আলিপুরদুয়ার:জল বেড়েছে সংকোশ ও রায়ডাক নদীর। একটানা বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বৃদ্ধির পাশাপাশি বানভাসি অবস্থা কুমারগ্রামের। বন্যার আশঙ্কায় ঘর ছাড়তে শুরু করেছেন এখানকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় হু হুঁ করে জল ঢুকতে শুরু করেছে।
ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলায়। নদীর জলের ভয়ঙ্কর রূপ দেখে রীতিমত ভীত এলাকাবাসীরা। ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টির জল এসে মিশছে এই নদীগুলোতে। যে কোনও সময় কুমারগ্রাম ব্লকে বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের তরফেও হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।
পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা একত্রিত হয়েছেন নদীর ধারে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে প্রশাসন কড়া নজরদারি চালু করেছে বলে খবর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ফ্লাড সেন্টার চালু না হওয়ায় কুমারগ্রামের মানুষ বেশ চিন্তিত। দু’রাত ধরে চোখের পাতা এক করতে পারছেন না তাঁরা। নদীর ধারেই দিন কাটছে সকলের। রান্না বন্ধ, কোনওরকমে জোগাড় করা শুকনো খাবার খাচ্ছেন তাঁরা।
আলিপুরদুয়ার: ভুটান পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির কারণে হড়পা বানে ভাসছে জয়গাঁ। এখনও জলে ডুবে রয়েছে এখানকার বহু এলাকা। ফুলেফেঁপে উঠেছে ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী জয়গাঁর নদীর জল। এখনও বৃষ্টি থামার নাম গন্ধ নেই। ফলে বিপদ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে ভুটান সীমান্তবর্তী জয়গাঁতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে জয়গাঁর রাইগাঁও, মঙ্গলাবাড়ি, বৈরবাড়ি, খারখোলা সহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।বাসিন্দাদের ঘরের মধ্যে জল ঢুকে যাচ্ছে। ফলে সারাদিন এলাকায় রান্না বন্ধ। বৃষ্টি একটু থামলে ঘর পরিষ্কার করতে দেখা যায় বাসিন্দাদের। রাইগাঁও, মঙ্গলাবাড়ি এলাকাটি ভুটান পাহাড় লাগোয়া হওয়াতে সেখানে প্রবেশ করেছে কাদাজল। প্রতিটি বাড়ি কাদায় ডুবে রয়েছে। বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন।
এদিকে সকাল থেকেই বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন জয়গাঁ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কমল পাখরিন। কিন্তু পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ায় এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা যোগীখোলা, খারখোলা, গোবরজ্যোতি, তোর্ষা সহ বিভিন্ন ঝোরা বয়ে যায় এই এলাকা দিয়ে। বর্ষা টানা বৃষ্টিতে সবকটি নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জয়ঁগা স্টেট প্ল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফ্লাড সেন্টার খোলা হয়েছে।সেখানে আশ্রয় নিয়েছে বন্যা কবলিত প্রায় ৩৫ টি পরিবার।তাদের জন্য খাবার তৈরি হচ্ছে কমিউনিটি কিচেনে।