লাইফস্টাইল Vegetarian Diet: মাছ-মাংস ছেড়ে শুধু নিরামিষ খাচ্ছেন? শরীরে কী হচ্ছে জানেন? বড় ভুল হয়ে যাওয়ার আগে… Gallery August 19, 2024 Bangla Digital Desk ইদানীং অনেকেই আমিষের চেয়ে নিরামিষ খাবারের অনুরাগী হয়ে উঠছেন। ‘ভেগান’ জীবনধারাতেও অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন অনেকেই। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, আমিষ খাবার যে শুধু সুস্বাদু, তা নয়। প্রাণিজাত খাবার একইসঙ্গে শরীরেরও যত্ন নেয়। প্রোটিনের ঘাটতি মেটায় শরীরে। আমিষ খাবারের বদলে নিরামিষ খাওয়া শুরু করলে কি ক্ষতি হয় শরীরের? ভারত: নিরামিষভোজী দেশের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ভারত। জনসংখ্যার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ নিরামিষ খাবার খান। এর পিছনে ধর্মবিশ্বাসই মূল কারণ, বিশেষ করে জৈন, বৌদ্ধ ও হিন্দুদের একাংশ এই রীতি মেনে চলেন। গুজরাত এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যে নিরামিষভোজীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।Representative Image নোবেল জয়ী জার্মান চিকিৎসক আলবার্ট শোয়েটজার বলেছিলেন, নিরামিষ খাবারেও প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে, যা শরীরের খেয়াল রাখে। এমনকি উদ্ভিদজাত খাবার খেলে শরীরের উপকার হয় বেশি। এক মাস মাছ, মাংস না হলে শরীরে তার ক্ষতিকর কোনও প্রভাব পড়ে না। বরং শরীর সুস্থ থাকে বেশি। শহরের জনপ্রিয় পুষ্টিবিদ অনুমিতা দত্তের মতে, নিরামিষ খাবারে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। ফাইবার হজমক্ষমতা বাড়ায়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই কমে। সেই কারণেই নিরামিষ খাবার বেশি করে খাওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও নিরামিষ খাবার খাওয়ার উপকারী ভূমিকা রয়েছে। শাকসব্জিতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেক কম। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। বরং এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরামিষ খাবার দারুণ সাহায্য করে। উদ্ভিদজাত খাবারে স্বাস্থ্যগুণের শেষ নেই। ফলে নিরামিষ খাবার খেলে কোলেস্টেরল তো বটেই, আরও অনেক রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমে। তবে পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকদের মতে, নিরামিষ খাবার টানা খেলে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে শরীরে। এতে দুর্বলতা বাড়তে পারে, ঘাটতি হতে পারে পুষ্টিরও। পুষ্টিবিদ এবং ডায়েটিশিয়ান শিখা আগরওয়াল শর্মা জানাচ্ছেন নিরামিষ খাবারেও থাকে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং পুষ্টিকর উপাদান। তাই ডাল, সয়াবিন, পনীর কিংবা রাজমার মতো খাবার প্রতি দিন পাতে রাখতে হবে। এতে প্রোটিনের দৈনিক চাহিদা পূরণ হতে পারে। নিরামিষ খাবার সুস্বাদু করার জন্য অনেকে বেশি তেল এবং ঘি দিয়ে গুরুপাক তৈরি করে খেতে ভালবাসেন। এতে শরীরের ক্ষতি হয়। মেদও বাড়ে। চিকিৎসক পরামর্শ দেন, রোজকার খাবারে বেশি তেল ঘি দিয়ে খাবেন না। এতে কোলেস্টেরল থেকে শুরু করে ওজন