Tag Archives: CBI

RG Kar Case: সিবিআইয়ের প্রতি আস্থা কমছে? আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সব বিরোধীদের একটাই স্বর

কলকাতাঃ পুলিশের উপর আস্থা নেই। তাই কোনও ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের তদন্তের দাবি জানাতো রাজ্যের বিরোধীরা। সেই হিসাবে রাজ্যের বহু মামলার তদন্ত করছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই রকমভাবে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তও করছে সিবিআই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। বেশকিছু দিন এই মামলার তদন্তও চালাচ্ছে তারা। আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

থ্রিডি স্ক্যানারের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্তের অগ্রগতি কতটা? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। বিচার চেয়ে আন্দোলনকারীরাও ‘আর কত সময় চাই জবাব দাও সিবিআই’-এর মতো স্লোগানে বিঁধছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। আদালতের নজরদারিতে তদন্তে ভরসা থাকলেও সিবিআইয়ের উপর প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুনঃ ডুয়ার্সের এই জায়গায় গেলে কোথাও ‌যেতে মন চায় না! পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য আরও সাজছে

শুক্রবার বিধানসভার সামনে সংবাদমাধ্যম কে তিনি জানান, ‘আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে যেহেতু কোর্ট মনিটরিং হচ্ছে। শুধু সিবিআই হলে আমার অনেক প্রশ্ন ছিল। সিবিআই অফিসাররাও সবাই যে একেবারে ম্যানেজ হয় না তা নয়। কিন্তু যেহেতু কোর্ট মনিটরিং সেহেতু আমার হাই রিগার্ড আছে। আমার বিশ্বাস পাঁচ তারিখে তারা যখন স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবে সুপ্রিম কোর্টে তারা আসল সত্যতা বলতে পারবে। এবং তাতে একজন যুক্ত না একাধিক যুক্ত? সরাসরি কারা? চক্রান্তকারী কারা? এই বিষয়টিও তারা সামনে আনবেন। আর যদি মমতা ব্যানার্জির পুলিশের হাতে পাঁচ দিন থাকার সময় এভিডেন্স লোপাট হয়ে থাকে সেটাও তারা জানাবেন। একটু ওয়েট করা ভাল। যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট মনিটরিং করছে।”

আরও পড়ুনঃ কালিম্পং বারে বারে গেলেও এই জায়গাটি মিস করেছেন? ঘুরে আসুন এই জায়গায়, মুগ্ধতা ঘিরে ধরবে

প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী বৃহস্পতিবার বিচারের দাবিতে কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার মিছিল করার পর সাংবাদিকদের বলেন, “সিবিআই এর উপর বিন্দুমাত্র আস্থা নেই আমার। কিন্তু কি করব? তার জন্য সকলকে বলছি বিচার চাই। মমতা ব্যানার্জি চাইছেন সিবিআইয়ের উপর সব ফেলে নিজে বাঁচতে। আমরা সেটার পক্ষে নই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মনে করেন হাইকোর্টে এফিডেভিট করে বলতে পারেন আমাকে ১০ দিন সময় দেওয়া হোক আমি সব বার করে দিচ্ছি। একদিকে তথ্য প্রমাণ লোপাট করব আর অন্যদিকে সিবিআই এর ঘাড়ে দোষ দেব দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না। আমরা বিচারব্যবস্থা নিরীক্ষণে তদন্ত হচ্ছে তার ওপর ভরসা রাখছি। এই জনতার চাপে যদি কিছু বার হয় তাই আন্দোলনে সামিল হয়েছি। আবার সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়াতে সাধারণ মানুষের সই সংগ্রহ করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম।

শুক্রবার দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা চাই যেন সুবিচার পাক। সেজন্য আমরা বলেছি লাখ লাখ মানুষ তারা সই করে পিটিশন পাঠাবেন সুপ্রিম কোর্টের কাছে। প্রধান বিচারপতির কাছে। যাতে এটা নারদা, সারদার মতো কামদুনির মামলার মতো যেন বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে না কাঁদে।”

RG Kar Doctors: কতদূর আরজি করের তদন্ত? বিচার চেয়ে সিজিওতে চিকিৎসাকরা

কলকাতা: কতদূর আর জি করের তদন্ত? বিচার চেয়ে সিজিওতে চিকিৎসাকরা। আর জি করে খুন-ধর্ষণের তদন্তে CBI। দ্রুত বিচারের দাবিতে পথে চিকিৎসকরা। সিবিআই অফিস অভিযান চিকিৎসকদের। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই রবিবার জেল থেকে মুক্তি পেলেন ছাত্র সমাজ নেতা সায়ন লাহিড়ি৷ এ দিন ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে জামিন পান সায়ন৷ যদিও ছাত্র সমাজের নেতা সায়ন লাহিড়ির মুক্তির বিরোধিতা করে এ দিনই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে রাজ্য সরকার৷

