লাইফস্টাইল Monsoon Hair Fall Control Tips: এই পাতা খান রোজ গুনে গুনে ৮ টা! বর্ষাকালে মুঠো মুঠো চুল পড়ার সমস্যা এ বার জব্দ হবেই Gallery July 12, 2024 Bangla Digital Desk বর্ষাকাল মানেই জাঁকিয়ে বসে চুল পড়ার সমস্যা। সারা দিন উঠতে থাকে মুঠো মুঠো চুল। এমনও হয়, ঘরের চারদিকে পড়ে থাকে চুলের গুচ্ছ। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ৫ টা সহজ উপায়ের কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন। তাঁর মতে এইগুলি মানলে এবং ডায়েটে কিছু পরিবর্তন করলেই চুল পড়ার সমস্যা জব্দ। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের গুণে সুস্থ থাকে চুল। হেয়ার ফলিকলস মজবুত হয়। নতুন চুল জন্মায়। ফ্ল্যাক্সসিডস, আখরোট, চিয়া সিডসের মতো যে খাবারে এই উপাদান বেশি, সেগুলি খেতে ভুলবেন না। কারিপাতায় আছে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং বিটা ক্যারোটিন। রোজ ডায়েটে ৭-৮ টা কারিপাতা রাখুন। কমবেই চুল পড়া। সর্ষের তেল, আমন্ড অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, মেথিদানা, কারিপাতা, রোজমেরি পাতা একসঙ্গে ফুটিয়ে, ছেঁকে বানান বিশেষ তেল। এক ঘণ্টা এই তেলে হেয়ার মাসাজ করার পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। খেজুর, ডুমুর, সজনে ডাঁটার মতো খাবারে প্রচুর আয়রন ও ফোলিক অ্যাসিড আছে। বর্ষায় বেশি করে খান এগুলি। ডায়েটে যোগ করুন প্রোটিন। ময়দা, কার্বনেটেড ড্রিঙ্কস, ভাজাভুজি, অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় এ সময়, ততই ভাল।
লাইফস্টাইল Fight Baldness: মাথায় টাক পড়েছে? চুল পাতলা? ‘ব্র্যান্ডেড’ তেল শ্যাম্পু নয়, ভরসা রাখুন এই ঘরোয়া উপায়ে, ৭ দিনেই টাকে গিজগিজ করবে ছোট-ছোট চুল Gallery July 5, 2024 Bangla Digital Desk আমেরিকান আকাদেমি অফ ডার্মাটোলজির বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটা মানুষের রোজ গড়ে ৫০-১০০টা চুল পড়ে। মনে হতে পারে সংখ্যাটা বিশাল। কিন্তু আমাদের মাথায় কম-বেশি ১০০,০০০ হেয়ার ফলিকেল থাকে এবং চুল ফের গজাতে শুরু করে। কিন্তু চিন্তার বিষয় হয় তখন-ই, যখন এরথেকে বেশি সংখ্যায় চুল পড়ে। চুল পাতলা হতে থাকে। দেখতে দেখতে মাথায় দেখা দেয় টাক। নানা কারণে চুল পড়তে পারে, যেমন– মানসিক অশান্তি, রোজের জীবনের অনিয়ম, সঠিক পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া না করা, খারাপ মানের স্নানের জল। জেনেটিক কারণেও অনেকের মাথায় বয়সের আগেই টাক পড়তে শুরু করে। টাকে চুল গজাতে বা টাক পড়া আটকাতে অনেকেই বাজারচলতি নানারকম কসমেটিক্স ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে হীতে বিপরীত হয়। কারণ এই সব প্রডাক্টে নানা ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে। কাজেই ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ৯ ঘরোয়া উপায়ে টাকে চুল গজায় দ্রুত– পেঁয়াজের রস– চুল পড়া বন্ধ করে পেঁয়াজের রস। চুল পাতলা হতে থাকলে পেঁয়াজের রস লাগান, কয়েকদিনেই নতুন চুল গজাবে। টাকে নিয়মিত তেল মালিশ করুন। মালিশের সময় হেয়ার ফলিকেলের গোড়ায় অবস্থিত ডার্মাল প্যাপিলা কোষ প্রসারিত হয়। এই কোষ নতুন চুলের জন্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নখ দিয়ে নয়,আঙুলের গোড়া দিয়ে গোলাকার বৃত্তে মালিশ করুন। চেষ্টা করুন রোজ অন্তত ৪ মিনিট মাথায় মালিশ করতে। ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড– ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড ক্যাপসুল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করলে টাকে চুল গজাতে শুরু করবে। ফিস অয়েল– এতে থাকে প্রোটিন ও অমেগাফ্যাটি অ্যাসিড যা টাকে চুল গজাতে কার্যকর। জিনসেগ– জিনসেগ সাপ্লিমেন্ট-এ চুল পড়া বন্ধ হয়, টাকে নতুন চুল গজায়। পাতিলেবু– নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার আগে এই মিশ্রণটি মাথায় মেখে ৩০ মিনিট রেখে দিন।