বাড়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লাইফস্টাইল Bitter Gourd Eating Tips: ঝাঁঝরা হবে শরীর! এই খাবারগুলির সঙ্গে উচ্ছে বা করলা খেলেই দফারফা সুস্থতার! তেতোর সঙ্গে ভুলেও মুখে দেবেন না কী কী, জানুন Gallery August 12, 2024 Bangla Digital Desk ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ, হজমে সাহায্য-সহ একাধিক উপকারিতার পিছনে আছে উচ্ছে এবং করলার পুষ্টিগুণ। খাদ্যগুণ অঢেল হলেও মনে রাখতে হবে কিছু খাবারের সঙ্গে উচ্ছে বা করলা একদমই খাওয়া যাবে না। খেলেই ঝাঁঝরা হবে শরীর। বলছেন পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা। কলা, আপেল, আমের মতো মিষ্টি ফলের সঙ্গে উচ্ছে খাবেন না। মিষ্টি ও তিক্ত স্বাদের সঙ্ঘাত হবে। অতিরিক্ত মিষ্টত্বের জন্য নষ্ট হবে তিক্ত স্বাদ। দুধ, টকদই, চিজের সঙ্গে উচ্ছে বা করলা খাওয়াই যাবে না। দুধের ক্রিমি স্বাদের সঙ্গে করলার তিক্ততা মোটেও উপভোগ্য নয়। লবঙ্গ, দারচিনি, জয়িত্রীর মতো কড়া স্বাদের মশলার সঙ্গে উচ্ছে খাবেন না। ধনে, জিরের মতো মশলা দিয়ে রান্না করুন উচ্ছে, করলা। রেডমিট, বেশি ফ্যাটসমেত খাবারের সঙ্গেও খাবেন না। চিকেন বা মাছের সঙ্গে উচ্ছে, করলা খেতে পারবেন। ছাঁকা তেলে ভাজা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেনের সঙ্গেও উচ্ছে, করলা খাবেন না। এতে খাবারের তিতো ভাব বেড়ে যায় অনেকটাই। টম্যাটো, লেবুজাতীয় ফলের জেরে বাড়ে করলার তিক্ততা। তাই টকখাবারের সঙ্গে উচ্ছে, করলা খাবেন না। প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন চিপস, ক্র্যাকার্স, সুগারি স্ন্যাক্সে আছে কৃত্রিম গন্ধ এবং প্রেজারভেটিভ। এগুলির সঙ্গে উচ্ছে, করলা খাওয়া চলবে না। সয়সস, বারবিকিউ সস, মধুর মতো উপকরণে করলা, উচ্ছে রাঁধবেন না। এতে খাবারের স্বাদ, গন্ধ, গুণ সবকিছুই মাঠে মারা যাবে।
লাইফস্টাইল Healthy Lifestyle: কেলেঙ্কারি! মাংস খেয়েই কচমচ করে চিবিয়ে খাচ্ছেন হাড়! চিকেনের হাড় খেলে কী হয় জানেন? Gallery May 12, 2024 Bangla Digital Desk রবিবার মানেই মাংস। চিকেন, মটন, মাছ, ডিম এসব আমরা অনেকেই খুব পছন্দ করি খেতে! অনেকের তো চিকেন ছাড়া মুখে খাবার ওঠে না! তবে চিকেন খেতে ভালবাসলেও চিকেনের হাড় খুব একটা কেউ চিবিয়ে খায় না! আসলে চিকেনের হাড় খাওয়া উচিত কিনা জানেন না অনেকেই। প্রক্রিয়াজাত মাংস কিংবা আগে থেকে কেটে রাখা মাংস খাওয়ার প্রবণতা বাড়ায় মাংসবিক্রেতার কাছ থেকে মাংস কেনা কমে গিয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে দোকান থেকে টাটকা মাংস কেনার প্রবণতা বেশ কমে গিয়েছে। বদলে বেড়েছে প্যাকেটজাত মাংসের প্রতি ঝোঁক। যার সঙ্গে বেড়েছে মাংস নিয়ে দ্বিধাও। তবে যে ধরনের চিকেনই খান না কেন, কয়েকটি বিষয় জানা দরকার৷ মুরগির হাড়, হাড়ের মজ্জা বা সাদা অংশ, মাথা খাওয়া উচিৎ নয়। কারন অধিকাংশ ক্ষেত্রে এদের নানা ধরনের অন্টিবায়োটিক দেওয়া হয়ে থাকে। হাড় বা তরুণাস্থিতে কিছু পরিমাণ উপকারী উপাদান পেলেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় হাড় চেবানোর পরেও ছোটোখাটো টুকরো পেটে চলে যায়। এটিও বিপদজনক। কারণ এতে হজমের সমস্যা হয়। Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।