সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়া, বা বাচ্চাদের টিফিন, বাড়ি থেকে দীর্ঘ সময়ের কাজ… আমাদের জীবন তাড়াহুড়ো এবং ব্যস্ততায় পূর্ণ। এই দ্রুত এবং ব্যস্ত জীবনযাত্রার সবচেয়ে বড় ক্ষতি বা প্রভাব আমাদের স্বাস্থ্য এবং আমাদের শরীরের উপরেই পড়ে। প্রায়শই আমাদের ব্যস্ত জীবনধারা আমাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।
প্রায়শই আমরা খাবার খাই কিন্তু সঠিক সময় এবং স্বাস্থ্যকর খাবার উপেক্ষা করে এগিয়ে যাই। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার এবং সুষম খাদ্য সুস্থ শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই সব কিছুর যত্ন নেওয়ার পরেও যে জিনিসটি আপনার স্বাস্থ্যের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে তা হল আপনার খাবারের সময়।
দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিল হল ব্রেকফাস্ট। মনে রাখবেন, এটা দিয়েই কিন্তু আপনার দিনের শুরু হয়। ব্রেকফাস্ট সবসময় স্বাস্থ্যকর হওয়া উচিত। এর সময় সকাল আটটা থেকে নটা।
দুপুরের খাবারের আসল সময় বেলা ১২টা থেকে ১টা। তার বেশি কখনওই নয়। দুপুরে ভাত-রুটি মিশিয়ে খেতে পারেন।
সূর্যাস্তের সময় বা সূর্যাস্তের ঠিক পরে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। রাতের খাবার দিনের খাবার থেকে অর্ধেক পরিমাণে খাওয়া উচিত। রাতের খাবারের অন্তত অর্ধেক স্যালাড বা কাঁচা আইটেম যেমন শসা, কাচা ছোলা, অঙ্কুরিত শস্য ইত্যাদি গ্রহণ করা উচিত যা স্বাস্থ্যের জন্য সেরা বলে বিবেচিত হয়। Photo- Representative
চেষ্টা করুন রোজ রাতে একই সময় ডিনার করতে। খাওয়ার পর অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের খাবার হওয়া উচিত ভারী এবং রাতের খাবার খুব হালকা হওয়া উচিত। এতে মেটাবলিজম ও হজম ঠিক থাকে। ভারী খাবার হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে। রাতের খাবারে দেরি করা উচিত নয়। রাতের খাবার ও ঘুমের মধ্যে অন্তত তিন ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত।
রাতের খাবারে রুটি, ডাল, তরকারি, স্যালাড এবং সবুজ শাক-সবজি খাওয়া উচিত। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি খেলে স্বাস্থ্য ও পরিপাকতন্ত্র দুটোই ভালো থাকে। মসুর ডাল, মসুর ডাল স্যুপ, সবজি, ওটস রাতের খাবারের জন্য ভাল। এগুলো পরিপাকযোগ্য অর্থাৎ সহজে হজম হয়। তাই সামগ্রিকভাবে বলতে হবে খাবার এমন হতে হবে যাতে তা হজম হয়।
*সারাদিন কাজের পর ডিনারে সুস্বাদু খাবার কে না-চায়? রসনাতৃপ্তির জন্য অনেকেই মুখরোচক অথচ অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ফেলেন, যা ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি নানা বিপদ ডেকে আনে। তবে সুঠাম-নির্মেদ-ছিপছিপে দেহ পেতে কিন্তু রোজ-রোজ পিৎজা কিংবা চাইনিজ খাবার খেলে চলবে না। ওজন ঝরানোর প্রথম ধাপেই তাই খাবারের স্বাদ ও স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে। সংগৃহীত ছবি।
*একগাদা চিজ দেওয়া বার্গার কিংবা ফ্রাই জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কারণ এই ধরনের খাবার স্বাদে অতুলনীয় হলেও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। বাড়ির তৈরি খাবার খেয়ে একঘেয়েমি আসতে পারে। অথচ বাড়িতে তৈরি খাবারই আমাদের ফিট থাকতে সাহায্য করে। অনেকের ক্ষেত্রে আবার দেখা যায়, সারাদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন, অথচ ডিনারে নিজেদের সংযত রাখতে পারছেন না। ডিনার যদি একাধারে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর হয়, তাহলে কেমন হয়? রইল এমন কিছু ডিনারের রেসিপি, যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করবে। সংগৃহীত ছবি।