Rose valley Case: সুখবর! এবার টাকা ফেরত পাবেন রোজভ্যালির আমানতকারীরা! কত টাকা পাবেন, কীভাবে আবেদন জানুন

কলকাতা: বাংলায় চিটফান্ড দুর্নীতির তদন্তে এবার আমানতকারীদের জন্য সুখবর। এই মামলাগুলির তদন্ত শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। তবে বিভিন্ন চিটফান্ডে রাখা টাকা এখনও ফেরত পাননি বহু আমানতকারী। সেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে অন্যতম ঘটনা অবশ্যই রোজভ্যালি কেলেঙ্কারি। রোজভ্যালিতে কোটি কোটি টাকা জমা রেখেছিলেন বহু আমানতকারী। আশার খবর হল, এবার রোজভ্যালির আমানতকারীদের অনেকেই টাকা ফেরত পেতে চলেছেন।

সূত্রের খবর, রোজভ‌্যালির কয়েক হাজার আমানতকারী তাঁদের টাকা ফেরতের দাবি তোলেন। সেই দায়িত্বই বর্তায় অ‌্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির উপর। রোজভ‌্যালির যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তারই মূল‌্য হিসাবে এদিন ওই ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ইডি কমিটিকে দেয়। ইডির স্পেশ্যাল ডিরেক্টর, যুগ্ম ডিরেক্টর পদমর্যাদার কর্তারা ম‌্যাঙ্গো লেনে গিয়ে কমিটির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন।

আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে ময়দানে তৃণমূল! বিরোধীদের ‘প্রচারের’ মোকাবিলায় পথে পথে নেতা-কর্মীরা

এর পরই আমানতকারীদের জন‌্য নোটিস দিয়ে বলা হয়, তাঁরা টাকা ফেরত পেতে যেন নির্দেশিকা মেনে ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করেন। শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ‌্যমেই তাঁরা দাবি জানাতে পারবেন। তারই ভিত্তিতে টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা। ওয়েবসাইটটি হল www.rosevalleyadc.com।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রোজভ্যালির যে টাকা এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তার মধ্যে থেকে ১৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির হাতে তুলে হয়েছে। ওই টাকা আমানতকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ইডি-র তরফে আমানতকারীদের ফেরানোর জন্য প্রথম কিস্তির টাকা দিল ইডি।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দিলীপ কুমার শেটের নেতৃত্বে একটি অ্যাসেটস ডিসপোজাল কমিটি গঠন করে দেয়। চলতি বছরের শুরুতেই টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ওই চিটফান্ড সংস্থার প্রতারিতদের টাকা ফেরাতে ইতিমধ্যেই বিচারপতি দিলীপ শেঠের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ওয়েবসাইট তৈরি করে। যার মাধ্যমে আমানতকারীরা টাকা ফিরে পেতে আবেদন করতে পারবেন। উল্লেখ্য, রোজভ্যালির সম্পত্তি বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া গিয়েছে তা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে জমা রাখা হয়। জমা সেখান থেকেই ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা গেল অ‌্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির হাতে।

RG Kar Hospital Case: আরজি করের ‘সেই’ ফোন কল ভাইরাল! এমনই বলা হয়েছিল? মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা

সুবীর দে,পানিহাটি: বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বার বারই আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি ছিল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রথমে জানিয়েছিলেন মেয়ে সুইসাইড করেছেন। বারবার ফোনে তাঁরা জানতে চেয়েছেন, কী হয়েছে তাঁদের মেয়ের। কিন্তু হাসপাতালের তরফে স্পষ্ট উত্তর তাঁরা পাননি। এবার এই ঘটনায় কথোপকথনের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে আর তা নিয়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এবার সেই কথোপকথনের অডিও ক্লিপের বিষয়ে মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা।

হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের সঙ্গে পরিবারের মধ্যে ফোনের কথোপকথন ভাইরাল নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ”কোথা থেকে কীভাবে ভাইরাল হয়েছে, আমরা জানি না। আমরা এর দায় নেব না।” ফোনের কণ্ঠস্বর তারই কিনা সে ব্যাপারে নির্যাতিতার বাবার মন্তব্য, ”আপনারা বলছেন বটে, তবে আমি দেখিনি।’ এ বিষয়টি তদন্তে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে সামনে এমনই মন্তব্য করেন নির্যাতিতার বাবা-মা।

আরও পড়ুন: ‘…অসুস্থ’, ‘আত্মহত্যা করেছে..’, ‘তাড়াতাড়ি করুন..’, বাবা-মাকে ফোনে কী বলেছিল আরজি কর? ফাঁস চাঞ্চল্যকর অডিও-ক্লিপ

