Tag Archives: health benefit

হাড় আর পেশি মজবুত করতে জুড়ি মেলা ভার; এই গাছের প্রতিটি অংশই পুষ্টিগুণে ভরা

Report: Ashish Kumar: আমাদের আশপাশে এমন অনেক গাছপালা রয়েছে, যা ঔষধি গুণে ভরপুর। তেমনই একটি গাছ হল মহুয়া। আসলে এটি এমন একটি গাছ, যার সমস্ত অংশই পুষ্টি ও ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ। আসলে অনেকেই শুধুমাত্র মহুয়া গাছের ফল খেয়ে থাকেন। অথচ এই গাছের পাতা, ফুল এবং ছালও কিন্তু সমান ভাবে উপকারী।
Report: Ashish Kumar: আমাদের আশপাশে এমন অনেক গাছপালা রয়েছে, যা ঔষধি গুণে ভরপুর। তেমনই একটি গাছ হল মহুয়া। আসলে এটি এমন একটি গাছ, যার সমস্ত অংশই পুষ্টি ও ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ। আসলে অনেকেই শুধুমাত্র মহুয়া গাছের ফল খেয়ে থাকেন। অথচ এই গাছের পাতা, ফুল এবং ছালও কিন্তু সমান ভাবে উপকারী।
তবে বলে রাখা ভাল যে, মহুয়া ফুল থেকে তৈরি মদ আদিবাসীদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়। ধীরে ধীরে এই জনপ্রিয়তা অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু আজকের প্রতিবেদনে মহুয়া গাছের প্রত্যেকটি অংশের উপকারিতা আলোচনা করে নেওয়া যাক।
তবে বলে রাখা ভাল যে, মহুয়া ফুল থেকে তৈরি মদ আদিবাসীদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়। ধীরে ধীরে এই জনপ্রিয়তা অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু আজকের প্রতিবেদনে মহুয়া গাছের প্রত্যেকটি অংশের উপকারিতা আলোচনা করে নেওয়া যাক।
ঔষধি উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ রবিকান্ত পান্ডে Local 18-কে জানিয়েছেন যে, মহুয়ার মধ্যে ফসফরাস, সুগার, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন এবং ভিটামিন সি-সহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে আমাদের শরীর বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে মুক্ত হয়। দাঁতে ব্যথা কিংবা সেনসিটিভিটির মতো সমস্যা হলে মহুয়া গাছের বাকল বা ছালের নির্যাস বার করে তা দিয়ে গার্গল করতে হবে। এই উপায় অবলম্বন করলে নিমেষে দূর হবে দাঁতের একাধিক সমস্যা।
ঔষধি উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ রবিকান্ত পান্ডে Local 18-কে জানিয়েছেন যে, মহুয়ার মধ্যে ফসফরাস, সুগার, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন এবং ভিটামিন সি-সহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে আমাদের শরীর বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে মুক্ত হয়। দাঁতে ব্যথা কিংবা সেনসিটিভিটির মতো সমস্যা হলে মহুয়া গাছের বাকল বা ছালের নির্যাস বার করে তা দিয়ে গার্গল করতে হবে। এই উপায় অবলম্বন করলে নিমেষে দূর হবে দাঁতের একাধিক সমস্যা।
আবার মহুয়ার মধ্যে উপস্থিত ক্যালসিয়াম দেহের হাড়ের গঠন মজবুত করতেও সাহায্য করে। যাঁদের হাড় দুর্বল কিংবা যাঁরা হাড়ের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের মুশকিল আসান করতে পারে মহুয়া। আর এভাবেই প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে হাড়ের সমস্যাকে দূর করা সম্ভব। এখানেই শেষ নয়, আবার যাঁরা জিমে গিয়ে পেশিবহুল চেহারা বানাতে চাইছেন, তাঁদের জন্যও মহুয়া একটি দারুণ বিকল্প হতে পারে।
আবার মহুয়ার মধ্যে উপস্থিত ক্যালসিয়াম দেহের হাড়ের গঠন মজবুত করতেও সাহায্য করে। যাঁদের হাড় দুর্বল কিংবা যাঁরা হাড়ের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের মুশকিল আসান করতে পারে মহুয়া। আর এভাবেই প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে হাড়ের সমস্যাকে দূর করা সম্ভব। এখানেই শেষ নয়, আবার যাঁরা জিমে গিয়ে পেশিবহুল চেহারা বানাতে চাইছেন, তাঁদের জন্যও মহুয়া একটি দারুণ বিকল্প হতে পারে।
যেহেতু মহুয়া ক্যালসিয়ামের একটি ভাল উৎস, তাই এটি সরাসরি গরুর দুধের সঙ্গে মিশিয়েও সেবন করা যেতে পারে। মহুয়ার মধ্যে থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পেটের কৃমি সমস্যা নিধনে এবং পেট পরিষ্কারও রাখতেও সহায়ক মহুয়া। কিন্তু কীভাবে খাওয়া যাবে এটি। মহুয়া দিয়ে আসলে হালুয়া, কাড়া এবং রুটি বানানো যেতে পারে। এপ্রিল মাস নাগাদ মহুয়া গাছে হলুদ-সাদা রঙের রসালো ফুল ধরতে শুরু করে। যা গ্রামের দিকে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে।
যেহেতু মহুয়া ক্যালসিয়ামের একটি ভাল উৎস, তাই এটি সরাসরি গরুর দুধের সঙ্গে মিশিয়েও সেবন করা যেতে পারে। মহুয়ার মধ্যে থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পেটের কৃমি সমস্যা নিধনে এবং পেট পরিষ্কারও রাখতেও সহায়ক মহুয়া। কিন্তু কীভাবে খাওয়া যাবে এটি। মহুয়া দিয়ে আসলে হালুয়া, কাড়া এবং রুটি বানানো যেতে পারে। এপ্রিল মাস নাগাদ মহুয়া গাছে হলুদ-সাদা রঙের রসালো ফুল ধরতে শুরু করে। যা গ্রামের দিকে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে।

