লাইফস্টাইল Health Tips: খেতে দারুণ সুস্বাদু, হুড়মুড়িয়ে ঝরবে ওজনও! কিছু সহজ, লো-ক্যালোরি ডিনারের রেসিপি জানুন Gallery June 25, 2024 Bangla Digital Desk *সারাদিন কাজের পর ডিনারে সুস্বাদু খাবার কে না-চায়? রসনাতৃপ্তির জন্য অনেকেই মুখরোচক অথচ অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ফেলেন, যা ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি নানা বিপদ ডেকে আনে। তবে সুঠাম-নির্মেদ-ছিপছিপে দেহ পেতে কিন্তু রোজ-রোজ পিৎজা কিংবা চাইনিজ খাবার খেলে চলবে না। ওজন ঝরানোর প্রথম ধাপেই তাই খাবারের স্বাদ ও স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে। সংগৃহীত ছবি। *একগাদা চিজ দেওয়া বার্গার কিংবা ফ্রাই জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কারণ এই ধরনের খাবার স্বাদে অতুলনীয় হলেও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। বাড়ির তৈরি খাবার খেয়ে একঘেয়েমি আসতে পারে। অথচ বাড়িতে তৈরি খাবারই আমাদের ফিট থাকতে সাহায্য করে। অনেকের ক্ষেত্রে আবার দেখা যায়, সারাদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন, অথচ ডিনারে নিজেদের সংযত রাখতে পারছেন না। ডিনার যদি একাধারে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর হয়, তাহলে কেমন হয়? রইল এমন কিছু ডিনারের রেসিপি, যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করবে। সংগৃহীত ছবি। *নোনতা ডালিয়া: ডালিয়ায় প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। দেহের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে এই ফাইবার। এতে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে, পাশাপাশি ডালিয়া ধীরে ধীরে হজম হয় বলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ফলে ডালিয়া খেলে মধ্যরাত পর্যন্ত খিদেও পায় না। ফলে ভুলভাল স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খাওয়ার ঝোঁক কমে যায়। সংগৃহীত ছবি। *একটি প্যানে ডালিয়া, কুচি করা গাজর, বিনস, ক্যাপসিকাম এবং মটরশুঁটি নিয়ে নিন। তাতে তিন কাপ জল দিয়ে তা সেদ্ধ করে আলাদা রেখে দিতে হবে। এবার একটি নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে তাতে কাটা পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে নিন। এরপর তাতে আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে এক মিনিট মতো নাড়াচাড়া করুন। তারপর সেদ্ধ করে রাখা সবজি ও ডালিয়ার মিশ্রণ, নুন এবং গোলমরিচ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। রান্না হয়ে এলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করতে হবে। সংগৃহীত ছবি। *হালকা স্যতে করা সবজি: অল্প তেলে হালকা নাড়াচাড়া করে ভাজা সবজি বা স্যতে করা সবজি পেট ভরানোর পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এর জন্য একটি কড়াইয়ে অলিভ অয়েল গরম করে তাতে কিছু কুচোনো রসুন দিতে হবে। এরপর তাতে ক্যাপসিকাম এবং লাল ও হলুদ বেল পেপার দিন। কিছুটা রান্না হয়ে এলে তাতে পেয়াঁজ দিতে হবে। পেয়াঁজে খানিকটা গোলাপি-ভাব এলে একে-একে টম্যাটো, ব্রোকোলি, কর্ন এবং বেবি-কর্ন দিতে হবে। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে অল্প জল দিতে হবে। এবার তাতে টোফু বা পনির, নুন, গোলমরিচ ও লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে নিলেই রেডি হয়ে যাবে। এক বাটি হালকা ভাজা এই সবজির সঙ্গে একটা রুটিও খাওয়া যেতে পারে। সংগৃহীত ছবি। *রোস্টেড চিকেন: যাঁরা আমিষ খাবার খেতে বেশি ভালবাসেন, তাঁদের জন্য রোস্ট করা চিকেন একটা দারুণ বিকল্প। আর ওজন কমাতে চাইলে চিলি চিকেন কিংবা বাটার চিকেনের পরিবর্তে রোস্টেড চিকেনের থেকে ভাল আর কিছুই হতে পারে না। মুরগির মাংসের প্রোটিন শরীরের ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করেই এবং দীর্ঘক্ষণ পেটও ভর্তি রাখে। এটি শুধুও খাওয়া যায়। তবে এর সঙ্গে কিছু খেতে চাইলে হাতে গড়া রুটি খাওয়াই ভাল। সংগৃহীত ছবি। *এই রোস্টেড চিকেনের জন্য প্রথমে মুরগির মাংস ভাল করে ধুয়ে নিন। দই ও ডিম আলাদা করে ফেটিয়ে রাখুন। এবার এই মিশ্রণ দিয়ে মুরগির মাংস ম্যারিনেট করে তাতে নুন, গোলমরিচ, গরম মশলা, জোয়ান এবং লঙ্কার গুঁড়ো মেশাতে হবে। তারপর চিকেনটিকে ১-২ ঘণ্টা মতো ভাল করে ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। তারপর মাইক্রোওয়েভে গ্রিল কম্বিনেশনে রেখে গ্রিলের উপর ম্যারিনেট করা চিকেনটা রাখতে হবে। ১২ মিনিট রান্না করার পর উল্টে দিয়ে অন্যদিকটি গ্রিল করতে হবে। শেষে চাট মশলা এবং লেবুর রস ছড়িয়ে দিয়ে পুদিনার চাটনির সঙ্গে গরমাগরম চিকেন রোস্ট পরিবেশন করুন। সংগৃহীত ছবি। *স্যুপ ও টোস্টেড ব্রেড: ডিনারে বিভিন্ন ধরনের স্যুপও খাওয়া যেতে পারে। কারণ স্যুপ যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনই অল্প খেলেই পেটও ভরে যায়। স্যুপে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায় এটা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তবে স্যুপে অবশ্যই অনেক রকম সবজি দিতে হবে। আর স্যুপ তৈরিতে কোনও রকম ক্রিম কিংবা কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা চলবে না। কিছু সুস্বাদু কম ফ্যাটযুক্ত স্যুপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্লিয়ার ভেজিটেবল স্যুপ, চিকেন স্যুপ, টম্যাটো স্যুপ এবং লেমন-করিয়েন্ডার স্যুপ। ডিনারে এই সব স্যুপের একটি টোস্ট করা পাঁউরুটির স্লাইস খাওয়া যেতে পারে। সংগৃহীত ছবি।
