতে আসেন। ল অফিসার চলে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বিতীয় টীম আসে আরজি কর হাসপাতালে। চিকিত্‍সক তরুণীকে ধর্ষণ এবং খুনের তদন্তের কারণেই ফের সিবিআই হানা দিল এই হাসপাতালে।

আরও পড়ুন: ATM কার্ড ছাড়াই দিব‍্যি তোলা যাবে ক‍্যাশ টাকা! শুধু ফোন থাকলেই…কীভাবে হাতে পাবেন কড়কড়ে নোট? ৯৯% লোকজনই জানেন না

প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ‘ঘনিষ্ঠ’ কলকাতা পুলিশের এএসআই (অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর)-এর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করিয়েছিল সিবিআই। এএসআই অনুপ দত্ত নিজেও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, কারও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে হলে আদালত ছাড়াও সেই ব্যক্তির অনুমতি প্রয়োজন। এর আগে সিজিও দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ধৃতের ‘ঘনিষ্ঠ’ অনুপকে। প্রথম দিন সিবিআই দফতরে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে তিনি দৌড় দিয়েছিলেন। এবার তাঁকে ফের ডেকে পাঠাল সিবিআই।

আরও পড়ুন: কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত নাগরিকদের মহামিছিল! আমজনতার সঙ্গে পথে অপর্ণা, উষসী, স্বস্তিকারাও

রবিবার ফের সিবিআই-এর কাছে গেলেন অনুপ দত্ত। আজ ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। সূত্রের খবর, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় বেশ কিছু জায়গায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে, তাই আজ ফের তলব করা হয়েছে তাঁকে

CBI on RG Kar Case: ওই রাতে আরজি করে নির্যাতিতার সঙ্গে কারা ছিলেন? মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সঙ্গে মিলছে না বয়ান, সিবিআই-এর নজরে ১২৫!

কলকাতা: প্রায় এক মাস হতে চলেছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার। এরই মধ্যে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে। সঞ্জয় আপাতত জেল হেফাজতে। ঘটনার তদন্তে গতি আনতে কোমর বেঁধে নেমেছেম কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আর সেখানেই গোয়েন্দাদের চিন্তা বাড়িয়েছে এক বিশেষ ঘটনা।

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ৮ অগস্ট রাত থেকে ৯ অগস্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালে চেস্ট ডিপার্টমেন্টে যাতায়াতকারী সকলের মোবাইলের ‘কল ডিটেলস’ এবং ‘টাওয়ার লোকেশন’ পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই রাতে কর্তব্যরত জুনিয়র-সিনিয়র চিকিৎসক, নিরাপত্তা কর্মী এবং নার্সদের অবস্থান মোবাইল থেকে নিশ্চিত ভাবে জানার চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই কলকাতা পুলিশের ‘মুখ’ ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, MNC-র চাকরি ছাড়া এই IPS-এর পরিচয় জানেন?

সিবিআই সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২৫টির বেশি মোবাইল নম্বরে টাওয়ার লোকেশনের সূত্র পর্যবেক্ষণ করেছেন তদন্তকারী দলের চার জন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। প্রাথমিক ভাবে ওই রাতে হাসপাতালে কর্তব্যরতদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এবং তার ভিত্তিতে কর্তব্যরত জুনিয়র-সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স, নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: নির্যাতিতার বাবাকে ফোন কুণাল ঘোষের! জানালেন তাঁরও স্বর, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’

সিবিআই সূত্রে খবর, টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী অবস্থান এবং তাঁদের বয়ান পরস্পরবিরোধী হওয়ায় চার জন চিকিৎসক, দু’জন নিরাপত্তাকর্মী এবং সঞ্জয় রায় ও সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। আরও কয়েক জনের টাওয়ার লোকেশন ও বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। তাঁদের একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, প্রয়োজনে পলিগ্রাফ টেস্ট হবে।”

অমিত সরকার

RG Kar Hospital Case: ধরা পড়ে গিয়েছে ‘অসঙ্গতি’? রবিবার ফের কাকে ডাকল সিবিআই! চমকে ওঠা তথ্য

কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ‘ঘনিষ্ঠ’ কলকাতা পুলিশের এএসআই (অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর)-এর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করিয়েছিল সিবিআই। এএসআই অনুপ দত্ত নিজেও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, কারও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে হলে আদালত ছাড়াও সেই ব্যক্তির অনুমতি প্রয়োজন। এর আগে সিজিও দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ধৃতের ‘ঘনিষ্ঠ’ অনুপকে। প্রথম দিন সিবিআই দফতরে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে তিনি দৌড় দিয়েছিলেন। এবার তাঁকে ফের ডেকে পাঠানো হল।

রবিবার ফের সিবিআই-এর কাছে গেলেন অনুপ দত্ত। আজ ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। সূত্রের খবর, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় বেশ কিছু জায়গায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে, তাই আজ ফের তলব করা হয়েছে তাঁকে।

আরও পড়ুন: আরজি করে সন্দীপ ঘোষ ‘এই’ কাজও চালাতেন? সূত্র খুঁজছে সিবিআই! কোথায় যেত ‘এইসব’ জিনিস?

এর আগে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করিয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। তিনি ছাড়া আরজি কর-কাণ্ডে আরও ছ’জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করিয়েছে সিবিআই। সিজিও দফতরেই হয়েছে তাঁদের পলিগ্রাফ পরীক্ষা। সেই তালিকায় রয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, ধৃত ‘ঘনিষ্ঠ’ এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চার পড়ুয়া চিকিৎসক এবং অনুপ দত্ত।

আদালতে সিবিআই জানিয়েছিল, তদন্তের স্বার্থে সন্দীপদের বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু দেখা যায়, কয়েক জন নিজেদের বয়ান বার বার বদল করেছেন। তাতে তদন্তের ক্ষতি হচ্ছে। তাই সত্য জানতে সন্দীপ-সহ সাত জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চেয়ে আবেদন করে সিবিআই। আদালত গত শুক্রবার সাত জনেরই পলিগ্রাফ পরীক্ষার অনুমতি দেয়। এবার সেই পলিগ্রাফ টেস্টের ফল ধরে অনুপ দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে সিবিআই।

Sandip Ghosh-RG Kar: আরজি করে সন্দীপ ঘোষ ‘এই’ কাজও চালাতেন? সূত্র খুঁজছে সিবিআই! কোথায় যেত ‘এইসব’ জিনিস?

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের তদন্তের পাশাপাশি হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির বিষয়েও এবার একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই ও ইডি। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্টেজ বা বর্জ্য নিয়ম বর্হিভূত ভাবে বাইরে বিক্রি করে দেওয়ার।

এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সাহায্য চাওয়া হয়েছে বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস অথারাইসডের। কী পদ্ধতিতে সরকারি হাসপাতালগুলিতে বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য সংরক্ষণ ও নষ্ট করা হয়? এগুলো কোথাও বিক্রি করা হয় কি? বিক্রি করা হলে কী কী পদ্ধতি মানা হয়? সরকারি গাইড লাইন কী আছে? সরকারি গাইড লাইন মানা হয়েছিল আরজি করে? এই প্রশ্নগুলিরই উত্তর খুঁজছে সিবিআই।

আরও পড়ুন: বারবার পড়েছেন সিবিআই জেরার মুখে, আরজি কর কাণ্ডে সেই দেবাশিস সোমের বড় বিপদ! রবি সকালেই বিরাট ঘটনা

শনিবার রাতেই বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস অথারাইসডের এক আধিকারিক সিবিআই দফতরে এসেছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালের বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য নিয়েও তথ্য চাওয়া হয়েছে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুর্নীতি দমন শাখা ওই এফআইআর দায়ের করেছে। আরজি কর হাসপাতাল এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, দু’জনের বিরুদ্ধেই হয়েছে এফআইআর। এ বার কি তবে আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন সন্দীপ? উঠছে প্রশ্ন।

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তভার ইতিমধ্যেই হাতে নিয়েছে সিবিআই। ওই মামলার নথিপত্র তাদের হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকারের সদ্যগঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। তদন্তে যোগ দিয়েছে ইডি। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতি মামলায় নানা তথ্য খুঁজছে সিবিআই।

RG Kar Case-CBI: বারবার পড়েছেন সিবিআই জেরার মুখে, আরজি কর কাণ্ডে সেই দেবাশিস সোমের বড় বিপদ! রবি সকালেই বিরাট ঘটনা

