Tag Archives: Child Marriage

Newly wed couple death in Bihar: ১৪ বছরের শ্যালিকাকে বিয়ে জামাইবাবুর, থানায় তুলে নিয়ে গেল পুলিশ! তার পর যা ঘটল…

পটনা: স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৪ বছর বয়সি শ্যালিকাকে বিয়ে করেছিলেন জামাইবাবু৷ নাবালিকাকে বিয়ের অভিযোগে ওই দম্পতিকে থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ৷ পরে সেই থানার ভিতর থেকেই উদ্ধার হয় দম্পতির দেহ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল বিহারের আরারিয়া জেলায়৷ ক্ষুব্ধ জনতা ওই থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়৷

এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের আরারিয়া জেলার তারাবাড়ি গ্রামে৷ এনডিটিভি-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার ১৪ বছর বয়সি বোনকেই বিয়ে করেন ওই যুবক৷ নাবালিকাকে বিয়ের অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিয়ের পর পরই ওই দম্পতিকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ৷ থানার ভিতরে নব দম্পতিকে পিটিয়ে পুলিশ খুন করেছে বলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা৷

আরও পড়ুন: ‘ভিটেহারা’ হবেন খোদ জেলাশাসক? বাংলো নিলামে তুলতে বলল আদালত, বর্ধমানে শোরগোল

যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দম্পতি থানার লক আপের ভিতরেই আত্মহত্যা করেছে৷ থানার ভিতরের একটি সিসিটিভি ফুটেজও সামনে এসেছে৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই যুবক লক আপের দরজা বেয়ে উঠে একটি কাপড় গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন৷

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই থানা ঘেরাও করে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করেন গ্রামবাসীরা৷ থানায় ভাঙচুর করে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে আশপাশের থানা থেকেও পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়৷

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ মারধর করার পর তাদের গাফিলতির সুযোগেই মৃত্যু হয়েছে ওই দম্পতির৷ যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি৷

Man assaults woman for declining marriage: বিয়েতে রাজি হয়নি নাবালিকা, ধর্ষণ করে গরম লোহার রড দিয়ে নিজের নাম লিখল তরুণ

বিয়েতে রাজি হয়নি ১৭ বছর বয়সি নাবালিকা। তিন দিন ধরে পাশবিক নির্যাতনের পরে গরম লোহার রড দিয়ে মেয়েটির গায়ে নিজের নাম খোদাই করে দিল ২২ বছরের তরুণ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির।

আরও খবর: বৌদিকে ধর্ষণ দেওরের, শুনে স্ত্রীকে দুষে স্বামী বললেন, ‘তুমি আমার বৌ না’

অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত যুবক গরম লোহার রড দিয়ে মেয়েটির মুখে নিজের নাম খোদাই করে দেয়। নাবালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক, কিন্তু বিয়েতে রাজি হয়নি ১৭ বছর বয়সি নাবালিকা। মেয়েটিকে শিক্ষা দিতে তাকে আটক করে তিন দিন ধরে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত যুবক, শুধু সেখানেই শেষ নয়, মেয়েটির মুখে নিজের নামও খোদাই করে দেয় সেই যুবক।

আরও খবর: আইপিএলেও অন্যায়! বিসিসিআইয়ের কড়া শাস্তির কোপে ঈশান কিসান

পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পকসো আইনের পাশাপাশি ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণ) এবং ৩২৪ (অস্ত্র দিয়ে আঘাত) ধারায় মামলা রুজু করেছে। আইনানুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নির্যাতিতার বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে।

Child marriage: বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিনব পন্থা গ্রহণ এই স্কুলের, কুর্নিশ গ্রামবাসীদের!

পূর্ব মেদিনীপুর: লক্ষ্য বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ। আর সেই লক্ষ্যেই স্কুলের দেওয়াল জুড়ে দেওয়া হলো সচেতনতার বার্তা। বাল্য বিবাহ অভিশাপ। এই বার্তা তুলে ধরেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল ব্লকের অমৃতবেড়িয়া তিলোত্তমা সাবিত্রী গার্লস হাইস্কুলের দেওয়াল চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে সচেতনতার বার্তা।ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বোধ বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে চান? তাহলে চলে আসুন পুরুলিয়ার এই ‘অফবিট’ জায়গায়!

এক পরিসংখ্যান দেখা যায়, আমাদের দেশে বেশিরভাগ মেয়ের বিয়ে হয় ১২ থেকে ১৮ বয়সের মধ্যে। বিয়ের ১৩ মাসের মধ্যেই ৬৫ % মেয়ে সন্তান ধারণ করে। গ্রামের মেয়েদের বেশিরভাগই বিয়ের এক বছরের মধ্যে সন্তান জন্ম দেয়। আর এসব বাল্যবিবাহের অধিকাংশ কারণগুলো হচ্ছে — দরিদ্রতা, সচেতনতার অভাব, প্রচলিত প্রথা ও কুসংস্কার , সামাজিক অস্থিরতা, মেয়েশিশুর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, নিরাপত্তার অভাব, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, যৌতুক প্রথা এবং বাল্যবিবাহ রোধ সংক্রান্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া।

 বাল্যবিবাহের কারণে অপরিণত বয়সে সন্তান ধারণ, মাতৃ মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য হানি, পতিতাবৃত্তি, অপরিপক্ক সন্তান- প্রসবসহ নানাবিধ জটিলতার শিকার হচ্ছে।সেসবই মাথায় রেখে স্কুল থেকে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ শুরু করা হয়েছে বলে শিক্ষিকারা জানিয়েছেন।

