ঝাড়খণ্ডের লৌহ শহর জামশেদপুরে গরমের প্রচণ্ড দাবদাহ চলার পরে এখন বর্ষাকাল চলছে। যার জেরে আর্দ্রতার কারণে চুলকানির মতো সমস্যা শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের মধ্যে এই সমস্যাগুলি আরও বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। যার কারণে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এই সমস্যাগুলি প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
বৃষ্টিতে বাচ্চাদের কীভাবে নিরাপদ রাখা যায়:
ডা. বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাখ্যা করেছেন যে, সাধারণত ঘামের কারণেই চুলকানি হয়ে থাকে। ঘাম নির্গত হওয়ার পরে যখন সেই জায়গাটি পরিষ্কার না করা হয়, তখন তা রোমকূপগুলিকে বন্ধ করে দেয়। এর জেরে ফুসকুড়ি, জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি হতে থাকে। তাই ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে পাউডার বা ক্রিম লাগানো থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এটি সমস্যাটিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। বিশেষ করে যদি সংক্রমণ থাকে।
বৃষ্টিতে তাপ ফুসকুড়ি প্রতিরোধের ব্যবস্থা:
গরমে ফুসকুড়ি এবং চুলকানি প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল, নিয়মিত পরিষ্কার জল দিয়ে স্নান করা উচিত। সম্ভব হলে অন্তত দুবার স্নান করা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আর বাচ্চাদের স্নান করানোর পরে একটি শুকনো তোয়ালে দিয়ে ভাল করে তাদের গা মুছিয়ে দিতে হবে। যাতে ত্বক ভেজা না থাকে।
পরিষ্কার এবং হালকা সুতির জামাকাপড় পরলে ফুসকুড়ি প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর পাশাপাশি ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত। আর জামাকাপড় পরিষ্কার করার পরে তা ভাল করে রোদে শুকিয়ে নেওয়াটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডা. বন্দ্যোপাধ্যায় আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, যদি জ্বালাপোড়া ও চুলকানি বাড়ে এবং ঘরোয়া প্রতিকারে কাজ না হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ বা ক্রিম প্রয়োগ করা চলবে না। কারণ এটি এই সমস্যাগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। সময়মতো ত্বকের যত্ন নেওয়া এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সহজেই ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো সম্ভব।