কলকাতা: আচমকা গুরুতর অসুস্থ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক দেবাশিস সোম। বর্তমানে অতি সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। চলছে বাইপ্যাপ। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে তাঁর। সূত্রের খবর, রবিবার বাড়িতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ডায়াবেটিক রোগী দেবাশিস।

প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বারবার সিবিআই জেরার মুখে পড়েছেন সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ দেবাশিস। এমনকী আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক জায়গায় যে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই, সেই তালিকায় ছিল দেবাশিস সোমের বাড়িও। গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ‘গুরুত্বপূর্ণ’ চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন আরজি করের ফরেন্সিক সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস সোম।

আরও পড়ুন: ‘নিয়ম’ ভাঙল, শনিবার কী এমন হল সন্দীপ ঘোষের! কোথায় গেলেন? সিবিআই এবার কোন পথে!

গত ৮ অগাস্ট রাতে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যায় নৃশংস ঘটনা। ধর্ষিতা ও খুন হন হাসপাতালেরই তরুণী চিকিৎসক। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে ঘটনাটি ঘটে ভোর রাত অর্থাৎ ৪ টের আশেপাশে। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার পর সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল দেহ।

দেবাশিসবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, আরজি করের শবাগারে দুর্নীতিতে তিনিই ছিলেন সন্দীপ ঘোষের প্রধান সহায়তাকারী। মৃতদেহ ও মৃতদেহের অঙ্গ পাচারের যে অভিযোগ রয়েছে, তাতেও অভিযোগ হিসেবে উঠে আসছে দেবাশিস সোমের নাম। এছাড়া মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ও তা নিহতের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্যও মোটা টাকা তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে আরজি কর হাসপাতালে। সেই কারণে বারবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন আরজি করের এই অধ্যাপক। এবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন তিনি।

Sandip Ghosh-RG Kar Case: ‘নিয়ম’ ভাঙল, শনিবার কী এমন হল সন্দীপ ঘোষের! কোথায় গেলেন? সিবিআই এবার কোন পথে!

কলকাতা: আরজি করের ঘটনায় গত ১৫ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্ট দায়িত্ব দিয়েছে সিবিআইকে। তার পর থেকে কেটে গিয়েছে ১৮ দিন। এই ১৮ দিনে ১৫ বার সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে ১৫০ ঘণ্টা মতো জেরা করা হয়েছে তাঁকে। মাঝে একদিন তাঁর বাড়িতেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেদিন অবশ্য সন্দীপকে আর সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে হয়নি। কিন্তু তারপর দিন থেকে শুরু হয় আবার। অবশেষে শনিবার সেই ‘নিয়মে’ ছেদ পড়ল। শনিবার সন্দীপকে সিবিআই দফতরে আসতে দেখা যায়নি। তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন নাকি তাঁকে ডাকাই হয়নি, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বও পেয়েছে সিবিআই। দু’টি মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে। প্রথম মামলাটিতে প্রশাসক হিসাবে ঘটনার দায় বর্তেছে তাঁর উপর। দ্বিতীয় মামলায় সরাসরিই অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: আরজি কর ইস্যুতে বিক্ষোভের আশঙ্কা? শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল স্কুল শিক্ষা দফতরের

সন্দীপের প্রাক্তন সহকর্মী তথা আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আদালতে জানিয়েছেন সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, ভেন্ডার নির্বাচনে স্বজনপোষণ, নির্মাণে আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের কথা। সেই সূত্রেই তাঁকে জেরা করছে সিবিআই। সম্প্রতি তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও চালান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে ৯ অগস্ট। তার পর থেকেই আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের পদত্যাগ চেয়ে সরব হন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা। সন্দীপকে তার পরে সরিয়ে দেওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যালে। কিন্তু সেই নিয়োগের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে সরব হন রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা। অবশেষে আদালতের নির্দেশে ন্যাশনাল মেডিক্যাল থেকেও সন্দীপকে সরিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়। এর পরে আদালত আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার দেয় সিবিআইয়ের হাতে। গত ১৬ অগস্ট থেকে তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। প্রতি দিন সকালেই সন্দীপ সিজিও কমপ্লেক্সে যান এবং জেরা শেষে বাড়ি ফেরেন রাতে। শনিবার সেই ‘নিয়ম’ বদলে গেল। সিজিও-তে দেখা গেল না সন্দীপকে।