Tag Archives: Tamluk

105 Years Old Voter: দেশের ১ম লোকসভা নির্বাচনের ভোটার! কিন্তু এবার ভোট দিতে চান না ১০৫ বছরের বৃদ্ধ, অভিমানের কারণ শুনে চোখে জল আসবে

হলদিয়া: যে কোনও নির্বাচনে নিয়ম করে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন তিনি। কিন্তু এবার লোকসভা ভোটের আগে অভিমান জেলার সবচেয়ে বয়স্ক ভোটারের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ ২৫ মে। তমলুক লোকসভার অন্তর্গত সুতাহাটা ব্লকের পরেশ চন্দ্র বেতাল। বয়স ১০৫ বছর ছুঁই ছুঁই। প্রতিবার যে কোনও নির্বাচনে নিজের বুথ কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। কিন্তু এবার ভোট দিতে উৎসাহিত নন তিনি। এবার লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে অভিমান করেছেন জেলার এই প্রবীণ ভোটার। আর এই অভিমানের কারণ শুনলে অবাক হবেন আপনিও!

স্বাধীনতার পর যতগুলি নির্বাচন হয়েছে, তাঁর অংশগ্রহণ নজির গড়েছে। এমন মানুষ নির্বাচন কমিশনের ভোটদান নিয়ে মডেল হতে পারেন। শতায়ু পরেশচন্দ্র বেতাল হেঁটেই যান ভোট কেন্দ্রে। গত বছর পঞ্চায়েত ভোট দিয়েছেন। ভোটকেন্দ্রে নিজেই লাঠি ঠুকে ঠুকে বুথ কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে দিয়েছেন ভোট। কিন্তু তিনি এবার ভোট দেওয়ার বিষয়ে অভিমান করেছেন।

কোনওরকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ার কারণে অভিমান হয়েছে তাঁর। পরেশ চন্দ্র বেতালের অভিযোগ, তিনি পান না বার্ধক্য ভাতা, এমনকি চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে তাঁর রেশন।

আরও পড়ুন: ‘হীরক রাজা’ হলেন রুদ্রনীল, আসল লক্ষ্য কিন্তু ‘হীরক রানি’! কে সে? তোলপাড় ফেলে দিলেন অভিনেতা

গরমের মধ্যেও বাড়ির বাইরে বসে শুকনো নারকেল পাতা ছাড়াচ্ছেন। চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ছে জল। শরীর খুব ভাল নেই। কিন্ত বিশ্রাম নিতে চান না তিনি। বরং কাজের মধ্যেই আরাম পান ওই শতায়ু বৃদ্ধ। হলদিয়ার কিশমত শিবরামনগর গ্রামের বাসিন্দা ১০৫ বছরের পরেশচন্দ্র বেতাল। বৃদ্ধের দাবি, রেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, মৃত্যুকালে পৌঁছে গেলেও বার্ধক্য ভাতা পান না। তাই আর ভোট দেওয়ার ইচ্ছে নেই। এতদিন ভোট দিয়ে এসেছি অথচ সেভাবে সরকারি সুযোগ সুবিধা কিছুই পাননি। কাকে ভোট দেবেন তিনি খুঁজে পাচ্ছে না? কারণ কেউ তো আর তাঁর কথা রাখল না।

বৃদ্ধের স্মৃতিচারণে উঠে আসে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কথা। উঠে আসে দেশের প্রথম নির্বাচনের কথা। আদ্যোপান্ত কংগ্রেসি ভাবধারায় বিশ্বাসী পরেশ চন্দ্র ১৯৫২ সালের প্রথম নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সতীশ চন্দ্র সামন্তকে ভোট দিয়েছিলেন বলে জানান।

জানা যায়, বৃদ্ধ রেশন পেতেন। কিন্ত বর্তমানে রেশনের দোকানে রেশন তুলতে হলে হাতের আঙুলের ছাপ চাই। বয়সের জন্য হাতের সব আঙুল বেঁকে গিয়েছে এবং হাতের রেখাও অস্পষ্ট। তাই হাতের ছাপ মেলে না বলেই রেশন চূড়ান্ত অনিশ্চয়তায়। একই কারণে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নতুন করে না খুলতে পারায় বার্ধক্য ভাতাও মেলেনি। হলদিয়ার শতায়ু বৃদ্ধ ভোটার চাইছেন কখনও তাঁর কেন্দ্রের প্রার্থীদের সামনে পেলে জানাবেন তিনি কতদিন আর বাঁচবেন, অন্তত বার্ধক্য ভাতাটা তাঁকে যেন দেওয়া হয়। এ বিষয়ে হলদিয়া ব্লকের বিডিও জানান, ওই বৃদ্ধের রেশন ব্যবস্থা যাতে দ্রুতই চালু হয় সেই ব্যবস্থা তারা করছে। চলতি মে মাস থেকেই রেশন ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। বৃদ্ধ পরেশ চন্দ্র বেতালের জন্য বার্ধক্য ভাতা চালু করতে ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলবেন।’