সিবিআর তদন্তভার নেওয়ার পর প্রায় দু’সপ্তাহ সময় কেটে গেলেও এখনও উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ নির্যাতিতার বাবা-মা। যদিও এখনও তাঁরা সিবিআই-এর উপরেই ভরসা রাখতে চাইছেন।

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনতে বিল আনা হবে বিধানসভায়। এ বিষয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিকভাবে যদি করতে চান, উনি করতেই পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটাই দাবি ছিল, আমরা যেন বিচার পাই, কিন্তু পুলিশের কর্মকাণ্ড দেখে আমরা ভরসা রাখতে পারিনি। যার জন্য আমরা সিবিআই দাবি করেছিলাম।”

এতদিন কেটে গেলেও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার না করা নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ”হয়ত আরও প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করছেন সিবিআই অফিসাররা। যে বৃহস্পতিবার আমার মেয়েটা বেরিয়ে গিয়েছিল, আজও সেই এক বৃহস্পতিবার। কিন্তু আমাদের মেয়ে আর ফিরে আসেনি। তাই আমাদের কষ্টটা আমরা বলে বোঝাতে পারব না।”

CBI-RG Kar Case: ‘সন্দেহজনক’! আজ কার পলিগ্রাফ টেস্ট করল সিবিআই? আরজি কর কাণ্ডে এবার বড় মোড়?

কলকাতা: আরজি কর মামলায় বুধবার কলকাতা পুলিশের কর্মী অনুপ দত্তর পলিগ্রাফ টেস্ট শেষ হল। আরজি করের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ৪th বাটেলিয়নের এএসআই অনুপ দত্তের আজ পলিগ্রাফ টেস্ট হল সিবিআই দফতরেই। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের ঘনিষ্ঠ এই এএসআইয়ের বয়ান অনেক জায়গাতেই সন্দেহজনক। তাই আজ তাঁরও পলিগ্রাফ টেস্ট হল।

দুই মহিলা চিকিৎসক সহ মেডিক্যাল টিম ও সিবিআই অফিসাররাও ছিলেন। সিবিআই সূত্রের খবর, সঞ্জয়কে পুলিশ ব্যারাকে আশ্রয় দিয়েছিল এই অনুপ দত্ত। সঞ্জয়ের সম্পর্কে অনেক তথ্য জানেন অনুপ? পলিগ্রাফ টেস্টের প্রশ্নতে হ্যাঁ বা না-তে উত্তর দিতে হয় অনুপকে।

আরও পড়ুন: সিবিআই-এর কাছে সন্দীপের ১২ দিন পার, তদন্ত কতদূর? চমকে দিয়ে আজ কার হবে পলিগ্রাফ টেস্ট?

আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই জেরার মুখে পড়া কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তের বিরুদ্ধে দক্ষিণ দিনাজপুরের বাদামাইল বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি ও এলাকার বাসিন্দারা। আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তের। অনুপ দত্তের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বাদামাইল এলাকায়। যদিও অনুপবাবুর স্ত্রীর দাবি, স্বামী অসুস্থ।

এরই মধ্যে বারবার সিজিও কমপ্লেক্সে অনুপ দত্তকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। সেখানে হাজিরা দেওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন থেকে বাঁচতে প্রাণপণে দৌড়তেও দেখা গিয়েছে অনুপ দত্তকে। সেই ছবি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। যদিও ওই পুলিশ অফিসারের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি কোনও ভাবেই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন।

Mamata Banerjee: ‘আসল আন্দোলনে জল ঢেলে এখন চক্রান্ত করছে!’ ছাত্র সমাবেশ থেকে বিজেপিকে নিশানা মমতার!

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের পর এবার ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর কাণ্ডের পর প্রবল চাপে রাজ্য সরকার। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও তুলেছে বিজেপি। বুধবার মেয়ো রোড থেকে সেই বিজেপিকেই একহাত নিলেন মমতা। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, ”আজকের দিন আরজি করের নির্যাতিতা বোনকে উৎসর্গ করতে চাই। এর মাঝে একাধিক স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে। আজ বনধ ডেকেছে বিজেপি। কারণ ওদের বডি চাই। ওরা আসল আন্দোলনে জল ঢেলে, চক্রান্তে নেমেছে। বাংলায় চক্রান্ত করার খেলায় নেমেছে। আজও পুলিশকে মারধর করেছে। ট্রেনের সিগন্যাল বিভ্রাট করা হয়েছে। বাস আটকেছে। রেল হোক বা সিবিআই সবটাই বিজেপি চালায়। এমন কেন্দ্রীয় সরকার দেখিনি।”

মমতার সংযোজন, ”বনধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। কীসের বনধ? বনধ চাইলে যাও, আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। খালি এজেন্সির ব্যবহার। কাল ডেডবডি নিতে এসেছিল। কারও চোখ নষ্ট করেছে। কারও পা ভেঙেছে। কারও কানে মেরেছে। পুলিশ সংযত থেকেছে। পুলিশ ওদের চক্রান্ত ভেস্তে দিয়েছে। ওরা ডেডবডি নিতে এসেছিল। পুলিশ নিজের রক্ত দিয়ে ওদের চক্রান্ত আটকাচ্ছে।”

আরও পড়ুন: সিবিআই-এর কাছে সন্দীপের ১২ দিন পার, তদন্ত কতদূর? চমকে দিয়ে আজ কার হবে পলিগ্রাফ টেস্ট?

বিজেপিকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, ”মহারাষ্ট্র আদালত বনধকে অবৈধ ঘোষণা করতে পারে। কলকাতায় একটা PIL হয়েছিল। একটু নড়েচড়ে বসা কি দরকার ছিল না? আইনজীবীদের বলব, আদালতে বিজেপিকে ছেড়ে দেবেন না। যাতে সাধারণ মানুষ বিচার পায়।”

রীতিমতো আক্রমণ করে তিনি বলেন, ”খুনী, অত্যাচারী, ধর্ষণকারীকে কেন ছাড়া হবে? আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলাম। সতর্ক করলাম। ন্যায় সংহিতা একটা আইন করলেন। আমাদের হাতে আইনের ক্ষমতা নেই। থাকলে সাত দিনে ফাঁসি করতাম। দুবৃত্তরা তাতে ঠান্ডা হয়ে যাবে।”

CBI-Sandip Ghosh RG Kar Case: ঘটনার দিন নিয়ে ‘বড়’ সূত্র পেয়ে গেল সিবিআই? সন্দীপ ঘোষের মোবাইল বাজেয়াপ্ত! কী মিলল তাতে?

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। সূত্রের খবর, এই ফোনটি ব্যবহার করেই আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার দিন যাবতীয় কথাবার্তা চালিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। ফলে, সেই ফোন সিবিআই বাজেয়াপ্ত করায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে, এদিনই ফের সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট করে সিবিআই।

প্রসঙ্গত, রবিবার সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। যদিও দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরও সাড়া দেননি সন্দীপ। অবশেষে সকাল ৮.০৫ মিনিট নাগাদ খোদ সন্দীপ এসে সিবিআই-কে গেট খুলে দেন। কিন্তু গেট খুলতে এতক্ষণ দেরি হল কেন সন্দীপ ঘোষের? উত্তর খুঁজছে সিবিআই। অবশ্য এদিন শুধু সন্দীপ ঘোষের বাড়িতেই নয়, রবিবার আরজি করের দুর্নীতি মামলায় কলকাতা, হাওড়ার একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তবে, সবচেয়ে বেশি নজরে ছিল সন্দীপ ঘোষের বাড়ি। সেখান থেকে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর বেরোন সিবিআই আধিকারিকরা। বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: সন্দীপ ঘোষের ‘ডানহাত’ কে? শেষমেশ ‘জেনেই’ ফেলল সিবিআই! খোঁজ মিলল ‘সিং’য়েরও, ভয়ঙ্কর অভিযোগ

এদিকে, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ৷ এই ঘটনার প্রায় ১৮ দিনের মাথায় সামনে এল বিতর্কিত সেমিনার রুমের এই ভাইরাল ভিডিও৷ আরজি করের চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর চারতলার সেমিনার রুমের পরিস্থিতি ঠিক কেমন ছিল, ওই ভিডিওতে তা ধরা পড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে৷ ভিডিওতে সেমিনার রুমের ভিতরে পুলিশ আধিকারিক সহ বহু মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে৷ যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ ১৮ বাংলা৷

যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চারতলার ওই সেমিনার হলে থিকথিক করছে বহু মানুষের ভিড়৷ তাঁদের মধ্যে পুলিশের আধিকারিকরা যেমন রয়েছে, তার পাশাপাশি হাসপাতালের পদস্থ কর্তাদেরও দেখা যাচ্ছে৷ ভিডিওতে হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও দেখা গিয়েছে৷ এর পাশাপাশি হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস সোমকেও দেখা গিয়েছে৷ ছিলেন আইনজীবীও। এই ভিডিও সামনে আসতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। সেদিন ঠিক কাদের কাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সন্দীপ ঘোষ, এবার সেই বিষয়টি আরও বিস্তারিত খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই সন্দীপের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

Narco Polygraph Test-RG Kar Case: আরজি কর কাণ্ডে শিরোনামে পলিগ্রাফ ও ‘ভয়ঙ্কর’ নার্কো টেস্ট! কী পার্থক্য এই দুই টেস্টের? কোনটা অপরাধী ধরতে বেশি সক্ষম? জানুন