Almond: বাড়বে ত্বকের জেল্লা, কমবে স্ট্রেস, একাধিক গুণের ভাণ্ডার অ‍্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা আমন্ড! কিন্তু কীভাবে খাচ্ছেন? একই ভুল আপনিও করছেন না তো?

বাদাম এমনিতেই উপকারী। সারাদিনের খাবারের তালিকায় থাকে এই বাদাম। জানেন স্বাস্থ্য উপকারিতা কতটা?
ছোট্ট ছোট্ট বাদাম পুষ্টির ভাণ্ডার। উপকারী খাবারের তালিকায় সবসময়ই উপরের দিকে থাকে বাদাম। কিন্তু বাদাম যেমন তেমনভাবে নয়, খেতে হবে সঠিক উপায়ে, নিয়ম মেনে।
সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই বাদাম খাওয়ার অভ্যাসে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়।
বাদাম খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানালেন পুষ্টিবিদ অভিজিৎ সেন। বিশেষত কাঠবাদাম বা আমন্ডের গুণাগুণ নিয়ে জানালেন তিনি।
ভিটামিন এবং নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই কাঠ বাদাম বা আমন্ড। রোজকার খাদ্য তালিকায় রাখেন অনেকে। ভেজানো কাঠাবাদাম খেয়ে অনেকেই দিন শুরু করেন। তাই ব্যবহার করুন এই বাদাম।
পুষ্টিবিদ অভিজিৎ সেনের পরামর্শ সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই বাদাম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়।
পুষ্টিবিদ অভিজিৎ সেন মন্তব্য করেন, কাঠবাদামের খোসায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি। রক্তে বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে উপাদানটি। এছাড়াও বাদাম ত্বকের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
ভিটামিন এবং নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই কাঠ বাদাম বা আমন্ড। রোজকার খাদ্য তালিকায় রাখেন অনেকে। ভেজানো কাঠবাদাম খেয়ে অনেকেই দিন শুরু করেন। এই অভ‍্যাস শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী, জানালেন পুষ্টিবিদ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমন্ড বাদাম প্রতিদিন অন্তত একটা করে খেলে মানসিক স্ট্রেস কমে।
পুষ্টিবিদ অভিজিৎ সেন মন্তব্য করেন, কাঠবাদামের খোসায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি। রক্তে বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে উপাদানটি। এছাড়াও বাদাম ত্বকের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন এই খাবার। শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা ঠিক থাকে।
স্ট্রেস বর্তমানে বেশিরভাগ সকলের জীবনের একটি বড় সমস‍্যা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমন্ড বাদাম প্রতিদিন অন্তত একটা করে খেলে মানসিক স্ট্রেস কমে।
তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ‍্যই শামিল করুন বাদামকে। শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা ঠিক থাকে।

তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ‍্যই শামিল করুন বাদামকে। শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা ঠিক থাকে।

Medicinal Plant: সহজলভ্য বলে ফালতু ভাববেন না! এই পাতা জীবনের মতো দূর করবে ব্রণ! ত্বক করবে চকচকে, ফেরাবে সৌভাগ্য

আমাদের দেশের নানা অঞ্চলে এমন অনেক গাছপালা রয়েছে যা আমাদের জন্য খুবই উপকারী। এমন পরিস্থিতিতে আজ আমরা এমন একটি বিশেষ উদ্ভিদ সম্পর্কে কথা বলব যেটি স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে এসেছে বলে মনে করা হয়। এই উদ্ভিদটিকে দেবী লক্ষ্মীর সমার্থক বলে মনে করা হয়। 
আমাদের দেশের নানা অঞ্চলে এমন অনেক গাছপালা রয়েছে যা আমাদের জন্য খুবই উপকারী। এমন পরিস্থিতিতে আজ আমরা এমন একটি বিশেষ উদ্ভিদ সম্পর্কে কথা বলব যেটি স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে এসেছে বলে মনে করা হয়। এই উদ্ভিদটিকে দেবী লক্ষ্মীর সমার্থক বলে মনে করা হয়।
আসলে আমরা পারিজাত উদ্ভিদ সম্পর্কে কথা বলছি। পৌরাণিক গ্রন্থ অনুসারে, সমুদ্র মন্থন থেকে এই উদ্ভিদের উৎপত্তি হয়েছে এবং ভগবান ইন্দ্র এই গাছটি স্বর্গীয় উদ্যানে রোপণ করেছিলেন। হরিবংশ পুরাণে এই উদ্ভিদ ও ফুলের সবিস্তারে বর্ণনা করা রয়েছে।
আসলে আমরা পারিজাত উদ্ভিদ সম্পর্কে কথা বলছি। পৌরাণিক গ্রন্থ অনুসারে, সমুদ্র মন্থন থেকে এই উদ্ভিদের উৎপত্তি হয়েছে এবং ভগবান ইন্দ্র এই গাছটি স্বর্গীয় উদ্যানে রোপণ করেছিলেন। হরিবংশ পুরাণে এই উদ্ভিদ ও ফুলের সবিস্তারে বর্ণনা করা রয়েছে।
পণ্ডিত ঘনশ্যাম শর্মা জানান যে, উপবাসের সময় কেউ যদি মা লক্ষ্মীর কাছে পারিজাত ফুল অর্পণ করেন, তাহলে মা লক্ষ্মী সেই ভক্তের ওপরে অপার আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। এটি ঘরে লাগালে বাস্তু দোষ দূর হয় এবং ঘরে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আসে।
পণ্ডিত ঘনশ্যাম শর্মা জানান যে, উপবাসের সময় কেউ যদি মা লক্ষ্মীর কাছে পারিজাত ফুল অর্পণ করেন, তাহলে মা লক্ষ্মী সেই ভক্তের ওপরে অপার আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। এটি ঘরে লাগালে বাস্তু দোষ দূর হয় এবং ঘরে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আসে।
বাস্তু মতে বাড়িতে পারিজাত গাছ লাগালে ধন ও শস্যের অভাব দূর হয়। এর মাধ্যমে ঘরে এবং পরিবারের সদস্যদের উপর দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বজায় থাকে।
বাস্তু মতে বাড়িতে পারিজাত গাছ লাগালে ধন ও শস্যের অভাব দূর হয়। এর মাধ্যমে ঘরে এবং পরিবারের সদস্যদের উপর দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বজায় থাকে।
তবে পুরাণের বর্ণনা ছাড়াও আমাদের প্রাচীন আয়ুর্বেদ গ্রন্থে পারিজাত উদ্ভিদের নানা ঔষধি গুণের কথাও বর্ণনা করা রয়েছে। এই উদ্ভিদটি ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো মারাত্মক জ্বর নিরাময়ে সাহায্য করে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে, পারিজাত গাছের পাতা ও ছালের নির্যাস তাৎক্ষণিক ভাবে জ্বর কমাতে কার্যকর। এটি ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া জ্বরে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতেও সাহায্য করে।
তবে পুরাণের বর্ণনা ছাড়াও আমাদের প্রাচীন আয়ুর্বেদ গ্রন্থে পারিজাত উদ্ভিদের নানা ঔষধি গুণের কথাও বর্ণনা করা রয়েছে। এই উদ্ভিদটি ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো মারাত্মক জ্বর নিরাময়ে সাহায্য করে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে, পারিজাত গাছের পাতা ও ছালের নির্যাস তাৎক্ষণিক ভাবে জ্বর কমাতে কার্যকর। এটি ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া জ্বরে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতেও সাহায্য করে।
এছাড়াও এই গাছটি দ্রুত শরীরের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। এই গাছের পাতা বা ছালের পেস্ট বানিয়ে তা ফোঁড়া এবং পিম্পলের মতো ক্ষত সারাতে ব্যবহৃত হয়। এর পাতার ক্বাথ পান করলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই গাছের পাতা, শেকড় এবং ফুলের ক্বাথ সেবন করলে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও এই গাছটি দ্রুত শরীরের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। এই গাছের পাতা বা ছালের পেস্ট বানিয়ে তা ফোঁড়া এবং পিম্পলের মতো ক্ষত সারাতে ব্যবহৃত হয়। এর পাতার ক্বাথ পান করলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই গাছের পাতা, শেকড় এবং ফুলের ক্বাথ সেবন করলে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।