কিউই যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যকর। হাই ফাইবারযুক্ত এই ফল আমাদের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে , রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে এবং ইনফ্লামেশন কম করতে খুব বেশি কার্যকরী। আমাদের রোজকার খাদ্য তালিকায় কিউইকে অন্তর্ভুক্ত করলে ত্বকের ক্ষেত্রে তা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং সৌন্দর্যককে ফিরিয়ে আনতে দারুণভাবে সাহায্য করে।
‘বডি ফিট টিভি এবং ডায়েট চ্যানেল’-এর প্রতিষ্ঠাতা ফিটনেস এবং পুষ্টিবিদ বিশেষজ্ঞ, রিয়া শ্রফ এখলাস তাঁর পরামর্শে বলেন, “কিউইতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও অ্যাসকরবিক অ্যাসিড রয়েছে যা শরীরের প্রতিক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে। কিউইফ্রুটে দৈনিক প্রস্তাবিত ভিটামিন সি-এর প্রায় ২৩০% থাকে। এই ফল প্রতিটি কামড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী পুষ্টির খনি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।”
এই ফলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকার কারণে প্রাকৃতিক উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। মিষ্টি অথচ ট্যাঙ্গি ,কম ক্যালোরিযুক্ত এবং ভরপুর ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস এই কিউই ফল আমাদের হার্ট , পাচকতন্ত্রকে ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ব্রিয়ালকফাস্টে স্ন্যাকস হিসাবে কিংবা ডেজার্ট বানিয়েও আপনি খেতে পারেন।
এছাড়াও কিউইর মতো একদম মিষ্টি একটি ফলও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকার। এই ফলে রয়েছে বহু ধরনের গুণ। এতে ভিটামিন সি ছাড়াও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি, অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মতো উপাদান থাকে। যা ডায়াবেটিসের রোগীদের পক্ষ খুবই ভাল।
এই ফল খেলে ভিটামিন সি-এর অভাবজনিত রোগ দূর হয়। আসলে কিউই-র মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। এর ফলে কিডনি, হার্ট, কোষ এবং পেশিগুলি সঠিক ভাবে কাজ করার শক্তি পায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস পায়।
এই ফলে মজুত ফাইবারের গুণে বাড়ে উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরল। উল্টে কমে খারাপ এলডিএল। এর পাশাপাশি রক্তনালীতে প্লাক বা নোংরা জমতেও বাধা দেয় এই ফলে উপস্থিত সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এসব কারণেই কিউই খেলে সুস্থ থাকে হার্ট। তাই আপনার রোজের ডায়েটে অবশ্যই এই ফলকে জায়গা করে দিন।
চিকিৎসকের হার্ট ফেলিওরকে ‘অসুখ’ না বলে, বলেন ‘সিনড্রোম’। অন্য দিকে হার্ট অ্যাটাক ব্যাপারটা অন্য রকম। ইদানিং হৃদরোগের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হল, যে কোনও বয়সিরই হৃদরোগ দেখা দিচ্ছে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
রোজের জীবনযাত্রায় নানা অনিয়মের ফলে হার্ট অ্যাটাকের পাশাপাশি হার্ট ফেলিওরের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। বেশ কিছু উপসর্গ দেখে হার্ট ফেলিওরের বিষয় সতর্ক হওয়া যায়।
কিছু উপসর্গ ঘুমের মধ্যে দেখা দিলেও সতর্ক হতে হবে বইকি। জেনে নিন ঘুমের মধ্যে কোন লক্ষণগুলি হার্ট ফেলিওরের উপসর্গ হতে পারে।
কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট: এ ক্ষেত্রে ফুসফুসে তরল জমে থাকার কারণে কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ঘুমের মধ্যে কাশি হলেও সতর্ক থাকতে হবে।
হঠাৎ হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া: হার্ট ফেলিওরের কারণে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে। বুক ধড়ফড়ানির কারণে শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। এই কারণে আচমকা ঘুম ভেঙে যায় রোগীর।
রাতে হঠাৎ হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া: হার্ট ফেলিওরের সমস্যা শুরু হলে রাতে ঘন ঘন ঘুম ভেঙে যেতে পারে। ওই সময় বুকে ব্যথা, ঘাম হওয়া, বুক ধড়ফড় করার মতো উপসর্গগুলি দেখা যেতে পারে। এমন উপসর্গ মাঝে মধ্যেই হলে সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্যারোক্সিসমাল নক্টার্নাল ডিসপনিয়া (পিএনডি): হার্ট ফেলিওর সমস্যা হলে গভীর রাতে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন রোগী। একে বলা হয় প্যারোক্সিসমাল নক্টার্নাল ডিসপনিয়া। এই সমস্যা সাধারণত ঘুমিয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টা পরে শুরু হয়। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি মনের ভিতর উদ্বেগ, অজানা কারণে ভয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা যায়।জানলে চোখ কপালে উঠবে যে এই ফলটি আর কিছু নয় আমাদের চেনা আপেল। বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত ফল আপেল। আপেল হার্টের স্বাস্থ্যের দৃষ্টান্তমূলক ভাবে উন্নতি করে। এগুলিতে দ্রবণীয় ফাইবার বেশি থাকে, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
শ্বাস নিতে কষ্ট: ঘুমের মধ্যে যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তা হলে কিন্তু সেই উপসর্গকে কখনওই অবহেলা করা উচিত নয়। হার্ট ফেলিওরের ক্ষেত্রে এমন উপসর্গ প্রায়ই লক্ষণীয়। এ ক্ষেত্রে রোগীর বিছানায় শুয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাই শ্বাস নেওয়ার জন্য তাঁকে উঠে বসতে হয়। এই সমস্যাকে বলা হয় অর্থোপনিয়া। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
রান্নার স্বাদ ভাল করতে তেজপাতার জুড়ি মেলা ভার। বিরিয়ানি, মাংস, পায়েস অনেক কিছুতেই তেজপাতা আবশ্যিক। তবে শুধু রসনার তৃপ্তি নয় শরীর ভাল রাখতেও তেজপাতা বেশ কাজের। বিশেষ করে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ, হার্টের সমস্যা, ত্বকের যত্ন-সহ সমস্যায় তেজপাতা বেশ কার্যকরী।
১. ত্বকের যত্নে ছত্রাকে সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে তেজপাতা বেশ কাজের। তেজপাতার অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে যা ভিটামিন সি-র সঙ্গে যৌথ ভাবে ত্বকের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।
২. ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও কাজে লাগতে পারে তেজপাতা। রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে টাইপ টু ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে তেজপাতা। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় তেজপাতা।
আরও পড়ুন: ট্রেনের মিডল বার্থে টিকিট কেটেছেন? ইচ্ছে হলেই ঘুমাতে পারবেন না, নির্দিষ্ট নিয়ম আছে রেলের
৩. তেজপাতা থেকে এসেনশিয়াল অয়েল পাওয়া যায়, যা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় সাহায্য করে। এছাড়াও সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা জ্বর-সর্দি উপশমে দারুণ কাজ করে তেজপাতা। গলায় সংক্রমণজনিত ক্ষত কমাতেও সাহায্য করে তেজপাতা।
৪. হৃদযন্ত্রের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। হৃদযন্ত্রের ভাল রাখতে সাহায্য করে তেজপাতা কারণ রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের জন্যেই স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা দেখা দেয়। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারী তেজপাতা।
Just another WordPress site