নিজের লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহাংশ দক্ষিণ দিল্লির ছতরপুরের জঙ্গলে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। সেই অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার নার্কো এবং পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চাইছে দিল্লি পুলিশ।
নিজের লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহাংশ দক্ষিণ দিল্লির ছতরপুরের জঙ্গলে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। সেই অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার নার্কো এবং পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চাইছে দিল্লি পুলিশ।
পিটিআই-এর কাছে এক পুলিশ অফিসার জানান যে, আদালতে ইতিমধ্যেই আফতাবের নার্কো টেস্টের জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। আপাতত সিদ্ধান্ত আসার জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও মূল অভিযুক্ত সহ একাধিক জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হচ্ছে। একই সঙ্গে উঠে আসছে নার্কো টেস্টের কথাও। কিন্তু এই নার্কো ও পলিগ্রাফ টেস্টের মধ্যে তফাৎ কী? কোনটা অপরাধী ধরার ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী? নার্কো এবং পলিগ্রাফ অথবা লাই ডিটেক্টর টেস্ট আসলে কী? এর মধ্যে ফারাকই বা কতটা? সেটাই ব্যাখ্যা করছে News18 ডিজিটাল।
পিটিআই-এর কাছে এক পুলিশ অফিসার জানান যে, আদালতে ইতিমধ্যেই আফতাবের নার্কো টেস্টের জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। আপাতত সিদ্ধান্ত আসার জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও মূল অভিযুক্ত সহ একাধিক জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হচ্ছে। একই সঙ্গে উঠে আসছে নার্কো টেস্টের কথাও। কিন্তু এই নার্কো ও পলিগ্রাফ টেস্টের মধ্যে তফাৎ কী? কোনটা অপরাধী ধরার ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী? নার্কো এবং পলিগ্রাফ অথবা লাই ডিটেক্টর টেস্ট আসলে কী? এর মধ্যে ফারাকই বা কতটা? সেটাই ব্যাখ্যা করছে News18 ডিজিটাল।
নার্কো এবং পলিগ্রাফ টেস্ট কী? নার্কোটিক অ্যানালিসিস পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয় সোডিয়াম পেন্টোথ্যাল। যা ট্রুথ সিরাম নামেও পরিচিত। এই মেডিকেশনের মাধ্যমে কোনও মানুষের আত্মসচেতনতা হারিয়ে যায়। যার ফলে তিনি মনের কথা বলে দিতে পারেন। আর আত্মসচেতনতা হারিয়ে গেলে মানুষটি হিপনোটিক বা সম্মোহনের অবস্থায় প্রবেশ করেন। এবার পরীক্ষকরা প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করে সঠিক তথ্য বার করে আনেন। এই পরীক্ষা চলাকালীন সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন একজন সাইকোলজিস্ট, একজন তদন্তকারী অফিসার অথবা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। তেলঙ্গানা টুডে-র মতে, তদন্তকারী সংস্থাগুলি দ্বারা ব্যবহৃত সুপরিচিত অন্যান্য থার্ড-ডিগ্রি ট্রিটমেন্টের কার্যকর বিকল্প এটি।
নার্কো এবং পলিগ্রাফ টেস্ট কী?
নার্কোটিক অ্যানালিসিস পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয় সোডিয়াম পেন্টোথ্যাল। যা ট্রুথ সিরাম নামেও পরিচিত। এই মেডিকেশনের মাধ্যমে কোনও মানুষের আত্মসচেতনতা হারিয়ে যায়। যার ফলে তিনি মনের কথা বলে দিতে পারেন। আর আত্মসচেতনতা হারিয়ে গেলে মানুষটি হিপনোটিক বা সম্মোহনের অবস্থায় প্রবেশ করেন। এবার পরীক্ষকরা প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করে সঠিক তথ্য বার করে আনেন। এই পরীক্ষা চলাকালীন সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন একজন সাইকোলজিস্ট, একজন তদন্তকারী অফিসার অথবা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। তেলঙ্গানা টুডে-র মতে, তদন্তকারী সংস্থাগুলি দ্বারা ব্যবহৃত সুপরিচিত অন্যান্য থার্ড-ডিগ্রি ট্রিটমেন্টের কার্যকর বিকল্প এটি।
