উত্তর ২৪ পরগনা: এমনিতে বছরের অন্য সময় অবহেলায় পরে থাকলেও চৈত্র-বৈশাখ মাসে চাহিদা বাড়ে আকন্দ ফুলের। এখন এই ফুল চাষ করেই লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। আকন্দ ফুল ফুটিয়ে অর্থের মুখ দেখা যেতে পারে তা কিছু বছর আগেও গ্রাম বাংলার ভাবনার অতীত ছিল। কিন্তু সেটাই সত্যি করে তুলেছেন পাঁচপোতা গ্রামের কুমার সরকার।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, দেবাদিদেব মহাদেব আকন্দ ফুলে তুষ্ট হন। এই বিশ্বাস থেকে শিব ভক্তরাও পুজোর প্রধান উপকরণ হিসাবে রাখেন এই আকন্দ ফুলকে৷ পথে-ঘাটে, বাগানে কিংবা রাস্তার দু’ধারে অযত্নে অবহেলায় বেড়ে উঠতে দেখা যায় এই ফুলের গাছ৷ এই গাছ হেলায়-ফেলায় থাকলেও শিবের পুজোর জন্য কিংবা নীল পুজো ও চড়ক পুজোর সময় এই ফুলের চাহিদা বাড়ে। দিনদিন এই আকন্দ ফুলের চাহিদা বাড়তে থাকায় বর্তমানে তা বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেপরোয়া গতির শিকার স্কুটি চালক, ইকোপার্কের সামনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা
পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, অনেক কৃষক ব্যবসায়িকভাবে আকন্দ ফুলের চাষ করে ভাল টাকা রোজগার করছেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পাঁচপোতা গ্রামে আজ থেকে ২৫ বছর আগে কুমার সরকার নামে এক কৃষক প্রথম আকন্দ ফুলের চাষ শুরু করেন। চাষের পরিধি বাড়তে বাড়তে বর্তমানে পাঁচপোতা এলাকায় প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে আকন্দ ফুলের চাষ হচ্ছে। ফুল তোলা থেকে শুরু করে মালা গাঁথা সহ একাধিক কাজে কৃষকের পাশাপাশি বহু শ্রমিকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। শিবরাত্রি ও চড়কের সময় সর্বত্র চড়া দামে বিক্রি হয় আকন্দ ফুল।
আরও পড়ুন: রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়, তবু ভোট এলেই ওঁদের গুরুত্ব বেড়ে যায়
পাঁচপোতা গ্রামের আরেক কৃষক মনোতোষ সরদার জানান, আকন্দ ফুল চাষে খরচ খুব একটা বেশি নেই। কিন্তু ভালো বাজারদর পাওয়া গেলে লক্ষাধিক টাকা লাভ হতে পারে। এই সময় চারিদিকে চলছে শিবের মাথায় জল ঢালা। ফলে ফুলের চাহিদাও বেড়েছে অনেকটাই। এক কুড়ি ফুল দুশো টাকার উপরেও বিক্রি হচ্ছে বলে জানান এক ফুল ব্যবসায়ী।
রুদ্রনারায়ণ রায়