বাল্য বিবাহ অভিশাপ। এই বার্তা তুলে ধরেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল ব্লকের অমৃতবেড়িয়া তিলোত্তমা সাবিত্রী গার্লস হাইস্কুলের দেওয়াল চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে সচেতনতার বার্তা।ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বোধ বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এক পরিসংখ্যান দেখা যায়, আমাদের দেশে বেশিরভাগ মেয়ের বিয়ে হয় ১২ থেকে ১৮ বয়সের মধ্যে। বিয়ের ১৩ মাসের মধ্যেই ৬৫ % মেয়ে সন্তান ধারণ করে। গ্রামের মেয়েদের বেশিরভাগই বিয়ের এক বছরের মধ্যে সন্তান জন্ম দেয়। আর এসব বাল্যবিবাহের অধিকাংশ কারণগুলো হচ্ছে – দরিদ্রতা, সচেতনতার অভাব, প্রচলিত প্রথা ও কুসংস্কার, সামাজিক অস্থিরতা, মেয়ে শিশুর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, নিরাপত্তার অভাব, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, যৌতুক প্রথা এবং বাল্যবিবাহ রোধ সংক্রান্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া।

Child Marriage: বাল্যবিবাহ রোধ করতে এ কী নিদান দিলেন জেলাশাসক! জানলে চমকে যাবেন

তমলুক: জেলা জুড়ে বাল্যবিবাহ রোধ করতে সবলা বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আরও বেশি করে কাজে লাগানোর বার্তা দিলেন জেলাশাসক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা মাথাচাড়া দিয়েছে জেলায় বাড়তে থাকা বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহের দিক থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দেশের প্রথম সারির একটি জেলা। জেলার বাল্যবিবাহ নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন। শেষ দুই তিন বছর জেলায় বাল্যবিবাহের হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। জেলা প্রশাসন জেলা জুড়ে বাল্যবিবাহ রোধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু তারপরও জেলায় বাল্যবিবাহের হার অনেকটাই বেশি।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চাইল্ড ম্যারেজ বা বাল্যবিবাহ রোধে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আরও বেশি কাজে লাগাতে উদ্যোগী প্রশাসন। আর এমনই বার্তা তুলে ধরলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক তানভীর আফজল। রাজ্য সরকার বা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে আয়োজিত সবলা মেলার উদ্বোধনে এই বার্তা দেন তিনি। করোনা অতিমারিকালের পর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বাল্যবিবাহ বেড়েছে। করোনা অতিমারিতেআর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পরিবার ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের পাত্রস্থ করতে পারলেই খুশি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর, চন্ডিপুর, ময়না সহ বিভিন্ন ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এই চিত্র ঘরে ঘরে। এর পাশাপাশি জেলায় প্রেমঘটিত কারণে বহু নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে। মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে পড়তেই বহু মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করছে। এছাড়াও নানা কারণে জেলায় বাল্যবিবাহ বাড়ছে যা জেলাকে বাল্যবিবাহে দেশের প্রথম স্থানে নিয়ে এসেছে।

আরও পড়ুন-   ছোটবেলায় গান ছিল অপছন্দ, তিনিই ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ‘উস্তাদ’! ফিরে দেখা ‘রাশিদ খান’-এর বর্ণময় জীবন

আরও পড়ুন-  শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঘরানা থেকে বলিউড! ছক ভাঙতেন উস্তাদ রাশিদ খান, সুরে সুরেই অমলিন থাকবে তাঁর ম্যাজিক

বাল্যবিবাহ সামাজিক অবক্ষয়ের একটি দিক। কীভাবে বাল্যবিবাহের সংখ্যা কমানো যায় তা নিয়ে চিন্তায় জেলা প্রশাসন। জেলা জুড়ে বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসনএকাধিক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এমনকি জেলা জুড়ে বহু নাবালিকার বিবাহ প্রশাসনিক পদক্ষেপ এর কারণে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে তাদের পরিবার। সাধারণ মানুষকে সচেতনতার করার পাশাপাশি স্কুলে স্কুলে কন্যাশ্রী ক্লাবকে দিয়েও বাল্য বিবাহের কুফল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। জেলা জুড়ে বাল্যবিবাহ নিয়ে একাধিক সরকারি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও জেলার বাল্যবিবাহের হার কমেনি।

বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসন চায়স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেদেরএলাকায় এধরনের কোনও ঘটনা ঘটছে কিনা সেদিকে নজর রাখতে। এমনিতেই জেলা জুড়ে বাল্য বিবাহ রোধে প্রশাসনের তৈরি করা বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলোর কমিটিতে রয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।এ বিষয়ে জেলাশাসক জানান, ‘বাল্যবিবাহ একদিনে বাড়েনি, একদিনে কমবে না। কিন্তু লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বাল্যবিবাহ রোধে।গোষ্ঠীর মহিলাদের আরও বেশি করে কাজে লাগাতে হবে।’ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিক্ষা দীক্ষায় অন্যান্য জেলা থেকে অনেকটাই এগিয়ে। আর সেই জেলায় বাল্যবিবাহের হার অনেক বেশি হওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। তাই সবলা মেলার মঞ্চ থেকে বাল্যবিবাহ রোধের বার্তা জেলাশাসকের।

সৈকত শী