শতায়ু এই ভোটারের স্মৃতিতে উঠে আসে স্বাধীনতা সংগ্রামের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নানা কাহিনি। উঠে আসে গান্ধিজির প্রসঙ্গ। স্মৃতিচারণে বৃদ্ধ জানার গান্ধিজি যখন মহিষাদলে এসেছিলেন, তাকে দেখতে তিনিও গিয়েছিলেন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় সুতাহাটা থানা অভিযানে ও অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। দেশের প্রথম লোকসভা নির্বাচনের পর পর যত নির্বাচন হয়েছে তিনি কংগ্রেস ভাবধারায় বিশ্বাসী হয়ে ভোট দিয়ে এসেছেন। তবে এবার ভোট দিতে অভিমান করেছেন পরেশ চন্দ্র বেতাল।

সৈকত শী

East Medinipur News: ভোট প্রচারে এবার অভিনব পন্থা তমলুকের সিপিআইএম প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের

পূর্ব মেদিনীপুর: এবার ভোটের প্রচারে লোকাল ট্রেনে চড়ে বসলেন বামেদের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পঞ্চম দফায় দুটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ হবে। মে মাসের ২৫ তারিখ তমলুক ও কাঁথি লোকসভার ভোট গ্রহণ। ফলে হাতে আর বেশি সময় নেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের। বাইরে গরমের তাপ যত বাড়ছে ততই ভোটের উত্তাপও ছড়াচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের প্রচার চলছে জোর কদমে। এবার লোকসভার ভোটের প্রচারে অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন তমলুকের সিপিআইএম প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট প্রচারে লোকাল ট্রেনে চেপে বসলেন তিনি।

ভোটের ফলাফল কি হবে তা না ভেবে প্রথম দিন থেকেই প্রচার জনসংযোগ সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে জোর দিয়েছেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বামেদের প্রার্থী তথা হাইকোর্টের আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে তিনি একাধিক অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন। কখনও ভোটের প্রচারে বেরিয়ে ঢাক বাজানো। কখনও ভোটের প্রচারে বেরিয়ে ক্রিকেট খেলায় মেতে ওঠা। কখনও সকাল-সকাল ভোট প্রচারে বেরিয়ে শরীর চর্চা। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা, মিছিল, বাজার এলাকায় ঘুরে ঘুরে জনসংযোগ করছেন তিনি। এবার লোকসভা ভোটের প্রচারে লোকাল ট্রেনে চড়ে বসলেন। ২ মে মেচেদা স্টেশন থেকে হলদিয়া লোকালে ওঠে ভোটের প্রচার করতে দেখা গেল সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মেচেদা থেকে হলদিয়া পর্যন্ত ট্রেনে চেপেই তিনি ভোট প্রচার করেন।

লোকাল ট্রেনের চেপে ভোটের প্রচার জনসংযোগ বিষয়ে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবার সারাদিন ট্রেনে করেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে যাতায়াতের মাধ্যমে জনসংযোগ প্রচার চলবে। লোকাল ট্রেনে করে মেচেদা থেকে হলদিয়া আবার হলদিয়া থেকে মেচেদা, আসা-যাওয়া করবেন। ”তমলুকে জিতবে এবার সায়ন। হলদিয়ায় আবার হবে শিল্পায়ন। তমলুকের হবে প্রকৃত উন্নয়ন।” এই বার্তা তুলে ধরতেই লোকাল ট্রেনে করে জনসংযোগ প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। সারাদিন লোকাল ট্রেনে চেপে প্রচার চালান তিনি।

আরও পড়ুন : Rinku Singh: সুযোগ পাননি টি-২০ বিশ্বকাপের দলে, এখন কী অবস্থা রিঙ্কু সিং ও তাঁর পরিবারের, জানলে চোখে জল আসবে