*নোনতা ডালিয়া: ডালিয়ায় প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। দেহের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে এই ফাইবার। এতে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে, পাশাপাশি ডালিয়া ধীরে ধীরে হজম হয় বলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ফলে ডালিয়া খেলে মধ্যরাত পর্যন্ত খিদেও পায় না। ফলে ভুলভাল স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খাওয়ার ঝোঁক কমে যায়। সংগৃহীত ছবি।
*একটি প্যানে ডালিয়া, কুচি করা গাজর, বিনস, ক্যাপসিকাম এবং মটরশুঁটি নিয়ে নিন। তাতে তিন কাপ জল দিয়ে তা সেদ্ধ করে আলাদা রেখে দিতে হবে। এবার একটি নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে তাতে কাটা পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে নিন। এরপর তাতে আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে এক মিনিট মতো নাড়াচাড়া করুন। তারপর সেদ্ধ করে রাখা সবজি ও ডালিয়ার মিশ্রণ, নুন এবং গোলমরিচ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। রান্না হয়ে এলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করতে হবে। সংগৃহীত ছবি।
*হালকা স্যতে করা সবজি: অল্প তেলে হালকা নাড়াচাড়া করে ভাজা সবজি বা স্যতে করা সবজি পেট ভরানোর পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এর জন্য একটি কড়াইয়ে অলিভ অয়েল গরম করে তাতে কিছু কুচোনো রসুন দিতে হবে। এরপর তাতে ক্যাপসিকাম এবং লাল ও হলুদ বেল পেপার দিন। কিছুটা রান্না হয়ে এলে তাতে পেয়াঁজ দিতে হবে। পেয়াঁজে খানিকটা গোলাপি-ভাব এলে একে-একে টম্যাটো, ব্রোকোলি, কর্ন এবং বেবি-কর্ন দিতে হবে। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে অল্প জল দিতে হবে। এবার তাতে টোফু বা পনির, নুন, গোলমরিচ ও লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে নিলেই রেডি হয়ে যাবে। এক বাটি হালকা ভাজা এই সবজির সঙ্গে একটা রুটিও খাওয়া যেতে পারে। সংগৃহীত ছবি।
*রোস্টেড চিকেন: যাঁরা আমিষ খাবার খেতে বেশি ভালবাসেন, তাঁদের জন্য রোস্ট করা চিকেন একটা দারুণ বিকল্প। আর ওজন কমাতে চাইলে চিলি চিকেন কিংবা বাটার চিকেনের পরিবর্তে রোস্টেড চিকেনের থেকে ভাল আর কিছুই হতে পারে না। মুরগির মাংসের প্রোটিন শরীরের ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করেই এবং দীর্ঘক্ষণ পেটও ভর্তি রাখে। এটি শুধুও খাওয়া যায়। তবে এর সঙ্গে কিছু খেতে চাইলে হাতে গড়া রুটি খাওয়াই ভাল। সংগৃহীত ছবি।
*এই রোস্টেড চিকেনের জন্য প্রথমে মুরগির মাংস ভাল করে ধুয়ে নিন। দই ও ডিম আলাদা করে ফেটিয়ে রাখুন। এবার এই মিশ্রণ দিয়ে মুরগির মাংস ম্যারিনেট করে তাতে নুন, গোলমরিচ, গরম মশলা, জোয়ান এবং লঙ্কার গুঁড়ো মেশাতে হবে। তারপর চিকেনটিকে ১-২ ঘণ্টা মতো ভাল করে ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। তারপর মাইক্রোওয়েভে গ্রিল কম্বিনেশনে রেখে গ্রিলের উপর ম্যারিনেট করা চিকেনটা রাখতে হবে। ১২ মিনিট রান্না করার পর উল্টে দিয়ে অন্যদিকটি গ্রিল করতে হবে। শেষে চাট মশলা এবং লেবুর রস ছড়িয়ে দিয়ে পুদিনার চাটনির সঙ্গে গরমাগরম চিকেন রোস্ট পরিবেশন করুন। সংগৃহীত ছবি।
*স্যুপ ও টোস্টেড ব্রেড: ডিনারে বিভিন্ন ধরনের স্যুপও খাওয়া যেতে পারে। কারণ স্যুপ যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনই অল্প খেলেই পেটও ভরে যায়। স্যুপে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায় এটা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তবে স্যুপে অবশ্যই অনেক রকম সবজি দিতে হবে। আর স্যুপ তৈরিতে কোনও রকম ক্রিম কিংবা কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা চলবে না। কিছু সুস্বাদু কম ফ্যাটযুক্ত স্যুপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্লিয়ার ভেজিটেবল স্যুপ, চিকেন স্যুপ, টম্যাটো স্যুপ এবং লেমন-করিয়েন্ডার স্যুপ। ডিনারে এই সব স্যুপের একটি টোস্ট করা পাঁউরুটির স্লাইস খাওয়া যেতে পারে। সংগৃহীত ছবি।
খাওয়াদাওয়ার উপর শরীর সুস্থ হওয়া নির্ভর করে। বর্তমানে, মানুষের জীবনধারা একদমই বদলে গেছে। তাঁরা রাতে দেরি করে ঘুমায় এবং দেরি করে ওঠে।