লাইফস্টাইল Weight Loss Tips: কেজি কেজি ওজন কমবে ৩ দিনে…! গরমের এই ফলটি ‘এইভাবে’ খেলেই হুড়মুড়িয়ে গলবে মেদ! হাওয়ার মতো হালকা হবে শরীর! জানুন ‘সঠিক’ ডায়েট প্ল্যান Gallery March 7, 2024 Bangla Digital Desk ওজন কমানো সহজ কাজ নয়। কেউ এর জন্য খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেন। আবার কেউ ছোটেন জিম অথবা সুইমিং -এ। এবার গরম পড়তে না পড়তেই দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে নতুন একটি ডায়েট প্ল্যান যা অল্প সময়েই আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ থেকে দেবে মুক্তি। নতুন এই ট্রেন্ডিং ডায়েট প্ল্যানের সাহায্যে আপনি সহজেই আপনার ওজন কয়েক কেজি কমাতে পারবেন দ্রুত। একে বলা হয় ওজন কমানোর তরমুজ ডায়েট প্ল্যান। তরমুজের ডায়েট ৩ দিনে ওজন কমানোর এক দুর্দান্ত ফর্মুলা। এতে সপ্তাহে মাত্র ৩ দিন তরমুজ খেতে হয়, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। কেন এবং কী ভাবে এতো দ্রুত কাজ করে এই ম্যাজিক প্ল্যান? জানতে চাইলে চলুন এই ওজন কমানোর ডায়েট প্ল্যান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে। লাইফস্টাইল কোচ ও পুষ্টিবিদ অঞ্জলি মুখোপাধ্যায় তাঁর পরামর্শে লিখেছেন, “তরমুজ খাওয়া আপনার জন্য স্বাদ এবং স্বাস্থ্য উভয় দিক থেকেই খুবই উপকারী হতে পারে। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং জলে পরিপূর্ণ রাখতে সহায়ক।” পুষ্টিবিদ আরও বলেন, “গরমের এই ফলটিতে ৯০ শতাংশের বেশি জল রয়েছে। তরমুজে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবারও পাওয়া যায়, যা আপনার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে, ফলে বেশি খাওয়ার ইচ্ছা রোধ করে। এছাড়াও ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে লাল রঙের এই ফলটিতে যা নানাভাবে শরীরের উপকার করতে পারে।” তরমুজ খেয়ে ওজন কমানোর খাদ্য পরিকল্পনাটি ঠিক কী?তরমুজের ওজন কমানোর ডায়েট প্ল্যানটি হল এমন একটি খাদ্যাভ্যাস যেখানে আমাদের ৩ দিন তরমুজ খেতে হবে। এই পদ্ধতিটিতে তরমুজ খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য নানা ভাবে সহায়ক হতে পারে। এই খাদ্য পরিকল্পনার পিছনে কাজ করছে শরীরের টক্সিন বের করার অসাধারণ একটি তত্ত্ব। আসলে, তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে যা শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন ফ্ল্যাশ করে বের করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া এই ডায়েট প্ল্যানে বাড়তি ক্যালরিও দুর্দান্ত ভাবে বার্ন করা যায়। কী ভাবে তরমুজ ওজন কমানোর এই ডায়েট প্ল্যানটি অনুসরণ করবেন?এই ডায়েট প্ল্যান ফলো করার জন্য আপনাকে একটানা তিনদিন ধরে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার তিন সময়ের খাবারেই তরমুজ খেতে হবে। আপনার পছন্দের রেসিপি অনুযায়ী খেতে পারেন। এক্ষেত্রে ডায়েটিশিয়ানরা তাঁদের পরামর্শে বলছেন, শুরুতে দিনে একবার শুধু তরমুজ খাওয়া উচিত এবং বাকি সময় ইচ্ছামতো কিছু খাওয়া উচিত। উদাহরণস্বরূপ, আপনি প্রতিদিন দুটি হালকা খাবার খেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি জলখাবার হিসাবে শুধুই তরমুজ খেতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে টানা ৩ দিন ধরে তরমুজ খাওয়ার সূত্রে আসুন। এইভাবেই ৩ সপ্তাহ ধরে এই রুটিন নিয়মিত অনুসরণ করে দেখুন। হাতেনাতে মিলবে ফল। ওজন কমাতে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা-ওজন কমাতে তরমুজ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রথমত, এটি আপনার পেট ভরায়। আবার একইসঙ্গে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়া যখন আপনি শুধুই তরমুজ খাবেন শরীর তা হজম করে নেওয়ার পরে যখন আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না, তখন তা ক্যালোরি পোড়াতে শুরু করে। এরপরে, এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং শোধন করে এবং তার ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি দ্রুত ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে।