Tag Archives: EXclusive Interview

Piyush Goyal News18 Exclusive: ইভিএম কারচুপি নিয়ে নিউজ18-এর কাছে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

নয়াদিল্লি: রবিবার নেটওয়ার্ক18 গ্রুপের এডিটর-ইন-চিফ রাহুল জোশীর মুখোমুখি হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। সেই সময় তার মুখে উঠে এল বিরোধীদের করা ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ। তাঁর মতে, এই অভিযোগ আসলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর হার ঢাকতে বিরোধীদের অজুহাত।

একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে আসে বিরোধীদের করা একাধিক অভিযোগ, যার মধ্যে রয়েছে বিজেপি ইডি, সিবিআই এবং ইভিএমে কারচুপি ছাড়া কোনও নির্বাচন জিততে পারে না। তাঁর মতে, ইন্ডিয়া জোট জানে তারা ভোটে হারবে, তাই এই সব অজুহাত দিচ্ছে। তিনি বলেন, হারের পর বিরোধীরা ইভিএমকে দায়ী করবে। এর পরে শরদ পাওয়ার বা উদ্ধব ঠাকরেকে দোষী করবে। তার পর গান্ধী এবং নেহেরু পরিবারকে আক্রমণ করেন পীযূষ গোয়েল।

মুম্বই উত্তর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রথম বার ভোটে লড়তে চলেছেন কেন্দ্রের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী। তাঁর মতে, যদি সত্যিই নির্বাচনে কোনও কারচুপি হয়ে থাকে তা হলে তেলঙ্গানা এবং কর্নাটকের সরকার থেকে বিরোধীদের পদত্যাগ করে বলা উচিত যে ইভিএমের ফল ভুল ছিল, এবং ব্যালটে ভোটের দাবি জানাক।

২৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট ১০০ শতাংশ ইভিএম-ভিভিপ্যাটের হিসাব মেলানোর এবং ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনার আর্জি খারিজ করে দেয়। সেই প্রসঙ্গ নিয়েও বিরোধীদের আক্রমণ করতে ভোলেননি কেন্দ্রের শিল্প এবং বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “১২ লাখ ইভিএম ভোটের জন্য ব্যবহার করা হয়, নেটের মাধ্যমে সেগুলি ইন্টারকানেক্টেড নয়। তাই যদি কোনও কারচুপি হয়, তা হলে সেটা ১২ লাখ ইভিএমেই করতে হবে। এটা যদি সত্যি হয় তা হলে তো যে কোনও বিরোধী দলই ভোটে জিতে সরকার গড়তে পারে।”

ইডি-সিবিআই নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আইনের কিছু নিয়মকানন আছে। দুর্নীতি করলে বিপদে পড়তেই হবে।” পীযূষ গোয়েলকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল একটা সংবাদপত্র সমীক্ষা অনুযায়ী অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ২৫ জনের মধ্যে ২৩ জন নেতার বিরুদ্ধে চলা মামলাগুলি হয় খারিজ হয়েছে বা ঠান্ডাঘরে চলে গিয়েছে। তিনি বলেন, “আইন আইনের মতো চলে। আমাদের সরকার আইনি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। কাউকে দলে নেওয়ার আগে আমরা দেখে নিই তাঁর বিরুদ্ধে কী ধরনের মামলা চলছে এবং তিনি আমাদের দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন কি না। অনেকেই আছে যারা আমাদের দলে যোগ দিতে চান, কিন্তু আমরা তাঁদের গ্রহণ করিনি কারণ তাঁর ব্যাকগ্রাউন্ড দলের সঙ্গে যায় না।

PM Modi’s Reply to Opposition on Article 370 & CAA: ‘৩৭০ ধারা ফিরিয়ে এনে দেখাক’, বিরোধীদের খোলা চ্যালেঞ্জ মোদির, স্পষ্ট কথা CAA নিয়েও

নয়াদিল্লি:  ‘‘কংগ্রেস বা অন্য কোনও দল যদি পারে, ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে এনে দেখাক”। নিউজ 18 নেটওয়ার্ককে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই ভাষাতেই বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, সিএএ কেন্দ্রের বিষয়, রাজ্যের নয়।

জম্মু ও কাশ্মীরের নেতারা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগুর অনুমতি তাঁরা দেবেন না। এই প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “প্রথমত, যাঁরা সংবিধান বোঝেন, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্পর্কে জানেন এবং কার কতটা এখতিয়ার, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে, তাঁরা কখনও এই ধরনের মন্তব্য করবেন না। কারণ এটা তাঁদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। মোদি যদি কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন, তিনি এমন কাজ করতে পারেন না। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ। রাজ্যের পরিধির মধ্যে যা আসে, সেটা রাজ্য সরকার দেখবে। কিন্তু মানুষকে বোকা বানানোটা আজকাল ট্রেন্ড – তাঁদের অন্ধকারে রাখা। এই কারণেও ওঁরা এসব বলছে”।