প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক লোকসভা কেন্দ্র এবারের লোকসভা নির্বাচনের হট সিট। আর তমলুকের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই বিরোধীদের এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে দিতে নারাজ বামেদের তমলুক লোকসভার প্রার্থী। প্রতিদিনই তমলুকের বিভিন্ন প্রান্তে জনসংযোগ প্রচার মিছিল জনসভার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এবার তার প্রচার ভিন্নমাত্রা পেল লোকাল ট্রেন। সায়নের দাবি লোকাল ট্রেনে করে সাধারণ মানুষের কাছে এই জনসংযোগ প্রচার ভালই সাড়া ফেলেছে মানুষের মনে।

সৈকত শী

Lok Sabha Elections 2024: এবার তমলুকে সিপিআইএমের হয়ে প্রচারে নামল কংগ্রেস

এবার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে সিপিআইএমের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে গোটা তমলুক কেন্দ্র চষে ফেলছেন সিপিআইএম প্রার্থী। এবার সায়নের জন্য এবার মাঠে নামল কংগ্রেস।

Lok Sabha Elections 2024: ভোট প্রচারে বেরিয়ে প্রাপ্তি যোগ সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের, আপ্লুত তমলুকের সিপিআইএম প্রার্থী

তমলুক: সকাল সকাল ভোট প্রচারে বেরিয়ে ভালোবাসার বড় উপহার পেলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী থেকে পাশাপাশি প্রার্থীরা সাধারণ মানুষের মন জয় করতে একাধিক পন্থা অবলম্বন করছেন। কেউ সকাল সকাল হাটে বাজারে গিয়ে জনসংযোগ সারছেন। কোথাও আবার ক্রিকেট খেলা কোথাও আবার শরীর চর্চা কোনও কিছুই বাদ রাখেননি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। ২৯ এপ্রিল সোমবার সকাল সকাল ভোটের প্রচারে বেরিয়ে ভালবাসার উপহার পেলেন তমলুকের সিপিআইএম প্রার্থী।

এবার লোকসভা নির্বাচনের হট সিট তমলুক লোকসভা কেন্দ্র। হাই প্রোফাইল এই কেন্দ্রে বামেরা বাজি রেখেছে হাইকোর্টের আইনজীবী তথা যুব নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর। আর প্রথম দিন থেকে মানুষের মন জয় করতে উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের নন্দীগ্রাম থেকে কোলাঘাট, ময়না থেকে হলদিয়া সর্বত্রই চষে বেড়াচ্ছেন। তীব্র গরম ও দাবদহ উপেক্ষা করে দিনভর প্রচারে ব্যস্ত তিনি। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের রাধামনি বাজার এলাকায় সোমবার সকাল সকাল মাছের আড়তে পৌঁছে যান সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। মাছের আড়তে পৌঁছে গিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে জনসংযোগ সারেন তিনি।

সোমবার সকাল সকাল রাধামনি মাঠ আড়তে জনসংযোগ প্রচার চলাকালীন সায়নকে কাছে পেয়ে এক মৎস্য ব্যবসায়ী খুশি হয়ে সায়নের হাতে তুলে দেন প্রায় ৫ কেজি ওজনের একটি মাছ। মৎস্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এই উপহার পেয়ে আপ্লুত সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাধামনি বাজারের সকাল সকাল জনসংযোগ প্রচার শেষ করে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেনভোট প্রচারে।

আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2024: কে থাকল দলে আর কে পড়ল বাদ? টি২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে মহাচমক! জানুন বিস্তারিত

প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রটি এবার লোকসভা নির্বাচনে হাই প্রোফাইল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সিপিআইএম বিজেপি ও শাসক দল তৃণমূল থেকে তিন পরিচিত মুখের লড়াই দেখতে মুখিয়ে রয়েছে রাজ্যবাসী। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের শাসক ও বিরোধীদের পাশাপাশি ভোট প্রচারে ঝড় তুলেছে সিপিআইএম প্রার্থী। ভোটের ফলাফল সময়ই বলবে কিন্তু তার আগে প্রচারে বিন্দুমাত্র খামতি রাখছে না তমলুকের সিপিআইএম প্রার্থী।

সৈকত শী

Lok Sabha Election 2024: তীব্র দাবদাহকে ‘ডোন্ট কেয়ার’, প্রচারে তমলুক চষে ফেলছেন সিপিআইএম প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়

