Tag Archives: Gujarat

Pakistani boat caught in Gujarat: ভারতীয় জলসীমায় পাক নৌকা, গুজরাতে তাড়া করে ধরল উপকূলরক্ষী বাহিনী

#পোরবন্দর: ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ায় একটি পাকিস্তানি নৌকা থেকে দশজনকে আটক করল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী (Pakistani boat caught in Gujarat)৷ আটক করা হয়েছে নৌকাটিকেও৷

শনিবার রাতে গুজরাত উপকূলবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াসিন নামে ওই পাকিস্তানি নৌকাটিকে আটক করা হয়৷

আরও পড়ুন: গভীর রাতে গোপন খবর, বাংলাদেশ সীমান্তে ঘটল মারাত্মক ঘটনা, মূল কাণ্ডারি চার মহিলা!

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে ট্যুইট করে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘গত ৮ জানুয়ারি ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ অঙ্কিত পাকিস্তানি নৌকা ইয়াসিনকে ধাওয়া করে আরব সাগর থেকে দশজন সমেত আটক করে৷ ধৃতদের জেরা করার জন্য নৌকাটিকে পোরবন্দরে নিয়ে আসা হচ্ছে৷’

আরও পড়ুন: দুবাই ফেরত যাত্রীর বেল্টের ভিতরে মিলল ১ কোটি টাকারও বেশি দামের সোনা ! গ্রেফতার দিল্লি বিমানবন্দরে

গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বরও একই ভাবে অভিযান চালিয়ে গুজরাত উপকূলের অদূরে ১২ জন সমেত একটি পাকিস্তানি নৌকাকে আটক করেছিল উপকূলরক্ষী বাহিনী৷ সাম্প্রতিক কালে মাদক পাচারের উদ্দেশ্যে এই ধরনের নৌকা ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে পাচারকারীদের মধ্যে৷

গত বছর ২০ ডিসেম্বরও গুজরাত উপকূলের অদূরে ভারতীয় জলসীমার মধ্যে থেকে একটি পাকিস্তানি মাছ ধরা নৌকা থেকে ৬ জনকে আটক করেছিল উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং রাজ্য সন্ত্রাস দমন শাখার অফিসাররা৷ সেই নৌকা থেকে প্রায় চারশো কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়৷

 

Gujarat Drug Bust: খাস গুজরাতেই হেরোইন চক্র! দেশে কীভাবে অবাধে মাদকের কারবার চলছে ? প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস

আহমেদাবাদ: সম্প্রতি গুজরাতের মুন্দ্রা (Mundra Port) বন্দরে ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (DRI) অফিসাররা যে রেকর্ড পরিমাণ মাদক (Drugs) বাজেয়াপ্ত করেছেন, তার বাজারমূল্য শুনলে রীতিমতো চমকে ওঠার মতো ৷ জানা গিয়েছে, ওই পরিমাণ মাদকের দাম ২১ হাজার কোটি টাকা (Drugs Rs 21,000 Crore Seized in Gujarat) ৷ যেগুলি ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই করার জন্যই ওই বন্দরে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে ৷

এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই এখন আঙুল তুলেছে কংগ্রেস ৷ দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে, কীভাবে দেশে এই বিপুল পরিমাণ ড্রাগের চোরাচালান চলছিল ? কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা (Randeep Surjewala) একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্ন তুলেছেন ৷

আরও পড়ুন- গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে ২১ হাজার কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত ! এসেছে আফগানিস্তান থেকেই, দাবি গোয়েন্দাদের

সুরজেওয়ালা বলেন, মুন্দ্রা বন্দরে ২১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৷ যা আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৷ এর জন্য বিভিন্ন সরকারি এজেন্সি, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, ইডি এবং ডিআরআই-এর দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি ৷ সুরজেওয়ালা বলেন, মাদক আমাদের দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে ৷ জুলাই মাসেই দিল্লি পুলিশ ২৫০০ কোটি টাকা মূল্যের ৩৫৪ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল ৷ যারা এই মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে খুঁজে বের করা হোক ৷

তিনি আরও বলেন, ১৭৫০০০ কোটি টাকা মূল্যের ২৫০০ কেজি মাদক কোথায় গেল ? এভাবেই দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাদক ৷ যা দেশ বিরোধী মূলক কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ এতে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যহত হচ্ছে ৷ আর এর সঙ্গে তালিবানদের যোগ রয়েছে ৷ তাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চের অধীনেই এই ঘটনার তদন্ত হোক বলে দাবি করেছেন সুরজেওয়ালা ৷

ড্রাগ উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল, সেগুলির দাম ৩৫০০ কোটি টাকার মতো হবে ৷ তবে ৬ দিন ধরে তদন্ত চালানোর পর বাজেয়াপ্ত হওয়া বিপুল পরিমাণ মাদকের সঠিক বাজারমূল্য জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসাররা ৷ যে অঙ্কটা আসলে ২১ হাজার কোটি টাকা ৷

গোয়েন্দা সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইএসআই (ISI) এবং তালিবানের (Taliban) এই একটাই মাধ্যম ৷ আফগানিস্তানের আশরাফ গনির সরকার এই ধরণের জিনিসপত্র নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও তালিবানদের জমানায় ফের তার ব্যবসা শুরু হয়েছে ৷ যে মাদক গুজরাতের বন্দরে ধরা পড়েছে, তা অত্যন্ত উৎকৃষ্ট মানের হেরোইন (Heroin) বলে পরীক্ষাগারে পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন– যৌন জীবনে বিপদ ডেকে আনছে ওবেসিটি, সময় থাকতে সচেতন হন!

DRI অফিসাররা জানতে পেরেছেন এই মাল বিজয়ওয়াড়ার একটি সংস্থার নামে ভারতে আমদানি করা হয়েছিল ৷ TALC স্টোনের নামে আফগানিস্তান থেকে ইরানের বন্দর আব্বাস হয়ে গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে এসে পৌঁছেছিল সেগুলি ৷ আফগানিস্তান থেকেই এই ড্রাগ এসেছে বলে নিশ্চিত গোয়েন্দারা ৷ ৪০ টনের দুটি কন্টেনার বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ তারপর সেগুলি গান্ধিনগরের ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবে পাঠানো হয় ৷ সেই পরীক্ষাতেই ধরা পড়ে বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিসগুলি আদতে অনেক দামি হেরোইন ৷ প্রথম কন্টেনারে ১৯৯৯.৫৭৯ কেজি মাদক এবং দ্বিতীয় কন্টেনারে ৯৮৮.৬৪ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয় ৷ সবমিলিয়ে তাতে ২৯৮৮.২১৯ কেজি ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷

এই ঘটনায় চেন্নাইয়ের বাসিন্দা এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ প্রায় ৩০০০ কেজির মাদকের চোরাচালানের পিছনে তাদের হাত রয়েছে, এমন বেশ কিছু প্রমাণ হাতে এসেছে পুলিশের কাছে ৷ সন্দেহভাজনদের দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷

হাসিমুখে ভিডিও রেকর্ড করে সবরমতীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা যুবতীর! দেখুন

#আহমেদাবাদ: মর্মান্তিক এক ভিডিও যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সপ্তাহের প্রথম দিন। আত্মহত্যার আগে হাসিমুখে নিজের মনের কথা জানিয়েছেন তিনি। ভিডিও থেকে জানা গিয়েছে, তিনি বিবাহিত এবং বয়স ২৩। ভিডিওতে আবেগতাড়িত হয়ে বেশ কিছু কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর নাম আয়েশা এবং নিজের ইচ্ছেতেই নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

যদিও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, পণের জন্য শ্বশুরবাড়ির অনবরত চাপেই এভাবে নিজের জীবন শেষ করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদের সবরমতী নদীর তীরে। নদীতট থেকে পুলিশ ইতিমধ্যেই আয়েশার দেহ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় মামলা শুরু করেছে গুজরাট পুলিশ।

মেয়ের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন তাঁর বাবা লিয়াকত আলি। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজস্থানের জালোরের বাসিন্দা আরিফ খানের সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে হয়েছিল আয়েশার। বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আমি কিছু টাকা দিতে পেরেছিলাম। কিন্তু ওদের লোভ এত ছিল যে, কিছু মাস আগে এ নিয়ে আরিফের সঙ্গে তুমুল অশান্তি হয় আয়েশার। তার পরই আহমেদাবাদে ফিরে আসে আয়েশা। যদিও ফোনে ওদের কথা হত।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া আয়েশার রেকর্ড করা প্রায় দু’মিনিটের ভিডিওতেও শোনা গিয়েছে তাঁর মনের কষ্টের কথা। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘যে সিদ্ধান্ত আমি নিতে যাচ্ছি, এর জন্য কেউ আমাকে চাপ দেয়নি। বুঝলাম ভগবান আমাকে ছোট্ট জীবনই দিয়েছেন। বাবা, তুমি আর কত লড়বে? মামলা তুলে নাও। যে স্বাধীনতা চাই তাঁকে মুক্ত করে দাও।’ এর পর হাসিমুখে আয়েশার আরও বক্তব্য, ‘আমি আমার জীবন শেষ করতে চলেছি। আল্লার সঙ্গে দেখা হবে ভেবে আমি খুশি। দেখা হলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করব, আমি কী ভুল করেছি? আমার দোষ কী?’ আয়েশার শেষ মূহূর্তের উক্তি, ‘এমন সুন্দর একলা নদীর কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে যেন এই নদী নিজের মধ্যে জাপটে নেয়। আমি হাওয়ার মতো উড়ে যেতে চাই। ভেসে যেতে চাই।’

গুজরাটের হোটেলের ভিতর ঢুকে পড়ল সিংহি, হাড়হিম Video

#গুজরাট: শকিং ভিডিও দেখে চমকে উঠছেন নেটিজেন। গুজরাটের একটি হোটেলের মেন গেটের ভিতরে দাঁড়িয়ে রয়েছে স্বয়ং জঙ্গলের রানি। গুজরাটের রাস্তায় এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে হতবাক সকলেই। হোটেলের বাইরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এমন দৃশ্য। জুনাগড়ের ওই হোটেলের বাইরের সারভেইলেন্স ক্যামেরায় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, মেন গেটের ভিতরে দাঁড়িয়ে রয়েছে সিংহি। নিচু সীমানা টপকে একেবারে হোটেলের ভিতর ঢুকেও পড়ে সেটি। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার ভোরবেলা।

টুইটারে এই ভিডিও শেয়ার করেছেন উদয়ন কাচ্ছি নামের এক টুইটার ইউজার। গুজরাটের জুনাগড়ের রাস্তায় হামেশাই যে সিংহ দেখা যায় সেই কথা বিবরণে জানিয়েছেন তিনি। গিরনার পাহাড়ের কোলে অবস্থিত জুনাগড় গির সংরক্ষিত অরণ্যের একেবারে সংলগ্ন। সেখানে সিংহ সংরক্ষণ করা হয়। এশীয় সিংহের একমাত্র সংরক্ষিত অরণ্য এই গির অরণ্য। টুইটার ইউজার কাচ্ছি এই ভিডিও শেয়ার করে জানিয়েছেন, জুনাগড়ের হোটেল সরোবর পোর্টিকোর মেন গেটের ভিতরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই সিংহি। শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ব্যস্ত এলাকা এটি। রেলস্টেশনের একেবারেই কাছে এই হোটেলটি।

এগারো সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে সিংহি নিচু গেট লাফ দিয়ে পেরিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে। ঠিক তার কয়েক সেকেন্ড আগেই রাস্তা দিয়ে দুই বাইক আরোহী চলে যাচ্ছেন। কাচ্ছির শেয়ার করা ভিডিওতে কমেন্ট করেছেন ভারতীয় বন আধিকারিক সুশান্ত নন্দা। রাজ্যে প্রাণী-মানুষ সংঘাতের বিষয়টি ফের একবার তুলে ধরেছেন তিনি। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই নিমেষে ঝড় তুলেছে। এককথায় ভাইরাল হয়েছে সেটি।

ভিডিওটি প্রায় ৭ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং বহু মানুষ এটি নিয়ে কথা বলেছেন ও লাইক করেছেন। অনেকেই গুজরাটে পশুদের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের কথা টেনে এনেছেন।