Tag Archives: foot bridge

Broken Bamboo Bridge: বেহাল বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকির পারাপার! ক্ষোভে ফুটছে স্থানীয়রা

কোচবিহার: শহরের লক্ষ্মীর বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে সেই বাঁশের সাঁকোর একেবারেই বেহাল দশা। তার উপর টানা বৃষ্টিতে আবার নদীর জল বেড়েছে। ফলে অনেকটাই ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছে স্থানীয় মানুষজন। এই পরিস্থিতিতে স্থায়ী সেতু তৈরি না হওয়ায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা।

এই সাঁকো’ই নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা। এই সাঁকো পেরিয়ে বাজার ও স্কুলে যেতে হয়। ছোট থেকে বড় সকলের জন্যই সমান গুরুত্বপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো। তবে এই সাঁকো দিয়ে বর্তমানে চলাচল করতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয়রা। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল হক জানান, বাঁশের সাঁকোর বেহাল অবস্থার কারণে বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। যা অবস্থা তাতে দ্রুত সংস্কার না হলে যে কোনও সময় ভেঙে যেতে পারে। তখন যাতায়াত একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: গরু সামলাতে নাজেহাল পুলিশ, নিয়োগ করতে হল অস্থায়ী কর্মী!

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা ময়না বর্মন জানান, এই সাঁকো গ্রামের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সাঁকোটি সংস্কার করার বিষয়ে কোনও প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করছে না পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। তাঁরা এই সাঁকোর বিষয়ে একেবারেই উদাসীন। যেই কারণে এলাকার মানুষেরা রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন। একবার স্থানীয় মানুষেরা চাঁদা তুলে এই সাঁকোর সংস্কার করেছিল। তবে বর্ষার জল বাড়ার কারণে সেটাও এখন করা সম্ভব হবে না। এই পরিস্থিতিতে বর্ষাকালে এমন বিপজ্জনক সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করা আর‌ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

গোটা বিষয় নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা এই বিষয়ে কোন‌ও প্রকার মন্তব্য করতে চাননি। ফলে কবে এই সমস্যা মিটবে তা পরিষ্কার নয়।

সার্থক পণ্ডিত

Broken Bridge: নদীর জলের তোড়ে ভাঙল পারাপারের সাঁকো

কোচবিহার: কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব নদীতেই জলস্তর বেড়েছে। রায়ডাক নদীর জলের স্তরও অনেকটাই বেড়েছে। তাঁর ফলেই ভেঙে গেল নদী পারাপারের বাঁশের সাঁকো। তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের মনিরঘাট এলাকায় রায়ডাক নদীর ওপর এই বাঁশের সাঁকো জলের তোড়ে ভেসে যায়। ফলে নদী পারপার করে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের।

ভেঙে যাওয়া সাঁকোটি দিয়ে কুটি বাড়ি, বাঁশ রাজা, হরিরহাট, মান্তানি কালীবাড়ি, বক্সিরহাট চলাচল করে থাকেন শতাধিক মানুষ। ক্রমাগত নদীর জলস্তর বাড়তে থাকার কারণে কচুরি পানা আটকে ভেঙে যায় এই সাঁকোটি। মূলত বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী সহ বহু সাধারণ মানুষ ঘুরপথে যাতায়াত করছেন। এতে সময় লাগছে অনেকটাই বেশি এবং সমস্যায় হচ্ছে অনেকটাই। স্থানীয় বাসিন্দা মালতি মণ্ডল জানান, এই এলাকায় প্রায় ৫০ বছর ধরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন স্থানীয়রা। নিজেদের সুবিধার্থে এলাকাবাসীরা মিলেই এই সাঁকো তৈরি করেছিলেন। প্রতি বছরই এই সাঁকো তৈরি করা হয়। তবে সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।

আর‌ও পড়ুন: বাবা লোকনাথ কোথায় ধ্যান করত জানেন? স্মৃতি বিজড়িত প্রাচীন অশ্বত্থ গাছটি এখনও আছে

বছরের কিছু মাস ব্যবহার করা হয় এই সাঁকো। তারপর বর্ষা এলেই নদীর জলের তোড়ে ভেঙে যায় এই সাঁকো। বর্ষাকালে নদীর জলস্তর বেড়ে গেলে ঘুরপথে চলাচল করতে হয় নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীরা রায়ডাক নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু চাইছেন। তাহলে আর প্রতি বর্ষায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।

সার্থক পণ্ডিত