তমলুক: তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সবকিছু উপেক্ষা করে ভোটের প্রচারে বিন্দুমাত্র খামতি রাখছেন না বিভিন্ন দলের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। সব উপেক্ষা করে টোটো করে প্রচারে জোর দিয়েছেন সিপিআইএমের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার তমলুক ব্লকের নীলকুন্ঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় টোটো নিয়ে প্রচার চালান সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪

২৫ মে পঞ্চম দফায় তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। ফলে দিন যত এগিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী থেকে নেতাকর্মীদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মত। তীব্র গরমকে উপেক্ষা করেও প্রচারপর্ব জারি রেখেছে প্রার্থীরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের এবার রাজ্য রাজনীতিতে হাইপ্রোফাইল লোকসভা কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এই কেন্দ্রে বাম বিজেপি ও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তিন পরিচিত মুখের লড়াই দেখতে মুখিয়ে রয়েছে রাজ্যবাসী। রাজ্যের শাসক দল ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের পাশাপাশি এই কেন্দ্রে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে সিপিআইএম।

এবার লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্রের প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকেই তমলুকের মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি প্রান্তে প্রচারে জোর দিয়েছেন তিনি। আর তাঁর প্রচারে যুব সমাজের ভালোই সাড়া মিলছে। ভোটের প্রচারে একাধিক পন্থা অবলম্বন করেছেন সায়ন। কোথাও নিজের শ্লোগান তৈরি করা। কোথাও শরীরচর্চায় মন দেওয়ার পাশাপাশি সকাল-সকাল জনসংযোগ। কোথাও আবার ক্রিকেট খেলা কোনও কিছুই বাদ পড়েনি প্রচারে। এবার বামেদের প্রচারে টোটো বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে গ্রামেগঞ্জে। গ্রাম্য এলাকায় তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে টোটো করে প্রচার সারছেন সায়ন।

আরও পড়ুনঃ Indian Cricketers Salary: ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য বড় সুখবর! থাকবে না আইপিএল না খেলার আক্ষেপ, জেনে নিন বিস্তারিত

প্রসঙ্গত তমলুক লোকসভা কেন্দ্রটি এবার লোকসভা নির্বাচনে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে বামেরা। বর্তমান প্রজন্মের তরুণ মুখের ওপর ভরসা রেখেছে বাম নেতৃত্বরা। ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন, প্রচারে খামতি রাখছে না তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী। লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক এলাকা চষে বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন উপায়ে তিনি জনসংযোগ ও প্রচার চালাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত ভোটবাক্সে এর কতটা সুফল পায় বামেরা তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৪ জুন পর্যন্ত।

সৈকত শী

Lok Sabha Election 2024: শিল্পায়নের ছন্দে নতুন স্লোগান বেঁধে তমলুকে বাজিমাতের লক্ষ্য বাম প্রার্থী সায়নের

পূর্ব মেদিনীপুর: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলার অন্যতম নজর কাড়া কেন্দ্র হয়ে উঠেছে তমলুক। পূর্ব মেদিনীপুরের এই লোকসভা আসনটিতে রাজ্য রাজনীতির তিন নতুন মুখের লড়াই। দেবাংশু ভট্টাচার্য, সায়ন ব্যানার্জি এবং প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তিনজনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট জনপ্রিয়। এই তিন প্রার্থীর লড়াইকে কেন্দ্র করে জমজমাট হয়ে উঠেছে তমলুকের প্রচার পর্ব। বাকিদের থেকে কিছুটা পিছিয়ে থেকে লড়াই শুরু করলেও নতুন স্লোগানে ভোট যুদ্ধে বাজিমাত করতে চাইছেন বামেদের তরুণ আইনজীবী প্রার্থী সায়ন।

আর‌ও পড়ুন: বৃষ্টির রাতে গোটা গ্রাম তছনছ করে দিল বুনো হাতি

‘জিতবে এবার সায়ন, হলদিয়ায় হবে শিল্পায়ন’… এই তরুণ সিপিএম প্রার্থী নামের সঙ্গে শিল্পায়নের ছন্দ বেঁধে এই স্লোগান বেশ সাড়া ফেলেছে তমলুকের মানুষের কাছে। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিয়ে ভোটের ময়দান কার্যত মাতিয়ে দিয়েছিল। সেই উদাহরণকেই সামনে রেখেই কার্যত নতুন স্লোগান বেঁধেছে বামেরা।

