দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের অন্ডালে শনিবারেও বন্ধ থাকল বিমান পরিষেবা। কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে শুক্রবার থেকেই জলমগ্ন হওয়ার কারণে বন্ধ ছিল উড়ান পরিষেবা। শনিবার জল কমলেও বাতিল করা হল একাধিক বিমান। এ বিষয়ে জেলাশাসকদের বৈঠকে বিশেষ নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব।
শুক্রবারই ভারী বৃষ্টির কারনে অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর জলমগ্ন হয়ে যায়। এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে গোটা এয়ারপোর্ট চত্বর জলমগ্ন হওয়ার কারণে দু’দিন ধরে বন্ধ রইল উড়ান পরিষেবা। চলছে জোর কদমে সাফাই অভিযান ও জল নিকাশের কাজ। রানওয়ের ওপর জমে রয়েছে কাদামাটি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, নতুন ,করে জল জমেনি বিমানবন্দর। এয়ারপোর্ট চত্বরে সাফাইয়ের কারনেই বন্ধ রাখা হয়েছে বিমান পরিষেবা। রবিবার থেকে স্বাভাবিক হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে।
অন্ডাল এয়ারপোর্টে এত জল কী করে জমল? জেলাশাসকদের বৈঠকে প্রশ্ন মুখ্য সচিবের। জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি নদী থেকে জল ঢুকেছে। সেক্ষেত্রে নদীর বাঁধের প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ছিল না? পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসককে প্রশ্ন মুখ্য সচিবের। এত বিমান বাতিল হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। বৈঠকে মন্তব্য মুখ্য সচিবের। অন্ডাল এয়ারপোর্ট এর জন্য স্থায়ী পরিকল্পনা করতে হবে। যাতে এয়ারপোর্টে ভেতরে জল না ঢুকে পরিষেবা বন্ধ হয়। এটা নিশ্চিত করতে হবে। জেলাশাসকদের বৈঠকে নির্দেশ মুখ্য সচিবের।
কোথায় কোথায় জল জমছে তা আমাদের কাছে খবর এসে যাচ্ছে। আপনাদের কাছে কেন খবর যাচ্ছে না? জেলাশাসকদের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্য সচিবের। এদিনের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য সচিব বলেন, ‘‘আমরা জানতে পারছি কোথায় কোথায় জল জমছে তা অনুযায়ী নির্দেশ দিচ্ছি। কিন্তু এই খবরটা তো আপনাদের কাছে আগে থাকা প্রয়োজন।’’
আরও পড়ুন: মিইয়ে যাচ্ছে মুড়ি? ২ মিনিটেই হবে কুড়কুড়ে, এই টিপস মনে রাখলে মাসের পর মাস থাকবে মুচমুচে
বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে জল জমে যায় পশ্চিম বর্ধমানের একাধিক জায়গায়। রাস্তাঘাট থেকে বিমানবন্দর, জলমগ্ন হয়ে পড়ে সমস্ত জায়গা। শুক্রবারেও বৃষ্টি হয়েছে বর্ধমানে। ফলে শুক্রবার বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় অন্ডালে। শনিবার থেকে কমতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
অর্পণ চক্রবর্তী