উত্তরবঙ্গ, কোচবিহার, লাইফস্টাইল Fight Hairfall: গাদাগাদা চুল পড়ছে? কাঁড়িকাঁড়ি টাকার তেল-শ্যাম্পু ছাড়ুন, এই সবজির রসেই চুল পড়া বন্ধ ৭ দিনে Gallery June 28, 2024 Bangla Digital Desk এমনিতেই দৈনন্দিনের রান্নার কাজে বাড়িতে ব্যবহার করা হয় পেঁয়াজ। তবে এই পেঁয়াজ কিন্তু বিভিন্ন ভাবে উপকারে লাগে। মূলত পেঁয়াজের রস উল্লেখযোগ্য ভাবে বহু উপকারে লাগানো যায়। অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সুখদেব শর্মা জানান, বর্তমান সময়ে চুলের নানা সমস্যায় নাজেহাল হচ্ছেন বহু মানুষ। তবে চুলের ক্ষেত্রে সঠিক পরিচর্চা নিতে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা ভাল। পেঁয়াজের রসে রয়েছে সালফার এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট। এই সকল উপাদান চুলের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পেঁয়াজে থাকা সালফার কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। এই উপাদান স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। কোলাজেন স্বাস্থ্যকর ত্বকের কোষ এবং চুলের বৃদ্ধি চক্র তৈরি করতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে পেঁয়াজের রস লাগালে তা রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে তোলে। ফলে চুলের ফলিকল গুলি চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পেঁয়াজের রসেঅ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকায় এটি মাথার ত্বককে প্রশমিত করে। চুলের বৃদ্ধিতে বাধা দিতে পারে এমন কোনও প্রদাহ বা জ্বালা কমাতে পারে খুব সহজেই। ফলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকের সংক্রমণ এবং খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলে চুল পাতলা এবং ক্ষতির হাত থেকে মুক্তি পায়। মাথার ত্বকের মধ্যে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকে ফলে চুল ভাল থাকে। পেঁয়াজে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এটি চুলের ফলিকল গুলিকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে পারে খুব সহজেই। ফলে চুল বার্ধক্য এবং ক্ষতির হাত থেকে সহজেই রক্ষা পায়। সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে এই রসে সামান্য জল দিয়ে পাতলা করতে হবে। এছাড়া নারকেল তেলের সঙ্গে মাখা যেতে পারে এই রস। তুলোর বল বা আঙ্গুল দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে লাগাতে হবে। পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখতে হবে। যাতে মাথায় ভাল মতন বসে যায়। এছাড়া ভাল ফলাফলের জন্য এটি এক ঘন্টা বা এমনকি সারারাত রেখে দিলে ভাল। হালকা গরম জলে চুল ধুয়ে নিতে হবে আগে। তারপর শ্যাম্পু করতে হবে ভাল ভাবে। ভাল ফলের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই রস লাগানো উচিত। তবে কয়েক সপ্তাহেই ফল পাওয়া যাবে। পেঁয়াজের রস সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ। তবে সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালা হতে পারে। এক্ষেত্রে পুরো মাথায় রস প্রয়োগের আগে, একটি ছোট অংশে লাগিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।