আর‌ও পড়ুন: তাম্রলিপ্তের নাম আবারও ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বজুড়ে

তমলুক একসময় বামেদের গড় ছিল। পরবর্তীতে তৃণমূলের দখলে আসে। তবে এবারে বাম, বিজেপি ও তৃণমূলের জমজমাট ত্রিমুখী লড়াই এই কেন্দ্রে দেখা যাবে বলে ভোট বিশ্লেষকদের ধারণা। ঘটনা হল এই তমলুক লোকসভার অন্তর্গত নন্দীগ্রামেই পেট্রো ক্যামিকেল হাব গড়ে তোলার কথা হয়েছিল। যার মধ্য দিয়ে বাংলাজুড়ে শিল্পায়নের স্বপ্ন দেখিয়েছিল বামেরা। আবার এই নন্দীগ্রামে জমি বাঁচাও আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে তৈরি হওয়া বিরোধী মত দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটায়। যদিও তারপর হলদি নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। এখন দেখার জমজমাট ত্রিমুখী লড়াইয়ে শিল্পায়নের ছন্দে বাঁধা স্লোগান তরুণ সিপিএম প্রার্থী সায়ন ব্যানার্জিকে ভোট বৈতরণী পাড় করতে সাহায্য করে কিনা।

সৈকত শী

Healthy Food Serving: ৫০ বছর ধরে একই নিয়ম এই হোটেলে! খাবার পরিবেশনের এই রীতির ফলেই আজও অগাধ ভরসা মানুষের

তমলুক: হোটেল শুরুর দিন থেকে আজ পর্যন্ত বদলায়নি নিয়ম। প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে একইভাবে খাবার পরিবেশিত হয়ে আসছে তমলুকের একটি হোটেলে। এই হোটেলটির মূল বৈশিষ্ট্য হল পেতল কাঁসার থালা বাটিতে খাবার পরিবেশন করা হয় শুরু থেকেই। আর তাতেই তৃপ্ত মানুষজন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর তমলুক। তমলুক শহরের তাম্রলিপ্ত পৌরসভার পাশেই রয়েছে এই হোটেল। হোটেলটি নিরামিষ হলেও দুপুরে বহু মানুষ এখানে খেতে আসেন।

আরও পড়ুন: ইফতার স্পেশ্যাল ফ্রুট স্যালাড! পবিত্র রমজান মাসে এই খাবারেই ভরসা রাখতে পারেন, রইল রেসিপি

হোটেল মালিকের নাম রতন চন্দ্র ঘোষ হলেও সবাই তাঁকে ডাকেন ‘মামা’ বলে। হোটেলের আসল নাম ভিন্ন হলেও ‘মামার হোটেল’ নামে সবাই চেনে। তমলুকের এই মামার হোটেলের খাবার খেয়ে মানুষ পরিতৃপ্তি পায়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হোটেলে পিতল বা কাঁসার থালায় ভাত, ডাল, শাক, শুক্ত-সহ অন্যান্য পদ মানুষ তৃপ্তি ভরে খায়। নিরামিষ ঘরোয়া সুস্বাদু রান্না পিতলের থালায় পরিবেশন আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশের টানে মানুষজন এই হোটেলেই খেতে আসে।

কাজের প্রয়োজনে তমলুকে আসা মানুষজনের দুপুরে খাওয়ার কথা মনে হলে চলে আসেন এই হোটেলে। হোটেলের ম্যানেজার জানান, প্রথম দিন থেকেই পিতল বা কাঁসার থালার বাটিতে ভাত-সহ অন্যান্য ব্যঞ্জন পরিবেশিত হচ্ছে। জল খাওয়ার জন্য পিতলের গ্লাস ব্যবহার হয়। পিতল থালা-বাসনে খাওয়া শরীর বা স্বাস্থ্যের এর পক্ষে উপযোগী। পিতলের থালা বাসন ভালভাবে পরিষ্কার করেই খাওয়ার দাওয়ার পরিবেশন করা হয়।

তমলুক জেলা আদালতের এক আইনজীবী প্রতিদিন দুপুরের এই হোটেলে এসেই ভাতের সঙ্গে নানা নিরামিষ পদ তৃপ্তি সহকারে খান। তিনি জানান, ”হোটেলটি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। খাবার-দাবার সুস্বাদু। সেই সঙ্গে পিতলের থালা বাসনে খাবার-দাবার পরিবেশন। বাড়ি অন্যত্র, ফলে তমলুকে দুপুরে খাওয়ার প্রয়োজন হলেই এই হোটেলে ছুটে আসি।”