এদিকে আবার লাই ডিটেক্টরও পলিগ্রাফ নামেই পরিচিত। এটা একটা ডিভাইস। যখন এই টেস্টের মধ্যে দিয়ে যাওয়া কেউ প্রশ্নের জবাব দেন, তখন তাঁর ব্লাড প্রেশার, পালস রেট এবং রেসপিরেশনের মতো শারীরিক অবস্থা রেকর্ড করে এই যন্ত্রটি। তিনি আদৌ সত্যি বলছেন কি না, সেটাও বোঝা যায় এর থেকে। ১৯২৪ সাল থেকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্তে তা ব্যবহার করা হয়ে আসছে। যদিও ব্রিটানিকার ব্যাখ্যা, বিষয়টি যথেষ্ট বিতর্কিত। যা বিচারব্যবস্থায় সব সময় গ্রাহ্যও করা হয় না।
এদিকে আবার লাই ডিটেক্টরও পলিগ্রাফ নামেই পরিচিত। এটা একটা ডিভাইস। যখন এই টেস্টের মধ্যে দিয়ে যাওয়া কেউ প্রশ্নের জবাব দেন, তখন তাঁর ব্লাড প্রেশার, পালস রেট এবং রেসপিরেশনের মতো শারীরিক অবস্থা রেকর্ড করে এই যন্ত্রটি। তিনি আদৌ সত্যি বলছেন কি না, সেটাও বোঝা যায় এর থেকে। ১৯২৪ সাল থেকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্তে তা ব্যবহার করা হয়ে আসছে। যদিও ব্রিটানিকার ব্যাখ্যা, বিষয়টি যথেষ্ট বিতর্কিত। যা বিচারব্যবস্থায় সব সময় গ্রাহ্যও করা হয় না।
এই পরীক্ষাগুলির ফারাক এবং আইনের দৃষ্টিভঙ্গি: যদিও নার্কো টেস্টের ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির চেতনার পরিবর্তন ঘটাতে নার্কোটিক্স ব্যবহার করা হয়। আবার সত্য নির্ধারণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির শারীরবৃত্তীয় চিহ্নের উপর নির্ভর করে পলিগ্রাফ পরীক্ষা। এই পদ্ধতিগুলির কোনওটিই বৈজ্ঞানিক ভাবে ১০০ শতাংশ সফল বলে প্রমাণিত হয়নি এবং এগুলি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও যথেষ্ট বিতর্কিত।
এই পরীক্ষাগুলির ফারাক এবং আইনের দৃষ্টিভঙ্গি:
যদিও নার্কো টেস্টের ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির চেতনার পরিবর্তন ঘটাতে নার্কোটিক্স ব্যবহার করা হয়। আবার সত্য নির্ধারণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির শারীরবৃত্তীয় চিহ্নের উপর নির্ভর করে পলিগ্রাফ পরীক্ষা। এই পদ্ধতিগুলির কোনওটিই বৈজ্ঞানিক ভাবে ১০০ শতাংশ সফল বলে প্রমাণিত হয়নি এবং এগুলি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও যথেষ্ট বিতর্কিত।
এদিকে সেলভি বনাম কর্ণাটক রাজ্য এবং এএনআর মামলায় (২০১০) সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, অভিযুক্তের সম্মতি ছাড়া কোনও লাই ডিটেক্টর পরীক্ষা করা যাবে না। স্বেচ্ছাসেবকদের অবশ্যই একজন আইনজীবীর কাছে অ্যাক্সেস থাকতে হবে এবং পরীক্ষার শারীরিক, মানসিক এবং আইনগত প্রভাবগুলি পুলিশ এবং আইনজীবী তাঁদের ব্যাখ্যা করেছেন। এই পরীক্ষার ফলাফলকে কনফেশন হিসেবে গণ্য করা যাবে না। কিন্তু এই ধরনের স্বেচ্ছায় পরিচালিত পরীক্ষার ফলে আবিষ্কৃত যে কোনও তথ্য বা উপাদান প্রমাণ হিসেবে স্বীকার্য।
এদিকে সেলভি বনাম কর্ণাটক রাজ্য এবং এএনআর মামলায় (২০১০) সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, অভিযুক্তের সম্মতি ছাড়া কোনও লাই ডিটেক্টর পরীক্ষা করা যাবে না। স্বেচ্ছাসেবকদের অবশ্যই একজন আইনজীবীর কাছে অ্যাক্সেস থাকতে হবে এবং পরীক্ষার শারীরিক, মানসিক এবং আইনগত প্রভাবগুলি পুলিশ এবং আইনজীবী তাঁদের ব্যাখ্যা করেছেন। এই পরীক্ষার ফলাফলকে কনফেশন হিসেবে গণ্য করা যাবে না। কিন্তু এই ধরনের স্বেচ্ছায় পরিচালিত পরীক্ষার ফলে আবিষ্কৃত যে কোনও তথ্য বা উপাদান প্রমাণ হিসেবে স্বীকার্য।
সুপ্রিম কোর্টের ২০ (৩) ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনও আসামীকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না। ১৯৯৭ সালে ডি.কে. বসু বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, পলিগ্রাফ এবং নার্কো পরীক্ষার অনিচ্ছাকৃত প্রশাসন সংবিধানের ২১ ধারা বা জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারের অধীনে নিষ্ঠুর, অমানবিক এবং অবমাননাকর আচরণ গঠন করেছে। এটি গোপনীয়তার অধিকারও লঙ্ঘন করতে পারে। যা জীবনের অধিকারের অন্যতম পরিচায়ক। এই পরীক্ষার ফলাফল ১৮৭১ সালের ভারতীয় প্রমাণ আইনের অধীনে প্রমাণ হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
