গুয়াহাটি: নৃশংস ঘটনা ঘটল অসমে। স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত, স্রেফ এই সন্দেহেই স্ত্রীর দুটো হাত কেটে দিলেন স্বামী। ধলাইয়ের জামালপুর ফরেস্ট গ্রামের ঘটনা।
জানা গিয়েছে মহিলার স্বামী রফিকুদ্দিন কর্মসূত্রে মাঝেমাঝেই বাইরে থাকেন। ৬ বছর ধরে অভিযুক্ত রফিকুদ্দিনের সঙ্গে সংসার করছেন রুবি বেগম। তাঁদের তিন সন্তানও রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অশান্তি হয় রুবির।
বৃহস্পতিবারও এরকমই দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তারপরে হঠাৎ করেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্ত্রীর উপর চড়াও হয় স্বামী। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করেন অভিযুক্ত রফিকুদ্দিন। শুধু তাই নয়, কব্জি থেকে স্ত্রীর দুটো হাত নেয় অভিযুক্ত স্বামী। হাত দুটো কেটে নেওয়ার পরে স্ত্রীর দুটো হাত তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। স্ত্রীকে ওই অবস্থায় ফেলে রেখেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় নির্যাতিত মহিলার স্বামী।
চিৎকার শুনে পরে প্রতিবেশীরা সেখানে জড়ো হন। ঘটনার অভিঘাতে জ্ঞান হারান মহিলা। প্রতিবেশীরা মহিলার পরিবারকে খবর দিলে পরিবারের সদস্যরা এসে রুবিকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করান। পরে মহিলাকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়।
কলকাতা: কলকাতা শহরের পাঁচতারা হোটেলে তাকে মারধর করেছেন তাঁর স্বামী ও তাঁর বন্ধু। প্রগতি ময়দান থানায় এমনই অভিযোগ জানান এক মহিলা। পরে ঘটনার তদন্তে নেমে বিস্ফোরক তথ্য উদ্ধার। স্বামীর দাবি, বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী রূপান্তরকামী।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন ওই মহিলা। ভুয়ো আধার কার্ড নিয়ে, দিল্লিতে গিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তন করেন। তারপর এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে কলকাতা শহরের পাঁচতারা হোটেলে উঠেছিলেন ওই বাংলাদেশি নাগরিক।
ঘটনার তদন্তে নেমে ওই মহিলা, তার স্বামী এবং স্বামীর বন্ধুক, তিনজনকেই আটক করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্বামীর দাবি, বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী রূপান্তরকামী। ঘটনার তদন্ত চলছে।