বর্ষাকাল মানেই ডিজে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় আর যার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের চুল পড়ার সমস্যা থেকে যায়। তবে এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলেই মুশকিল।আর তাই এভাবে চুল পড়ার আগেই আপনাকে নিতে হবে ব্যবস্থা। ধরা কমাতে এবং ঘন কালো চুল পেতে অনেক ধরনের পন্থা অবলম্বন করে থাকে।তবে ঘন কালো চুল পেতে অনেকে ব্যবহার করে থাকেন নানা ধরনের বীজ। মেথি, কুমড়োর বীজ, তিসির বীজ, কালো জিরে তার মধ্যে অন্যতম। এই বীজগুলি দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন ভেষজ তেল।বীজগুলি তেলে ভিজিয়ে রেখে তৈরি করে নিতে পারেন এই ভেষজ তেল। যা ব্যবহার রেহাই পাওয়া যাবে চুল পড়ার সমস্যা থেকেও।তবে শুধুমাত্র বীজ নয় এই বর্ষায় ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়ার সমস্যাও কমবে, এমনকি খুশকির সমস্যা থেকেও রেহাই মিলবে। সপ্তাহে ১-২ দিন ব্যবহার করতে পারেন এই ভেষজ তেল। রাতে ঘুমানোর আগে স্ক্যাল্পে তেলটি ভালো করে মাসাজ করতে হবে। এতে রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি পাবে। ফলে কমবে চুল পড়ার সমস্যা এবং গজিয়ে উঠবে ঘন কালো চুল।
বর্ষাকাল এলেই চুল পড়ার সমস্যা দ্বিগুণ বেড়ে যায়৷ তবে শুধুই আবহাওয়া নয়, বরং চুল পড়ার জন্য অনেক কারণ দায়ী। এর সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল রাতে চুলের সঠিক যত্ন না নেওয়া। এই জিনিসটা অনেকেই জানেন না, সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিছানার চারপাশে চুলের স্তূপ দেখতে পাই।সকালে চুল আচড়ানোর পরও চিরুনিতে শুধু চুলই দেখা যায়। চুল সংক্রান্ত এই ভুল শুধরে নিলে রাতারাতি চুল পড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চুল পড়া কমাতে সকালে ও রাতে কি করা উচিত তা সবার আগে জেনে নিন।আপনিও যদি চুল খোলা রেখে ঘুমান, তাহলে আজ থেকেই এই ভুলটি এড়িয়ে চলুন। চুল খোলা রেখে ঘুমানোর পরিবর্তে ঢিলে করে চুল বেঁধে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। আপনিও যদি এভাবে ঘুমানোর অভ্যাস করে ফেলেন, তাহলে জেনে নিন এটি আপনাকে কতটা উপকার দেবে।রাতে ঘুমানোর সময় চুল খোলা থাকলে সারা রাত চুল বালিশে ঘষে এবং ভেঙ্গে যেতে পারে। বিনুনি বেঁধে রাখলে চুল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।চুল বিনুনি করে রাখলে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে। চুল খোলা থাকলে আর্দ্রতা শুকিয়ে যায় যার কারণে চুল প্রাণহীন দেখাতে শুরু করে। রাতে চুল খোলা রাখলে তা আরও জট লেগে যায়, যার ফলে সকালে বেশি চুল পড়ে।চুল বেঁধে রাখলে চুলে জট কম পড়বে এবং কম পড়বে। চুলের আলগা বিনুনি তৈরি করলেও চুলের বৃদ্ধি বাড়ে। রাতে খোলা চুলে ঘুমালে চুল জমে যায়। চুল বাঁধলে এই সমস্যা অনেকটাই কম হয়।
বর্ষাকাল মানেই জাঁকিয়ে বসে চুল পড়ার সমস্যা। সারা দিন উঠতে থাকে মুঠো মুঠো চুল। এমনও হয়, ঘরের চারদিকে পড়ে থাকে চুলের গুচ্ছ।
এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ৫ টা সহজ উপায়ের কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন। তাঁর মতে এইগুলি মানলে এবং ডায়েটে কিছু পরিবর্তন করলেই চুল পড়ার সমস্যা জব্দ।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের গুণে সুস্থ থাকে চুল। হেয়ার ফলিকলস মজবুত হয়। নতুন চুল জন্মায়। ফ্ল্যাক্সসিডস, আখরোট, চিয়া সিডসের মতো যে খাবারে এই উপাদান বেশি, সেগুলি খেতে ভুলবেন না।
কারিপাতায় আছে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং বিটা ক্যারোটিন। রোজ ডায়েটে ৭-৮ টা কারিপাতা রাখুন। কমবেই চুল পড়া।
সর্ষের তেল, আমন্ড অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, মেথিদানা, কারিপাতা, রোজমেরি পাতা একসঙ্গে ফুটিয়ে, ছেঁকে বানান বিশেষ তেল। এক ঘণ্টা এই তেলে হেয়ার মাসাজ করার পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
খেজুর, ডুমুর, সজনে ডাঁটার মতো খাবারে প্রচুর আয়রন ও ফোলিক অ্যাসিড আছে। বর্ষায় বেশি করে খান এগুলি। ডায়েটে যোগ করুন প্রোটিন।
ময়দা, কার্বনেটেড ড্রিঙ্কস, ভাজাভুজি, অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় এ সময়, ততই ভাল।