এরপর ৩৭০ ধারা নিয়ে কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলিকে চ্যালেঞ্জ জানান মোদি। তিনি বলেন, “দ্বিতীয়ত আমি চ্যালেঞ্জ করছি, কংগ্রেস পার্টি একটা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলুক, ক্ষমতায় এলে তারা ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনবে। ওরা সংবিধান নিয়ে বড় বড় কথা বলে। বাবাসাহেব আম্বেদকরের কথা বলে। আমাদের গালিগালাজ করে। কিন্তু বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান গোটা দেশে লাগু ছিল না। গত ৭০ বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতীয় সংবিধানের আওতার বাইরে ছিল। সেখানে দলিতরা প্রথমবার (৩৭০ ধারা রদের পর) সংরক্ষণের সুবিধা পাচ্ছে। বাল্মীকি সম্প্রদায় প্রথমবার সংরক্ষণের সুবিধা পাচ্ছে। কীসের এত কথা বলছে ওরা? ওদের কি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলার সাহস আছে, “আমরা ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনব? কোনও দল কি এমন সাহস দেখাতে পারে”?

আরও পড়ুন : ‘আমাকেই সত্যটা সামনে আনতে হল…’ কংগ্রেসের ইস্তেহার নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

২০২৪ সালের মার্চ মাসে সিএএ কার্যকর করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান এবং পার্সি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়াই এই বিলের উদ্দেশ্য। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় ইস্তেহারে সিএএ লাগুর ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু এই বিলে মুসলিমদের বাদ দেওয়ায় মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বিরোধীরা। যদিও সরকার বলছে, এই আইন মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয় বা এই আইনে কোনও মুসলিমের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হবে না। এর আগে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছিল, অসমে এনআরসি-তে যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে তাঁরা সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে পারেন।

 

এরপর ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের বিলে স্বাক্ষর করেন। ধারা ৩৭০-এর বলেই জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা পেয়েছিল। এর অর্থ হল, জম্মু ও কাশ্মীরে আর পৃথক সংবিধান কার্যকর থাকবে না। এবং কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে রাজ্যের বিন্যাস করার ক্ষমতা অর্জন করে। জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে কেন্দ্র। সেখানকার রাজ্যপাল হন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।

PM Modi Interview: ‘যখন রাহুল গান্ধির বিমান সমস্যায় পড়েছিল…’, রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজনীতির পরিসরের বাইরে গিয়ে রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার নেটওয়ার্ক 18 কে দেওয়া মেগা এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই স্মৃতিও শেয়ার করলেন যেখানে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়া সত্ত্বেও রাহুল গান্ধি এবং সনিয়া গান্ধির বিপদের দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি।

সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্মরণ করেন সেই দিনটির কথাও যেদিন আচমকা বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল রাহুল গান্ধির এয়ারক্র্যাফটটি। মোদি বলেন, সেদিন প্রতিপক্ষতা ভুলে রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার বার্তা পাঠিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি জানা মাত্র রাহুল গান্ধিকে অবিলম্বে ফোন করেছিলেন। কারণ তিনি জেনেছিলেন রাহুল গান্ধির বিমানটি কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল।”

নিউজ 18 গ্রুপের এক্সিকিউটিভ এডিটর রাহুল জোশীর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কংগ্রেস কাউন্সিলরের মেয়ে নেহা হিরেমাথের বাড়িতে ছুটে যাওয়ার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সিদ্ধান্তের মতো ইস্যুতে কর্ণাটকের নির্বাচনের ফোকাস সরে যাচ্ছে কিনা।

আরও পড়ুন: ‘আমি মনে করি কংগ্রেসের ইস্তেহারে মুসলিম লীগের স্ট্যাম্প রয়েছে’ : প্রধানমন্ত্রী মোদি

উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জেপি নাড্ডার পদক্ষেপে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “নাড্ডা জি কর্ণাটকের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। যেই ঘটনা ঘটেছে, সেই সময় কে কোন দলের তা নিয়ে ভাবার অবকাশ ছিল না। এটি মানবিক অনুভূতির বিষয় এবং আমি বিশ্বাস করি যে এমনকি নির্বাচনের পরিস্থিতির মধ্যেও তিনি যা করেছেন তা মানবিক দিক থেকে সঠিক।”

একইসঙ্গে এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি স্মরণ করেন, কীভাবে তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সনিয়া গান্ধি এবং রাহুল গান্ধির মতো ব্যক্তির বিপদের মুহূর্তে তাঁদের প্রতিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বার বার।