এই অনিয়ম জীবনযাপনের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বহু মানুষ। তবে যতই হোক সারাদিন পরিশ্রমের পর কিছু মানুষ রাতের খাবার খেয়েই ঘুমাতে যায়। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা খাবার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়েন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পরই ঘুমালে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। যে কারণে ওজন বৃদ্ধি, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং হজমের সমস্যা যেমন বুকজ্বালা, গ্যাস অ্যাসিডিটি, পেট ফোলা দেখা দেয়।
বিহারের একজন প্রবীণ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দত্ত দেরিতে রাতের খাবার খাওয়ার কী কী সমস্যা তা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আজকাল প্রায় সবাই রাতের খাবার দেরিতে খায়। এটা আধুনিক জীবনের নিয়ম হয়ে উঠেছে। অনেক সময় কাজের চাপে খাওয়ার কথা মনে থাকে না। মানুষ তাড়াতাড়ি রাতের খাবার শেষ করতে অভ্যস্ত নয়।’’
তাঁর কথায়, খাওয়া ও ঘুমের মধ্যে অন্তত ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার ব্যবধান থাকতে হবে। অতএব, আপনার শেষ খাবার অর্থাৎ রাতের খাবার ঘুমানোর রুটিনের তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
তিনি আরও বলেন, অনেকে রাতে জাঙ্ক ফুড খান বা গভীর রাতেও অর্ডার দেন। এটি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কোলেস্টেরল ইত্যাদির মতো কিছু চরম স্বাস্থ্য অসুস্থতার দিকে পরিচালিত করে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
কথায় বলে রাতের খাবার অর্থাৎ ডিনার হবে খুব কম। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডিনারের খাবার খুব হাল্কা হওয়াটা জরুরি, কারণ খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ার পর আমাদের হজমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়া ও শরীরে ফ্যাট জমতে থাকাটা খুবই সহজ ভাবে হতে শুরু করে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) (প্রতীকী ছবি)
আবার অনেক দ্রুত রোগা হতে খালি পেটে ঘুমিয়েই পড়েন। তেমনটা করলেও চলবে না। কোন খাবারগুলি রাতে খেলে সমস্যা হবে না, তা অনেকেই জানেন। কিন্তু কোনগুলি রাতে খেলে ওজম কমানো মুশকিল, তা জেনে রাখা জরুরি।
চটজলদি রোগা হতে অনেকে আবার একেবারেই কার্বোহাইড্রেট খাওয়া ছেড়ে দেন, অনেকে আবার তরল খাওয়া শুরু করেন। আরও এক দল মানুষ আছেন যাঁরা দ্রুত মেদ ঝরাতে রাতে খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলেন। তাঁদের ধারণা রাতে না খেলেই বুঝি দ্রুত মেদ ঝরবে।
পুষ্টিবিদরা অবশ্য উল্টো কথা বলছেন, তাঁদের মতে, রোগা হওয়ার জন্য রাতে উপোস করে থাকা মোটেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। এতে ওজন তো কমেই না, বরং বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার শিকার হতে হয়।
তাহলে রাতে ডিনারে কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলা ভাল? রোগা হতে চান অথবা না চান, রাতের খাবার সব সময় হালকা হওয়া জরুরি। হালকা খাবার খেলে হজম দ্রুত হয়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়।
অনেকেই ডায়েটের চক্করে রাতে স্যালাড খান। কিন্তু স্যালাড রাতে না খাওয়াই ভাল। শাকসবজিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। রাতে ফাইবার হজম করতে অনেকেরই বেশ সমস্যা হয়। হজম না হলে মেদ জমার ঝুঁকি থাকে।
চা ও চকোলেটে অনেক বেশি মাত্রায় ক্যাফিন থাকে। রাতে চকোলেট, কফি জাতীয় জিনিস খেলে ক্যাফিনের কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। অনেকের রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস। ঘুম কাটাতে কাপের পর কাপ কফি খেয়ে যান তাঁরা। এই অভ্যাস কিন্তু অনিদ্রার সমস্যা ডেকে আনতে পারে। আর ঘুম না হলে বাড়তে থাকে ওজন।