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হোটেলগুলোতে খাবার-দাবার পরিবেশনের পাত্র পরিবর্তন হয়েছে। এই হোটেলে বর্তমানেও পিতলের থালাবাসনে খাবার-দাবার পরিবেশিত হচ্ছে প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে।

সৈকত শী

Sayan Banerjee CPIM Candidate: CPIM-এর সায়নের প্রচারে অবাক কাণ্ড, হঠাৎ এ কী নিয়ে হাজির এই ব্যক্তি! বেনজির ঘটনা

নন্দকুমার:  দরজায় লোকসভা নির্বাচন। যত দিন যাচ্ছে লোকসভা ভোটের প্রচারের ঝাঁঝ তত বাড়ছে। তীব্র গরম উপেক্ষা করেও প্রার্থীদের প্রচার জারি রয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। কারণ এই লোকসভা কেন্দ্রে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাংশু ভট্টাচার্য ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ত্রিমুখী লড়াই কার্যত জমে উঠেছে। তিন প্রার্থীই তমলুকের মাটি কামড়ে পড়ে থেকে চষে ফেলছেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্র। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের নানান দিকে দিকে চলছে তিন প্রার্থীর প্রচার। সোমবার সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার চলাকালীন এক ব্যক্তি অবাক করা কাণ্ড ঘটালেন।

সোমবার সকাল থেকেই তীব্র গরম উপেক্ষা করে নন্দকুমার বাজার এলাকায় প্রচার শুরু করেন বামেদের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সায়ন। প্রথমে মহারাজা নন্দকুমারের মূর্তিতে মাল্যদানের পর পায়ে হেঁটে প্রচার শুরু করেন তিনি। নন্দকুমার বাজার ঘুরে ঘুরে তিনি প্রচার করেন। আর প্রচার চলাকালীনই চণ্ডীচরণ প্রামানিক নামে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক, নির্বাচনী খরচের জন্য প্রায় কুড়ি হাজার টাকা তুলে দেন সায়নের হাতে।

আরও পড়ুন: সর্বকালের সেরা ১০ ভারতীয় ছবির তালিকার প্রথমেই এই বাংলা সিনেমা! রয়েছে আরও ৩ বাংলা ছবি, রইল তালিকা

এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক জানান, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন দল কোটি কোটি টাকা তুলেছে। শুধুমাত্রই বামেরা কোনও টাকা নেয়নি। ফলে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনের খরচের জন্য তাঁর এই সামান্য দান। নির্বাচনী খরচের জন্য ওই অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের টাকা গ্রহণের পর, সিপিআইএম প্রার্থী সায়ন জানান, সাধারণ মানুষ মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছে কোন কোন দল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে টাকা তুলেছে। বামেরা একমাত্র নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোনও টাকা নেয়নি। বামেদের করা মামলাতেই নির্বাচনী বন্ডে কারা কারা টাকা নিয়েছে, সেই তথ্য উঠে এসেছে। তাই সাধারণ মানুষ বামেদের আর্থিক সাহায্য করছে নির্বাচনে খরচের জন্য। সাধারণ মানুষের সাহায্য নিয়েই এই নির্বাচনে বামেরা জিতবে।

আরও পড়ুন: এ শহরে প্রতি পুরুষের দু-তিন জন প্রেমিকা থাকা বাধ্যতামূলক! নাহলে মান-সম্মান মাটি! কোন শহর বলুন তো

প্রসঙ্গত এবার লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্র হাই প্রোফাইল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এই লোকসভা কেন্দ্রের কোনও রাজনৈতিক দল অন্য রাজনৈতিক দলকে জমি ছেড়ে দিতে নারাজ। প্রতিদিনই তাই লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঠাসা কর্মসূচি। নন্দকুমারে এদিন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের নির্বাচনের খরচের জন্য সাহায্যের টাকা গ্রহণ করেন বামেরা।

—– সৈকত শী

Abhijit Ganguly Bjp Candidate: জেতা এখনও দূরে, তার আগেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বড় ‘পুরস্কার’ বিজেপির! কী এমন হল?

তমলুক: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েই আজ গন্ডগোল কবলিত ময়নায় ঢুকলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আজ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়েই তমলুকের ময়নায় ভোট প্রচার এবং জনসংযোগে গিয়েছেন। চণ্ডীমাতা মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি দলের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় ঘুরছেন তিনি।

চলতি মাসেই বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে তুলে নেন বিজেপির পতাকা। প্রথম থেকেই শোনা যাচ্ছিল, তমলুক থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তমলুকের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর নামে শুরু হয়ে গিয়েছিল দেওয়াল লিখন।

আরও পড়ুন: রাজমাতার সঙ্গে কথা বলার সময় ‘রাজা’য় ভুল! মোদিকে কী বললেন মহুয়া? তুমুল শোরগোল

রবিবার বাংলার জন্য বিজেপির দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই সেই জল্পনাই সত্যি হল। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর প্রতিপক্ষ হিসেবে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য, বামেদের প্রার্থী আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসেই বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে তুলে নেন বিজেপির পতাকা। প্রথম থেকেই শোনা যাচ্ছিল, তমলুক থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তমলুকের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর নামে শুরু হয়ে গিয়েছিল দেওয়াল লিখন। রবিবার বাংলার জন্য বিজেপির দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই সেই জল্পনাই সত্যি হল। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর প্রতিপক্ষ হিসেবে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য, বামেদের প্রার্থী আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: বিরুদ্ধে কঠিন প্রার্থী, বাংলার এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে ফোন মোদির! বুঝিয়ে দিলেন স্ট্র্যাটেজি

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পড়াশোনা মিত্র ইনস্টিটিউশনে। পড়াশোনা শেষে WBCS অফিসার হিসেবে পোস্টিং ছিল উত্তর দিনাজপুরে। কিন্তু, দুর্নীতির সঙ্গে আপস করবেন না বলেই সেই চাকরি ছেড়ে দেন। আইনের জগতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় ইনিংস শুরু করেছিলেন আইনজীবী হিসেবে। প্রায় ১০ বছর তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। যে SSC-র মামলায় বিচারপতি হিসেবে ঐতিহাসিক সব নির্দেশ দিয়েছেন, দীর্ঘদিন সেই SSC-র আইনজীবী ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। ন্যাশনাল ইন্সিওরেন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলাও লড়েছিলেন আইনজীবী হিসেবে। ২০১৮ সালের ২ মে কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০২০-র ৩০ জুলাই থেকে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০২৪ সালে সেই পেশায় ইতি টেনেছেন তিনি। সেই পথ ছেড়ে রাজনীতির দিকে পা বাড়িয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। গত ৭ মার্চ যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে।

Debangshu Bhattacharya TMC: ফোঁস-ফোঁস! তমলুকে দেবাংশু ভট্টাচার্যের ভাড়া বাড়িতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! সিঁড়ির তলায় মিলল…!

তমলুক: তমলুকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য তমলুকের ভাড়া বাড়িতে চন্দ্রবোড়া সাপ! যা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দেবাংশু! ভোট উপলক্ষ্যে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য তমলুকের একটি ভাড়া বাড়িতেই থাকছেন। আজ সকালে দেখা যায় সেই ভাড়া বাড়ির নীচে সিঁড়ির কোণে সাপ! তবে, বিষাক্ত সাপ দেখেও ভয় না পেয়ে বিজেপি নেতা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেই কটাক্ষ করেছেন তিনি।

দেবাংশু বলেন, ”বিজেপির তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হবে বলেছিলেন। তিনি নিজেকে সাপের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, তবে তাকে তো দেখা যায়নি এবং প্রার্থীও ঘোষণা হয়নি। তবে প্রার্থী আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।” যদিও সাপ নিয়ে দেবাংশুর কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন: বাড়ি ঘিরে ফেলল কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি হানা! কোন মন্ত্রী, কী হতে চলেছে?

এদিকে, ভোট প্রচারে বেরিয়ে খোল করতাল নিয়ে নাম সংকীর্তনে মেতে উঠেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। লোকসভা ভোটে নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়েছে। এবারের লোকসভা ভোটে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের নজর তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ওপর। এবার লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টা পার, স্বরূপ বিশ্বাসের ফ্ল্যাটে এখনও আয়কর তল্লাশি! কী এমন মিলল?

রাজনৈতিক দলের কর্মীদের পাশাপাশি প্রার্থীরাও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লোকসভা কেন্দ্রে। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ভোট প্রচারে খোল করতাল নিয়ে নাম সংকীর্তনে মেতে উঠলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।