সুপ্রিম কোর্টের ২০ (৩) ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনও আসামীকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না। ১৯৯৭ সালে ডি.কে. বসু বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, পলিগ্রাফ এবং নার্কো পরীক্ষার অনিচ্ছাকৃত প্রশাসন সংবিধানের ২১ ধারা বা জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারের অধীনে নিষ্ঠুর, অমানবিক এবং অবমাননাকর আচরণ গঠন করেছে। এটি গোপনীয়তার অধিকারও লঙ্ঘন করতে পারে। যা জীবনের অধিকারের অন্যতম পরিচায়ক। এই পরীক্ষার ফলাফল ১৮৭১ সালের ভারতীয় প্রমাণ আইনের অধীনে প্রমাণ হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
নার্কো পরীক্ষার পদ্ধতি: নার্কো পরীক্ষায় বিষয়বস্তুকে তখনই পরীক্ষা করা হবে, যখন তিনি শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকবেন। হিপনোটিক সোডিয়াম পেন্টোথ্যাল বা থিওপেন্টোন জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করানো হবে। তাঁর বয়স, লিঙ্গ এবং শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করেই ডোজ নির্ধারণ করা হয়। ডোজ পরিমিত পরিমাণেই হওয়া আবশ্যক। কারণ ভুল ডোজের জেরে মৃত্যু অথবা কোমায় চলে যেতে পারেন ব্যক্তি। এই পরীক্ষার কালে অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া উচিত। ব্যক্তিকে এমন অবস্থায় রাখা হয়, যেখানে ওষুধটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়ার পরে তাঁরা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন।
নার্কো পরীক্ষার পদ্ধতি: নার্কো পরীক্ষায় বিষয়বস্তুকে তখনই পরীক্ষা করা হবে, যখন তিনি শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকবেন। হিপনোটিক সোডিয়াম পেন্টোথ্যাল বা থিওপেন্টোন জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করানো হবে। তাঁর বয়স, লিঙ্গ এবং শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করেই ডোজ নির্ধারণ করা হয়। ডোজ পরিমিত পরিমাণেই হওয়া আবশ্যক। কারণ ভুল ডোজের জেরে মৃত্যু অথবা কোমায় চলে যেতে পারেন ব্যক্তি। এই পরীক্ষার কালে অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া উচিত। ব্যক্তিকে এমন অবস্থায় রাখা হয়, যেখানে ওষুধটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়ার পরে তাঁরা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন।
পলিগ্রাফ পরীক্ষা: HowStuffWorks-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির শরীরে পলিগ্রাফ পরীক্ষার সময় ৪ থেকে ৬টি সেন্সর লাগানো থাকে। পলিগ্রাফ আসলে একটি মেশিন। যা চলমান কাগজের একক স্ট্রিপে সেন্সর থেকে একাধিক (পলি) সঙ্কেত রেকর্ড করে (গ্রাফ) একাধিক সিগনাল রেকর্ড করে। এর মধ্যে অন্যতম হল, ১. ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাসের হার
২. ব্যক্তির পালস রেট
৩. ব্যক্তির রক্তচাপ
৪. ব্যক্তির ঘাম
৫. পলিগ্রাফের মাধ্যমে কখনও কখনও হাত-পা সঞ্চালনও রেকর্ড করা হয়ে থাকে।
যিনি প্রশ্ন করেন, তিনি তিনটি অথবা চারটি সহজ-সরল প্রশ্ন করেন। যা পলিগ্রাফ পরীক্ষা শুরুর সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্কেতের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। এরপর পরীক্ষক আসল প্রশ্নে ঢুকে পড়েন। গোটা পর্বে একটি চলমান কাগজে ব্যক্তির সমস্ত সিগনাল রেকর্ড হয়ে যায়।
পলিগ্রাফ পরীক্ষা: HowStuffWorks-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির শরীরে পলিগ্রাফ পরীক্ষার সময় ৪ থেকে ৬টি সেন্সর লাগানো থাকে। পলিগ্রাফ আসলে একটি মেশিন। যা চলমান কাগজের একক স্ট্রিপে সেন্সর থেকে একাধিক (পলি) সঙ্কেত রেকর্ড করে (গ্রাফ) একাধিক সিগনাল রেকর্ড করে। এর মধ্যে অন্যতম হল,
১. ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাসের হার
২. ব্যক্তির পালস রেট
৩. ব্যক্তির রক্তচাপ
৪. ব্যক্তির ঘাম
৫. পলিগ্রাফের মাধ্যমে কখনও কখনও হাত-পা সঞ্চালনও রেকর্ড করা হয়ে থাকে।
যিনি প্রশ্ন করেন, তিনি তিনটি অথবা চারটি সহজ-সরল প্রশ্ন করেন। যা পলিগ্রাফ পরীক্ষা শুরুর সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্কেতের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। এরপর পরীক্ষক আসল প্রশ্নে ঢুকে পড়েন। গোটা পর্বে একটি চলমান কাগজে ব্যক্তির সমস্ত সিগনাল রেকর্ড হয়ে যায়।

RG Kar CBI: হাসপাতালে কীভাবে চলত বর্জ্য-দেহ বিক্রি? সন্দীপের সঙ্গে যোগ কাদের? ‘সব’ তথ্য পেল CBI

কলকাতা: হাসপাতালে দুর্নীতি মামলায় রবিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিবিআই তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে যে দুটি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছিল সেখান থেকে একাধিক বৈদ্যুতিন নথি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

ইতিমধ্যেই সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই হাসপাতালের বর্জ্য ও মৃতদেহ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সেই কম্পিউটার থেকে মেডিক্য়ালের বর্জ্য ও মৃতদেহ বিক্রি সংক্রান্ত কিছু নথিও মিলেছে।

আরও পড়ুন: হোটেল বুকিং করে… প্রকাশ্যে মারাত্মক তথ্য! সন্দীপের ‘কাছের লোক’ সুমনের কাছে পৌঁছেই গেল সিবিআই!

হাসপাতালে পরিকাঠামো সংস্কারের কাজ কেন নির্দিষ্ট একটা সংস্থাই পেত সেই সমস্ত তথ্য উদ্ধার হয়েছে ওই বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে। টেন্ডার থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু নির্দিষ্ট কেন কিছু লোকই পেত? এরাই মূলত এই চক্রের সঙ্গে রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকল ‘ব্যাগ’, কিন্তু শেষরক্ষা হল না! ধরা পড়তেই ভিতর থেকে যা বেরল, বিশ্বাস হবে না শুনে!

এবার যারা বরাত পেত পাশাপাশি টেন্ডার এবং সংস্কার সংক্রান্ত একাধিক কাজ পেত তারাই বছরের পর বছর কেন একইভাবে পেয়ে চলছিল? এই সমস্ত তথ্য পাওয়ার পরই খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুরো বিষয়টি। এবার তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে সিবিআই।

অনুপ চক্রবর্তী

CBI-RG Kar Case: ‘আপনি ওখানে কী করছিলেন?’ ঘটনার দিনের সেমিনার রুম নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য! সোমে প্রশ্নের মুখে ‘সোম’

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে রবিবার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ির পাশাপাশি হাসপাতালের তৎকালীন কর্তাব্যক্তিদের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ‘গুরুত্বপূর্ণ’ চরিত্র হয়ে উঠেছেন আরজি করের ফরেন্সিক সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস সোম। রবিবার সকালে তাঁর কেষ্টপুরের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে বেরিয়েও আসেন তাঁরা। এর পর গাড়ি করে সস্ত্রীক নিজাম প্যালেসে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু, সোমবার ফের তাঁকে ডাকল সিবিআই।

কেন? আসলে সোমবার ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, যেদিন আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি ঘটে, সেদিন সেমিনার রুমের মধ্যে প্রচুর মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যে রয়েছেন দেবাশিস সোমও। ‘ক্রাইম সিনে’ এত মানুষের উপস্থিতি কীভাবে ঘটতে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সূত্রের খবর, যেহেতু সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে দেবাশিস সোমকেও। তাই সেদিন তিনি ঘটনাস্থলে কী করছিলেন, তা তাঁর কাছ থেকেই জানতে চায় সিবিআই। সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই এদিন ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: সন্দীপ ঘোষের ‘ডানহাত’ কে? শেষমেশ ‘জেনেই’ ফেলল সিবিআই! খোঁজ মিলল ‘সিং’য়েরও, ভয়ঙ্কর অভিযোগ

গত ৮ অগাস্ট রাতে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যায় নৃশংস ঘটনা। ধর্ষিতা ও খুন হন হাসপাতালেরই তরুণী চিকিৎসক। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে ঘটনাটি ঘটে ভোর রাত অর্থাৎ ৪ টের আশেপাশে। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার পর সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল দেহ। আর ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর সেই রুমে ঢোকা বেরনোর ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই, গিজগিজ করছে মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ে মিশে ছিলেন দেবাশিস সোমও।

দেবাশিসবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আরজি করের শবাগারে দুর্নীতিতে তিনিই ছিলেন সন্দীপ ঘোষের প্রধান সহায়তাকারী। মৃতদেহ ও মৃতদেহের অঙ্গ পাচারের যে অভিযোগ রয়েছে, তাতেও অভিযোগ হিসেবে উঠে আসছে দেবাশিস সোমের নাম। এছাড়া মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ও তা নিহতের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্যও মোটা টাকা তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে আরজি কর হাসপাতালে। সেই কারণে ফের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আরজি করের এই অধ্যাপক।