রাতে অনেক বাড়িতেই রুটি হয়। কারও বাড়িতে আটার রুটি হয়, কেউ আবার ময়দার রুটি খেতে পছন্দ করেন। তবে আটা-ময়দার তৈরি যে কোনও খাবার হজম করতে বেশ সময় লাগে। যাঁদের অনেক রাত করে খাওয়ার অভ্যাস, তাঁদের আটা-ময়দার তৈরি খাবার রাতে না খাওয়াই ভাল।
এতে হজমের সমস্যা হয়। স্থূলতার ঝুঁকি থাকে। সেক্ষেত্রে অল্প ভাত বা জোয়ার-বাজরার রুটি খেতে পারেন। অবশ্যই খাবেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
হুগলি: বাড়ির ছাদ যেন পশু-পাখিদের মুক্তাঙ্গন। শয়ে শয়ে টিয়ার ঝাঁক বিকাল হলেই উড়ে আসে এই বাড়ির ছাদে। আসর কারণ সুস্বাদু খাবারের অঢেল যোগান আর ভালবাসা। সেই কারনেই দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বাড়ির ছাদে বিকালের আস্তানা গড়ে উঠেছে টিয়া, ময়না, বুলবুলির মতন পাখিদের।
শত শত পাখির এই বৈকালিক সমাবেশ মন ভাল করে এলাকার সকল বাসিন্দাদের। এমনই ঘটনার সাক্ষী চুঁচুড়ার কাপাসডাঙার গুহঠাকুরতা বাড়ি। চুঁচুড়া কাপাসডাঙার দেবাশিস গুহঠাকুরতা ও তাঁর স্ত্রী পুতুল গুহঠাকুরতা দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কুকুর, বেড়াল ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের খাবারের সংস্থান করে চলেছেন। দেবাশিস’বাবুর বাড়ির ছাদে বিকাল হলেই বিভিন্ন প্রজাতির রংবাহারি পাখিদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। পাখিদের জন্য থাকে এলাহী আয়োজন। চালের খুদ, ছোলা, ভাত, আপেল সহ অন্যান্য ফল। প্রত্যহ এসব খেতে হাজির হয় একঝাঁক টিয়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এই তীব্র দাবদাহে পাখিদের জন্য জলের ব্যবস্থাও রাখা থাকে।
আরও পড়ুন: পানীয় জল না পেয়ে পাম্প হাউসে ভাঙচুর গ্রামবাসীদের
দেবাশিস’বাবু কীয়ন্দ্রে সরকারের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। এই ৬৮ বছর বয়সেও নিজের জমানো টাকা দিয়ে পাখিদের খাবারের ব্যবস্থা করে চলেছেন। চাল, চালের খুদ, ছোলা ও ফল নিয়ে পাখিদের খাওয়া বাবদ মাসে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করেন। এতে তাঁকে সহযোগিতা করেন স্ত্রী পুতুল গুহঠাকুরতা। এমন উদ্যোগ প্রসঙ্গে দেবাশিস গুহঠাকুরতা বলেন, খাবারের অভাবে অনেক পাখির মৃত্যু হয়। এতে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে আমার বার্তা, এই জীববৈচিত্র্যকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য পশু পাখিদের খাবারের সংস্থান করুন।
রাহী হালদার
Ideal Meal Time: সকালের জলখাবার, মধ্যাহ্নভোজ এবং এবং নৈশভোজের সঠিক সময়ে করা উচিত। তবেই শরীর উপকার পেতে পারে। খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি করে আপনি অনেক বিপজ্জনক রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।
Ideal Meal Time: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, আমরা যদি আমাদের খাদ্যাভ্যাস উন্নত করি তবে স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা, পেটের সমস্যা এড়াতে পারি। তাই প্রত্যেকেরই দিনে তিনবার খাওয়ার সময় সর্বোচ্চ মনোযোগ করা উচিত।
Ideal Meal Time: ডেলনর হাসপাতালের নর্থ ওয়েস্টার্ন মেডিসিন মেটাবলিক হেলথ অ্যান্ড সার্জিক্যাল ওয়েট লস সেন্টারের ডায়েটিশিয়ান অড্রা উইলসন (MS, RDN, CSOWM, CSCS) বলেছেন, অতিরিক্ত খাওয়া এড়ানোর চাবিকাঠি হল আপনি কখন খাবেন তার পরিকল্পনা করা।
Ideal Meal Time: খাবারের সময় সেট করুন এবং সারা দিন নিয়মিত বিরতিতে আপনার খাবার খাওয়া কেন আপনাকে নাটকীয় ক্ষুধার ব্যথা এবং মেজাজ পরিবর্তন করতে সহায়তা করতে পারে তা শিখুন।
Ideal Meal Time: আসুন জেনে নিই ব্রেকফাস্ট (সকালের খাবার), লাঞ্চ (দুপুরের খাবার) এবং ডিনার (রাতের খাবার)-এর জন্য সেরা সময় কখন।
Ideal Meal Time: ব্রেকফাস্ট- বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি এর পূর্ণ সুবিধা নিতে চান তবে আপনার সঠিক সময়ে ব্রেকফাস্ট করা উচিত। এর জন্য সবথেকে ভাল সময় সকাল ৭টা থেকে ৮টা।
Ideal Meal Time: সকাল ১০টার পর কখনওই ব্রেকফাস্ট করা উচিত নয়। মনে রাখতে হবে সকালে ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে কিছু খাওয়া উচিত।
Ideal Meal Time: লাঞ্চ- দুপুরের খাবার খাওয়ারও একটা সময় আছে। এর পর দুপুরের খাবার খেলে শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে। দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত লাঞ্চের উপযুক্ত সময়। এতে সকালের খাবার ও দুপুরের খাবারের মধ্যেও ভাল ব্যবধান পাওয়া যায়।
Ideal Meal Time: বিকেল ৪টার পর কখনওই দুপুরের খাবার খাওয়া উচিত নয়। এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। মনে রাখবেন যে সকালের খাবার এবং দুপুরের খাবারের মধ্যে অন্তত ৪ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত।
Ideal Meal Time: ডিনার- আপনি যদি ফিট এবং সুস্থ থাকতে চান, তাহলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ডিনার করুন। রাত ৯টার পর কখনওই খাবার খাওয়া উচিত নয়। লাঞ্চের সঙ্গে ডিনারের ব্যবধান ৪-৫ ঘণ্টার বেশি হবে না। ঘুমানোর ৩ ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
*কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই রাতের খাবার সঠিক সময়ে খান না। অনেকেই ঘুমানোর আগেই রাতের খাবার খান। এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চললে শরীরে পড়তে পারে মারাত্মক প্রভাব।
*এমন জীবনযাপন পদ্ধতি এবং দুর্বল খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, যারা বেশি রাতে খাবার খান তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি।
*দেরি করে রাতে খাওয়ার কারণে রাতে খাবার গ্রহণ এবং ঘুমের সময়ের মধ্যে বেশি পার্থক্য থাকে না। যার কারণে এ সময় খাবার হজম হতে সমস্যা দেখা দেয়।
*রাতে দেরিতে খাওয়ার অভ্যাসে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া শারীরিক সমস্যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানসিক সমস্যাও যা অকারণ চিন্তা বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যাংজাইটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
*দেরীতে রাতের খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে। আপনি যদি রাতের খাবারে বেশি কার্বোহাইড্রেট এবং লবণযুক্ত খাবার খান তাহলে এটি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
*অপরদিকে, তাড়াতাড়ি রাতের খাবার গ্রহণ শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই রাতের খাবার খেতে দেরি হয়ে যায়৷ খাবার খেতে খেতে কারও রাত বারোটাও বেজে যায়৷ কিন্তু জানেন কী এত দেরি করে খাওয়া দাওয়া করলে তার ফল হতে পারে মারাত্মক৷
বেশি রাত করে খাওয়া দাওয়া করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, হাই ব্লাড প্রেশার, সুগার, স্থূলতা এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
বেশি রাতে খাওয়া দাওয়া করে অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়েন৷ এর ফলে একদিকে বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, মোটা হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়৷
বেশি রাতে খাওয়া দাওয়া করে অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়েন৷ এর ফলে একদিকে বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, মোটা হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়৷
দিনের পর দিন বেশি রাতে খাওয়া দাওয়া করলে হাই ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
রাতে দেরিতে খাওয়া দাওয়া করলে ঘুমের সমস্যাও দেখা দেয়৷ যে কারণে পরের দিন মাথা ধরে থাকা, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে পারে৷
এ ছাড়াও বেশি রাতে খাওয়া দাওয়ার অভ্যাস মস্তিষ্কেরও ক্ষতি করে৷ মস্তিকের বিভিন্ন রো
এই সমস্ত সমস্যা থেকে বাঁচতে চেষ্টা করুন রাত ৯টার মধ্যে খাওয়া দাওয়া করে নিতে৷ রাতে মদ, ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খাওয়া এড়ান৷ তাড়াতাড়ি খাওয়ার জন্য মাঝরাতে খিদে পেলে হাল্কা কিছু খেয়ে নিতে পারেন৷
Just another WordPress site